নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখে আছি, সুখে আছি সখা, আপন মনে।

সখা, নয়নে শুধু জানাবে প্রেম, নীরবে দিবে প্রাণ, রচিয়া ললিতমধুর বাণী আড়ালে গাবে গান। গোপনে তুলিয়া কুসুম গাঁথিয়া রেখে যাবে মালাগাছি। এই ব্লগের©শান্তির দেবদূত।

শান্তির দেবদূত

নিজের কথা কি আর বলবো ...... নিজে সুখী মানুষ, পৃথিবীর সবাই সুখী হওক এই কামনা করি...... কয়লার মধ্যে কালো খুঁজি না, হীরা খুঁজে বেড়াই .......

শান্তির দেবদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

( ছোট গল্প ) – চুল

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩





এক.



“আলামিন ভাই, এক পাতা এন্টাসিড আর এক পাতা ডিসপ্রিন দেন তো” বলেই সুজয় বাঁ হাত প্যান্টের পকেটে চালান করে দিয়ে গোল্ডলিফের প্যাকেটটা বের করে নিয়ে আসে। ফার্মেসিতে আসলে সবার মধ্যেই একটু আধটু আড়ষ্ট ভাব থাকে, ভয়ে ভয়ে থাকে, উৎকণ্ঠা লুকানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সুজয়ের মধ্যে তেমন কোন কুণ্ঠা দেখা গেল না, বরং একটা ঔদ্বত্য ভাব ফুটিয়ে তোলে দিব্বি সিগারেট ফুঁকে যাচ্ছে।



“ভাই আপনার দোকানে কি চুল পড়ার কোন ঔষধ, তেল বা কোন ক্রিম কিছু আছে?”, পাশ থেকে কেউ একজন জিজ্ঞেস করল। ঘাড় ঘুরিয়ে একবার তাকিয়েই নজর ফিরিয়ে নেয় সুজয়, লোকটার মধ্যে এমন কোন কিছু ছিল না যে দ্বিতীয়বার তাকাবে বা প্রথম নজরই চুম্বকের মত আটকে যাবে; একেবারে সাধারন বেশভূষার একজন লোক। “ঐ, আলামিন ভাই ঔষধ দিতে কইলাম না?”, কণ্ঠে ঊম্মা ঝড়ে পড়ে তার।



- বস্, একটু খারান, এই ভাইজানরে বিদাই দিয়া লই। পুরাতন কাষ্টমারদের একটা ধারনা আছে যে তাদের বেশি খাতির করা হয়, আসলে তা নয়; বরং নতুন নতুন কাষ্টমারদের ধরতেই দোকানিরা বেশি আগ্রহী, পুরাতনরা তো একটা দুইটা কথা বলে আজ কালের মধ্যেই ভুলে যাবে।



আলামিন তার অচেনা কাষ্টমারের সামনে ঝটপট কয়েকটা বোতল রেখে বলে, “এটা হইল গিয়া ‘স্মুথ হেয়ার ওয়েল’, ইউনিলিভারের বিদেশি প্রডাক্ট, তিন মাস ব্যবহার করলে চুল পড়া কইমা যাইব; এইডা হইল গিয়া ‘হিমালয় সুধা’ আয়ুর্বেদিক তেল, ইন্ডিয়ান মাল, তিন মাস মাথায় লাগাইলে চুলে পড়া একদম বন্ধ হয়া যাইবো;”



“আর এইডা হইল গিয়া আড়ল-মান্ডার তেল”, লম্বা চিকন মতন একটা কাঁচের বোতল দেখিয়ে বলে আলামিন; বত্রিশ দন্ত বিকশিত হাসি যেন একেই বলে, যদি মুখে দাঁতের সংখ্যা বত্রিশ না হয়ে বিয়াল্লিশ হতো তবে একে বিয়াল্লিশ দন্ত বিকশিত হাসি বলা হত নিঃসন্দেহে, “এক্কেবারে খাঁটি দেশি জিনিস, গ্যারান্টি; এক মাস লাগায়লে দেখবেন লাউ এর ডগার মত তরতর কইরা চুল গজাইতেছে।”



কিছুটা বিব্রত মনে হল লোকটাকে, দুই একবার চোখ পিট পিট করে দ্বিধায়িত হাতে চশমাটা খুলে সার্টের নিচ অংশের উল্টো পাশটা দিয়ে মুছতে মুছতে বলল, “আমি আসলে চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ চাচ্ছি না, আমি খোঁজচ্ছি চুল ফেলে দেওয়ার ঔষধ, যাতে চিরতরে আর চুল না গজায়”।



এই প্রথম লোকটার দিকে ভালো করে তাকায় সুজয়; মাঝ বয়সী মাঝারি আকারের মধ্যবিত্ত একজন মানুষ; হাতে তখনো চশমটা ধরা, চোখের চারপাশ দীর্ঘদিনের চশামা পড়ার কারনে হালকা কালচে হয়ে কিছুটা ভিতরে ঢুকে গেছে; কিন্তু লোকটার চোখে তারায় কি যেন একটা আছে! তীব্র ভালোবাসা ও বেদনার মিশ্র এক অনুভূতির ছায়া, সেটা এত তীক্ষ্ণ তীব্র যে দৃষ্টি আটকে যায়।



“নাহ ভাই, এমন আজিব কিসিমের কোন ঔষধ আমার এহানে নাই”, কিছুটা বিরক্তিভাব ফুটে উঠে আলামিনে কথায়, “কৈ থেকা যে এই সব পাগল ছাগল আইসা জোটে; চুল ফালায়া দেওনের কিরিম! হুম!”, মৃদু স্বরে বলেই সুজয়ের দিকে তাকায় সে, “বস্‌, আপনি না কি চাইছিলেন?”



“থাক, লাগবে না”, বলেই সুজয় লোকটার পিছু নেয়, হাতের সিগারেটটা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, প্যাকেট থেকে আরেকটা বের করে ধরিয়ে লম্বা করে টান দেয় সে। ধীরে সুস্থে আয়েসী ভঙ্গিতে হাঁটছে লোকটি; কাঁধে ঝুলানো মাঝারি আকারের একটা ব্যাগ; সাবলীল হাঁটা চলা দেখে বুঝা যায় ব্যাগে তেমন কিছু নেই, হালকা; হয়ত দরকারী কিছু কাগজপত্র বা ব্যবহারের জন্য কিছু কাপড় চোপড়, কিছুদূর হেঁটে লোকটা সোহাগের কাউন্টারে গিয়ে ঢুকে, পিছন পিছন সুজয়ও ঢুকে। বয়স কত হবে লোকটার? চল্লিশ পেরোয়নি নিশ্চিত, দেখে কলেজ কিংবা হাই স্কুলের শিক্ষকের মতন লাগে, কেন যে তাকে অনুসরন করছে সুজয় নিজেও জানে না। দূর থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সে লোকটিকে। তেমন অস্বাভাবিক কোন আচরন চোখে পড়ছে না, টেবিলের উপরে পড়ে থাকা খবরের কাগজটা তুলে খুটিয়ে খুটিয়ে পড়া শুরু করে হঠাৎ সে, মাঝে মাঝে কি যেন নোট করে নিতে থাকে ডায়রিতে; হয়তো কোন অফিসের ঠিকানা কিংবা যোগাযোগের নাম্বার ভাবে সুজয়।



প্রায় আধা ঘন্টা পর সুপারভাইজার মত একজন এসে ডেকে বলে, “এস.টি-৫১১ ঢাকাগামী বাসের যাত্রীরা জলদি উঠে পড়ুন, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস ছেড়ে দিবে”। লোকটা উঠে ধীরে ধীরে বাসে দিকে এগিয়ে যায়, পেছন পেছন সুজয়ও বের হয়ে আসে। আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে চলে যাওয়ার বাসটার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ, দারুন একটা কৌতুহল মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল, মনে হচ্ছে আগামী কয়েকদিন বেশ ভোগাবে, সিগারেট টানার পরিমানটা কয়েকদিন একটু বেশিই হবে।



দুই.



হলের সব ব্যাচেরই একটা নির্দিষ্ট রুম থাকে যেখানে রাত দিন জুয়া চলে। রশীদ হলের ৩০০৫ নাম্বার রুমটা সুজয়দের ব্যাচের জন্য বরাদ্দকৃত জুয়ারুম। এ রুমের দরজা জানালা কখনো খোলা হয় না, ধোঁয়াই আচ্ছন্ন থাকে সারাটাক্ষণ, চারটি খাট ঘরের চার দিকের দেয়ালে ঘেষে লাগানো মাঝে বিশাল ফাঁকা মেঝেতে বিছানা পাতা। সব সময়ই দেখা যায় পাঁচ থেকে দশ জন জটলা পাঁকিয়ে দিন রাত জুয়া খেলছে এখানে, মাঝে মাঝে দু একজন উঠে যায় আবার অন্যকেউ এসে যোগ দেয়, কিন্তু খেলা চলছে দিন রাত সর্বক্ষণ; অফুরন্ত তাদের থ্রী-কার্ড খেলার স্পিহা। সুজয় নিজেও মাঝেমাঝে আসরে বসে তবে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে কখনো যায় না; মাঝেমাঝে আবার বিবেকের কাঠি টনটন করে নড়ে উঠে তার, সেদিন ভিতর থেকে সারাদিন রুমের দরজা বন্ধ করে রাখে সে, শত ধাক্কাধাক্কিতেও খুলে না, সেদিন আর খেলা হয় না; আর প্রথম থেকেই দোস্ত বন্ধুদের বলে রেখেছে, “তোরা থ্রী কার্ড খেল, বিড়ি সিগারেট গাঞ্জা সব চালা কোন সমস্যা নেই, শুধু মেয়ে নিয়ে আমার ঘরে আসতে পারবি না, আমার রুমে মেয়ে নিয়ে কোন কারবার চলবে না বলে দিলাম”।



চে-এর মুখের ছবি আঁকা টি-সার্টটি খুলতে খুলতে সুজয় বলে, “দোস্ত, মাথাটা ধরা ধরা লাগতেছে, তোদের কারও কাছে কি ডিসপ্রিন আছে?” টি-সার্টের কলারের পেছনে কাল দাগের পুরু প্রলেপ পড়ে গিয়েছে, নাকের কাছে আলতো করে ধরেই চোখ মুখ কুচকে ফেলে সুজয়। “ধ্যাঁৎ, শালার কবে যে পরিমলটা আসবে লন্ড্রীর কাপড় নিতে!”, বলেই বিছানার দিকে ছুড়ে মারে ঘামে জবজব করা জামাটা।



-- “আমি ব্লাইন্ড এ রাইজ দিলাম”, বলেই বোর্ড থেকে মুখ তুলে রতন বলে, “নাহ! রুমে নাই, মেডিক্যাল সেন্টারে গিয়ে নিয়ে আয় না?”



