নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াসীম সোবাহানের ভাবনা

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাগরদোলায় উত্থান ও পতনের অংক

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

শাহাদুজ্জামানের 'ক্রাচের কর্নেল' অসম্ভব সুন্দর একটি উপন্যাস। এই উপন্যাস পড়ে জানা যায় যে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় রেডিও বাংলাদেশের বিল্ডিংয়ে মঞ্চস্থ হয় ক্ষমতা কাড়াকাড়ির তাৎপর্যময় একটি পরিবেশনা, যার মুল ভূমিকায় থাকেন কর্নেল আবু তাহের ও জেনারেল জিয়া আর সহভূমিকায় খন্দকার মোশতাক ও বিচারপতি সায়েম। ক্যান্টনমেন্টের উপর দখল হারিয়ে ফেললেও শাহবাগে অবস্থিত রেডিও ষ্টেশনের উপর তখন তাহেরের পূর্ণ দখল রয়েছে কারণ বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্য ও গণবাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র হাতে তখনো ষ্টেশনের ভেতরে বাইরে বিচরণ করছে।

মে.জে. মইনুল হোসেন চৌধুরীর 'এক জেনারেলের নিরব সাক্ষ্য: স্বাধীনতার প্রথম দশক' বইতে লেখক উল্লেখ করেন কর্নেল আমিনুল হক ও তার সতর্কবাণী অগ্রাহ্য করে জেনারেল জিয়া আসেন রেডিও ষ্টেশনে। সবার এটা জানা যে রেডিওতে ভাষণ দেয়া জেনারেল জিয়াকে সবসময়ই প্রবলভাবে টানে। সেখানে পৌঁছালে বিপ্লবী সৈনিকরা তাকে ঘিরে ধরে আর দাবিগুলো পড়ে শুনায়। মইনুল হোসেন চৌধুরী ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ হামিদ এবং শাহাদুজ্জামান তাদের বইয়ে দাবী করেন জিয়াকে দেখে মনে হয় না তিনি বিন্দুমাত্র ঘাবড়ে গেছেন; একটা একটা দাবি শোনেন আর মাথা নেড়ে নেড়ে ছোট ছোট মন্তব্য করেন। মুলত শাহাদুজ্জামান 'ক্রাচের কর্নেল' বইটাতে সুন্দর করে বর্ণনা করেন যে বেতনের কথা উঠলে জেনারেল জিয়া বলেন “বেতনতো বাড়াতেই হবে তবে বেশি বাড়ালে দেশের অন্য লোক খাবে কি?”, ব্যাটম্যান প্রথার কথা উঠলে বলেন “এটা বাতিল করা হবে”, রাজবন্দীদের মুক্তির কথা উঠলে বলেন “জলিল, রবকে আজকেই জেল থেকে মুক্তি দেবার ব্যবস্থা করা হবে।” পাশে থাকা তাহের একসময় বলেন “আপনি এই দাবিনামায় সই করে দিন।” জিয়া সাবলিল ভঙ্গিতে সই করে দেন তিন কপি দাবিনামায়। এক কপি নিজে রাখেন, এক কপি বিপ্লবী সৈনিকেরা নেয়, অন্য কপি তাহের পাঠিয়ে দেন রেডিও ও পত্রপত্রিকায় প্রচারের জন্য। জিয়া দৃপ্ত পায়ে ঢুকে যান রেডিও ষ্টেশনের ভেতরে। একে একে আরও উপস্থিত হন নতুন প্রেসিডেন্ট সায়েম ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক। সবাই ভাষণ দেন জাতির উদ্দেশ্যে।

কোন বইয়ে উল্লেখ নেই তবে ধারনা করে নেই যে তাদের মধ্যে জিয়াই সবচেয়ে অনায়েস, সবচেয়ে স্বতঃস্ফূর্ত।

Anthony Mascarenhas তার 'Bangladesh A Legacy of Blood' বইটিতে উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট সায়েম ভাষণে বলেন, তিনি খন্দকার মোশতাকের ‘অনুরোধে’ তার মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেছেন। মোশতাক তার ভাষণে বলেন, দেশের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে তিনি বিচারপতি সায়েমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করছেন। আর জিয়া তার ভাষণে বলেন, আর্মি নতুন প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুগত আছে এবং সৈনিকদের আনুরোধ করেন ব্যারাকে যেয়ে অস্ত্র জমা দিতে। এই সব ভাষণের কথা নির্মলেন্দু গুণের 'রক্তঝরা নভেম্বর, ১৯৭৫' বইয়ে এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ হামিদের 'তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা' বইয়েও আছে।



গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য করি যে সেই সন্ধ্যায় কারও ভাষণেই সৈনিকদের দাবিনামার কোন উল্লেখ নেই। বরং কোন কোন বইয়ে অসমর্থিত সূত্র ধরে লেখা আছে ভাষণ শেষে জিয়া রেডিও স্টেশনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন সৈনিকদের দাবিনামা না প্রচার করার জন্য। সাথে সাথে উপস্থিত সরকারী কর্মচারীদের ডেকে বলেন, এটা নিশ্চিত করতে কোন পত্রিকা যেন দাবিনামা না ছাপে।

৩ নভেম্বর খালেদ মুশাররফের অভ্যুত্থান ও ৭ নভেম্বরের তাহেরের অভ্যুত্থান বিষয়ে লেখা বইগুলো পড়ে এবং সেই সময়ের ঘটনার কাছাকাছি থাকা মানুষদের সাথে কথা বলে অনুভব করি যে মুলত ৭ নভেম্বরের সন্ধ্যায় রেডিওতে আর্মি চীফ জিয়াউর রহমানের এবং প্রেসিডেন্টের সায়েমের ভাষণ প্রচার হবার মাধ্যমে শেষ হয় নাগরদোলায় উত্থান ও পতনের অংক। তাহের ও জাসদ তখনই বুঝে যায় যার ঘারে চড়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করা হয়েছে সেই দেশের ঘারে চড়ে বসার ক্ষেত্র তৈরী করে ফেলেছে। শাহাদুজ্জামান যে পরিমান গবেষণা করেছেন কর্নেল তাহেরকে নিয়ে, বোধকরি আর কেউ তা করেননি। তিনি তার বইতে লিখেছেন যে অভ্যুত্থানের আগে তাহের জিয়া সম্পর্কে বলেছিলেন “হি উইল বি আন্ডার আওয়ার ফুট।” কিন্তু বাস্তবে তা হয় না, বাস্তবে জিয়া জাসদ ও তাহেরকে তার জুতা দিয়ে পারা মারেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ হামিদ, Anthony Mascarenhas, মে.জে. মইনুল হোসেন চৌধুরী তাদের বইতে লেখেন যে জাসদ ৭ তারিখ রাতে ঠিক করে ক্যান্টনমেন্টের সৈনিকদের আবার ক্ষেপিয়ে তুলতে হবে এবং এবার বিশ্বাসঘাতক জিয়াকেই উৎখাত করতে হবে। কাজটি কঠিন নয়, কারণ সৈনিকেরা এখনও অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবার বিলি করা হয় লিফলেট যেখানে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা হয় জিয়া এবং অফিসার শ্রেণীকে। সৈনিকদের জানানো হয় ১২ দফা দাবি জিয়া বাস্তবায়ন করবেন না। এবারের শ্লোগান গতরাত থেকে ভিন্ন ও ভয়ংকর- অফিসারদের রক্ত চাই!

এর আগের রাতের ( ৬ তারিখ দিবাগত রাত ) শ্লোগান ও উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন - ‘সিপাহী সিপাহী ভাই ভাই, হাবিলদারের উপর অফিসার নাই’। কিন্তু ৭ তারিখ দিবাগত রাতে শ্লোগান ও উদ্দেশ্য হলো - অফিসারদের রক্ত চাই! ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন তার 'বাংলাদেশ: রক্তাক্ত অধ্যায় (১৯৭৫-৮১)' বইতে লেখেন যে তিনি তখন ছিলেন হেডকোয়ার্টারে। রাত গভীর হলে নায়েক আজীম তাকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়; রক্ষা পায় মেজর সাখাওয়াতের জীবন। এরকম বহু পরিস্থিতিতে সাধারণ সৈনিকরা তাদের অফিসারদের রক্ষা করে। কিন্তু সব অফিসাররা এতো ভাগ্যবান নন। টিভি ভবনে তিনজন অফিসারকে হত্যা করা হয়। এক লেডি ডক্টর আর একজন ডেন্টাল সার্জনকে ব্যক্তিগত আক্রোশে হত্যা করা হয়। ক্যাপ্টেন আনোয়ার আর লেফটেন্যান্ট মোস্তাফিজ, যারা বাংলাদেশ হকি ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল, তাদেরকে টিভি স্টেশনের কাছে তাড়া করে নিয়ে হত্যা করা হয়। মোট ১২ জন অফিসার মারা যায় সৈনিকদের হাতে। এসব হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বেঙ্গল ল্যান্সারের সৈনিকরা ও বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্যরা।

