নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেঘের উপর আকাশ উড়ে নদীর ওপার পাখির বাসা

ওয়াচ্ড১১

ওয়াচ্ড১১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

we will overcome someday....

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৫৪



পশ্চিম তীরের রামাল্লা, জেরিকো অথবা বেথেলহেমে না ঢুকলে গোটা ইসরাইয়েল সফরটাই আমার অসম্পূর্ণ থেকে যেতো। বইয়ে পড়েছি, খবরের কাগজ অনুসরণ করেছি। টিভিতে দেখেছি পশ্চিম তীরের প্যালেষ্টাইনি জীবন। চোখে দেখা ও মুখোমুখি হয়ে নিজ কানে শোনার জন্যেই মূলত আমার এ জার্নি। কথায় বলে আলোর নীচেই অন্ধকারের বাস। আমাদের ইউনিভার্সটা নিজের কক্ষপথে আপন নিয়মেই আবর্তিত হয়। মেনে চলেই বরণ করে নেয় এ বাস্তবতা। কিন্তু প্যালেষ্টাইনিদের ভাগ্য তাদের নিজেদের বরণ করতে হয়েনি, বরং জাতিসংঘ নামক ঠুঁটো জগন্নাথ ও পশ্চিমা দুনিয়ার বন্দুকের নল তা চাপিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারের হাতে নির্যাতিত ইহুদিদের সেইফ হ্যাভেন হিসাবে প্যালেষ্টাইনকে বেছে নিয়েছিল ইঙ্গ-মার্কিন সরকার। অযুহাত হিসাবে দাঁড় করিয়েছিল ধর্মীয় উপকথা। কোন এক রৌদ্রজ্বল সকালে ফিলিস্তিনিদের ঘুম ভাঙ্গে আঙ্গিনায় অচেনা মানুষের ভীড়ে। সেই যে শুরু তা আর শেষ হয়নি। কালের চক্রে বদলে গেছে অবাক হওয়ার পালা। এখন ইউরোপীয় উদ্বাস্তূরা অবাক হয়ে তাদের আঙ্গিনায় ফিলিস্তিনিদের দেখে। দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয় কুকুরের মত।

আবু আল নাসেরের সাথে পরিচয় রামাল্লার বাসস্ট্যান্ডে। জেরুজালেম হতে ছেড়ে আসা বাসটা থেমেছে কেবল। সাথের ব্যাগটা কাধে ঝুলিয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছি। কোথা হতে শুরু করা যায় ভাবছি। অচেনা জায়গায় এর আগেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। কোথাও থমকে যাইনি। তালিকার প্রথমেই ছিল চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাতের কবর ও যাদুঘর। তারপর বর্তমান প্যালেষ্টাইন সরকারের হেডকোয়ার্টার। আবু নাসের এমন একজনের সন্ধানেই রাস্তায় ঘুর ঘুর করছিল। স্থায়ী পেশা বলতে কিছু নেই। যখন যা পায় তাই আকড়ে ধরে বাচার চেষ্টা করে। ট্যুরিষ্টদের গাইড হিসাবে কাজ করাও তার পেশা্র অংশ। চালানোর মত ৫/৬টা ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারে। ইংরেজি তার অন্যতম। আমার সামনেই স্প্যানিশ, ইতালিয়ান ও রুশ ভাষায় অনেকের সাথে কথা বললো। ইমপ্রেসড না হয়ে উপায় নেই। প্রস্তাবটা নিজেই দিল; পাঁয়ে হেটে রামাল্লা শহর দেখ। দরদরি শেষে ৮০ সেকল (ইসরায়েলী মুদ্রা) ঠিক হল। এছাড়া ভাল কোন উপায় ছিলনা শহরটা দেখার। চেয়ারম্যান আরাফাতের কবরস্থান শেষ করে মাহমুদ আব্বাসের অফিসে অপেক্ষা করছি। ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করল নাসের।

