নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হোসনি দালান ইমারতটি পুরানো ঢাকায় অবস্থিত একটি ইমামবাড়া। এখানে একটি কবরস্থানও রয়েছে। মূলত কারবালার ঘটনাকে স্মরণ করে এবং ইমাম হোসাইন এর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ এই ইমামবাড়াটি নির্মাণ করা হয় ১৬৪২ সালে।
হোসনি দালান শুধু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়, নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতিকও। এতে মোগল, পর্তুগিজ, ব্রিটিশ ও বাংলার নানারকম ছাপ পাওয়া যায়। কোরআনের আয়াত সংবলিত টাইলস ও কারুকার্যের চিত্র ইরান থেকে এনে স্থাপন করা হয়েছে।
এই ইমারতটি কোনো মাজার নয় তবে এখানে রয়েছে ইমাম হোসাইন-এর রওয়াজাসদৃশ একটি সোনালি কফিন। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের কারুকার্য এবং কালো কাপড়ে কারবালার শোকাবহ আবেশের প্রতিচ্ছবি আছে। অনেকেই দেখা যায় মোনাজাত করতে, অশ্রু ঝরাতে।
দালানটিতে ছোট-ছোট খোপ রয়েছে। এই খোপগুলোতে মোহররম মাসে চেরাগবাতি চালানো হয়। দালানটির উত্তরাংশে শিয়া বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের কবরস্থান রয়েছে এবং পূর্বপাশে রয়েছে নাজিমদের সমাধিসৌধ। ঢাকার তৎকালীন সুবেদার শাহ সুজার রণতরীর প্রধান মীর মুরাদ ১৬৪২ সালে হোসনি দালান নির্মাণ করেন। মীর মুরাদ নিজেই এর তত্ত্বাবধান করতেন। তার মৃত্যুর পর যেহেতু ঢাকার তৎকালীন প্রশাসকরা শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন, তাই তখন সরকারিভাবেই এটি পরিচালিত হত। ইস্ট-ইন্ডিয়া কম্পানির আমলে দুই দফায় হোসনি দালানের সংস্কার হয়। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে দালানটি বিধ্বস্ত হয়। পরে খাজা আহসানউল্লাহ তা পুন:নির্মাণ করেন। সর্বশেষ ২০১১ সালে হোসনি দালানের সংস্কারসাধন ও সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়।
আশুরার দিনে এখান থেকে বিশাল এক তাজিয়া মিছিল বের হয়, এলাকার প্রধান প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ করে নগরীর পশ্চিম প্রান্তে প্রতীকীভাবে কারবালা নাম দেওয়া একটি স্থানে গিয়ে তা শেষ হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
এভো বলেছেন: এর নাম অনেক শুনছি কিন্তু কখনো স্বচোখে দেখি নি ।