নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াসীম সোবাহানের ভাবনা

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭০ দশকের রাজনীতির হাল-চাল

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬




বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সেনাঅফিসারদের মধ্যে অন্যতম ক্যাপ্টেন বজলুল হুদা তার কলেজ জীবনের অন্তরঙ্গ বন্ধু আবদুল বাতেন চৌধুরীর সাথে ১৩ আগষ্ট বিকেল তিনটায় অসামরিক পোশাকে মুহসীন হলে দেখা করে। বাতেন ছিলেন জাসদের ঢাকা নগর পার্টি ফোরামের সদস্য। তিনি মুহসীন হলের ‘৩-এ’ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ক্যাপ্টেন বজলুল হুদা তখন সেনা গোয়েন্দা দপ্তরে চাকরী করে। মুহসীন হলে এলে আবদুল বাতেন চৌধুরী তাকে সূর্য সেন হলের ক্যান্টিনে নিয়ে যান, সেখানে চা খেয়ে তারা রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে একটা গাছের নিচে ঘাসের ওপর বসেন।

দুই বন্ধুকে আলাপ চলে।

হুদা: তোরা যেভাবে চেষ্টা করছিস, তাতে কিছু হবে না। লেট আস ইউনাইটে এন্ড গিভ হিম (বঙ্গবন্ধু) আ ব্লো।
বাতেন: ইউনাইট হতে পারি, কিন্তু ব্লো দিতে পারব না। আমরা বিপ্লবে বিশ্বাস করি। তুমি যা বলছ, সে পথ আমাদের নয়।

সন্ধ্যা হয়ে এলে তারা দুজন বলাকা বিল্ডিংয়ের দোতলার একটা চায়নিজ রেস্তোঁরায় খাবার খান। হুদা যাওয়ার সময় বাতেনকে সতর্ক করে দিয়ে বলে ‘কাল-পরশু দুদিন হলে না থাকায় ভালো। বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। নানা ধরনের চাপ থাকবে। রাতে বাইরে থাকিস।’


তিতুমীর কলেজের সহসভাপতি কামালউদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং মীর নজরুল ইসলাম বাচ্চুর সঙ্গে ১৫ আগষ্ট সকালে তাজউদ্দিন আহমেদের বাসায় যান। তাজউদ্দিনের সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিল এবং একই এলাকায় বাড়ি বলে তাঁদের মাঝেমধ্যে দেখাসাক্ষাৎ হতো। তাজউদ্দীন কামালকে বললেন,‘নান্নু, এটা কারা করল? রাইটিস্টরা না লেফটিস্টরা? লেফটিস্টরা হলে আমাকে আর জীবিত রাখবে না।’ নান্নু কামালের ডাকনাম । লেফটিস্ট বলতে তিনি পিকিংপন্থীদের বোঝাচ্ছিলেন।


ক্যাপ্টেন বজলুল হুদা ১৫ আগস্ট তার অপারেশন শেষ করে ফেরার সময় হুদা শেখ কামালের টয়োটা গাড়িটা চালিয়ে নিয়ে আসে এবং সেনানিবাসে তার মেসের সামনে রাখে।সেদিন দুপুরে হুদাতাজউদ্দীন আহমেদের বাসায় যায়। তাজউদ্দীনকে নতুন সরকারে থাকবার অনুরোধ জানালে তাজউদ্দীন জবাবে বলেন ‘শেখ মুজিবের রক্তের উপর দিয়ে হেঁটে আমি প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট হতে চাই না।’

১৫ আগষ্টের কয়েকদিন পর এক সন্ধ্যাবেলা সর্বহারা পার্টির কজন নেতা কলাবাগান বাসষ্ট্যান্ডের কাছে একটা বাসায় বৈঠক করেন।তাঁদের মধ্যে ছিলেন লে. কর্নেল জিয়াউদ্দিন, আকা ফজলুল হক ও মহসীন আলী।বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সেনাঅফিসার নূর ও ডালিমের আসার কথা ছিল কিন্তু নূর একাই আসে। মেজর নূর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ)সদস্য ছিলেন। পরে সে সর্বহারা পার্টির সঙ্গের যুক্ত হয়। সিরাজ শিকদারের নিহত হওয়ার ঘটনায় সে ক্ষুদ্ধ হয়। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যা করার বিষয়ে জানতে চাইলে নূর বলে ‘ওরা আমার নেতাকে খুন করেছে, আমি সবাইকে মেরে প্রতিশোধ নিয়েছি।’ নূরের উদ্ধত আচারণে এবং নৃশংসতার পরিচয় পেয়ে জিয়াউদ্দিন সেদিন ক্ষুদ্ধ হন।


১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে আসবার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন এমএ দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা চলছিল। ঢাকা নগর গণবাহিনীর কমান্ডার আনোয়ার হোসেন যিনি কর্নেল আবু তাহেরের ছোট ভাই, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে লেকচারার হিসেবে কর্মরত। বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন যাতে নির্বিঘ্ন না হয় সেজন্য আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে গণবাহিনীর সদস্যরা ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে তিনটি ‘নিখিল বোমা’ফোটায় - একটি গ্রন্থাগারের কাছে, একটি সায়েন্স অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের চত্বরে এবং একটি কার্জন হলের সামনে।