থাকে উদ্বাস্তু শিবিরে। ৬ ছেলেমেয়ে। স্ত্রী কঠিন রোগে আক্রান্ত। ভাল চিকিৎসা দূরে থাক, টেবিলে তিন বেলা খাবার যোগাতে তার কষ্ট হয়। আয়-রোজগার বলতে যা হয় তার অর্ধেকটাই চলে যায় স্ত্রীর চিকিৎসায়। প্রতিবেশী দেশ মিশর হতে গোপনে স্মাগল করে আনতে হয় তার ঔষুধ। অথচ প্যালেষ্টাইনকে আলাদা করার দেয়াল উঠানোর আগে ভালই কাটছিল তার জীবন। কাজের সন্ধানে প্রায়ই চলে যেত জেরুজালেম, তেল আবিব অথবা হাইফায়। ওসব জায়গায় কাজের অভাব নেই। দেয়াল সম্পূর্ন হওয়ার পর তার মত হাজার হাজার ফিলস্তিনির জীবনে নেমে আসে ঘোর আমনিশা। অনোন্যপায় হয়ে একরাতে দেয়াল টপকে ওপারে চলে যায়। এভাবে নিয়মিত টপকাতে থাকে। যদিও জানা ছিল ধরা পরলে নির্ঘাত জেল। এবং একদিন ধরা পরে। ইসিরায়েলি সৈন্যদের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কোন রকমে পালিয়ে জান বাঁচায়। কিন্তু তা বেশিদেনের জন্যে না।

এক রাতে সৈন্যদের বুটের আঘাতে এলোমেলো হয়ে যায় তার দরজা। পালানোর সব রাস্তা বন্ধ করেই ওরা অপারেশনে নেমেছ। গ্রেফতারে বাধা দেয়নি আবু নাসের। তার মতে এমন কোন ফিলিস্তিনি পুরুষ নেই যে জেল খাটেনি। তাদের বয়সের পুরুষদের জন্যে অনেকটা বাধ্যতামূলক এ জেলটার্ম। ওরা জানে এটাই তাদের ভাগ্য।

জেলখানায় হার্ট এট্যাকের কারণে মুক্তি দেয় আবু নাসেরকে। একজন ফিলিস্তিনির চিকিৎসা মানে সরকারের অতিরিক্ত খরচ। তাই কোন এক সুন্দর সকালে দেয়ালের ওপারে এনে লাথিমেরে ফেলে দেয় ট্রাক হতে। বন্ধ হয়ে যায় তার আয় রোজগারের সব পথ। যেহেতু পুলিশের খাতায় নাম উঠে গেছে তাই বৈধভাবে ইসরায়েলে প্রবেশ করার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে তার জন্যে।

দৃশ্যত কোন কাজই নেই আবু নাসেরের মত লাখ লাখ ফিলিস্তিনিদের জন্যে। ওরা দরিদ্র হতে স্থায়ী দারিদ্রের খাতায় নাম লেখায়। একবেলা খেলে দু'বেলা ঊপোস করে। নিজের বাড়িঘর ত্যাগকরে নাম লেখায় উদ্বাস্তূ শিবিরে। মাহমুদ আব্বাসের সাথে দেখা করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর আবু নাসের আমাকে নিয়ে যায় তার নিজস্ব শিবিরে। প্রায় কান্নাভেজা চোখে ঠোঁট কামড়ে বলল, - দেখে যাও মানুষ নামের কিছু সবজি।

রিফিউজি ক্যাম্প মানেই অস্থায়ী কোন তাবু নয়। দেখতে স্বাভাবিক দালান-কোঠার মত। কিন্তু রানিং ওয়াটার বলতে কিছু নেই, বিদ্যুৎ আসে আর যায়। বাড়িঘর শ্রীহীন, দারিদ্রের ছোঁয়া সব জায়গায়। আবু নাসেরের একটাই ক্ষোভ, আমার নিজঘরে আজ আমি উদ্বাস্তু। একজন অর্থডক্স ইহুদির দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে রাগে ক্ষোভে বলে ফেলল, - এই ভিনদেশী দখলাদাররা এখন আমার অন্নদাতা। তাদের দয়া দাক্ষিণ্যের উপর বেঁচে থাকি আমরা। অথচ পাহাড়ের উপর যে অলিভ গাছগুলো দেখছো একসময় আমাদের ছিল।

