নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের অবয়ব ধারী যেন না হই।

সুখী পৃথিবীর পথে

মানুষ হিসেবে জীবন উপভোগ করা।

সুখী পৃথিবীর পথে › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ঢাকা শহরের বা ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে স্বল্পব্যায়ী Digital প্রযুক্তি ভাবনা”

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার কর্মদক্ষতা, আপনার কুশলী কর্মকৌশল নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। Digital System’র প্রতি আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি অতি স্বল্প ভাষ্যে উপরোক্ত শিরোনামের আলোকে প্রস্তাবনা পেশ করছি। বর্তমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ম্যানুয়াল ভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ওয়াকিটকিই এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় প্রধান এবং একমাত্র প্রযুক্তি। বিভিন্ন কারণে এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তেমন কার্যকর হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না? বাহুল্যতা বর্জনের উদ্দেশ্য এখানে বিস্তারিত লিখলাম না। অথচ অতি স্বল্প ব্যয়ে ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থা সুস্থ ও সহজ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদি এই ব্যবস্থাকে আংশিক হলেও Digital করা যায়, তবেই সম্ভব। নিম্নের উপায়ে বর্তমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আংশিকভাবে Digital করা সম্ভব, যার সামর্থ্য আমাদের আছে (আমি এখানে স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমের কথা বলছি না)। আমি যে System’র প্রস্তাব করছি তার নাম, “Digital Graphical Representation and Semi-Automated Traffic Controlling System”। এটা বাস্তবায়িত হলে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক বা একাধিক ব্যক্তিবর্গ ঢাকা শহরের মুহুর্তকালীন ট্রাফিক অবস্থা বা রাস্তায় চলাচল রত গাড়ির অবস্থা কম্পিউটারের মাধ্যমে সচিত্র দেখতে পাবেন এবং দায়িত্ব প্রাপ্ত হলে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যা যা করতে হবে:
১। ঢাকা শহরের একটি Digital Map থাকবে। Google Map এর কল্যাণে আমরা ইতিমধ্যে তা পেয়েছি। প্রয়োজনে প্রত্যেক অলি গলি ও রাস্তা সমেত আরও বিস্তারিত করে Digital Map তৈরি করা হবে।
২। প্রত্যেক মোড়, প্রত্যেক রাস্তা, প্রত্যেক লেনের সনাক্তকারী কোড নাম্বার দেওয়া হবে। কোড নাম করন করার ক্ষেত্রে একটি রাস্তাকে এক মোড় থেকে অপর মোড় পর্যন্ত হিসেবে নেওয়া হবে।
৩। প্রত্যেক মোড়ে গাড়ি সনাক্ত করার জন্য এক প্রকার ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস থাকবে। এই ডিভাইস রাস্তার উভয় পাশে, ফ্লোরে, উপরে ইত্যাদি প্রয়োজন মাফিক স্থানে স্থাপন করা হবে। ডিভাইস সমূহ এমন ভাবে স্থাপন করা হবে যেন প্রত্যেক মোড় থেকে বিভিন্ন শাখায় বের হওয়া প্রত্যেকটি রাস্তার, প্রত্যেক লেনের উপর গাড়ী বা এই ধরনের বস্তু ইত্যাদির অবস্থান জানান দিতে সক্ষম Output Signal দেয়। এবং গাড়ী সমূহ চলছে, নাকি থেমে আছে বা থেমে থাকলে রাস্তার কত দূর পর্যন্ত থেমে আছে তাও জানা যাবে এই Output Signal হতে । এই ডিভাইস সমূহ হবে মেটাল ডিটেক্টর টাইপ অথবা ফটো-সেন্সর টাইপ অথবা রেডিও সিগনাল টাইপ ইত্যাদি।
যদিও বর্তমানে রাস্তার প্রত্যেক মোড়ে স্থাপিত CCTV হতে প্রাপ্ত Output Signal দ্বারা এই কাজ করা যাবে। কিছু মডিফিকেশন লাগবে।
৪। প্রত্যেকটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, Output Signal এবং Digital Map’র প্রত্যেক মোড়, প্রত্যেক রাস্তা এবং প্রত্যেক লেন ইত্যাদিকে পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত করে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হবে।
৫। সফটওয়ারের আউটপুট হিসেবে Digital Map সমেত ট্রাফিক অবস্থার চিত্র পাওয়া যাবে যার নাম “Graphical Representation of Traffic Condition”। এই “Graphical Representation” এ শহরের প্রত্যেক মোড়ের, রাস্তার এবং লেনের চিত্র পাওয়া যাবে। অর্থাৎ বিভিন্ন মোড়ে, রাস্তায়, লেনে গাড়ি চলছে নাকি থেমে আছে, যদি থেমে থাকে তবে রাস্তার কোন পর্যন্ত থেমে আছে তা Symbol আকারে দেখা যাবে।
৬। এই যে “Graphical Representation of Traffic Condition” একে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বড় পর্দায়/প্রজেক্টর স্ক্রিনে উপস্থাপন করা হবে। মাল্টিমিডিয়া বিশিষ্ট কন্ট্রোল রুমে আরও বিভিন্ন প্রযুক্তি যুক্ত হবে। যেহেতু সমগ্র ঢাকা শহরের “Graphical Representation of Traffic Condition” সেহেতু পর্দার আকার বড় হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী Digital Map কে বিভিন্ন জোনে ভাগ করা হবে। ভাগ করার সময় বিভিন্ন বিষয়ের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে চিন্তা করা হবে। যেমন “উত্তরা” এলাকা একটি মাত্র স্বাধীন জোন হতে পারে। তবে জোন বেশী হলে সুবিধা বেশী। প্রত্যেক জোনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বা জোনাল কো-অর্ডিনেটর অফিসার থাকবেন। সকল জোনের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত একজন প্রধান কো-অর্ডিনেটর অফিসার থাকবেন। জোনাল কো-অর্ডিনেটর অফিসারদের কমান্ডিং “পিরামিড” ব্যবস্থাকে বাস্তবতার নিরিখে সাজানো হবে। প্রত্যেক জোনাল কো-অর্ডিনেটর অফিসারদের জন্য হেড-ফোন থাকবে। জোনাল কো-অর্ডিনেটর অফিসারগন মাঠ পর্যায়ে অবস্থিত ট্রাফিক সার্জেন্টদের সাথে এই হেড-ফোন দ্বারা যোগাযোগ করবেন। তাদের দৃষ্টি থাকবে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর স্ক্রিনের এর উপর।
৭। প্রত্যেক মোড়ে একজন করে ট্রাফিক সার্জেন্ট থাকবেন (বর্তমানে আছেন)। যাদের সাথে ওয়াকিটকি থাকবে (বর্তমানে আছে)। প্রয়োজনানুসারে ল্যাপটপ কম্পিউটার বা বড় স্ক্রিনের মোবাইল ফোন থাকবে। প্রত্যেক ট্রাফিক সার্জেন্ট তার নিজ নিজ জোনাল কো-অর্ডিনেটর অফিসারের সাথে এ সকল যন্ত্র দ্বারা যুক্ত থাকবেন।

