![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন প্রকৃতি প্রেমিক। পছন্দ করি নতুনকে খুঁজতে এবং পুরাতনকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে। পছন্দ করি বস্তুনিষ্ঠভাবে মানুষকে দেখতে এবং ব্যক্তিনিষ্ঠভাবে বাকি প্রকৃতিকে দেখতে।
অফিসের কাজে লক্ষীপুরের কড়ইতলা গ্রামে যাওয়া হলো একবার। ২০১৯ সালের এক শরৎকাল তখন। অসম্ভব সুন্দর গ্রাম কড়ইতলা। ওখানে না গেলে এত সুন্দর একটা গ্রাম অজানাই থেকে যেত আমার। গাঢ় সবুজ বনের ভিতর দিয়ে গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ি। আমার কাছে কিছুটা মনে হচ্ছিল যেন মধুপুর বনের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একেকটি বাড়ি আবিষ্কার করছি। মানুষগুলোও অমায়িক এই গ্রামের।
ঢাকা থেকে আমরা তিনজন গবেষক গিয়েছিলাম সেখানে। গ্রামে ঢুকে তিনজন তিন দিকে ছড়িয়ে পড়ি। কাজ দেখা শেষ করে একসাথে বি.এল.সি.-তে (যেখানে আমাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল) ফিরি। শেষদিনের একটি ছোট্ট সুন্দর ঘটনা। সেদিনও যথারীতি গ্রামের ভিতর তিনজন তিন দিকে ছড়িয়ে পড়েছি। সারাদিন কাজ শেষে তিনজন একসাথে হওয়ার জন্য ফোনে কথা হল। বাকি দুজন সহজেই খুঁজে পেল একজন আরেকজনকে। কিন্তু আমার অবস্থান খুঁজে পেতে অনেক বেগ পেতে হল আমার সহকর্মীদের। মাঝখানে একবার এটাও বলেছিলাম যে তোমরা বি.এল.সি.-তে ফিরে যাও। আমি এখান থেকে রিকশা খুঁজে নিয়ে রিকশায় মেইন রোড পর্যন্ত চলে আসব। মেইন রোড থেকে বাকি রাস্তা সহজ। শুধু শুধু নিজেদের খোঁজাখুঁজি করে সময় নষ্ট না করি। কিন্তু আমার সহকর্মীরা নাছোড়বান্দা। ওরা বলল, “না আপু, আপনাকে এখানে একা রেখে আমরা ফিরে যাব না”।
শেষমেষ যখন আমার সহকর্মীরা আমাকে জানালো যে ওরা গ্রামের ভেতর ছোট্ট একটা ব্রিজ পার হয়েছে, তখন আমি বুঝতে পারলাম ওরা কোন জায়গাটায় আছে - আমি যেখানে আছি সেখান থেকে কিছুটা দূরে। ওই সময় আমার সামনে দিয়ে গ্রামের কয়েকজন ছোট বাচ্চা গল্প আর দুষ্টামি করতে করতে যাচ্ছিল। আমি ওদেরকে বললাম, “শোনো, তোমরা এদিক দিয়ে যেতে যেতে যদি একজন আপু আর একজন ভাইকে দেখতে পাও, ওদেরকে বোলো যে আপনারা যে আপুকে খুঁজছেন উনি এই বাড়িটার কাছে আছেন। ওরা বলল, “আইচ্ছা”। বাচ্চাদের সাথে দেখা হবে কিনা আর ওরা ঠিকমত বলতে পারবে কিনা চিন্তা করে আমি একটু একটু করে এগোতে লাগলাম। বাড়িটা থেকে খুব বেশি দূরেও গেলাম না এই চিন্তা করে যে বাচ্চারা যদি আমার সহকর্মীদের পেয়ে বলে থাকে, তাহলে ওরা এই বাড়িটার কাছে এসেই আমাকে খুঁজবে।
কিছুক্ষণ পর অবশেষে দেখা হয়ে গেল আমার সহকর্মীদের সাথে। ওরা বলল একদল বাচ্চা যাচ্ছিল, তারা নাকি আমার কথা বলেছে তাদের কাছে। আমার শুনে খুবই ভালো লাগলো যে এই খুদে বাচ্চাগুলো কবুতরের মত বার্তাবাহকের কাজ করেছে।মনে মনে দোয়া করলাম ওদের জন্য। এরপর সারা দিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে করতে আর গল্প করতে করতে আমরা বি.এল.সি.-র দিকে রওনা হলাম।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৭
ভেনাস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই প্রকৃতিও সুন্দর ছিল, ভাগ্যক্রমে ছবিগুলোও সুন্দর উঠেছে। কালো হাঁসটা আসলেই অনেক সুন্দর ছিল। আমি সামনে যাওয়ার পরও ভয় পায় নি। চুপচাপ নিজের মত বসে ছিল। এই গ্রামের সবকিছুই অনেক সুন্দর।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের গ্রাম গুলো দেখতে অনেক সুন্দর।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯
ভেনাস বলেছেন: ঠিক ভাই।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩২
মা.হাসান বলেছেন: অসাধারণ সব ছবি। আরেকটু বড় হলে দেখতে আরো ভালো লাগতো।
বাচ্চারা আসলেই ভালো বার্তাবাহক।
আমার এক বন্ধু পাশের স্কুলে পড়তো। একদিন টিফিন পিরিয়ডে ঐ বন্ধুকে এক সার পাকড়াও করে বললেন যা এই বাজারের ব্যাগটা তোর চাচিকে (সারের স্ত্রীকে) দিয়ে আয়।
বন্ধু ব্যাগ খুলে কি কি বাজার আছে দেখে সারের বাড়িতে যেয়ে বললো- চাচি, সার এই বাজার পাঠাইছে আর বলছে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে পুটিমাছ রান্না করতে আর পুইশাক দিয়ে পটোলের ঝোল করতে।
ঐ দিন দুপুরে সারে বাসায় আর পর দিন স্কুলে ভালো মজা হয়েছিলো।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৫
ভেনাস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দুঃখিত ছোট ছবি দেয়ার জন্য। ছবিগুলো ল্যাপটপে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছিলাম ওই সময়। ওখান থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে তারপর দিয়েছি। এতে ছবিগুলো ছোট হয়ে গিয়েছে।
আপনার বন্ধুর ঘটনাটি খুব মজার। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো সুন্দর।
বিশেষ করে কালো হাঁসটা। কি সুন্দর চুপচাপ বসে আছে একা।