রামাল্লার পর জেরিকো নামের একটা শহরের দিকে রওয়ানা দেই আমরা। বাস বসে চারদিক দেখাচ্ছে আমাকে। পাহাড়ের চূড়ায় অনেকগুলো বাড়িঘর দেখা যাচ্ছে যা ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘরের সাথে কেমন যেন বেমানান। আবু নাসের হর হর করে বলে গেল ঐ বাড়িঘরের ইতিহাস। ওগুলোই নাকি গুই সাপের মত দখল করছে ইহুদিরা। ওরা সুঁই হয়ে ঢুকে ফিলিস্তিনিদের এলাকায় এবং কিছুদিনের মধ্যে পরিণত হয় বিশাল এক সাপে। কোন এক সুন্দর সকালে ফিলিস্তিনিদের ঘুম ভাঙ্গে কাছের ভূমিতে নতুন কিছু মানুষের পদচারণায়। ওরা বুঝতে পারে নতুন কোন বসতভুমি স্থাপন করতে যাচ্ছে স্যাটেলাররা। প্রথমে তাবুর মত কিছু একটা খাটায়, অথবা নিয়ে আসে নড়বড়ে একটা কনস্ট্রাকশন ট্রেইলার। জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয়, আমরা ভূমির জরীপ করতে এসেছি। খণিজ পদার্থ লুকিয়ে আছে এখানে। তারই সন্ধান করবো। ফিলিস্তিনিরা জানে এ মিথ্যে।

কিছুদিন পর শুরু হয় নির্মাণ কাজ। তা বাড়তে বাড়তে রূপ নেয় মেগা প্রজেক্টে। ওরা আসে পূর্ব ইউরোপের রাশিয়া, ইউক্রেইন, রুমানিয়ার মত দেশ হতে। আচার ব্যবহারে একেবারেই কুৎসিত এবং দু'দিন না যেতে ওখানে হাজির হয় বেদুইনরা। বেদুইনরা নাকি ইসিরায়েলিদের বিশ্বস্ত বডিগার্ড। আপন মা-বাবা, ভাই-বোনদের চাইতেও নাকি এরা বেশী বিশ্বস্ত। পশ্চিম তীরের গেরিলা বাহিনীর যে সব সদস্যদের মোসাদ বাহিনী রাতের অন্ধকারে হত্যাকরে তার পেছনেও নাকি থাকে বেদুইনদের হাত। অনেকটা বাধ্য হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, - তোমাদের রেজিসটেন্ট পাওয়ার কি তাহলে মরে গেছে? কোথাও কোন প্রতিবাদ প্রতিরোধ দেখছিনা! আবু নাসের চোখ মুখ লাল হয়ে গেল। রাগে ফোঁস ফোঁস করতে শুরু করল অনেকটা বিষাক্ত সাপের মত। আমি বললাম, ছোট ছোটে শিশুদের বুকে আত্মঘাতী বোমা বেধে তোমরা যা করেছ তাতে পশ্চিম দুনিয়ার সমর্থন হারিয়েছ। তাদের মত আমিও এ হত্যার সমর্থক নই। কিছুটা সময় নিয়ে উত্তর দিল আবু নাসের।

