![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন প্রকৃতি প্রেমিক। পছন্দ করি নতুনকে খুঁজতে এবং পুরাতনকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে। পছন্দ করি বস্তুনিষ্ঠভাবে মানুষকে দেখতে এবং ব্যক্তিনিষ্ঠভাবে বাকি প্রকৃতিকে দেখতে।
২০১৬ সাল। কক্সবাজারে যাওয়ার কোন প্ল্যানই ছিল না। কারণ ছোটবেলায় যখন কক্সবাজারে গিয়েছিলাম, তখন আকাশ ছিল পুরোপুরি মেঘলা, সমুদ্র ছিল একদম শান্ত – ছাই রঙের। এই ছবিটাই মনে ছিল, তাই দ্বিতীয়বার যাওয়ার কোন ইচ্ছা ছিল না। লিস্টে ছিল সুন্দরবন, বান্দরবন, সেইন্টমারটিন্স আর ছেঁড়া দ্বীপ। একটি ট্যুরিস্ট সোসাইটির সাথে সুন্দরবনে খুবই রোমাঞ্চকর একটা ট্যুর দিয়ে এসে "life is complete", "life is beautiful" ভাব নিয়ে দিন যাচ্ছিল। একদিন সেই সোসাইটির কক্সবাজার ট্যুরের একটা ইভেন্ট চোখে পড়ল। হঠাৎ কেন যেন মনে হতে লাগল আমার এই মুহূর্তে কক্সবাজার যাওয়া খুবই প্রয়োজন। হঠাৎ নেয়া সিদ্ধান্তে বুকিংও দিয়ে ফেললাম। তখনই আবিষ্কার করলাম নিজের জীবনের অন্যতম কাকতালীয় ঘটনা । কক্সবাজারে প্রথম গিয়েছিলাম ১৯৯৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। আর এবার যাওয়া হবে ঠিক ২০ বছর পর - ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। .........অবশেষে প্রতীক্ষিত দিনটি এল। সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের সময় সমুদ্রে গেলাম প্রায় ৪৮ জনের টীম। সমুদ্রে যে দেড়-দুই ঘন্টা ছিলাম, মনে হচ্ছিল নতুন জীবন পেয়েছি - প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিবার আমাকে সরিয়ে নেয়া বিশাল ঢেউ, প্রতিটি মুহূর্ত খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করছিলাম - মনে হচ্ছিল এটা শুধু ট্যুর নয়, মেডিটেশন। হঠাৎ নেয়া এমন কাকতালীয় সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে আমাকে প্রতিনিয়ত ভিটামিন ‘সী’ (sea)-এর অভাব বোধ করায়। এধরনের কিছু মধুর স্মৃতির কারণেই মনে হয় মানুষ অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝার মাঝেও জীবনে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পায়।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
ভেনাস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ঠিক বলেছেন, বিচের আশেপাশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগেরবারের চেয়ে এবার মনে হয় ১০-১২ গুণ বেশি মানুষ দেখেছি বিচে। আমরা একটু আলাদা হয়ে অনেকদূর হেঁটে গিয়ে খুব কম মানুষ যেদিকে ছিল, সেদিকটাতে সময় কাটিয়েছি। আপনার রাতের অভিজ্ঞতা পড়েও অনেক ভাল লাগল। আসলেই গা ছমছম করার মত থ্রিলিং একটা অভিজ্ঞতা।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কক্সবাজার আমি শেষ যাই ১৯৯৫ সালে, সপরিবারে। দারুণ উপভোগ্য ছিল সে সফর। আপনার এ লেখাটা পড়ে সে স্মৃতিটা মনে জেগে উঠলো। ইতোমধ্যে অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেছে। আবার একবার যেতে হবে।
এধরনের কিছু মধুর স্মৃতির কারণেই মনে হয় মানুষ অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝার মাঝেও জীবনে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পায় - ভাল বলেছেন।
ছোট্ট পোস্ট, তবুও ভাল লাগা + + জানিয়ে গেলাম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭
ভেনাস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সময় করে আরেকবার ঘুরে আসতে পারেন, আশা করি ভাল লাগবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমারও মনে হয় শেষবার কক্সেসবাজার যাওয়া হয়েছিল ১৯৯৬ সালে | তখনি তার আগের বারের চেয়ে অনেক চেঞ্জ হয়েছে বিচের আশেপাশে | এখনতো জানিই অনেক অনেক চেঞ্জ হয়েছে ওখানে | খুব ঘিঞ্জি মনে হয় ফটোগুলো দেখে | কক্সসবাজার বেড়ানোর আপনার ভালোলাগাটুকু খুব ভালো লাগলো | অনেক আগের কথাও মনে হলো | রাত একটা বা দু'টার দিকে আমি একবার একা গিয়ে বিচের অন্ধকারে দাঁড়িয়েছিলাম | সামনে যতদূর তাকাই গারো অন্ধকার ! কি যে অন্ধকার বলে বোঝানো যাবে না মনে হয় ! শুধু নিঃসীম অন্ধকার আর তীরে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের শব্দ, কেমন যেন একটা অবশ করা ভয় ধরিয়ে দেয় মনে! অনেক কিছু ভুলে গিয়েছি কিন্তু এতদিন পরও সেই ভয়টা খুবই পরিষ্কার মনে আছে | আবারো ধন্যবাদ নিন স্মৃতি জাগানিয়া কক্সবাজার নিয়ে চমৎকার একটা লেখার জন্য ||