কি যে বলিস না! বালের মেডিক্যাল সেন্টার আমার। জ্বর আসলেও পাছায় ইঞ্জেকশন, পেটে গ্যাস হইলেও পাছায় ইঞ্জেকশন, পেট খারাপ করলেও পাছায় ইঞ্জেকশন; শালারা মনে হয় ‘পাছা’ আর ‘ইঞ্জেকশন’ ছাড়া কিচ্ছু চিনে না। ও, গেইটে আলামিন ভাই এর ফার্মেসিতে গেছিলাম ঔষধ আনতে, এক আজব পাবলিকের সাথে দেখা হইল। লোকটা চুল ফালায়া দেওয়ার ঔষধ খুঁজতেছিল।



-- “আমি অফ”, হাতের কার্ড ফেলে দিয়ে শিমুল বলে “বুঝলাম না, চুল ফালায়া দেওয়ার ঔষধ মানে?”



আরে, ঐডাই তো বলতেছিলাম! আজিব লোক, কি কারনে এমন অদ্ভুত রকমের জিনিসের খোঁজ করতেছে বুইঝা পাইলাম না।



-- “সিনে হিট করলাম”, “আরে চুল মুল কিচ্ছু না, ব্যাটার বুইড়া বয়সে ভীমের রতিতে পাইছে; হালায় আসলে বাল ফালানোর ঔষধ খুঁজতেছিল”, বলেই খুব উচ্চমার্গের রসিকতা হয়েছে মনে করে বিচ্ছিরিভাবে হো হো করে হেসে উঠে কাউসার। এই ছেলের মুখটা বরাবরই জঘণ্য রকমের।



মোটেও হাসতে পারলো না সুজয়, মনটা খচখচ করছে তার; লোকটার সাথে কি জীবনে আর দেখা হবে? ভাবতে ভাবতে দোস্তদের সাথে মেঝেতে বসে যায় সে। আগের দান শিমুল জিতেছে, এবার তাই তার ডিল।



“দোস্ত, ছয় জনের জন্য বাট”, বলেই মানিব্যাগ খুলে দুমড়ানো হাজার খানেক টাকা বের করে সুজয়। কার্ড বাটা শেষ হতেই তিনটি কার্ড হাতে তুলে নেয় সে। প্রথম কার্ডটা স্পেডের থ্রী, ধীরে ধীরে দ্বিতীয় কার্ডটা খুলে সে, স্পেডের নাইন। কাকতালিয় ব্যাপারগুলো ঘটে বলেই ‘কাকতালিয়’ শব্দটি অভিধানে আছে; না হলে লক্ষ কোটি মানুষের ভিতর স্থান ও কালের সমন্বয় ঘটে গিয়ে দুজন মানুষের পুনরায় দেখা হবে সেটা আসলেই বিরাট কাকতাল। ধুরু ধুরু বক্ষে শেষ কার্ডটা তুলে মেলে ধরে সুজয়, “স্পেডের সিক্স”, চোখ জ্বলজ্বল করে উঠে তার, রানিং স্পিন!





তিন.



ভ্রমনের ক্লান্তির চিহ্ন স্পষ্ট তার চোখে মুখে, বাস জার্নি বরাবরই অপছন্দ সুজয়ের; একদমই ঘুমাতে পারেনি সারা রাত সে। তার মধ্যে অনেকক্ষণ হলো রিসেপশনে বসে আছে কারও খবর নেই। অবশ্য সে ভি.ভি.আই.পি কেউ না অথবা ফাইভ-স্টার হোটেলেও আসেনি, যে সামনে পেছনে হুলুস্থুল পড়ে যাবে। অফ সিজন চলছে, সেমিস্টার ব্রেকের এই পনের দিন কক্সবাজারের নির্জন সমুদ্র উপকুলে দিব্বি কাটিয়ে দিতে পারবে; ছাত্র মানুষ, টিউশনির টাকায় ভ্রমনের নেশা মেটায়, তার শুধু মাথা গুজার ঠায় আর দুবেলা খেতে পারলেই হলো।



“হ্যালো স্যার, আপনাকে হোটেল বাসন্তীতে স্বাগতম। আমি এই হোটেলের ম্যানেজার, আপনার কি কোন রিজার্ভেশন আছে?”, সোফায় বসে ঝিমুচ্ছিলো সুজয়, মুহূর্তেই ঘুম ঘুম ভাব কেটে যায় তার।



-- নাহ, কোন রিজার্ভেশন নাই; সিঙ্গেল ননএসি সি সাইড রুম ফাঁকা আছে?



“এক মিনিট প্লিজ; জ্বি ফাঁকা আছে; এক্ষনি বুকিং দিয়ে দিচ্ছি, পাঁচ হাজার টাকা এডভান্স”, লোকটা চোখ থেকে চশমাটা খুলে শার্টের নিচের দিক দিয়ে গ্লাসটা মুছতে মুছতে বলে।



হঠাৎ তার চোখে দিকে চোখ পড়ে সুজয়ের, কেন যেন খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছে লোকটাকে, কোথায় যেন দেখা হয়েছে তার সাথে, খুব পরিচিত লাগছে চোখের এই দৃষ্টি। “ধুর! ঘুম না হইলে খালি আজাইরা চিন্তা ভর করে মাথার মধ্যে”, মাথা ঝাকি দিয়ে সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে পকেটে চাবিটা নিয়ে রুমের দিকে পা বাড়ায় সে।



সারা দিনরাত বেঘোরে ঘুমিয়ে ভোরের দিকে ঘুম ভাঙ্গে সুজয়ের, আচমকা চিনতে পারে লোকটাকে, মনে পড়ে যায় দুই বছর আগের ক্যাম্পাসের সামনের ফার্মেসিতে দেখা হয়ে যাওয়া লোকটার কথা। লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামে সে, মুখ হাত ধুয়ে নিচে রিসেপশনের গিয়ে বসে; লোকটার মনে হয় আজ নাইট ডিউটি পড়েছে, কাউন্টারে বসে ঝিমুচ্ছে। গুটি গুটি পায়ে তার দিকে এগিয়ে যায় সুজয়, খুব কাছ থেকে কিছুক্ষণ পরখ করে তাকে, হুমম, ঠিকই চিনেছে তাকে, এই সেই লোক!





চার.



সুজয়ের চোখের দিকে কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে আসলাম কবির বলেন, “কিছুক্ষণের মধ্যে আমার শিফটিং ডিউটি শেষ হচ্ছে, আজ রাতে কি আপনি আমার বাড়িতে যেতে পারবেন? রাতে খাবেন, কাছেই বাসা এখান থেকে। সি.এন.জিতে গেলে আধা ঘন্টা লাগবে; আমরা না হয় ভ্যানে করেই যাবো, দুই ঘন্টার মত লাগবে বাড়ি পৌছুতে, গল্পটা বলার অনেক সময় পাওয়া যাবে।”



-- “মানুষের চুলও যে এত সুন্দর হতে পারে সেটা আমার কল্পনাতেও ছিল না। তখন কলেজে পড়ি, পড়াশুনা খেলাধূলা সব লাটে উঠেছে; সারাদিন শুধু তার চুলেই ডুবে থাকি। চিন্তায় চেতনায় স্বপনে মরমে শুধু তার চুল আর চুল। বলতে গেলে আমি তার চুলের প্রেমে পাগলই হয়ে গেলাম”, কেমন যেন উদাস হয়ে উঠলো আসলাম কবিরের কণ্ঠ।



পেছনে পা ঝুলিয়ে বসে আছে দুজন, ফাঁকা রাস্তায় তুমুল বেগে চলছে ভ্যান। সন্ধ্যা নামি নামি করছে, চারদিকে ঝিঁঝিপোকার যুগপৎ সুরেলা ঝংকার, চাঁদটা গাছের ডালপালার আড়ে আড়ে উঁকিঝুঁকি মারছে, কিছুক্ষণের মধ্যে আরও উপরে উঠে যাবে। একটু উসখুস করছে সুজয়, এমন পরিবেশে একটা সিগারেট হাতে না থাকলে ভাব আসে না। কিন্তু মুরুব্বি একজনের পাশে বসে সিগারেট ধরাতে কেমন অস্বস্তি লাগছে। লোকটা খুব গুছিয়ে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে, খুব সম্ভবত চাপাইনবাবগঞ্জের আশেপাশে হবে বাড়ি, এখানে হয়তো চাকরী সুবাদের থাকে, ভাবে সে।



-- “সিগারেট ধরাবেন? আরে কোন সমস্যা নাই, ধরান; আপনার বয়স তো আমিও পার করে এসেছি”, যেন সুজয়ে মনের কথাটা পড়ে ফেলেছে!, “যা বলছিলাম, প্রথম যেদিন তাকে মনের কথাটা বলি সেদিন মনে হচ্ছিলো মাথা ঘুরে পড়ে যাবো, পা কাঁপছিল ঠকঠক করে, গলা শুকিয়ে কাঠ, হৃদপিন্ড গলা দিয়ে বের হয়ে আসি আসি করছে, মুখ দিয়ে শুধু বলতে পারলাম, ‘তোমার চুলকে অনেক ভালোবাসি’। সে কিছুক্ষণ স্থির আমার চোখের দিকে তাকিয়ে শুধু বলছিল, ‘শুধু আমার চুলকে?’ বলেই স্মিত হেসে চলে গেল আর আমি পেছন থেকে তার চুলের দিকে তাকিয়ে কল্পনার জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। কতক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম মনে নেই তবে শীতে যখন কাঁপুনি শুরু হয়ে গেলো তখন উপলব্ধি করলাম খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজছি”, আসলাম সাহেবের মুখে গল্পের খৈ ফুটেছে, চাঁদের আবছা আলোয় ঝলমল করছে তার মুখমন্ডল।



চাঁদটা আরেকটু উপর উঠে এসেছে, আজ কী পূর্নিমা? নাহ! গতপরশু পূর্নিমা ছিল। একাগ্রচিত্তে গল্প শুনে যাচ্ছে সুজয়। লম্বা করে টান দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়ায় গাল ভর্তি করে নিয়ে চাঁদ লক্ষ করে সবটুকু ছেড়ে দেয় একসাথে, যেন ধোঁয়ায় চাঁদকে ঢেকে দেওয়ার প্রয়াস, “তারপর কি হলো?”