প্রতিটা ফিলিস্তিনি পরিবারে এখন হতাশা। এক কথায় নিজদেশে বন্দী। ঘরে ঘরে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, আর ভবিষৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, না পাওয়ার হাহাকার। এ সুযোগটাই নাকি নেয় সৌদি আরবের ধনী শেখরা। অর্থ আসে মিশর সীমান্ত দিয়ে। প্রতিটা আত্মঘাতী শিশুর জন্যে বরাদ্দ থাকে পাঁচ হাজার ডলার। স্বপ্নহীন অনেক শিশু পরিবারের কথা ভেবে যোগদেয় সৌদিদের এ মিশনে। ওরা মরে গিয়ে নিশ্চিত করে পরিবারের বেঁচে থাকা। আবু নাসেরের মতে, এ মুহূর্তে তাদের মুল সমস্যা ইসরায়েলিরা না, বরং সৌদি ও আমিরাতী ধনকুবের দল। ওরা আমুদ আহলাদের বিপদজনক খেলা খেলতে আসে প্যালেষ্টাইনের মাটিতে। ইচ্ছা করে বাতাস ভারী করে তোলে। সুযোগ করে দেয় ইসরায়েলিদের এখানে ঢুকার। অস্থির করে ফেলে তেলের বাজার। ওখান হতে কামিয়ে নেয় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। আবু নাসেরের মতে শেখরা এখন আর আরব সাগর পাড়ি দিয়ে ভারতে যায়না নিজেদের যৌনলিপ্সা চরিতার্থ করতে। ওদের বর্তমান টার্গেট ইসরায়েলের তেল আবিব ও হাইফা শহর। রুশ মহিলারা এখন তাদের প্লেটের খাবার। অনেকে এসে রুশ পতিতাদের মাথায় ডলারের বৃষ্ট নামায়।

আবু নাসের গড় গড় করে বলে গেল সৌদি আরবে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশের গৃহকর্মীদের কথা। বাড়ির কর্তা তার ভাই, বাবা, চাচা এমনকি আপন সন্তান নিয়ে নাকি ভোগ করে এসব গরীব মহিলাদের। মনুষ্যত্বের নূন্যতল লেশ মাত্র দেখায় না। সৌদি আর আমিরাতীদের কাছ জীবন মানেই অর্থ, নারী আর মদ।

বেথেলহেম পর্যন্ত আসতে সূর্য ডোবা শুরু হয়ে গেল। জেরিকোর ৫০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ৫ কিলোমিটার হাঁটায় আমি ছিলাম ক্লান্ত। কিন্তু শেষ বিকেলে বেথেলহেমের মৃদুমন্দ ঠাণ্ডা বাতাস দূর করে দিল সে ক্লান্তি। আমাকে জেরুজালেমগামী বাসে উঠিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে রইল যে পর্যন্ত না বাসটা ছেড়ে যায়। খোলা জানালার সামনে এসে আবারও কথা বলতে শুরু করল...ব্রাদার, আমাদের প্রতিটা শিশু পর্যন্ত বিশ্বাস করে we'll overcome someday...আমাদের মত তোমরাও বিশ্বাস রেখ এ অন্যায় একদিন দুর হবে...আমরা স্বাধীন হব...তোমার মত আমিও দেয়াল পেরিয়ে জেরুজালেমের ওপারে যেতে পারবো। সেদিন আবার ফিরে এসো এ পবিত্র মাটিতে... আমরা অলিভ ব্রাঞ্চ দিয়ে তোমাকে বরণ করে নেব।

ছেড়ে দিল বাসটা। অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। শেষ বাঁকটায় এসে লক্ষ্য করলাম তখনো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে আবু নাসের।
-
এখানেই ঘুমিয়ে আছেন প্যালেষ্টাইনিদের প্রবাদ পুরুষ চেয়াম্যান ইয়াসির আরাফাতঃ

রামাল্লায় আরাফাতের অফিসঃ

একাধারে ৩৪ মাস ইসরায়েলি অবরোধের সময় এখানেই ঘুমাতেনঃ

রান্নাঘরঃ

রামাল্লা সিটি সেন্টারঃ

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



২য় বিশ্বযুদ্ধে যখন ইহুদীরা আসছিলো ফিলিস্তিনে, উহা কি স্বাধীন দেশ ছিলো, নাকি বৃটিশ কলোনী ছিলো?