রাতভর যত্রযত্র অফিসার হত্যা হবার পর, পরিস্থিতি যতটুক নাজুক হবার কথা ৮ নভেম্বর সকালে ক্যান্টনমেন্টের পরিস্থিতি তার থেকেও বেশি নাজুক আকার ধারণ করে। চেইন অব কমান্ড বলে কিছু থাকে না। কেউ কারও কথা শুনছে না; কেউ কারও কথা মানছে না। এতদিন চোখ নিচু করে কথা শোনা সৈনিকরা আজ চোখে চোখ রেখে কথা বলছে অফিসারদের। যেখানে দেখছে অফিসাররা ব্যাজ পরে এসেছে, ছুটে যেয়ে টেনে ব্যাজ খুলে ফেলছে।

অন্যদিকে নায়েক সুবেদার মাহবুব, যে সেন্ট্রাল অর্ডিন্যা্ন্স ডিপো দখল করে ৭ নভেম্বর মধ্যে রাতে বিদ্রোহের সূচনা করেছিল, তার 'সৈনিকের হাতে কলম' বইয়ে লেখেন যে তিনি কর্নেল আবু তাহেরের সাথে দেখা করার জন্য এলিফ্যান্ট রোডে যান ৮ তারিখ দুপুরে। তাহের তখন টেলিফোনে কার সাথে যেন কথা বলছেন। এক সময় ধাম করে ফোনের রিসিভারটা রেখে তাহের বলে উঠলেন, “বিট্রেয়ার”। সুবেদার মাহবুব তখন পাশে দাঁড়ানো; তিনি জিজ্ঞেস করেন “কে স্যার”? তাহের উত্তর দেন "জেনারেল জিয়া।" এরপর তাহের মাহবুবকে বলেন, “সুবেদার সাহেব একটা কাজ করেন। আপনি আপনার সুইসাইড কমান্ডিং ফোর্স তৈরী করেন। গাদ্দার জিয়াকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য।” সুবেদার মাহবুব এই নির্দেশ পালন করতে রাজি নয়; সে বলে, “মোটেই সম্ভব না এটা। কি বলে সৈনিকদের একত্র করব এখন?” সে বেশ ক্ষুণ্ণ হয়েই বেরিয়ে আসে এলিফ্যান্ট রোডের বাড়ী থেকে। তাহের বুঝতে পারেন, বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার উপর থেকে তার কমান্ড হ্রাস পাচ্ছে।

জিয়াউর রহমান যে ক্ষমতায় বসেই কর্নেল তাহেরের বিচার শুরু করেছে, এটা বোধকরি ৭ তারিখ দিবাগত রাতে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্যরা যে অফিসারদের হত্যা করেছিল এবং তাহের যে জিয়াকেই হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে।

এসব বইয়ে স্পষ্ট উল্লেখ নেই কিন্তু এটা প্রতিয়মান হয় যে জিয়াউর রহমান সুযোগ সন্ধানী ছিলেন এবং অবস্থার স্বদব্যবহার করেছেন চূড়ান্ত পর্যায়ে। তার প্রতিপক্ষরা যখন একে-অপরকে কামড়ে রক্তাক্ত করেছে, হয়েছে; তখন তিনি সুযোগ নিয়েছেন। তার এক নম্বর প্রতিপক্ষ খালেদ মোশাররফ তখন বুকে গুলি আর পেটে বেয়নেটের আঘাত নিয়ে নিথর পরে আছেন মর্গে; দুই নম্বর প্রতিপক্ষ আবু তাহের দিশেহারা হয়ে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে সৈনিকদের পুনরায় তাঁতিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন; তিন নম্বর প্রতিপক্ষ রশিদ-ডালিম-ফারুক গং ব্যাংককে অনিশ্চিত দিন পার করছে; আর সাড়ে তিন নম্বর প্রতিপক্ষ খন্দকার মোশতাক তাহেরের বুটের পারা খেয়ে নিজ গোয়ালে ফেরত গেছেন। তাই ময়দান ছিল ফাঁকা!

