নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু আলাইকুম \n\nনামঃ মোঃ ওয়ালিউল্লাহ কাউসার \n\nদেখতে এত স্মার্ট নয় কিন্তু এতটাও কম নয়

মোঃ ওয়ালিউল্লাহ কাউসার

মোঃ ওয়ালিউল্লাহ কাউসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম বিরুধী ও চটি যুক্ত শিক্ষানীতি প্রত্যাহার করুন।

১৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

গত বছর থেকেই যদি এসব শিক্ষানীতি বাতিলের জন্য আন্দোলন হত বা এসব শিক্ষানীতির জন্য প্রতিবাদ হতো তাহলে আজ ইসলাম ভূল শিক্ষা দিয়ে বই চাপানো হতনা।

আজকে অল্প বয়সের ছেলে মেয়েরা
বাবা মায়ের অবাধ্য হচ্ছে, বিভিন্ন
নোংড়ামি আর বেহায়াপনাতে লিপ্ত হচ্ছে, তার অন্যতম কারণ শিক্ষানীতি

নিম্নের লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়বেনঃ

যৌন সচেতনতার নামে ষষ্ঠ শ্রেণীর
শারীরিক শিক্ষা বইসহ প্রাথমিক ও
মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন বই
পড়লে মনে এইগুলো যেন ছোট
ছেলেমেয়েদের উপযোগী এক
একটা চটি বই
এই বইয়ে ছেলেমেয়ের
বয়ঃসন্ধিকালে পরিবর্তনের
ব্যাপারে কিছু লেখা পড়লাম
যা এতটা খোলামেলাভাবে আলোচনা করা হয়েছে আমার
দৃষ্টিতে তা এইসব শ্রেণীর শিশুদের
উপযোগী নয়।
যেমন:
ছেলে শারীরিক পরিবর্তন :
গোঁফদাড়ি গজায়,স্বরভঙ্গ হয়,বীর্যপাত
হয় ইত্যাদি।
মানসিক:নিকট জনের
ভালবাসা চায়,স্বাধীনভাবে
চলাফেরা করতে চায়,যৌন
বিষয়ে চিন্তা ভাবনা বিপরীত
লিঙ্গের
প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
মেয়ে শারীরিক পরিবর্তন:
ঋতুস্রাব হয়,বুক বা স্তন বড় হয়,যৌন
বিষয়ে চিন্তাভাবনা ও বিপরীত
লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে,কোমর
নিতম্ব উরু ভারি হয়।আর এক জায়গায়
লেখা আছে এইসময় অনেকে অনৈতিক
নিষিদ্ধ যৌনকাজে জড়িয়ে পড়ে।
একমাসের শিশুর জন্য প্রয়োজন মায়ের
বুকের দুধ কিন্তু
তাকে যদি তাড়াতাড়ি বড় করতে জোর
করে ভাত খাইয়ে দেয়া হয়
তাহলে নিশ্চয়
শিশুটি বড় হয়ে যাবেনা বরং তার বদহজম
হয়ে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু
হবে যা পিতামাতা ও পরিবারের জন্য
কষ্টকর।ঠিক নবম দশম শ্রেণীর উপযুক্ত পাঠ
সমুহ যদি পঞ্চম ষষ্ঠ
শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাও
সমাজ পরিবার ও দেশের জন্য অস্বস্তিকর

বিপদজনক।
এইসব
বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে শিশুদের
সচেতন করা হচ্ছে নাকি যৌন
বিষয়ে অতি অল্প বয়সে জ্ঞান দান
করে তাদের অনৈতিক কাজে উৎসাহীত
করা হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।যেহেতু
স্যাটেলাইট এর এই যুগে ডিস এন্টেনার
মাধ্যমে খুব অল্প
বয়সে ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন
চ্যানেলে হিন্দী ইংলিশ মুভির
কল্যাণে অতিরিক্ত
পাঁকা হয়ে উঠছে প্রায়
প্রতিটা মুভিতে কিস ও সেক্সুয়েল
দৃশ্য থাকে এমনকি অনেক কার্টুনেও
অশ্লীল দৃশ্য দেখা তার উপর
যদি পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে তাদের
হাতে কলমে এইসব শেখানো হয়
তাহলেতো প্রেকটিক্যাল ক্লাস
নিজেরাই লোকচক্ষুর অন্তরালে করার
চেষ্টায় থাকবে।যা আমাদের দেশের
মত
কনজারভেটিভ সামাজিক ব্যবস্থার
সাথে সম্পুর্ন বেমানান।
আমরা মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিষিদ্ধ
কাজের দিকে বেশী ধাবিত হই তার
প্রমাণ
স্বরুপ ধর্ষণ শিশু ধর্ষণ শিক্ষক
দ্বারা ছাত্রী,ছাত্র
দ্বারা শিক্ষকা,পিতা দ্বারা কন্যা,ভাই
দ্বারা বোন এমনকি অনেক সময়
সমলিঙ্গের
ব্যক্তি বা শিশুও ধর্ষণের স্বীকার
হচ্ছে আর এইসব বৃদ্ধি পাওয়ার
মুলে কি রয়েছে সে ব্যাপারে সবাই
অবগত।
বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ঘরে হাউজ
টিউটর আছে এবং যারা টিউশনি করান
তারাই একমাত্র বলতে এইসব বিষয়
নিয়ে কতটা বিব্রতকর পরিস্থিতির
সম্মুখীন হতে হয় প্রতিনিয়ত।ছাত্রের
এইসব বিষয়ে করা প্রশ্নের উত্তর
দেয়া যে কতটা কঠিন তা একমাত্র
টিচাররাই জানে।যদি ছাত্রের বড়ভাই
বা বোন একসাথে পড়ে তাহলে পুরাই
লজ্জাজনক।যেহেতু এই অল্প
বয়সী শিশুরা এইসব বিষয়ে বোধগম্য নয়
তাই
জানার আগ্রহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক
আর একসময় জেনেও যাবে তারপর এইকাজ
করার
জন্য ব্যাকুল হয়ে যাবে।
যাইহোক পরিশেষে বলবো এইসব
বিষয়ে উপযুক্ত বয়স হওয়ার
সাথে সাথে পরিবেশ ও
প্রকৃতি থেকে মানুষ অবগত হয় তার জন্য
বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষা দানের প্রয়োজন
আছে বলে মনে করিনা।একটু
ভেবে দেখুন
যারা স্কুলে যায়না তারা কি এইসব
বিষয়ে একসময় জেনে যায়না?অবশ্যই
জানে এটাই স্বাভাবিক কারন এটা যুগ
যুগ ধরে চলে আসছে।যদিও শিখানো হয়
তা অন্তত নবম দশম
শ্রেণীতে শেখানো উচিত
বলে মনে করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.