-- কিভাবে যে সময় কাটছিল টেরই পাচ্ছিলাম না, কত স্বপ্ন, দিবাস্বপ্ন, সংসার সাজানোর পরিকল্পনা সব মিলিয়ে হাওয়ায় উড়ছিলাম। জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেলাম সেই সময়।



জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকে সুজয়।



-- দূরের কোথাও উদাস নয়নে তাকিয়ে বলে চলছে আসলাম সাহেব, “পুকুর পাড়ে সে দাঁড়িয়ে ছিল পেছন ফিরে, আমি আলতো করে পেছনে গিয়ে তার চুলে নাক ডুবিয়ে দাঁড়ালাম, উফ! চুলের কি মাতাল করা সুরভি! পাগল করা সৌরভ, আবেসে আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল; লম্বা করে একটা দম নিয়ে যতক্ষন পারি বাতাসটা ফুসফুসে আটকে রাখলাম, তার চুলের প্রথম ও শেষ ছোঁয়ার গন্ধ!”



চমকে উঠে সুজয়! শেষ? মানে? তবে কি সেই প্রেমিকা আর বেঁচে নেই? না কী তাদের এর পরেই ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছিল? নানান নেতিবাচক সম্ভাবনা উকি দেয় তার মনে, “শেষ?”



-- হুমম, শেষ। মুহূর্তেই সে ঘুরে তাকালো আমার দিকে, চোখ দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছিলো তার, খুব ঠান্ডা মাথায় কঠিন স্বরে চিবিয়ে চিবিয়ে প্রতিটি শব্দের উপর জোর দিয়ে বললো যে তার চুলে ভীষণ এলার্জি আছে জন্ম থেকেই, কেউ চুলে ছুঁলেই মাথায় আগুন ধরে যায়, সমগ্র শরীর চিড়বিড় করে উঠে। আমি যেন তার চুলে কখনো হাত না দেই। তাকে বিয়ে করতে হলে, তার সাথে সংসার করতে হলে এটা মেনেই করতে হবে, অন্যথায় নয়; শর্ত দিয়ে দেয় সে।



কণ্ঠের হঠাৎ পরিবর্তনে চমকে তার দিকে তাকায় সুজয়, চেহারের মধ্যে আগের সে প্রেমিক প্রেমিক রোমান্টিক ভাবটা উধাও; সেখানে বুনো কঠোর একটা ছায়া প্রকট হয়ে উঠেছে। লোকটা কি প্রতিশোধ স্পৃহায় ভুগছে? চুল ফেলে দেওয়ার ঔষধই কি প্রতিশোধের অস্ত্র? এসিড ছুড়ে মারার মত? চিন্তিত হয়ে পড়ে সুজয়।



-- “তুলিকে ছাড়া বেঁচে থাকা চিন্তাও করতে পারি না, তার চেয়ে বেশি ভালোবাসি তার চুলকে! এই চুলের স্পর্শ কখনো পাবো না ভাবতেই পারছিলাম না, আমার জীবনের সবকিছু অর্থহীন মনে হচ্ছিলো।”, গলাটা কেমন ধরে আসছিল আসলাম সাহেবের, একটু দম নিয়ে আবার শুরু করলেন, “কিন্তু তুলিকে হারালে তো তার চুলকেও সাথে হারাতে হবে! নাহ, কোন ভাবেই এই তার চুলকে আমার জীবন থেকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না; দরকার নেই চুলে হাত দেওয়ার, নিলাম না এই জনমে এই চুলের ঘ্রাণ, চোখে তো দেখতে পারবো! এটাই আমার জন্য ঢের”।



গল্প কোন দিকে টার্ন নিচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না সুজয়। কিছুটা বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে আসলাম সাহবের গল্প শুনে যাচ্ছে সে।



-- “এই ভ্যান, ভাই একটু থামাও তো” বলেই সুজয়ের দিকে মিষ্টি করে হাসি দিয়ে বললো, “ভাই, একটু বসেন আমি ঐ ফার্মেসি থেকে ঘুরে আসি, এক মিনিটের ব্যাপার”।



দূর থেকে আসলাম সাহেবকে দেখেই ফার্মেসির লোকটি চিৎকার দিয়ে বললো, “নাই ভাই, এখনো আসে নাই ঐ ঔষধ। কইলাম তো আইলে আপনেরে সবার আগে দিমু”



অন্য রকম একটা সন্দেহ উকি দেয় সুজয়ের মনে। লোকটা এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বাড়ি ফেরে আর প্রতিদিনই কি বিভিন্ন ফার্মেসিতে গিয়ে চুল ফেলে দেওয়ার ঔষধ খুঁজে বেড়ায়? লোকটা মানসিক ভারসাম্যহীন নয় তো? এই প্রথম ভয় পেল সুজয়। আসলাম সাহেব এসে ভ্যানে পুনরায় বসতেই তার মুখের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় সে, “নাহ, অস্বাভাবিক কিছুতো চোখে পড়ছে না! তবুও ভয়ের একটা স্রোত বয়ে যায় সমগ্র শরীরজুড়ে”, কিছুটা সংশয় নিয়ে বলে, “আসলাম ভাই, বাড়ি আর কত দূর?”



-- আরে এই তো প্রায় চলে এসেছি। ঐ ভ্যান, জোরে চালাও। হুম, যা বলছিলাম, “বিয়ের পর ভালোই কাটছিলো আমাদের দুজনের চড়ুইভাতির সংসার। দুবছর পর আমাদের একটা ছেলে হয়। তারপর থেকে পাল্টে যায় আমাদের জীবনের মোড়। হাসপাতাল থেকে প্রথম যেদিন বাড়ি ফিরি কেমন যে লাগছিল আমার! বারবার মনে হচ্ছিলো এতদিন ছিলাম আমরা দুজন আর আজ থেকে এই বাসায় আমার তিনজন। কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ছোট্ট ছেলেটা আমার! কাঁথার ভেতরে কঁচিকঁচি হাতদুটা প্যাঁচানো, সেখানে কি ছোট ছোট আঙ্গুল! প্রথম যখন সে কাঁথা থেকে হাত বের করলো তখনই ঘটে আমার জীবনের সবচেয়ে আজব সেই ঘটনা! হাত বের করেই সে মায়ের চুল ধরে বসে, আর তো ছাড়ে না! সবচেয়ে অবাক লাগলো তার মায়েরও দেখি কোন ভ্রুক্ষেপ নেই! কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে, লাফিয়ে না উঠে দিব্বি ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো!”



“কি নাম আপনার ছেলের? এখন নিশ্চয় স্কুলে পড়ে?”, জিজ্ঞেস করে সুজয়।



-- কোন উত্তর না দিয়ে আপন মনে নিজের গল্প বলে যায় আসলাম সাহেব, “সেই থেকে শুরু। ছেলে যতক্ষণ জেগে থাকে সে মায়ের চুল ধরে থাকে। চুল ধরেই খেলা করে, চুল ধরেই মায়ের দুধ পান করে, চুল ধরেই ঘুমিয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে ঘুমের মধ্যেও চুলের খোঁজে এদিক সেদিক হাতড়িয়ে বেড়ায়। তখন আমার স্ত্রী নিজ হাতে কিছু চুল তার ছোট্ট মুঠিতে এগিয়ে দেয়”



বাহ! ভালো তো! নিশ্চয় ছেলে হওয়ার পর আপনার স্ত্রীর চুল নিয়ে ঐ এলার্জি রোগটা সেরে উঠেছে?



সুজয়ের প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে তিনি বললেন, “এইতো বাড়ি চলে এসেছি, নেমে পড়ুন। ভ্যানভাই তুমি থাক আমরা আবার যাব উনাকে নামিয়ে দিয়ে আসতে।”, বাড়িতে পা দেওয়ার সাথেসাথেই বিদ্যুৎ চলে গেল। “ধুর! এখন নিশ্চিত দুই থেকে আড়াই ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকবে না! তুলি, এই তুলি মেহমান নিয়ে এসেছি, খাবারের ব্যবস্থা কর।” বলতে বলতে অন্দরমহলে যায় আসলাম কবির সাহেব।



সুনসান নিরবতা, ঝিঁঝির ডাকটাও যেন মিইয়ে গেছে, অদূরে একটা নিসঃঙ্গ শিয়াল একাকী হুক্কাহুয়া রবে ডেকে উঠে, সুজয়ের গা টা কেমন যেন কাঁটা দিয়ে উঠে। ঘরের ভিতর থেকে একটা নারীমূর্তির অবয়ব ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠে, হাতে উচু করে ধরে রেখেছে ছোট একটা জ্বলন্ত মোম। ভয়ংকর চমকে উঠে সে, আতঙ্কে গলা দিয়ে অস্ফুট চিৎকার বের হয়ে আসে তার;



খুব সন্তপর্ণে ফ্যাকাসে লোমবিহীন ডান হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে নারীমূর্তিটি বলে, “আমি তুলি”; শুধু ডান হাত নয়, মাথা, চোখ, ভ্রু কোথাও একফোঁটা চুল নেই তুলি নামের এই নারীর, ভয়ংকর সেই রূপ!