মাল্টিমিডিয়া যুক্ত কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রম:
জোনাল কো-অর্ডিনেটর অফিসারদের সামনে বিশাল প্রজেক্টর স্ক্রিন। স্ক্রিনে শহরের “Graphical Representation of Traffic Condition” ভেসে উঠছে। প্রত্যেক রাস্তা, লেন, এবং মোড়ের সনাক্তকারী কোড নাম্বার বোঝা যাচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তা নিয়ে বিভিন্ন জোন সমূহ গঠিত, প্রত্যেক জোনের ব্যাকগ্রাউন্ড কালার ভিন্ন ভিন্ন। প্রত্যেক মোড়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দিকে যে সমস্ত রাস্তা সমূহ বের হয়েছে অথবা যুক্ত হয়েছে সেখানকার গাড়ির হালনাগাদ চিত্র লেন ভিত্তিক, রাস্তা ভিত্তিক করে সিম্বল আকারে Digital Map এ উপস্থাপিত হচ্ছে। যদি বাস্তবে গাড়ি চলমান থাকে তবে Digital Map এ সিম্বল চলমান থাকবে। যদি বাস্তবে গাড়ি থেমে থাকে তবে Digital Map এ সিম্বল থেমে থাকবে। এবং গাড়ি কোন পর্যন্ত থেমে আছে তাও Digital Map এ উপস্থাপিত হবে। বিভিন্ন জোনাল কো-অর্ডিনেটর অফিসার গন Digital Map এর অবস্থার প্রেক্ষিতে হেড-ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন মোড়ে দায়িত্ব পালন রত ট্রাফিক সার্জেন্ট গনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবেন। সার্জেন্ট গন নির্দেশনা অনু্যায়ী ব্যবস্থা নিবেন। এবং ওয়াকিটকির মাধ্যমে জোনাল কো-অর্ডিনেটর অফিসার গনকে হালনাগাদ তথ্য জানাবেন। অন্যদিকে ডিভাইসসমুহ হালনাগাদ তথ্য কন্ট্রোল রুমে পাঠাতে থাকবে এবং সে অনুযায়ী Digital Map এ রাস্তার ট্রাফিক অবস্থা সিম্বল আকারে ভেসে উঠতে থাকবে। যার নাম “Graphical Representation of Traffic Condition”। যা দেখে জোনাল কো-অর্ডিনেটর অফিসার বিভিন্ন মোড়ে দায়িত্ব পালন রত ট্রাফিক সার্জেন্ট গনকে পুনরায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবেন।