কর্নেল আবু তাহের ১৫ আগস্ট সকালে বেতার কেন্দ্রে যান। সেখানে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমদ, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, মেজর ডালিম ও মেজর জেনারেল খলিলুর রহমানকে পাঁচটি প্রস্তাব দেন - অবিলম্বে সংবিধান বাতিল করতে হবে; সারা দেশে সামরিক আইন জারি এবং এর প্রয়োগ করতে হবে;বাকশালকে বাদ দিয়ে একটি সর্বদলীয় জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে; অবিলম্বে একটি গণপরিষদ তথা পার্লামেন্টের জন্য সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর তিনি মেজর ডালিমকে বকাঝকা করে বলেন, ‘... এর মেজর হয়েছ। এখন পর্যন্ত একটা মার্শাল ল’ প্রক্লেমেশন ড্রাফট করতে পারলে না। জানো কাল ইউনিভার্সিটিতে কারা বোমা ফাটিয়েছিল? দে আর মাই বয়েজ।’


১৭ই আগস্ট সকালে নঈম জাহাঙ্গীর নারায়ণগঞ্জে যান কর্নেল আবু তাহেরের সঙ্গে দেখা করতে। নঈম ১১ নম্বর সেক্টরে তাহেরের সহযোদ্ধা ছিলেন। তাহের কথা প্রসঙ্গে নঈম জাহাঙ্গীরকে বলেন ‘ওরা বড় রকমের একটা ভুল করেছে। শেখ মুজিবকে কবর দিতে অ্যালাও করা ঠিক হয়নি। এখন তো সেখানে মাজার হবে। উচিত ছিল লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া।’

উপরের ছয়টি ঘটনা উঠে এসেছে মহিউদ্দিন আহমদের গবেষণা ধর্মীবই ‘জাসদের উত্থান পতনঃ অস্থির সময়ের রাজনীতি’ তে। বজলুল হুদার দুইটি ঘটনা মহিউদ্দিন আহমদ আবদুল বাতেন চৌধুরীর সাথে আলাপচারিতা থেকে পান।তাজউদ্দিন আহমেদের ‘নান্নু, এটা কারা করল? রাইটিস্টরা না লেফটিস্টরা?’ মন্তব্যটি মহিউদ্দিন আহমদ কামালউদ্দিন আহমেদের সাথে আলাপচারিতা থেকে পান। বেতার ভবনে খন্দকার খোন্দকার মোশতাক আহমদকে দেয়া কর্নেল তাহেরের প্রস্তাবটির ব্যাপারে মহিউদ্দিন আহমদ জানতে পারেন Lawrence Lifschultz প্রণীত Bangladesh, the Unfinished Revolution বই থেকে। আর তাহেরের ‘শেখ মুজিবকে কবর দিতে অ্যালাও করা ঠিক হয়নি’ মন্তব্যটি মহিউদ্দিন আহমদ তুলে এনেছেন নঈম জাহাঙ্গীরের সাথে আলাপচারিতা থেকে।

মহিউদ্দিন আহমদের এই বইটির প্রধান বিষয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ হলেও সাথে সাথে উঠে এসেছে ১৯৭০ দশকের রাজনীতির হাল-চাল। তার গবেষণা তুলে এনেছে এমন সব বিষয় যা নড়বড়ে করবার ক্ষমতা রাখে পপুলার কালচারে প্রতিষ্ঠিত হিরোদের। কথায় আছে পারস্পেসন ইস রিয়্যালিটি মানে বোধ বা উপলব্ধি প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে পারে।সেই সুত্রে ইতিহাস ও বাস্তবতা এক হয় না। মহিউদ্দিন আহমদ তার জাসদের উত্থান পতনঃ অস্থির সময়ের রাজনীতি বইয়ে এমন কিছু পপুলার পারসেপ্সনের পেছনের প্রকৃত ঘটনাকে তুলে এনেছেন।

লেখক ওরাল হিস্ট্রির উপর জোর দিয়েছেন যদিও অনেক ক্ষেত্রে মূল সূত্র খুঁজে পাওয়া কষ্টকর মানেন তিনিও এবং গবেষণার সময় বুঝতে পেরেছেন সবাই সবটা জানেন না আর যারা জানেন, তারা অনেকেই বলতে চান না, আবার যারা বলেন, তারা অনেক সময় নির্মোহভাবে বলেন না। এই সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও লেখক বিষয়গুলোর ও ঘটনার গভীরে গিয়েছেন।

তাজউদ্দিন আহমেদ বুঝেছিলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা লেফটিস্ট হলে তাকে আর জীবিত রাখবে না।হত্যাকারীরা আসলে রাইটিস্ট ছিল কিন্তু তাও তাকে নৃশংসভাবে মরতে হয়েছে আড়াইমাসের মধ্যে।

