নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াসীম সোবাহানের ভাবনা

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খণ্ড চিত্র বনাম গ্রেইটার পারস্পেকটিভ

২১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

বাবার চাকরির কল্যানে ক্লাস সেভেন এবং ক্লাস এইট আমি পড়েছি মেরীল্যান্ডের একটা স্কুলে। হাবা গোবা ছিলাম তাই আমেরিকান স্কুল কালচারে মানিয়ে নেয়া আমার জন্য বেশ কষ্টসাধ্য ছিল।আর কিছু কিছু ছেলেপেলের bulling ব্যপারটা আরো কঠিন করে দিচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি bullying যে করেছিলো তার নাম ছিল আলী। মুসলমান; ইরান থেকে এসেছে।বেশ স্মার্ট, ক্লাস সেভেনের ছেলে হিসেবে উঁচা লম্বা, ভাল কাপর চোপর পরতো, প্রচুর ফিমেইল এটেনশন পেত। এই আলী আমাকে বুলি করতো সবচেয়ে বেশী। ইন্টারেস্টিংলি, bully করতো আমার গায়ের রঙ কালো, আমি নেটিভ, আমি গেঁয়ো, আমার গায়ে গন্ধ এসব বলে যার বেশীর ভাগ ওর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।আমি হজম করতাম। এটা বেশ অনেকটা সময় চলেছে। আলীর প্রতি, ইরানের প্রতি আমার বিতৃষ্ণা বাড়ছিল।আলীর bullying এতো তীব্র ছিল যে মাঝে মাঝে আমি ক্লাস ব্যাঙ্ক করতাম ওর সামনে যাতে না পরতে হয়।

একদিন হল কি, দুটো আমেরিকান, সাদা চামড়া আরকি, আলীকে after school বেশ মাইর দিলো। আমি ঐ জায়গায় তখন উপস্থিত। আলী এমন মার খেল একবারে নাক-টাক ফেটে একাকার। পরদিন স্কুলে এক ছেলে এসে আমাকে in a very random way প্রশ্ন করলো - why didn’t you help Ali the other day? And for the first time the question has struck me - আমি কেন আলীকে সাহায্য করলাম না! ঐ সাদা চামরা আমাকে প্রশ্নটা করেছে একারনে আমিও মুসলমান আলীও মুসলমান; তাই এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে কেন সাহায্য করলো না! আমি আবেগী হয়ে উত্তর দিলাম যে - I actually hate Ali for whatever he has done to me for the last six months. So I didn’t want to help him. I wanted him to be beaten up by someone meaner than him and that has happened.

জানিনা এই খণ্ড চিত্রটাই গ্রেইটার পারস্পেকটিভে সত্যি কিনা। মিডেল ইস্ট রিজিয়নে মুসলমান দেশগুলোর মধ্যে যে মিলের অভাব, শত্রুতা; এটার কারন হয়তোবা তারা নিজেরাই এমন একটা বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করেছে নিজেদের মধ্যে যেটা থেকে আর বেড়িয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না। নিজেদের মধ্যে মারামারি করে অবস্থা এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে এখন বহিরাগত কারো সেই সুযোগের সদ্বব্যবহার করাটা বেশ সহজ। যেই কারনেই হয়তো মুসলমান কোন দেশ, অন্য কোন জাতিকে দিয়ে বা অন্য ধর্মালম্বী কোন দেশকে দিয়ে অপর মুসলমানকে মার খাওয়াতে কুন্ঠাবোধ করে না। মুসলমান দেশগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি আনা কঠিন কারন মুসলমানরাই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু।

এখানে আরেকটা কথা উল্লেখ করি, একই স্কুলে তৎকালীন বার্মা এখনকার মায়ানমারের ডিফেন্স এট্যাচির মেয়েও পড়তো। আমার ক্লাসেই পড়তো অ্যান্ড উই ওয়ার গুড ফ্রেন্ডস। আমি বলছি ১৯৯১ সালের কথা। ঐ সময় বাংলাদেশ এবং বার্মার একটা ঝামেলা হয়েছিল, সীমান্তে গোলাগুলি পর্যন্ত হয়েছিলো। দুইজনই তা জানতাম কিন্তু ইট ডিড নট এফেক্ট আওয়ার ফ্রেন্ডশিপ। এটাও আমি চিন্তা করি, যে মায়ানমারের সাথে আমাদের যেসব সমস্যা আছে হয়তো এগুলো দ্বিপাক্ষিক ভাবে সমাধান সম্ভব কারন স্টিল দিস টু কান্ট্রিস শেয়ার আ লট অফ কমন থিঙ্কস। অর্থনৈতিক ভাবে এগেয়ে যাবার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে সামঞ্জসতার বিকল্প কম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.