নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াসীম সোবাহানের ভাবনা

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রেক্সিটের সরল, জটিল সমীকরণ

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩০

গ্রেট ব্রিটেন সবার সাথে একা খেলতে চায়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দলের হইয়া না।

ব্রেক্সিট হয়া গেছে।

৪৭ বছরের সম্পর্ক শেষ। ব্রিটেন এখন বিশ্ব সংসারের,শুধু ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থিকা বাইর হইসে কিন্তু ইউরোপ থিকা তো বাইর হইতে পারব না। থাকব, ফিরব কিন্তুক দলের হইয়া খেলবো না, একা খেলবো। তারা ফর্মুলা বাইর করসে যে একা খেললেই অর্থনীতিক সমৃদ্ধি বেশী হইব, পলিটিকাল মাইলেজ বেশী পাইব।



ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের লাইগা এইটা একটা ঐতিহাসিক বিপদ সংকেত বটে। দল ছিল ২৮ জনের। মূল খেলোয়ারগো একজন বাইর হইয়া গেল। ইউনিয়ন করার মূল উদ্দেশ্য ছিল একতা, একত্রে অগ্রগতি, একত্রে সমস্যা মুকাবেলা। এই একতায় ভাঙ্গন হইলো। সামনে যে আর কোন স্টার প্লেয়ার এক্সিট নিয়া মাতং করবো না এর গ্যারান্টি কই!

বর্তমান ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার বরিস জনসনের ইলেকশন ম্যানডেটই আসিলো ব্রেক্সিট কায়েম করা আর চাকরীর ক্ষেত্র বাড়ানো। এইটা ইংগিত দেয় যে ওয়ার্কিং ক্লাস ডেস্পারেট হইয়া গেসিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাইরে যাইতে। বরিস জনসন চালু মাল। ব্রেক্সিট সম্পন্ন হইবার পরে সে ক্যাবিনেট মিটিং ডাকসে সানদারল্যান্ডে যেইটা প্রো-ব্রেক্সিট টাউন হিসাবে পরিচিত।

বরিস জনসন ইউ এস যাইতে চায় কইসে অলরেডি। আমরিকার সাথে চুক্তি করবো। আমরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তারে দুইহাত প্রসারিত কইরা গ্রহণ করবো ধারনা করা হইতেসে কারন ট্রাম্প নিজে ব্রেক্সিটের পক্ষের লোক। মজার ব্যাপার হইলো ১৯৬৩ সালে ব্রিটেন যখন প্রথমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ( তখন নাম আসিল ইউরোপিয়ান ইকনোমিক কমিউনিটি ) ঢুকতে চাইসে তখন ফ্রান্স বিরোধিতা করসিল এই বইলা যে আমেরিকার সাথে ব্রিটেন মাখামাখি বেশী করে এবং এর অর্থনৈতিক ভাব ইউরোপের বাকী প্লেয়ারগো লগে মেলে না। ব্রিটেন ১০ বছরের উপর ঝুইলা ছিল। পরে ১৯৭৩ সালে এ ফ্রান্স রাজী হয়। এহন বাইর হইয়া আবার আমেরিকার সাথে ব্রিটেন মাখামাখি শুরু করতাসে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থিকা বাইর হওয়া মানে ব্রিটেন যে এন্টি-ইউ তা না, এইটার এই মানে যে তারা সেলফ সাফিশিয়ান্ট হইতে আগ্রহী। তবে খেলা আরও বাকী। আগামী কয়েক মাসে ব্রিটেনের পলিটিশিয়ানরা ঠিক করবো হার্ড ব্রেক্সিট এল্পাই করবো নাকি সফট ব্রেক্সিট। হার্ড ব্রেক্সিট মানে হইলো ইউরোপের অন্য দেশগুলার উপরে উচ্চ হারে ট্যাক্স বসানো এবং মাইগ্রেসন থামায়া দেয়া।

ব্রেক্সিটের ইমপ্যাক্ট ভাল হইব না খারাপ হইব এক লাইনে কওয়া মুশকিল। একেকজনের কাছে এক একরকম হইব ইমপ্যাক্ট। আপেল ব্যবসায়ী, রুটির কারিগর, ট্যাক্সি চালকের জন্য ভাল হইব কারন কম্পিটিশন কইমা যাইব। কিন্তু গাড়ীর কারখানা, বিমান কম্পানি মারা খাইব কারন ইউরোপের অন্যদেশগুলা ইমপোর্ট ট্যাক্স বসাইয়া দিব। হোটেল ব্যবসায়ীর খরচ বাড়বো আবার ব্যবসাও কমবো। যারা সরকার চালায় তাগো জন্য ভাল এই ব্রেক্সিট কারন এহন আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পলিসি ফলো করা লাগবো না। সিদ্ধান্ত নিতে এহন স্বাধীনতা বেশী পাইব তারা।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এহন বহুত মায়া-মমতা নিয়া কথা কইতেসে কিন্তুক ব্রেক্সিট ইমপ্লিমেন্ট হইয়া গেলে ব্রিটেনরে টাইট দিবো অনুধাবন করা যায় কারন ব্রিটেনতো এক অর্থে বেঈমানি করসে। অলরেডি আমেরিকার লগে মাখামাখি শুরু করসে। হইতে পারে ইউ এস আর ইউ কে দুই ভাই মিল্লা সৌদির লগে গিটঠু বাইন্ধা মিডলইস্ট এঁর সকল বানিজ্য হাতের মুঠায় নিবো। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সেইটা ভাল লাগার কথা না। চায়না একটা ইস্যু হইয়া দাঁড়াইব মনে হয়। আমেরিকা এহন এন্টি চায়না। ব্রিটেন আমেরিকার লগ ধরবো কারন তারাও সেলফ সাফিশিয়ান্ট হইতে চায়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের লগে চায়না ইস্যুতেও ব্যবধান বাড়বো।

ঠিকই আসে। ওহন ব্যবধান বাড়ার যুগ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: সাধু ভাষা, চলতি ভাষা এবং আঞ্চলিক ভাষা মিলেমিশে একাকার।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৩২

সোহানী বলেছেন: তবে যাই হোক সহজ সরলীকরন হলো ব্রিটিশরা এবার ধরা খাবার সম্ভাবনাই বেশী। আম্রিকা অর্থনীতির দিক থেকে ব্রিটিশদের সাথে খুব একটা সম্পর্কিত না। আবার ইউ থেকে বের হয়ে তাদের সাথে ও চলতে পারবে না। আবার আম্রিকার চামচা হয়ে চায়নার সাথে ও যেতে পারবে না। ওদের জন্য দূর্দিন আসছে বলেই মনে হয়।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জানলাম ।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৩

ইলি বলেছেন: ওদের জন্য দূর্দিন আসছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.