১৫ আগস্টের খুনী সেনা অফিসারেরা ও তাদের সমর্থকরা বলে বেড়িয়েছে যে দেশকে উদ্ধার করতেই তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। কিন্তু ‘দেশকে উদ্ধার করতে’ কেন সেদিন শিশু ও নারীদেরও হত্যা করতে হয়েছে এর কোন উত্তর তাদের কাছে নেই। আর ‘দেশকে উদ্ধার করতে’ কেন শেখ কামালের টয়োটা গাড়িটা চালিয়ে নিজের মেসের সামনে রাখতে হয় তারও কোন উত্তর এদের কাছে নেই। এসব খুনীরা আবার বলে বেড়িয়েছে ‘আমরা ১৯৭১ এ দেশ স্বাধীন করেছি, দেশের প্রয়োজনে আবার অস্ত্র হাতে নিয়েছি।’ খুনীদের হোতা মেজর ফারুক রহমান ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্লেনে করে ভারতে আসে। এর পরের সপ্তাহে সে কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ দেশ স্বাধীন হলে সে বনে যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ও তার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গণবাহিনী নিজস্ব গতীতে তৈরি হচ্ছিল একটা গণআন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের এবং দেশে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার। ১৫ আগস্টের খুনীদের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিল না কিন্তু রশিদ-ফারুক-ডালিম গং বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খন্দকার মোশতাকের ঘাড়ে চেপে ক্ষমতা দখল করলেই কর্নেল তাহের ছুটে যান বেতার কেন্দ্রে, দেশ শাসনের অংশীদার হবার অভিপ্রায়ে পাঁচ দফা প্রস্তাব রাখেন। আবার ডালিমকে তাতিয়ে দেন এই বলে যে ‘এখন পর্যন্ত একটা মার্শাল ল’ প্রক্লেমেশন ড্রাফট করতে পারলে না।’ এটা বলতেও তিনি ছাড়েন না যে ‘জানো কাল ইউনিভার্সিটিতে কারা বোমা ফাটিয়েছিল? দে আর মাই বয়েজ।’ বঙ্গবন্ধুকে, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা তাকে ছুঁতে পারেনি একদম বরং তিনি মনে করেছেন শেখ মুজিবকে কবর দিতে অ্যালাও করা ঠিক হয়নি। উচিত ছিল লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া।'

যারা স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাস নিয়ে বই পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্য মহিউদ্দিন আহমদের ‘জাসদের উত্থান পতনঃ অস্থির সময়ের রাজনীতি’ বইটি এক মলাটের ভেতর তুলে এনেছে ১৯৭০ দশকের রাজনীতির হাল-চাল। কোন একটি নির্দিষ্ট দিনে কি ঘটেছিল তা জানবার জন্য এই বইটি হতে পারে অনুসন্ধানের শুরু। আর যারা সেই সময়ের নির্মোহ ও সঠিক ইতিহাস জানতে চান তাদের জন্য এই বইটি হতে পারে পরবর্তী পঠন বিষয়ক দিকনির্দেশনা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যেহেতু, এখানে কর্নেল তাহেরকে ভিলেন হিসেবে চরিত্রায়িত করা হয়েছে তাই এসব ইতিহাস মিথ্যা! তবে নিরপেক্ষ ইতিহাস পড়তে হলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি'র বাইরে কারো লেখা পড়তে হবে। মহিউদ্দিন আহমদ অসাধারণ ও নিরপেক্ষভাবে লিখেন বলেই মনে হয়। বিশেষ করে তার 'বিএনপি সময় অসময়' বইটিও অনেক ইতহাস নির্ভর...

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪২

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী বলেছেন: এখন পড়ছি 'বিএনপি সময় অসময়' বইটি। এটাতে রোমাঞ্চ কম।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: দারুন রিভিউ লিখেছেন ! বইটি পড়েছি ! গবেষক হলে এমন নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি থাকিতে হয় ! মনের মাধুরী মিশায়ে ইতিহাসরে পাতিহাঁস বানানোতেই সত্যকেও আজ বিশ্বাস করিতে সংশয় জাগে !

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাঁ, বেশ নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মহিউদ্দিন আহমদ লিখেছেন বইটি।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১৫

নিমচাঁদ বলেছেন: ৭২ সাল থেকে ৯০ সাল অবধি মুক্তিযোদ্ধারা নিজেরা নিজেদের খুন করেছে আর আর্মিরা মেরেছে নিজেদের । এই বইটি পড়েছি , জাসদের ভুল তত্ত্বের ব্যাপারগুলা এই বই না পড়লেও জানা যায় , যদি পরিবারে অই সময়ের মানসিক ভাবে এক্টিভ কোন মেম্বার যদি থাকেন ।জাসদ বাংলাদেশের একটা গুরুত্ত্ব পূর্ণ সময়কে মেধা শূন্য করেছে - এটা একটি প্রমাণিত স্বতঃসিদ্ধ।

যাই হোক , একজন ভদ্রলোক অই সময়ের খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ কিন্ত ফোল্ডেড একজন ব্যক্তি সম্পর্কে আমার খুব ব্যক্তিগত কৌতুহল রয়েছে । জেনারেল খলিলুর রহমান, উনার নাকি একটি বই ও আছে , সেটির সন্ধান কি দিতে পারেন কেউ ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.