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি লিখেছেন, "ফিলিস্তিনীরা নিজ দেশে বন্দী"।

-প্রশ্ন: ওদের দেশ কোনটা?
-ফিলিস্তিন নামে, অটোম্যানদের যে প্রদেশ ছিলো, উহা কোনদিনও দেশে পরিণত হয়নি; অটোম্যানদের ৮০০ বছর রাজত্বের পর, উহা বৃটিশ দখল করে নেয় ১৯১৭ সালে, এবং কলোনিয়েল সিষ্টেম চালু করে। কলোনীতে ওরা ২টি দেশ করতে চেয়েছিলো, ১টা হয়েছে, ইসরায়েল, অন্যটা হয়নি; এটকু বুঝতে কি মাথার মগজ পানি হয়ে যাচ্ছে?

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:০৬

ওয়াচ্ড১১ বলেছেন: ভাইজান, আপনি কি এই ব্লগের মহাজনদের একজন? ভাষার ফ্রী ইউজ আর এর 'শালীনতা' দেখে অন্তত তাই আন্দাজ করা যায়। কারণ এর আগে অনেক নগণ্য কারণ দেখিয়ে আমাকে এ ব্লগ হতে ধাক্কা দেয়া হয়েছে। যদি হয়ে থাকেন তাহলে রেসপেক্টফুল্যি আমি এই ব্লগ ত্যাগ করলাম। এ ধরণের আগমন আর প্রস্থানে কারও কিছু আসে যায়না। তবে ক্ষণিকের জন্যে হলেও মানুষ চেনা যায়। ইতিরামি করা আমাদের রক্তে, তবে তা সব জায়গায় করা উচিৎ না।

ফিলিস্তিন সম্পর্কে আপনার কাছে আমার শিক্ষা নিতে হবেনা।
ভাল থাকুন।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৫৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কষ্ট পাইলাম। ভ্রমনের আনন্দ পাইলাম না। যার মূলে আবু নাসের। কিন্তু কথা হইল যে, আপনে ভিসা লইলেন কই থাইক্যা? বাংলাদেশ থাইক্যা তো ইস্রাইল ভ্রমণ নিষুদ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:০৭

ওয়াচ্ড১১ বলেছেন: ফাইজলামিতে শরীক হইলেন বোধহয়!

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মনটা বিষন্ন হয়ে যায়!

নিজে দেশে পরবাসীর যন্ত্রনা কি ভয়াবহ বুঝি কল্পনাও করা যায় না!

সউদ শয়তানদের নোংরামিটা কত জঘন্য ! হয়তো আরো জঘন্য আরো কোন সত্য সামনে এলে বোঝা যাবে।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি আল্লাহর রহমত কামনা করছি।
জালিমদের ধ্বংস হোক। মজলুম মুক্তি পাক।

+++++

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: মহান প্রভুর পৃথিবীতে দুষ্টলোকের অভাব নেই। তারা মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয় না।

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

ক্লে ডল বলেছেন: এই জঘন্য অন্যায় দেখে বিশ্ব বিবেক স্তম্ভিত হতে হতে অজ্ঞান হয়ে গেছে!! আর জ্ঞান ফিরছে না!!

৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩০

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি লিখেছেন, "ফিলিস্তিনীরা নিজ দেশে বন্দী"।

-প্রশ্ন: ওদের দেশ কোনটা?
-ফিলিস্তিন নামে, অটোম্যানদের যে প্রদেশ ছিলো, উহা কোনদিনও দেশে পরিণত হয়নি; অটোম্যানদের ৮০০ বছর রাজত্বের পর, উহা বৃটিশ দখল করে নেয় ১৯১৭ সালে, এবং কলোনিয়েল সিষ্টেম চালু করে। কলোনীতে ওরা ২টি দেশ করতে চেয়েছিলো, ১টা হয়েছে, ইসরায়েল, অন্যটা হয়নি; এটকু বুঝতে কি মাথার মগজ পানি হয়ে যাচ্ছে?


