নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নামে আর কিইবা আসা যায় তবুও বলছি ডাক নাম রওনক।রওনক অর্থ রোদ।আমি ১৯ বছরের এক তরুন যে কিনা তার ১২ বছরের কৈশরে ফীরে যেতে চায়।তাহলে হয়ত জীবনের অনেকগুলো ভুল করতাম না। ।ভালোবাসতে জানি না তাই ভালোবাসি না তবে একজনের স্বৃতি কিছুতেই মাথা থেকে তাড়াতে পারি না।বার

তিলোত্তমার কাব্য

লিপুর বাংলা ব্লগআমি রোদ হতে চেয়েছিলাম

তিলোত্তমার কাব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাব্যর কমলা সোয়টার

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

ছাদে বসে বসে জোচ্ছনা দেখছি।এখন

আর দেখতে ইচ্ছে করছে না।

ঠান্ডা লাগছে।ইদানিং কেমন যেন

প্রেক্টিকাল হয়ে যাচ্ছি।ভাল লক্ষন

না।আগে মাঝ রাতে ছাদে উঠে ভোর

পযন্ত বসে বসে জোচ্ছনা দেখতাম।

তারপর করা করে এককাপ

চা বানাতাম,খেয়ে ঘুম দিতাম।

ভাবছি নিচ

থেকে একদৌড়ে সোয়েটারটা নিয়ে এসে

হা করে জোচ্ছনা দেখবো।

সেদিন কলেজে রেজাল্টের দিন ছিলো।

তার রেজাল্ট বরাবরের মতই ভাল ছিল।

আমি এক দৌরে গিয়ে দুটা গোলাপ

নিয়ে এসে তাকে দিলাম।সে চোখ বড়

বড় করে,এগুলো কি?আমি তো কিছু

নিতে পারবো না।বাসায়

নিলে আমাকে তিন হাজার তিনশ

তিপ্পান্নটা প্রশ্ন করা হবে।

ও আচ্ছা।

কি করছো?

ফেলে দিই।

ফেলে দিবে কেনো?আমি কি বলেছি

আমি নেবো না?

না।আছা!

না আচ্ছা করছ কেন?

এমনিই।

ফুলগুলো তার হাতে।আমি তার

পাশে প্রায় বিকেল হয়ে গেছে।

সামনে একটা খবরের কাগজ

বিক্রি করা পিচ্চিকে ডাকল সে।

পিচ্চির বয়স বারো কি তেরে হবে।

পিচ্চি এসে গিগ্ঞেস করল,জী আফা!

ডাকচেন?আমি তার

দিকে হা করে তাকিয়ে আছি।

সে ছেলেটাকে বলছে,ফুলগুলো আমার

প্রিয় মানুষের দেওয়া তাই

ফেলে দিতে পারছি না।তুমি যদি ফুল

দুটু

খেয়ে ফেলতে পারো তো তোমাকে একশ

টাকা দেওয়া হবে।সাথে চকলেট।

ছেলেটার একটা ফুল খাওয়া শেষ।

ছেলেটার ফুল খাওয়া দেখে আমিও

একটা ফুল খেয়ে ফেললাম।

কষ্টে নাকি আনন্দ সেটা এখন

মনে পরছে না।অবশ্য

সে আমাকে পরে বলেছিল গোলাপ

ফুলে কি একটা যেন

থাকে যেটা সাস্থের জন্য খুবই

উপকারি।তাই যেভাবেই হোক মানুষের

উপকারেই মানব মনের স্বার্থকতা।

যাইহ োক আমরা তিনজন হাটছি।

তারকাছে নাকি ফুল তিতা লেগেছে তাই

তাকে চা খাওয়ানো হবে।সে নিজেই এই

আবদার করেছে।আমার

তিতা লাগেনি তবুও আমি এককাপ

চা খেলাম।

আমরা তিনজন থেকে আবার দুজন হলাম।

তখন প্রায় সন্ধা,একটু শীত শীত করছে।

সে এলিফেন্ড রোডের

একটা দোকানে ঢুকলো।

আমাকে একটা কটকটে কমলা রঙের

সোয়েটার কিনে দিলো।

আমি তাকে জিগ্ঞেস করলাম

আমি কি এই কটকটে কমলা রঙের

সোয়টার পরে ঘুরবো?

অবশ্যই ঘুরবে।কমলা রঙ হচ্ছে আনন্দের

রঙ।

তারপর সে রিকশায় উঠে বাসায়

চলে গেল।কিন্তু সেই দিনের পর

আমি আর কখনো সেই সোয়টার পরিনি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বেশ কিছু টাইপো চোখে পড়ল।কবিতা ভাল হয়েছে।টাইপো গুলো না থাকলে ভাল হতো ।আর কি বলবো লিখতে থাকুন কবিতা ।কাব্যের কমলা ছোয়েটার গায়ে চেপে গেলাম । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.