পাঁচ.



-- চাঁদ আবার কিছুটা নিচে নেমে এসেছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাঁশঝাড়ের আড়ালে চলে যাবে। হাওয়ার বেগে ছুটে চলছে ভ্যান। বিক্ষিপ্ত, বিধ্বস্থ; কিছুতেই ভুলতে পারছে না সুজয় আপাদমস্তক চুলবিহীন তুলির কথা; পাশে নির্বাক বসে আছে আসলাম। হঠাৎ স্তব্ধতা ভেঙ্গে সে বলে, “ছেলের বয়স যখন দুই একটু একটু হাঁটা শিখেছে তখনও মায়ের চুলের নেউটা সে, যেন চুলই তার মা, মায়ের চুলই তার জগত। আর তুলিও ছেলের চুলপ্রীতিতে অজ্ঞান! কোন কষ্টই হয় না তার, এ যে শতভাগ রুপান্তর! প্রকৃতির কি মধুর প্রতিশোধ! তুলির পূর্ণিমারোগ ছিল”



তন্ময় হয়ে শুনছে সুজয় তার কথা। একটা বাদুড় পাখা ঝাপটিয়ে মাথার কয়েক হাত উপরদিয়ে উড়ে গেলে মৃদু চমকে উঠে সে, কোন কিছুতেই তার মনোযোগ নেই বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছে তুলির চেহারা। পূর্ণিমারোগ মানে?



-- “পূর্ণিমার রাতে সে ঘরে থাকতে পারতো না, যেদিন আকাশে পূর্ণ চাঁদ উঠতো সেদিন অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ির পুকুরে গোসল করত যদিও সে সাঁতার পারতো না। তেমনি এক রাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমি ও প্রতিবেশিরা দৌড়ে যায় পুকুর পাড়ে। আমি পৌঁছানোর আগের দেখি পাড়ে উঠিয়ে নিয়ে এসেছে আমার দুই বছরের ছেলে আর তার মা কে, নিথর হয়ে পড়ে আছে দুটি দেহ। ছেলেটা দুহাতে গায়ের জোড়ে ধরে আছে মায়ের চুল। বাঁচার অন্তিম ইচ্ছায়, শেষ ভরসা হিসাবে আকড়ে ধরে আছে যেন! আমার দুনিয়া জুড়ে অন্ধকার নেমে এলো; আমিও সাথে সাথে জ্ঞান হারালাম।”, গলাটা ধরে এসেছে আসলামে, কেঁপে কেঁপে উঠছে শরীর মাঝেমাঝে।



-- নিজেকে সামলে নিয়ে আবার শুরু করে আসলাম, “মা বেঁচে যায়, কিন্তু আমার ছেলেটা বাঁচেনি। সেই থেকে প্রতি পূর্ণিমার রাতে তুলি অদ্ভুত আচরন শুরু করে, চাঁদ উঠার সাথে সাথে চিৎকার করে নিজের মাথার, গায়ের সব চুল ছিঁড়তে থাকে পাগলের মত। প্রথম প্রথম ঘুমের ঔষধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখতাম, কিন্তু কিছুদিন পর ঘুমের ঔষধেও আর কাজ হচ্ছিলো না, আবার ধীরে ধীরে তার এই আচরন প্রতি রাতেই হচ্ছিলো। এখন তাই প্রতিসপ্তাহে তাকে ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে গায়ের সব চুল কামিয়ে ফেলি নিখুঁতভাবে। সে যে কি কষ্ট হয় তার! আর আমারও কি কম কষ্ট হয়? নিজ হাতে আমার সবচেয়ে ভালোবাসার জিনিস ধংসে যে কি বিষাদ! সে থেকে আমি খুঁজেফেরি আশ্চর্য চুল বিনাশী সেই ঔষধ।”, বলে সুজয়কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে আসলাম।



চাঁদের কমল আলোয় দূরন্ত বেগে ধেয়ে চলা ভ্যানের পেছনে সুজয়কে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে একজন প্রেমিক না কি একজন বাবা? না কী তা কোন এক মায়ের হাহাকারের প্রতিধ্বনি? নিজের অজান্তেই কঠোর হৃদয় সুজয়ের চোখ ছলছল করে উঠে।

মন্তব্য ১৬২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভয়াবহ তবে অসাধারণ গল্প।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ময়ুরাক্ষী আপনাকে। একটু অন্য রকমের লেখা লিখতে চেয়েছিলাম, না জানি কেমন হয়েছে! আপনার কথায় ভরসা পেলাম। ভালো থাকুন, সামনের দিনগুলো আনন্দে কাটুক। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

অপু তানভীর বলেছেন: প্রথম মন্তব্য টা আমার হোক :)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা, অল্পের জন্য মিস :) ব্যাপার না গুড লাক নেক্সটাইম :)

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: :( :(
কি মন খারাপের গল্প লিখলেন!!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেলো? আমার নিজেরও মন খারাপ ছিল পুরো গল্পটা লেখার সময়জুড়ে :( আপনার কোমল হৃদয় ছুঁইয়ে গেছে শুনে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল অনেক অনেক।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

অপু তানভীর বলেছেন: মিস হত না! লেখার মাঝখানে একটা ফোন চলে এসেছিল! নতুবা প্রথম টা আমারই হত!!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা :)

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভয়াবহ
আলদা ধরনের গল্প ।।

বিচিত্র পৃথিবী র কষ্টের ভিন্নতা ফুটে উঠেছে
গল্পে ভাল লাগা :)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার চমৎকার কমেন্ট পেয়ে। আপনি মাত্র একটি বাক্যে গল্পের প্লটের যথার্থ বর্ণনা করেছেন! অসাধারন! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইল।

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি গল্প পড়ার ফাঁকে আবার একটা কাজে উঠে গেছিলাম। নাইলে ১ নাম্বার কমেন্ট আমারই হইত ।

এই ব্যাপারটা কেন মনে হইছে বলেন তো ---

" ফার্মেসিতে আসলে সবার মধ্যেই একটু আধটু আড়ষ্ট ভাব থাকে, ভয়ে ভয়ে থাকে, উৎকণ্ঠা লুকানোর চেষ্টা করে,"

যাই হোক আপনার ট্র্যাকের বাইরে লেখা গল্প! শুরুর অংশে সুজয়ের রুমমেটদের সাথে কাটানো অংশ বা হলের লাইফের ছিটেফোঁটা পড়তে ভালো লাগছিলো। শেষ অংশ বা গল্পের মূল যে অংশ সেটা তেমন আকর্ষণ করে নি। সব মিলিয়ে ভালো।

আর টুকটাক বানানের ব্যাপারে সতর্কতা কাম্য।

শুভকামনা রইলো

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রথম কমেন্ট নিয়ে কম্পিটিশন চলছে দেখছি! হা হা হা

এখান আসলে বুঝাতে চেয়েছি, ফার্মেসিতে মানুষ শুধু মাত্র ঔষধ কিনতেই যায়, সে কারনে একটু ভয় ভয় টেনশন কাজ করে, এই জিনিসটাই বুঝাতে চেয়েছি।

হল লাইফ রক্স! হলের লাইফের মজাই আলাদা, অনেক ডাইনামিক লাইফ, সে হিসাবে লেখাও মজার হওয়ার কথা, সেকারনেই মনে হয় আপনার ভালো লেগেছে। শেষের অংশে আসলে আরও বিস্তারিত লেখার প্রযোজন ছিল, আবেগের কিছু ঘাটতি আছে এই অংশে, একটু ফাঁকি মেরেছি বলতে পারেন, আপনি যথার্থই ধরেছেন।

আর বইলেন না! বানান নিয়ে বেশ বিব্রত অবস্থায় আছি। কিছু তো আছেই টাইপিং মিসটেক, কিন্তু বেশিভাগই অজ্ঞতা! চেষ্টায় আছি বানান উন্নতি নিয়ে, সহযোগিতে কাম্য।

অনেক ভালো লাগলো আপনাত গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: ধৈর্য একটা সীমা আছে। আমি সেই সীমা অতিক্রম করিয়াছি।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা, আল্লাহ আপনার ধৈর্য উত্তরউত্তর বৃদ্ধি করুন। শুভেচ্ছা রইল উচ্চ শির ভাই।

৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

অপু তানভীর বলেছেন: আন্টি আপনার কথার তেব্র প্রতিবাদ জানাই! আপনের কমেন্ট কখনোই আমার আগে আসতো না :P

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: পুলাপাইন তো দেখি মারমুখি যুদ্ধাংদেহী অবস্থানে :(

৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ দেবদূত। দোয়া করবেন সব সময় যেন প্রথম হই।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা :) ওকে বৎস :)

১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঠিক আছে অপু মামা, তোমার কথাই ঠিক। যাও তুমি ফার্স্ট। বাচ্চাদের সব সময় জিতিয়ে দিতে হয়, তাই প্রতিবাদ করলাম না। ;)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা

১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রারম্ভিকায় একটা ধারণা পেলাম, গল্পটা হবে চুল নিয়ে । তারপর হল লাইফের তিন তাস, খেলার আর গল্পের বর্ণনার অপূর্ব মাইন্ড গেইম । বুঝিনি, এটা ছিল দারুণ একটা গল্পের ভেতর পাঠককে ঢুকানোর অভিনব কৌশল । অসাধারণ একটা গল্পের রস পূর্ণ আস্বাদনের জন্য পাঠকের এইটুকুন রিফ্রেশমেন্ট দরকার ছিল খুব ।