তার কথায় কিছু মনে করবেন না প্লিজ। তিনি ব্লগের সিনিয়র, সবার সাথেই এমন ভাবে কথা বলেন। এটা মেনে নিন। ব্লগিং করুন, আমরা কিছু শিখতে পারব।

তবে আমআর কাছে মনে হয় প্যালেস্টাইন নিজেদের দোষে এখনো এত কষ্ট করছে। হামাসের কথা হল তারা ইসরাইলকে একেবারে ধ্বংস না করে কোন সমঝোতা করবে না, যা বাস্তব সম্মত নয়। কিন্তু ইয়াসির আরাফাত অনেকবার ইসরাইলের সাথে সমঝোতা করতে চেয়েছে, হামাস দেয়নি।

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

সাাজ্জাাদ বলেছেন: আমার প্যালেস্টাইনই বন্ধুদের সাথে যতবারই এ ব্যাপারে কথা বলতে যায় ,তার আবেগে কান্না চলে আসে।
তাদের ছবির মতো সাজানো সব কিছু ছিল কিন্তু এখন কিছুই তাদের না।
নিজ ভুমিতে পরবাসির যন্ত্রণা তখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারি।

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

প্রবালরক বলেছেন: We will overcome someday পড়ে খুব ভাল লাগল। এটি অনুসরন করে আপনার অন্যান্য লেখাগুলি দেখে রেখেছিলাম।
.......এইমাত্র সে লেখাগুলি পড়তে গিয়ে দেখি সব হাওয়া হয়ে গেছে।
খুব দু:খিত হলাম।

বলতে ইচ্ছে করছে - প্লিজ, ভাই, এভাবে চলে যাবেননা।

১০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার বর্ণনা পাঠে চমৎকৃত। ভিভিড পিকচার তুলে ধরেছেন একটি নিপীড়িত জাতির।

১১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: প্রবালরক বলেছেন: We will overcome someday পড়ে খুব ভাল লাগল। এটি অনুসরন করে আপনার অন্যান্য লেখাগুলি দেখে রেখেছিলাম।
.......এইমাত্র সে লেখাগুলি পড়তে গিয়ে দেখি সব হাওয়া হয়ে গেছে।
খুব দু:খিত হলাম।

বলতে ইচ্ছে করছে - প্লিজ, ভাই, এভাবে চলে যাবেননা।

১২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫

প্রবালরক বলেছেন: মেঘের উপর আকাশ উড়ে নদীর ওপার পাখির বাসা
আমার পরিসংখ্যান
পোস্ট করেছি: ১টি
মন্তব্য করেছি: ৫৫টি
মন্তব্য পেয়েছি: ১৩টি
ব্লগ লিখেছি: ১১ বছর ৪ সপ্তাহ
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ২৯ জন


-উপরে এমুহুর্তে লেখকের পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে।
লেখকের ব্লগ দেখা হয়েছে ৬৪৫৩৮ বার।

তাঁর ১১ বছরের লেখা তিনি একটু আগে মুছে দিলেন।

১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: এখন তো মনে হচ্ছে ব্লগের অনেকের অবস্থা সেই প্যালেস্টাইনিদের মত। কেউ একজন ব্লগের সিনিয়র বলে ইসরায়েলিদের মত যা মন চায় তাই বলবে,,,, আর জুনিয়ররা ফিলিস্তিনিদের মত মুখ বুঝে সহ্য করবে। ব্যাপারটা কিন্তু দারুন, জমবে বেশ।