শেষ কথা:
১। বর্তমান ব্যবস্থায় একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট রাস্তার মোড়ে অবস্থান করে বাস্তব অবস্থা দেখে দেখে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন। এবং ওয়াকিটকির মাধ্যমে আসে পাশের মোড়ে অবস্থানরত সহকর্মী ট্রাফিক সার্জেন্ট গনকে অবহিত করেন। এ প্রক্রিয়ায় বড়জোর একজন সিনিয়র অফিসার যুক্ত থাকেন। কিন্তু সব কিছুই ওয়াকিটকির মাধ্যমে শুনে শুনে এবং চাক্ষুষ দেখে দেখে নিয়ন্ত্রিত হয়। এভাবে প্রক্রিয়াটি চক্রাকারে চলতে থাকে। এতে সময় লাগে বেশি। কোন কারণে একজন ভুল করলে পরের মোড়ে অবস্থানরত ট্রাফিক সার্জেন্টের বুঝতে সময় লেগে যায়। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে করার তেমন কিছু থাকেনা। হ্যাঁ ব্যাপারটি ১০০ ভাগ কার্যকরী হতো যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ভূমি হতে অনেক উচ্চতায় উঠতেন। তখন তাহার সম্মুখে একসাথে অনেক রাস্তা দেখা যেত এবং তখন তিনি বুঝতে পারতেন কোন রাস্তা খুলতে হবে বা কোন রাস্তা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় জোনাল কো-অর্ডিনেটর অফিসারের সম্মুখে পুরো জোনের সকল মোড়, রাস্তা এবং লেনের চিত্র ভেসে উঠায় তিনি অতি অল্প সময়ে নিদের্শনা প্রদান করতে পারবেন। এবং তার নির্দেশনার কার্যকরীটা অনেক অনেক গুন বেশী।
২। প্রস্তাবিত ব্যবস্থা যেহেতু “Graphical Representation of Traffic Condition”, সেহেতু সরকারের এক বা একাধিক ব্যক্তি অথবা সাধারণ জনতা মুহূর্তের মধ্যে কম্পিউটারের মাধ্যমে হালনাগাদ ট্রাফিক অবস্থা দেখতে পারবেন।

অতএব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিনীত অনুরোধ করছি, আমার প্রস্তাবিত উপস্থাপনাটি গ্রহণ অথবা পরীক্ষামূলুক ভাবে বাস্তবায়নের সুযোগ দেওয়ার জন্য।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

বেশ ভাল ও সময় উপযোগী চিন্তা।

এরকম চিন্তা আগেও হয়েছে, সাইন্স ফেয়ার টেয়ারে দেখেছি অনেক। কিন্তু সরকার বা কেউ পাত্তা দিচ্ছে না !

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

সুখী পৃথিবীর পথে বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যে জ্যাম থাকে প্রতিদিন তাতে সুপার ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়েও ঢাকা শহরকে আর কোনোদিন বসবাসযোগ্য করে তোলা সম্ভব নয় | একটি উপায়ই আছে শেষ ভরসা হিসাবে, তা হচ্ছে ঢাকায় অবস্থিত অফিস আদালত, কল কারখানা দেশের নানান অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়া অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিকেন্দ্রীকরণ | এর জন্য দরকার ক্ষমতাসীনদের সৎসাহস আর তা করতে হবে অনতিবিলম্বে |

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

সুখী পৃথিবীর পথে বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.