তার পর যা যা ঘটে চললো, এপিক কোন ক্লাসিকের গল্প-মঞ্চায়ন বললে কম বলা হবে ।

একটা বিরতির পর এমন একটা ব্রম্মাস্ত্র নিয়ে ফিরবেন ভাবিনি ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় মামুন ভাই, প্রশংসায় আপনি বরাবারই হাতেম তাই। তিন তাসের মাধ্যমে গল্পে যে কাকতালিয় ব্যাপারটা ঘটবে সেটার ইঙ্গিত দিতে চেয়েছিলাম, আপনার মত মনোযোগী পাঠকের কাছে এটা চমৎকারভাবে প্রকাশ পেয়েছে। অনেক ভালো লাগলো।

আপনার কমেন্টটার কিছু কিছু শব্দ হৃদয়ের গিয়ে ঠেকেছে, 'এপিক','ক্লাসিক','ব্রম্মাস্ত্র'! বারবার ঘুরে ফিরে শব্দগুলো পড়ছি আর ভালো লাগা অনুভব করছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় লেখক। শুভকামনা রইল।

১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

ইমরান-উল-ইসলাম বলেছেন: ভাল লেগেছে । কেমন জানি একটু হারিয়ে গিয়েছিলাম ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল লেগেছে শুনে আমার নিজেরও ভালো লাগার অনুভূতি হচ্ছে। একটা লেখা কোন পাঠকের ভালো লাগলেই না লেখার আনন্দটা পুরাপুরি পাওয়া যায়। শুভেচ্ছা রইল সেই সাথে শুভকামনা।

১৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

ইমরান-উল-ইসলাম বলেছেন: আশা করি ভবিষ্যতে আরও ভাল কিছু পাব । ধন্যবাদ আপনাকেও ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কাজের ফাকে, অবসরে, শখের বসে লিখি তো, তাই অনেক কষ্ট করে সময় বের করতে হয়। চেষ্টায় আছি চালিয়ে যাওয়ার। আপনাদের সহযোগীতা কাম্য। শুভকামনা রইল অনেক অনেক।

১৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

রায়হান চৌঃ বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে...... :)
ভালো থাকবেন.....

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রায়হান ভাই আপনাকে। ভালো লেগেছে শুনে খুব আনন্দ হচ্ছে, কষ্টটা আর কষ্ট থাকলো না, আনন্দের রুপান্তর হয়ে গেছে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

১৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

সুমন কর বলেছেন: বরাবরের মতো অনেক ভাল হয়েছে। মাঝে একটু অন্য রকম ছিল।
তবে শেষে আসলাম + তুলির গল্প বেশ লাগল।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই,আপনার ভালো লাগা অনুভব করতে পালাম, শুভেচ্ছা রইল সেই সাথে শুভকামনা।

১৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

রহমান সংশয় বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রহমান ভাই, আপনার প্রশংসা পেয়ে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

তাসজিদ বলেছেন: গল্পের শেষে কি হবে তা সাধারণত পাঠক রা আগেই ভেবে থাকে। তা কখন মিলে, কখন মিলে না।
কিন্তু কল্পনার একেবারেই বাইরে যে শেষাংশ হবে তা কিন্তু ভাবা বেশ কষ্টকর।
Absolute classic.
একটি ব্যাপার ক্লিয়ার করুণ।
যেহেতু চুল চেঁছে ফেলে, সেহেতু ফার্মেসি তে কি খুঁজতে গিয়েছিল। নিশ্চয় ব্লেড নয়।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনি এভাবে প্রশংসা করলেন! লজ্জাই রক্তিম হওয়া ছাড়া গতি নেই। অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে। পরবর্তি লেখার ক্ষেত্রে এটা পাথেয় হয়ে থাকবে।

আসলাম সাহেবের এটা এক ধরনের মানসিক রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিজের অজান্তেই। উনি ফার্মেসি দেখলেই গিয়ে খোঁজ করেন চুল ফেলে দেওয়ার কোন ঔষধ, ক্রিম বা তেল আছে কি না। এটা উনি প্রতি দিন বাড়ি ফেরার পথে সব ফার্মেসিতে খোঁজ নেন।সুজয়ের মাথায় কিন্তু এই সম্ভাবনা উঁকিও দিয়েছিল, যখন সে ভ্যান থেকে নেমে ফার্মেসির দিকে এগিয়ে যায় আর দূর থেকেই ফার্মেসির লোকটা তেমন কোন ঔষধ নেই বলে জানিয়ে দেয়। ব্যাপারটা আরও বিস্তারিত লিখলে পাঠকের বুঝতে সুবিধা হতো, কিন্তু সে ক্ষেত্রে গল্পের আকারও জ্যামিতিক হারে বাড়তো! আপাতত দুইটার মধ্যাবস্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে আমাকে।

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহ প্রদানের জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

১৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০২

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: ভাল লাগল। শুভ কামনা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাদিয়া আপু, আপনার ভালো লাগা আমাকেও ছুঁইয়ে গেল। আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

১৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫২

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
গল্পে ছোটগল্পের স্বাদটা পেলাম।
শুভ কামনা। [প্লাস]

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আমার ছোট্ট এই ছোট গল্প আপনার ভালো লেগেছে দেখে বেশ তৃপ্তি পাচ্ছি, কষ্টটা স্বার্থক মনে হচ্ছে। আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

২০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সম্পূর্ণ অন্যরকম গল্প। আসলাম আর তুলির জীবনের এক অখন্ড কষ্টের গল্পও এটি। গল্পের শেষে চমক আছে। উপস্থাপনার ভঙ্গিটিও সাবলীল। সবমিলিয়ে গল্পটি সুন্দর ও শিল্পগুণসম্পন্ন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় অর্থনীতিবিদ ভাই, আপনার কমেন্ট পেয়ে ভালো লাগলো। আপনাকে চমকে দিতে পেরেছি বলে আনন্দ লাগছে। আপনার চমৎকার কমেন্ট পরবর্তি লেখার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরনার কাজ করবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ, সেই সাথে সতত শুভেচ্ছা।

২১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৬

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: ভিন্নতা তৈরির প্রয়াসটি সুন্দর হয়েছে। জমজমাট গল্প, স্পর্শ করবার মত কাহিনী।

সতত শুভেচ্ছা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় লেখকের কমেন্ট পেয়ে অনেক অনেক ভালো লাগছে। মাত্র কয়েকটি বাক্যের চমৎকার কমেন্টটি প্রভাবকের কাজ করবে সামনের দিন গুলোতে। অনেক অনেক ধন্যবাদ সে সাথে নিরন্তর শুভেচ্ছা।

২২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: রাজকীয় প্রত্যাবর্তন বলতেই হয় !
অনেক উপভোগ করেছি গল্প , খুব চমৎকার ভাবে পাঠক কে নিয়ে গেছেন গল্পের ভিতরে !

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: এত উদ্ভাসিত প্রশংসা! অভি ভাই! লজ্জাই ফেলে দিলেন! অনেক অনেক ধন্যবাদ অভি ভাই। অনেক ভালো লাগলো আপনার চমৎকার কমেন্ট, আপনার উপভোগটা ঠিক ঠিক অনুভব করতে পারলাম। শুভ কামনা রইল অনেক।

২৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০২

বৃতি বলেছেন: তুলির চুল নিয়ে আসলাম কবিরের অবসেশন অসুস্থতার পর্যায়ে। অন্যরকম গল্প। ভাল লাগলো।

শুভকামনা আপনার জন্য।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ভালো লাগছে প্রিয় লেখকের সুন্দর কমেন্ট পেয়ে। আপনি যথার্থই ধরেছেন আসলাম কবিরের অবসেশন অসুস্থতার পর্যায়ে। অনেক ধন্যবাদ বৃতি আপনাকে। অনেক শুভকামনা রইল।

২৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:১৩

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: প্রারম্ভিকায় একটা ধারণা পেলাম, গল্পটা হবে চুল নিয়ে । তারপর হল লাইফের তিন তাস, খেলার আর গল্পের বর্ণনার অপূর্ব মাইন্ড গেইম । বুঝিনি, এটা ছিল দারুণ একটা গল্পের ভেতর পাঠককে ঢুকানোর অভিনব কৌশল । অসাধারণ একটা গল্পের রস পূর্ণ আস্বাদনের জন্য পাঠকের এইটুকুন রিফ্রেশমেন্ট দরকার ছিল খুব ।
সহমত



অনেকদিন পর ব্যাতিক্রমধর্মী একটা গল্প পড়লাম ।
আপনার জন্যে শুভকামনা থাকল । :)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মিসির আলি ভাই, খুব ভালো লাগলো আপনার চমৎকার কমেন্ট পেয়ে। ব্যাতিক্রমধর্মী গল্প উপহার দিতে পেরে আমার নিজেরও খুশি খুশি লাগছে। আপনার জন্যেও শুভেকামনা রইল।

২৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: ভালো লিখেছেন :) চমৎকার ।।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাদিক ভাই, আপনার ভালো লাগাটা ঠিকঠিক অনুভব করেতে পারলাম। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

২৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম। কৌতুহল বজায় ছিলো সবসময়। মর্মান্তিক পরিণতি ভালোই ধাক্কা দিলো। আপনার ট্র‌্যাকের বাইরের গল্প বলে মনেই হয় নি, এতটাই সাচ্ছ্যন্দে এগিয়েছে। সব মিলিে চমৎকার লাগলো ভাইয়া।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় হাসান, তোমার সুন্দর কমেন্ট পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। সাইন্স ছাড়া গল্প লেখা যে কি কঠিন এটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি, তোমরা কি সহজেই এই কঠিনতম কাজগুলো করে ফেলছ! দেখি এখন দুই ট্র্যাক একসাথে চালাবো, বেশ কিছু প্লট মাথায় জট পাকিয়ে আছে, দোয়া কইরো। দুনৌকায় না আবার পা দেওয়া হয়ে যায়, হা হা হা। অনেক শুভকামনা রইল।

২৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

জুন বলেছেন: ভিন্ন ধর্মী গল্প দেবদূত ।
ভালোলাগা অনেক অনেক ।
+

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুন আপু, আপনার ভালোলাগা অনুভব করে্তে পারলাম। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর কমেন্ট। শুভকামনা রইল অনেক।

২৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

কয়েস সামী বলেছেন: বাংলা সাহিত্যে গল্পটা চিরজীবী হয়ে থাকবে। গুড জব ব্রাদার!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় কয়েস সামী ভাই, আপনি এভাবে প্রশংসা করলেন! লজ্জাই লাগছে! তথাপি অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা সেই সাথে শুভকামনা।

২৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০০

লালপরী বলেছেন: অসাধারন +++++্

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লালপরী আপনাকে। আপনার ভালো লাগা আমাকেও ছুঁয়ে গেল। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

৩০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২০

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: প্রিয়তে রেখে দিলাম । কাল ইনশাআল্লাহ্‌ পড়বো ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কোন সমস্যা নেই আপু, ব্যস্ততা কাটীয়ে সময় নিয়েই পড়ুন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

৩১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

রাসেলহাসান বলেছেন: গল্পের মাঝে হারিয়ে গেছিলাম। এক কথায় চমৎকার লিখেছেন!!
ভালো লেগেছে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাসেল হাসান ভাই। গল্পে হারিয়ে গিয়েছিলেন শুনে ভালো লাগছে, আপনার ভালো লাগা আমাকেও ছুঁইয়ে গেছে। ভালো থাকুন, সামনের দিনগুলো আনন্দে কাটুক, শুভকামনা রইল।

৩২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মাথা ন্যাড়া করার পর এই গল্প পাঠের অভিজ্ঞতা নিশ্চয় আর নতুন করে বলার উপায় নেই। :P :( তবে যাই বলেন না কেন, লেখাটা খুবই স্পর্শ করেছে। কি চমৎকার একটা প্রেক্ষাপটে লিখলেন। মন খারাপের অনুভব যখন পাঠকের মধ্যে তীব্রভাবে প্রবেশ করে তখন সেই গল্প কেমন হয়েছে তা নিয়ে আর বলার কিছু থাকে না।

অনেক ভালো থাকুন প্রিয় লেখক। অনেক শুভেচ্ছা রইল। :)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই, আপনার ন্যাড়া হওয়া আর আমার গল্পের প্লট একই সময়ে হয়ে যাওয়াটা বেশ কাকতালিয়ই বটে, হা হা হা।

এই গল্পটা আপনাকে স্পর্শ করেছে জেনে ভাল লাগছে, সেই সাথে গল্পের কষ্টটা আপনার মধ্যে তীব্রভাবে প্রবেশ করেছে জেনে বেশি খুশি খুশি লাগছে। পাঠক যত বেশি কষ্ট পাবে, লেখক ততবেশি সফল; যে লেখক যত বেশি নিষ্ঠুর সে তত জনপ্রিয়, হা হা হা;

আপনিও ভালো থাকুন, অনেক শুভকামনা রইল।

৩৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

চাঁদের কোমল আলোয় দুরন্ত বেগে ধেয়ে চলা ভ্যানের পেছনে সুজয়কে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে একজন প্রেমিক নাকি একজন বাবা? নাকি তা কোন এক মায়ের হাহাকারের প্রতিধ্বনি? নিজের অজান্তেই কঠোর হৃদয় সুজয়ের চোখ ছলছল করে ওঠে।

অসাধারণ একটা কাহিনি পড়লাম। আমি তাসজিদের কথার প্রতিধ্বনি করি। একেকটা টার্নিং পয়েন্টে এসে মনে হয়েছে গল্পের পরিণতি এরকম হতে পারে- কিন্তু প্রতিবারই দেখেছি গল্প নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। পাঠককে ধরে রাখার এ ক্ষমতাটি আপনার।

মর্মস্পর্শী কাহিনি।

সেকেন্ড রিডিঙয়ের সময় খানিকটা এডিট করলে কিছু কিছু বাক্য আরও ধারালো হবে।

শুভ কামনা সাইফুল ভাই।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: বস্‌, আপনার মত বোদ্ধা পাঠক ও গুণী লেখকের চমৎকার প্রশংসামূলক কমেন্ট পেয়ে বেশ তৃপ্তি লাগছে। অনেক ধন্যবাদ।

আপনি সঠিকই বলেছেন, কিছু কিছু বাক্য গঠনে দুর্বলতা রয়ে গেছে, আর বানানের ভুল তো আছেই, সময় নিয়ে ঠিক করে দিব। কিন্তু সমস্যা হলো গিয়ে, একবার লেখা শেষ হয়ে গেলে আর রিভিশন দিতে ইচ্ছা করে না, ছাত্রাবস্থায় জীবনেও পরীক্ষার খাতা রিভিশন দেই না, সে কারনে বাবা-মার ঝাড়িও কম খাই নাই, সেই বাজে অভ্যাসটা এখনও আছে। এটা আমার একটা বড় ধরনের সমস্যা। গল্পের পুরা প্লটটা যেহেতু মাথায় ছিল তাই পুরো গল্পটা দুই রাত মিলিয়ে একটানে টাইপ শেষ করেই ব্লগে দিয়ে দিয়েছি। এটা ঠিক না, চেষ্টা করব পরের গল্পগুলোর ক্ষেত্রে এই জিনিসটা যাতে না ঘটে।

আপনার মত শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুব্লগারদের কাছে কিন্তু এধরনের গঠনমূলক সমালোচনাই আশা করি, যেটা আমার জন্য সত্যিকারের উপকারী।

আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ, আশা করি পরের গল্পগুলোতে আরও বেশি বেশি সমালোচনা করে আমাকে কৃতার্থ করবেন। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

৩৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: একেবারে নিখুঁত একটা গল্প । আমরা সবাই নানারকম গল্প বহন করে যাই, কোনও কোনও টা এতই বিচিত্র যে মনে হয়না এমন কিছু হতে পারে, অথচ ঠিক হয়ে যায় , যাবে সবসময় । এটা তেমন একটা গল্প, হৃদয় ছুঁয়ে যায় ।

আমি আপনার রসবোধের ভক্ত সবসময়ই , "যদি মুখে দাঁতের সংখ্যা বত্রিশ না হয়ে বিয়াল্লিশ হতো তবে একে বিয়াল্লিশ দন্ত বিকশিত হাসি বলা হত নিঃসন্দেহে" । এমন অনেক মজার লাইন আছে । যখন হলে ঢুকে পড়ে সুজয় তখন মনে মনে খটকা লাগে এই দৃশ্য কি আদৌ দরকার ছিলো, কিন্তু আস্তে আস্তে বুঝতে পারি এটা ছিল পাঠককে গল্পের ভিতরে একটা কৌশল, কৌশল সুজয়ের কৌতূহলী চরিত্রকে আরেকটু পরিষ্কার করা । আর কক্সবাজারে এসে রোমাঞ্চকর হয়ে উঠলো গল্পটা । কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছিলো কিছুটা রহস্য লাগছিলো ! আর আবেগে মাখামাখি হয়ে সত্যিকারের ট্রিট । মেদহীন বাক্যবিন্নাস আর ঝরঝরে শব্দচয়ন মুগ্ধ করে গেলো বরাবরের মতোই, " লম্বা করে টান দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়ায় গাল ভর্তি করে নিয়ে চাঁদ লক্ষ করে সবটুকু ছেড়ে দেয় একসাথে, যেন ধোঁয়ায় চাঁদকে ঢেকে দেওয়ার প্রয়াস" ।

পরিশেষে ক্ষীণ আপত্তি জানাই । "সুজয়কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে আসলাম" , আমার মনে হয় ছেলেরা হয়তো এভাবে কাঁদে না কিংবা হঠাৎ কোনও ঘটনার মুখোমুখি হলে হয়তো কাঁদে কিন্তু পুরনো ক্ষত কি এইভাবে চিৎকার করে কাদায়?? নীরব অশ্রু কি আরও বেশী সংবেদনশীল হতো না?? আর শেষ লাইনগুলো আরও কলিজাচেরা হতে পারতো বা কিছুটা দার্শনিক !

তবে এসব নিতান্তই আমার লেখক দৃষ্টিকোণ । পাঠক হিসেবে আমি পরিতৃপ্ত ।

আপানকে শুভেচ্ছা, অনেকদিন পর দেখালাম, ভালো ছিলেন আশা করি । :) :)

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় লেখক আদনান ভাই, দেরিতে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য দুঃখিত, আজ সারাদিন দৌড়ের উপরে ছিলাম বলে আপনার চমৎকার কমেন্টটি দেখেও রিপ্লাই দেওয়ার লোভ সামলিয়ে রাখতে হয়েছে, যদিও অনেক কষ্ট হয়েছে, জিহ্বের জলটা পড়ি পড়ি করেও পড়তে দেইনি।

আপনি এত সুন্দর করে বিশেষণ করেছেন, বারবার ঘুরে ফিরে পড়তে ইচ্ছা করছে। ব্যাপক ধন্যবাদ।

আপনার কমেন্ট সব সময় আমার কাছে আকর্ষণীয় এই কারনে যে আপনি ভালো লাগা জানানোর পাশাপাশি দুর্বল দিকগুলোও সুন্দর করে তুলে ধরেন, নিজের মতামত স্পষ্ট করে তুলে ধরেন; যে কারনে আপনার কমেন্টগুলো আদতে গল্পেরই একটা অংশ হয়ে যায়। এমন পাঠকমন্তব্য পাওয়া যে কোন লেখার জন্য অলংকারস্বরুপ।

আপনি শেষে যে পর্যবেক্ষণটা দিয়েছেন, একেবারেই যথার্থ। আসলে লিখতে লিখতে আমি নিজেই মনে হয় গল্পের ভিতর ঢুকে গিয়েছিলাম, যে কারনে আবেগের উচ্ছোসিত বহিপ্রকাশ ঘটে গেছে আমার নিজেরই, হা হা হা। পরে সময় করে এই জায়গাটাতে কাঁচি চালাতে হবে :)

সবশেষে বিশাল একটা ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল প্রিয় ব্লগার।

৩৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫১

উদাস কিশোর বলেছেন: গল্পে একটা আলাদা ইমেজ পেলাম ।
চমত্‍কার

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ উদাস কিশোর ভাই, আপনার চমৎকার কমেন্ট পরবর্তি লেখার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরনার কাজ করবে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

৩৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গল্পটা যতক্ষণ পড়ছিলাম ভুলেও কল্পনা করি নি এরকম একটা ব্যাপার দেখতে পারব। চমৎকার একটা গল্প লিখেছেন ভাইয়া। দৃশ্যপটের বর্ণনাগুলো খুব উপভোগ করেছি। আপনি যে কল্পগল্পের সাথে অন্য গল্পও দারুণ লেখেন সেই প্রমাণ পেলাম। এখন ভাবছি 'যে রাঁধে সে কি চুলও বাঁধে না??'