১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: @ব্লগার চাঁদগাজী,

আপনি লিখেছেন: অটোম্যানদের ৮০০ বছর রাজত্বের পর, উহা বৃটিশ দখল করে নেয় ১৯১৭ সালে, এবং কলোনিয়েল সিষ্টেম চালু করে। কলোনীতে ওরা ২টি দেশ করতে চেয়েছিলো, ১টা হয়েছে, ইসরায়েল, অন্যটা হয়নি; --ব্লগার চাঁদগাজী, আপনি ভুল তথ্য দিয়েছেন।
প্যালেস্টাইন কখনই ব্রিটিশ কলোনী ছিল না। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর গোপনীয় 'সাইকস-পিকো চুক্তিতে' (গোপনীয় কারণ, আরবরা মিত্র শক্তির সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে অক্ষশক্তি অটোমানদের আরবভূমি থেকে হটিয়ে দিলেও মিডল ইস্ট বিভক্তিকরণ এই চুক্তিতে তাদেরকে কিছুই জানানো হয় নি) ফ্রান্স ও বৃটেন দুই দেশই ঐ টেরিটরি নিয়ন্ত্রনের চুক্তি হয়েছিল। সেখানে আর্থার ব্যালফোর কূট-কৌশলে ঈহুদিদের জন্য আলাদা আবাসভূমি গড়ার জন্য ব্যালফোর ডিকলারেশন করে, যদিও প্যালেস্টাইনে তখন মোট জনসংখ্যার প্রায় আশি শতাংশ মুসলিম ও মাত্র দশ শতাংশ ইহুদি ছিল। এরপর ব্রিটিশরা তৎকালীন 'লিগ অব নেশন'র পক্ষে প্রায় তিন-দশক প্যালেস্টাইনের নিয়ন্ত্রণ রেখে অত্যন্ত দূরভিসন্ধিমূলকভাবে ব্যালফোরের ঘোষণাকে বাস্তব রূপ দেয়।
আর অটোম্যানরা প্যালেস্টাইন ৮০০ বছর শাসন করে নি। ফিলিস্তিন এলাকা মিশরীয় মামলুকদের কাছ থেকে অটোম্যানদের দখলে আসে ১৫১৬ সালে গাজায় 'ব্যাটল অব ইউনুস খান'র পরে।

তবে বর্তমানের ফিলিস্তিনের এই অবস্থায় আসার পেছনে আরব কাঠমোল্লাদের ভ্রষ্ট নীতিও অনেকাংশে দায়ী। এরা একটি জাতি হলেও বিভিন্ন গোত্র, উপগোত্রে বিভক্তি ও ধর্মীয় টানাপোড়েনে ফিলিস্তিন পুড়ছে।

হিস্ট্রি ভালোভাবে না জেনে শুধু শুধু ভুল তথ্য বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ থাকে।

১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১৩

রায়হান০০৭ বলেছেন: সত্য তুলে ধরার জন্য লেখক ভাইকে ধন্যবাদ অবশ্য ভারতীয় দের আধিপত্য যেভাবে বাড়ছে তাতে বাংলাদেশেও এমন হতে বেশি
দেরি নেই, শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র আর হ্যা ব্লগিং ত্যাগ করবেন কেন মনে রাখবেন কিছু ব্লগার ব্লগিং করে পেট চালানোর জন্য
তাদের অমন কমেন্ট না করলে দানা পানি বন্ধ হয়ে যাবে এটা মনে রাখবেন

১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আবু নাসেরদের কষ্ট উপলব্ধি করতে পারছি। কি যে খারাপ লাগছে পড়ে বলার নয়। নিজ দেশে শরনার্থী হয়ে আছে অভাগা এই মানুষগুলো।
অট ঃ এক সাইকোর উপড়ে রাগ করে আপনি ব্লগ ছেড়ে দিবেন কেন? আর এই সাইকো ব্লগের মডারেটরদের কেউ নয়। এটা কিন্ত ছেলেমানুষির পর্যায়ের রাগ। ইতরমার্কা কমেন্টের প্রতিউত্তর না করলেই চলে।

১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ওয়াচ্ড১১,



আপনার গাইড আবু নাসেরের কথা মতো, প্রতিটি আত্মঘাতী শিশুদের জন্যে নাকি বরাদ্দ পাঁচ হাযার ডলার যার যোগান দেয় সৌদি সরকার। ঠিক বুঝতে পারছিনে, সৌদি সরকারের এখানে কি স্বার্থ কাজ করে আত্মঘাতী শিশুদের দিয়ে ইসরাইলী লোকজন মেরে! ইজরাইল তো তাদের বন্ধুই তলে তলে। ক্যাওয়াস জিইয়ে রাখা ? নাকি অন্য কিছু। আপনার জানা থাকলে বলবেন- জানতে ইচ্ছে করছে।

