নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াসীম সোবাহানের ভাবনা

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবরস্থানের পাশে ‘তেনাদের’ কবলে ছয়জন যুবক ও একটি খণ্ডিত ভূতের গল্প

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭



গল্পটির শেষটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করেছেন। পুকুরের পাশ দিয়ে বাড়ির সীমানায় ঢোকার মূহুর্তে যে দৃশ্য দেখে রোমিও আর ওয়াসি থমকে যায় সে দৃশ্য নিশ্চয়ই বর্ণনাযোগ্য তবে বর্ণনাটি নিজেই একটি পরিপূর্ণ গল্প হবার দাবী রাখে এবং এর পরের ঘটনাবলি বেশ জটিল আকার ধারণ করেছিল তাই আমি ঠিক করেছি প্রথম অংশটিকে খণ্ডিত ভূতের গল্প হিসেবে রাখাই সমীচীন। পরের ঘটনাবলি নিয়ে লেখা গল্পের নাম - যে কারনে ছয়জন যুবক সুরমা নদীর পাড়ে ‘তেনাদের’ কবলে পরেছিল। যদি কোনদিন আবার বই লিখি তাহলে এই গল্প সেখানে অন্তর্ভুক্ত করবো আশা রাখছি।

যারা কবরস্থানের পাশে ‘তেনাদের’ কবলে ছয়জন যুবক ও একটি খণ্ডিত ভূতের গল্পটি পড়েছেন তাদের প্রেক্ষাপটটি পড়তে আগ্রহ হবে ধারনা করছি-
ছাত্রজীবনে থাকার সময় দুই বন্ধু শাওন আর রিমু ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার গ্রামের বাড়ী। সেখানে আমার চাচাতো আর ফুপাতো ভাইরা - আজম ভাই, মাজেদ ভাই আর সুমন, যারা আমাদের সমবয়সী, আমাদের বৃহত্তর সিলেট ঘুরে দেখাল। আমাদের গ্রামের ঠিক পাশেই সুরমা নদী; বাড়ী থেকে হেটে যেতে লাগে ১০ মিনিট। আমাদের ইচ্ছা গভীর রাতে নদীর পাড়ে যেয়ে বসার। সবাই রাজী, শুধু মাজেদ ভাই না। সে বলল - নদীর পাড়ে যাবার সময় যেই কবরস্থান রয়েছে, সেখানে মাঝেমাঝে 'তেনারা' দেখা দেন। এটা শুনার পর আমার, শাওন আর রিমু ভাইয়ের আগ্রহ আরও বেড়ে গেল। কিন্তু পরিবারের কর্তা ও 'বড়ভাই' সাহেদ ভাই আমাদের যেতে দিলেন না সেই 'তেনাদের' ভয়ে। আমরা মনমরা হয়ে বাড়ীর উঠানে বসেই রাত পার করলাম আর আলোচনা করলাম - কি হতে পারতো। এই ঘটনার অনেক বছর পর বন্ধুদের সাথে গিয়েছি নীলগিরি। গভীর রাতে উঠলো ভুতের গল্প। দেখলাম সবারই কোন না কোন ভুত দেখার অভিজ্ঞতা আছে আমার ছাড়া। আমার হাঁসফাঁস লাগছিল আড্ডায় কোন অবদান না রাখতে পারায়।

আমি ভুত, প্রেত বা আশুভ বাতাসে বিশ্বাস করি না। এসব আসলে দুর্বল মনের কল্পনা অথবা ড্রাগসের প্রভাব অথবা নিঃসঙ্গতার বহিঃপ্রকাশ অথবা কূটকর্ম করার পূর্বপ্রস্তুতি।

আমার আগ্রহ পুরনো পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ীতে সময় কাটানো। সেসব জায়গায় গেলে শুনি ভুত বা অপচ্ছায়ার কেচ্ছা-কাহিনী। আমার শ্বশুরবাড়ী পুরনো ঢাকায়। বাড়ীটি প্রায় ১০০ বছর পুরনো। সেখানেও প্রচলিত আছে বেশ কিছু ভুতের গল্প। আমি মন দিয়ে শুনি সেসব আর ডি-কোড করি মনে মনে।

রাতজাগা আড্ডায় প্রায় উঠে এসব গল্প, যারা বলেন তাদের বেশীরভাগ দাবী করেন তারা ভুত বা অপচ্ছায়া দেখেছেন। আমার কিছু বলার থাকে না কারন আমি কোনদিন কোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পড়িনি। তাই এসব আড্ডায় আমি গল্পগুলো সফল ভাবে ডি-কোড করি, গল্পবলিয়েরা তাতে রাগ করেন কিন্তু ডি-কোড করা ছাড়া অন্য কোনভাবে আমি অংশগ্রহণ করতে পারি না। এই অংশগ্রহন না করতে পারার নৈরাশা থেকে আমি এই - কবরস্থানের পাশে ‘তেনাদের’ কবলে ছয়জন যুবক ও একটি খণ্ডিত ভূতের গল্প লিখেছি। সেই রাতে সুরমা নদীর পাড়ে যাবার সময় কি হতে পারতো তাই নিয়েই এই গল্পটা। গল্পের একটা অংশে আছে "রোমিও আর ওয়াসি দেখল কাফনে মোড়ানো দেহটা। এটা মৃতদেহ বলা যাবে না কারন কাফনে মোড়ানো দেহটা স্পষ্টতই নড়ছিল। রোমিও আর ওয়াসির পা যেন আটকে গেছে মাটির সাথে। যেন তারা নিয়তিবাদী হয়ে যাচ্ছিল সে মূহুর্তে।" কেন তারা দেখলো কাফনে মোড়ানো মৃতদেহটা নড়ছিল এবং কেন তারা নিয়তিবাদী হয়ে যাচ্ছিল সেই মূহুর্তে তাও বর্ণনা করা আছে - যে কারনে ছয়জন যুবক সুরমা নদীর পাড়ে ‘তেনাদের’ কবলে পরেছিল গল্পটিতে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বই লেখার কথা ভাবছেন?

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী বলেছেন: আমার একটা বই এবারের মেলাতে অগ্রদূত অ্যান্ড কোম্পানি থেকে বের হয়েছে। নাম বাতাস পরিবর্তনের গল্প ও অন্যান্য।

আপাতত আর বই লেখার কথা ভাবছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.