উপরে মন্তব্যগুলোতে স্বনামধন্য ব্লগারগণ দারুণ সব মন্তব্য করে আপনার লেখার মুন্সীয়ানার স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। সুতরাং এখন থেকে এরকম গল্প পাওয়াও আমাদের অধিকার হয়ে গেলো। জানেন তো যে কোন সমাজেই অধিকার বঞ্চিত করাকে কখনই ভাল চোখে দেখা হয় না ;)

ভাল থাকুন প্রিয় ব্লগার। অনেক শুভকামনা।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: সুপ্রিয় মহামহোপাধ্যায় ভাই, আপনার চমৎকার প্রশংসাসূচক মন্তব্য পেয়ে বেশ ভালো লাগছে, ইচ্ছা হচ্ছে এক্ষণি ঝাপিয়ে পড়ে আরেকটা লিখে ফেলি, হা হা হা । আপনাদের এত প্রশ্রয় পেয়েই তো দিনদিন দুঃসাহসী হয়ে উঠছি। :)

এত দিন মাসে একটা করে গল্প লিখতাম, এখন থেকে চেষ্টা করব ২টা করে লিখতে, ১টা সাই-ফাই আর ১টা ছোট গল্প।

তবে এই গল্পটা লিখতে গিয়ে একটা জিনিস খেয়াল করেছি, সাইন্স ফিকশন লেখা আমার কাছে তুলনামূলক ভাবে সহজ লাগে। সাইন্স ছাড়া গল্প লেখা আসলেই বেশ কঠিন। দেখি কতদিন চালিয়ে যেতে পারি।

অনেক শুভকামনা রইল প্রিয় পাঠক। আপনাদের প্রশ্রয় যেন সাথে থাকে সবসময় :) শুভেচ্ছা।

৩৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব্বি চমৎকার গল্প ||

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও বেশ ভালো লাগছে, আপনার ভালো লাগা ঠিকঠিক অনুভব করতে পারলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

৩৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অদ্ভুত ...........

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কান্ডারি ভাই, আপনার এই এক দুই শব্দের কমেন্টগুলো এত গভীর হয় যে বেশি শব্দই যেন বাহুল্য। অনেক উপভোগ্য আপনার অনুভুতির প্রকাশের এই প্রয়াস। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল অনেক।

৩৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩০

বেলা শেষে বলেছেন: চাঁদের কমল আলোয় দূরন্ত বেগে ধেয়ে চলা ভ্যানের পেছনে সুজয়কে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে একজন প্রেমিক না কি একজন বাবা? না কী তা কোন এক মায়ের হাহাকারের প্রতিধ্বনি? নিজের অজান্তেই কঠোর হৃদয় সুজয়ের চোখ ছলছল করে উঠে।

To much beautiful, i like it , i feel it , i touch it ....
....a lot of thanks.
Up to next time.

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বেলা শেষে ভাই। আপনার সুন্দর কমেন পরবর্তি লেখার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

৪০| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এমন একটা কমপ্লিমেন্ট দিলেন যে প্রতি উত্তরে কিছু গুছিয়ে বলতে পারতেছিনা শুধু তাই ধন্যবাদ দিলাম আপাতত।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা, আরে ব্যাপার না। অনেক শুভকামনা রইল।

৪১| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৫০

নোমান নমি বলেছেন: এক টানে পড়লাম। বেশ ভালো লেগেছে।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।আপনার ভালো লাগা আমাকেও ছুঁইয়ে গেল। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

৪২| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

এহসান সাবির বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে। একটু মন খারাপ হয়েছে.......


শুভেচ্ছা।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। আপনার ভালো লাগা ও একটু মন খারাপ হয়ে যাওয়া - এই দুয়ের মিশ্র অনুভুতিটাই আমার গল্প লেখা স্বার্থক করে দিয়েছে। ভালো থাকুন, প্রিয় পাঠক; সামনের দিনগুলো আনন্দের কাটুক। শুভকামনা

৪৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯

একলা ফড়িং বলেছেন: মন খারাপ করা অদ্ভুত সুন্দর গল্প!

চাঁদের কমল আলোয় দূরন্ত বেগে ধেয়ে চলা ভ্যানের পেছনে সুজয়কে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে একজন প্রেমিক না কি একজন বাবা? না কী তা কোন এক মায়ের হাহাকারের প্রতিধ্বনি?

গল্প শেষের এই প্রশ্নটা প্রশ্নই থেকে গেল!

০১ লা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ একলা ফড়িং ভাই, আপনার মন খারাপ ও ভালো লাগার মিশ্র অনুভুতি ঠিক ঠিক অনুভব করতে পারলাম। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল নিরন্তর।

৪৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গল্পটি ভালই লাগল
শুভকামনা +

০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৩৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু ভাই, আপনার ভালো লাগা আমাকেও আনন্দিত করেছে। শুভকামনা রইল।

৪৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আমি ভাবছিলাম বুঝি সাইফাই হবে! একজন বিজ্ঞানী চুল না হওয়ার ঔষধ খুজছেন বিশেষ কোন কারনে! তাইতো ধাক্কাটা বেশ লাগল! এমনিতেই একটু আগে বাংলাদেশ আফগানদের কাছে হেরে যাওয়ায় মনটা খুব খারাপ ছিল, গল্প পড়ে বিষাদের মাত্রা গেল বেড়ে!

দেবদূত ভাইয়া, আপনার এই ধরনের লেখার সাথে আমি পরিচিত নই! আপনি সায়েস ফিকশান গল্পের বাইরেও গল্প লেখেন এটাই ধারনা ছিলনা! অসাধারন লিখেছেন ভাইয়া।

০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৩৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আসলে একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে চেয়েছি, সাইন্স ছাড়াও গল্প লিখতে পারি কিনা। যেটা মনে হলো, সাধারন গল্প লেখা সাইন্স ফিকশনের চেয়ে অনেক অনেক কঠিন, অন্তত আমার তাই মনে হয়েছে। দেখি মাথায় আরও কয়েকটা আইডিয়া/প্লট আছে আস্তে আস্তে লিখে ফেলতে হবে।

খেলার কথা আর বইল না, ব্যাপক মন খারাপ হইছে। কিন্তু কি আর করা, আজকে দিনটাই আমাদের ছিল না। এমন কিছু সময় যায়, ব্যাপার না; ইনশাআল্লাহ, টাইগার দল আবার ঘুরে দাঁড়াবে।

তোমার ভালো লেগেছে শুনে পরবর্তি গল্প ঝটপট লিখে ফেলার তাগাদা পাচ্ছি ভিতর থেকে।

অনেক শুভকামনা রইল।

৪৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩১

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: দারুন একটা গল্প পড়লাম অনেকদিন পর।

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাভিদ ভাই আপনাকে, আপনার ভালো লাগা আমাকেও ছুঁইয়ে গেল, ভালো লেগেছে শুনে আমারও ভালো লাগছে। শুভেচ্ছা।

৪৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ পড়তে গিয়া যে কত বার মোড় খাইছি ........।

এক টানে পড়লাম

খুব খুব ভালা পাইছি

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাসুম ভাই, ভালো লাগলো আপনার সুন্দর প্রশংসাসূচক মন্তব্য। শুভেচ্ছা রইল সেই সাথে শুভকামনা।

৪৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

চেনা মুখ, অচেনা ছায়া বলেছেন: চমৎকার লাগলো গল্পটা!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ধন্যবাদ চেনা মুখ ভাই, আপনার ভালো লাগা আমাকেও ছুঁইয়ে গেল। শুভকামনা অনেক আপনার জন্য।

৪৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: Trichotillomania / ট্রিচোটিলোমিয়া
আজব ধরণের একটি মানসিক রোগ ! এই ক্ষেত্রে রোগী নিজের মাথার চুল ,মাথার চামড়ার কাছাকাছি চুল, নাকের চুল , ভ্রু এর চুল নিজ থেকেই ক্রমাগত উঠাতে থাকে!