তাহেরের হিসাবে ভুল ছিল। তার ভুলের মাশুল তার পরিবার দিয়েছে, জাসদ দিয়েছে, আর্মি দিয়েছে। শাহাদুজ্জামানের 'ক্রাচের কর্নেল' বইতে লেখক উল্লেখ করেছেন ৫ ও ৬ নভেম্বর একের পর এক মিটিং চলতে থাকে তাহেরের ভাই আবু ইউসুফের বাসায়। ঠিকানা ৩৩৬ এলিফ্যান্ট রোড। তাহের জাসদের মুল নেতাদের বুঝাতে থাকেন রাষ্ট্র এখন একটা ভালনারেবল জায়গায় আছে এবং সৈনিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে, তাই এখনই ইন্টারভিন করার সঠিক সময়। তাহের আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন গোপন সৈনিক সংস্থার মাধ্যমে তিনি ক্যান্টনমেন্টের কন্ট্রোল নিতে পারবেন। জাসদের অন্যতম প্রধান নেতা ড. আখলাকুর রহমান অমত দিয়ে প্রশ্ন করেন এরকম একটা পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দেবার মতো অবস্থায় পার্টি কি আদৌ আছে? তাহের বোঝান এই সময়ে ক্ষমতা দখলের সুযোগ হাতছাড়া করা হবে মারাত্মক ভুল। তাহের জানান জেনারেল জিয়ার সাথে তার আগেই যোগাযোগ হয়েছে এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জিয়াকে বের করে এনে ক্ষমতায় বসাবেন তিনি; বলেন “জিয়াকে ক্ষমতায় বসিয়ে আমরা দ্রুত পার্টি লিডারদের কারামুক্তি নিশ্চিত করবো। তারপর আমরা একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করবো।” কাজী আরেফ জিয়ার আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তাহের বলেন “হি উইল বি আন্ডার আওয়ার ফুট।” পার্টির নেতারা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হন না কিন্তু তাহেরের আত্মপ্রত্যয় তাদের প্রভাবিত করে। জাসদের উত্থান পতনঃ অস্থির সময়ের রাজনীতি বইয়ে মহিউদ্দিন আহমেদও উল্লেখ করেন যে ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের স্বিদ্ধান্ত তাহের একা নেন, জাসদের পুরো সম্মতি ছিল না।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ হামিদ, Anthony Mascarenhas, মে.জে. মইনুল হোসেন চৌধুরী তাদের বইতে লিখেছেন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ যখন বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেও তাদের মনোনীত প্রেসিডেন্টের কাছে চীফ অফ আর্মি স্টাফ হবার জন্য আর্জি করে করে সময় নষ্ট করছিলেন, তখন মঞ্চে আবির্ভাবের জন্য ঢাকা শহরের এক প্রান্তে তৈরী হচ্ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবু তাহের। কর্নেল তাহের ছিলেন বাংলাদেশ আর্মিতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা; চেয়েছিলেন আর্মিকে গণমুখী ও সমাজতান্ত্রিক আদলে পুনর্গঠন করবেন; অন্য কোন সিনিয়ার অফিসার তার তত্ত্ব সমর্থন না করাতে হতাশ হয়ে পদত্যাগ করে বেরিয়ে এসেছেন। সরকার তাকে চাকরী দেয় নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার সংস্থার ডিরেক্টর পদে। নিষ্ঠার সাথে কাজ করে চলেন কর্মস্থলে আর গোপনে যোগ দেন দেশের প্রধান বিরোধী পক্ষ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- যা সংক্ষেপে জাসদ নামে পরিচিত, গণআন্দোলন ও সম্ভাব্য অভ্যুত্থানের লক্ষ্যে একটি সশস্ত্র গণবাহিনী তৈরি করছিল, কর্নেল তাহের হন সেই গণবাহিনীর প্রধান। সরকারী চাকরী করে, সরকার থেকে ভরণপোষণ নিয়েও গোপনে একটি সশস্ত্র গণবাহিনী তৈরীর দায়িত্ব নিতে আদতে নীতিবান কর্নেল তাহেরের বাঁধে না।

কোন বইতে উল্লেখ নেই সৈনিকরা তাহেরকে কোনদিন প্রশ্ন করেছিল কিনা যে একজন প্রাক্তন আর্মি অফিসার হয়ে এবং সরকারের দেয়া চাকরীতে অধিষ্ঠিত থেকে কিভাবে তিনি এই সংস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ও ‘অফিসারহীন’ আর্মির স্বপ্ন দেখাচ্চ্ছিলেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.