আর ফিলিস্তিনীদের কপাল পুড়েছে বেলফ্যুর চুক্তি যেমনটা বলেছেন ব্লগার আখেনাটেন। নাটের গুরু ছিলো বৃটেন।
পাশাপাশি আরবদের গোত্রে গোত্রে অমিল-সহিংসতাও এমন চুক্তি কার্যকর করতে ভূমিকা রেখেছে এবং এখনও তাই।

তবুও আশা - we will overcome someday...

১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

নিমো বলেছেন: আখেনাটেন বলেছেন: হিস্ট্রি ভালোভাবে না জেনে শুধু শুধু ভুল তথ্য বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ থাকে।

সত্যিকারের ফিলি্স্তিন নামক জাতি বহু আগেই ধরাধাম ত্যাগ করেছে।
view this link
ফিলিস্তিন থেকেই প্যালেস্টাইন নামের উৎপত্তি্ হয়েছে, যা একটি জায়গাকে নির্দেশ করে, যা নিয়ে বহু জনগোষ্ঠী (এর মধ্যে আপনার প্রাচীন ভাইয়েরাও ছিলেন) নানা সময়ে কামড়া কামড়ি করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে।

১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: Nemo বলেছেন: সত্যিকারের ফিলি্স্তিন নামক জাতি বহু আগেই ধরাধাম ত্যাগ করেছে। -- হুম; সেটা জানি। ওখানে 'এরা' বলতে আরবদের বুঝিয়েছিলুম। এরা নানা গোত্রে-উপগোত্রে কামড়াকামড়িতে রত সেই কুট্টিকাল থেকে। আর ওদের বিভক্তির সুযোগ নিয়েই পশ্চিমা মদদে ঈসরাইলের দাদাগিরি।

২০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চাঁদগাজী একটা কথাও ভুল বলেন নি।

-ফিলিস্তিন নামে, অটোম্যানদের যে প্রদেশ ছিলো, উহা কোনদিনও দেশে পরিণত হয়নি; অটোম্যানদের ৮০০ বছর রাজত্বে তুর্কি শাসকরা ফিলিস্তনিদের কোন দেশ বা স্বায়েত্ব শাসন দেয়া হয় নি, কেউ দাবিও করেনি। কোন ইচ্ছাও দেখা যায় নি।
১ম মহাযুদ্ধে উহা বৃটিশ দখল করে নেয় , তখনও ফিলিস্তিনিরা কোন দেশের দাবী করে নি। ২য় মহাযুদ্ধের পর ইহুদের প্রধান উপাসনালয়ের সাথের একটি অতি ছোট ভুখন্ড ইসরাইলকে দেয়া হয়।
এর পর ফিলিস্তিনিদের দেশের দাবী উঠে

২১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৮

এমজেডএফ বলেছেন: আপনি অনেক পুরানো ব্লগার। আপনারতো এ ধরনের পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকার কথা। বাস্তব জীবনের মতো এখানে ব্লগেও কিছু ইতর লোক থাকবে। তাদের ফাজলামি কথাবার্তায় নিজের উপর অভিমান করা মানে নিজে হেরে গেলেন আর ওরা জিতলো। এটা মোটেই কাম্য নয়। এসব লোকদের এড়িয়ে চলুন, প্রয়োজন ওদের আজাবাজে কমেন্ট ডিলিট করে দিন। তারপরেও লেখা চালিয়ে যান। আপনার সাম্প্রতিক লেখাগুলো পড়া হলো না! মনে হয় সব পোস্ট ড্রাফট করে দিয়েছেন। ভয় পাবেন না, লেখাগুলো ফিরিয়ে আনুন। আমরা আপনার লেখা পড়তে চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.