গল্প ভালো লেগেছে। অনেকদিন সাইফাই পাচ্ছি না।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ইন্টারেস্টিং! এ ধরনের কোন মানসিক রোগ আছে সেটাই তো জানতাম না! সত্যিই আজব।

অনেক ভালো লাগলো মারুফ ভাই আপনার সুন্দর কমেন্ট পেয়ে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

সাইন্স ফিকশন লেখা চলছে, পরের গল্পটা আশা করি সাই-ফাইই হবে। ১০/১২ দিনের মধ্যে পোষ্ট দেব।

৫০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২৪

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: অনেক পড়ছে গল্পটা; কিন্তু আমি মন বসাতে পারিনি

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৪৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
ব্যাপার না :) আপনি মন বসাতে পারেন নি সেটা নিয়ে বিব্রত হওয়ার কোন কারন নেই। সবারই যে মন বসবে এমনটা মনে হয় কোন লেখকই আশা করেনা। অন্ততপক্ষে আন্তরিক চেষ্টা করেছেন নিশ্চয়, এটাই বা কম কি :) । শুভকামনা।

৫১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০২

বৃত্তবন্দী শুভ্র বলেছেন: অস্থির একটা গল্প পড়লাম :)

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় বৃত্তবন্দী শুভ্র ভাই, ভালো লাগলো আপনার অস্থির চমৎকার মন্তব্য পেয়ে। শুভকামনা রইল।

৫২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:৪৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বাস্তব কিন্তু এর থেকেও কল্পনাতীত।।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, জীবন থেকেই হয় গল্গ, গল্প থেকে জীবন নয়, তাইতো জীবন গল্পের চেয়েও কল্পনাতীত। শুভেচ্ছা রইল।

৫৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: সুজয়ের কৌতুহল ছিল সংক্রামক , বজায় ছিল শেষ পর্যন্ত । শেষে এসে বিষণ্ণতায় ছেয়ে গেছে । সন্তানের প্রতি ভালবাসা থেকে এমন কন্ট্রাডিকশন পরিনিতি ,যে নিজের সবচে প্রিয় জিনিস নষ্ট করতে হচ্ছে ,সহ্য করতে হচ্ছে প্রিয় একজনের ভয়ঙ্কর রূপ , অদ্ভুদ বিষাদময় ।

গল্পে মানবিক আবেগ স্পর্শ করা সহজ না , অনেক ভাল লেগেছে । ভাইয়া সাইফাই এর বাইরে এমন লেখা আরও গল্প পাব আশা করি ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:০৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনার চমৎকার গঠনমূলক কমেন্ট পেয়ে ভালো লাগলো। কি চমৎকার কয়েকটি বাক্যে সম্পূর্ণ গল্পের সারমর্ম তুলে ধরেছেন! বুঝাই যাচ্ছে স্কুলে আপনি "এক কথায় প্রকাশ" কিংবা "ভাবসংকোচনে" বেশ দক্ষ ছিলেন :)

এ ধরনের কমেন্ট পেলে লেখার আগ্রহ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। অনেক ধন্যবাদ অদ্বিতীয়া আমি। ভালো থাকুন, অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

৫৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৪৭

শুঁটকি মাছ বলেছেন: দারুন গল্প!!!!!!!!!!!

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৫৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শুঁটকি মাছ আপনাকে। দুই শব্দে ও গুটিকয়েক চিহ্নে যে গভীর মন্তব্য করেছেন! আপনাদের ভালো লাগে বলেই তো এই সব লেখার দুঃসাহস করতে পারছি।

ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল অনেক আপনার জন্য।

৫৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

আমিজমিদার বলেছেন: ফান কমেন্ট করতে আইসা ভয়ও পাইলাম, হার্টেও খোঁচা লাইগা গেল। গল্পের ফুটপ্রিন্ট আগে আইডিয়া করতে পারি নাই। জটিল।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জমিদার ভাই, খুব ভালো লাগলো আপনার চমৎকার কমেন্ট, ফান, ভয় আর হার্টের খোঁচা মাত্র এই তিন শব্দে দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যেন সম্পূর্ণ গল্পটা। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

৫৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অন্যরকম একটা কিছু পেলাম আপনার কাছে। গল্পের সাথে সাথে আমার মনোভাবও পরিবর্তিত হচ্ছিল একে একে। শেষটায় এসে বিষাদে ভরে গেল মন, আবার এও মনে হল, এমন গল্পে এমন পরিনতিই মানায়।

শুভেচ্ছা প্রিয় লেখক।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার। আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তুব্য পেয়ে ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

৫৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৮

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: শুভ বাংলা নববর্ষ !:#P !:#P !:#P

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।

৫৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

ইমিনা বলেছেন: কঠিন অনুসরণে রাখলাম আপনার ব্লগ বাড়ী ...
:( (ইমোটিকন বক্স থেকে পারফেক্ট ইমো খুজে পেলাম না)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ইমিনা আপনাকে। ইমোটিকনের দরকার নেই, চমৎকার দু লাইনেই আপনার ইমোশনের সুন্দর ও অর্থবহ অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। কৃতজ্ঞতা, সেই সাথে অনুপ্রেরণা।

ভালো থাকুন, শুভকামনা ও শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৫৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ইমিনা বলেছেন: যখন ই আমার খুব মন খারাপ হয়ে যায়, তখন ই খুব নিরবে, একাকী এবং পায়ের চিহ্ন না রেখে অতি সাবধানে (ব্লগে লগ ইন না করে) আপনার ব্লগ বাড়ীতে ঘুরে যাই। আপনার সৃষ্টি করা পরিবেশে খানিকটা হেটে বেড়াই, চরিত্রগুলোর সাথে কথা বলি তারপর আবার ফিরে আসি আমার পরিচিত বাস্তব পৃথিবীতে।।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১১

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
প্রিয় সহব্লগার, আপনি এভাবে বললেন লজ্জাই লাগছে। আমি এমন আর কি লেখি! কি পরিবেশ সৃষ্টি করি, কিইবা আর চরিত্র রচনা করি! শখের লেখক, তারপরও আপনাদের এমন প্রাণঢালা প্রশংসা, ভালোলাগা জানানোর নিত্যনতুন তরিকা সবই আমাকে আপ্লুত করে; ভীষণ আপ্লুত করে।

আপনার কমেন্টখানা হৃদয় ছুঁইয়ে গেল। অনেক অনেক ভালো শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য; সেই সাথে শুভকামনা।

৬০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

না পারভীন বলেছেন: গল্প পড়ে যে পরিমান শক খেয়েছি তা এখনো কাটেনি ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ভালো লাগল আপনার কমেন্ট পেয়ে। আপনাকে চমকে দিতে পেরে স্বার্থক মনে হচ্ছে। শুভেচ্ছা রইল সেই সাথে শুভকামনা।

৬১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সাম্প্রতিক মন্তব্যে হঠাৎ চোখ পড়তে গল্পের নামটা দেখি। একটু কৌতূহল জাগে 'চুল' নামকরণের কারণেই হয়তো। তারপর চলে এলাম ঐ মন্তব্যের রেশ ধরে আপনার পোস্টে। শুরুর প্যারাটা পড়েই গল্পে আটকে গেলাম। যখন বের হলাম, তখন কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইলাম। কিছুটা ঘোর কাটার পর মন্তব্য লিখছি। অদ্ভুত ভালো লাগা একটা গল্প পড়লাম।
অনেক আগের পোস্ট। তাই আমার আগে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। দারুণ কিছু মন্তব্যের মধ্যে মামুন রশিদের মন্তব্যটায় আমার কিছু কথা উঠে এসেছে। এতো সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়েছেন যে, আমি কিছু না বললেও হবে। শুধু এই টুকু বলবো এতো গুছানো গল্প অনেক দিন হল পড়ি না। আপনাকে অনুসরণ করলাম। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য শান্তির দেবদূত।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে আপ্লুত হয়ে গেলাম পুরাই। এত প্রশংসার যোগ্য হয়তো নয় এই লেখাটা, তবুও আপনাদের মত মহৎ হৃদয় সহব্লগারা যেভাবে মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করেন সেটাই আমার জন্য অনেক পাওয়া।

গল্পের নাম আপনাকে যেভাবে টেনে এনেছে, এখন থেকে নামের ব্যাপারে অনেক ভাবতে হবে দেখি, হা হা হা

অনেক ভালো লাগলো আপনার চমৎকার কমেন্টখানা, হৃদয় ছুইয়ে গেল একেবারে। শুভেচ্ছা রইল অনেক, সেই সাথে শুভকামনা।

৬২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৩

রিফাত ২০১০ বলেছেন: কষ্টের গল্প। শেষ মন্তব্যটা কি আমারই হবে? :)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আসলেই কষ্টের, আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তবেই আমার লেখা স্বার্থক।

হা হা হা, কেন ভাই শেষ মন্তব্য আপনার হবে কেন :) ? যে যত দেরিতেই মন্তব্য করুক না কেন, বেচে থাকলে শেষ মন্তব্য আমারই হবে, ইনশাআল্লাহ। :)

৬৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

শান্তির দেবদূত,
গল্পটির ওজন বুকে অনুভব করলাম ...

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় অন্ধবিন্দু ভাই, অনেক ধন্যবাদ অল্প কথায় চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। আপনার মন্তব্যের ওজনটাও ঠিক ঠিক অনুভব করতে পেরেছি। আপনাদের এমন মন্তব্য লেখার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার কাজ করে। আবারও অনেক ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল অনেক।

৬৪| ১১ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
প্রথমে আদিভৈতিক মনে হলেও আপনার বর্ণনাশৈলীর জন্য শেষে এসে বিষন্ন বেদনায় মন ছেয়ে গেল ৷ আসলাম সাহেবের জন্য মায়া লাগল আর অপূর্ব ভালবাসাময় গল্প চমৎকার লাগল ৷ বিশেষ করে গল্পের মোড় গুলো ৷ প্রেমের কতরূপ তা হয়ত পৃথিবীবাসী জানা হবে না কখনোই ৷

অনেকদিন ধরে হয়ত লিখেন না তাই বিফল মনে চলে যাই ৷


সুন্দর থাকুন ৷

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনার কমেন্টটি হৃদয় ছুইঁয়ে গেছে, এত সুন্দর করে বলেছেন যে কিছু বলার পাচ্ছি না। আসলেই প্রেমের কতরূপই না হয়! কয়টার কথাই বা আমরা জানতে পারি!

একটু বেশিই ব্যস্ততা যাচ্ছে ইদানিং, তাই একটু গ্যাপ পড়ে গেছে লেখালেখির; তবে অচিরেই আবার শুরু করব।

অনেক ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা রইল।

৬৫| ১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: খুব সুন্দর!!

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:১১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এত বড় গল্প সময় নিয়ে পড়েছেন, আপনার পড়ে ভালো লেগেছে, ভালো লাগা জানিয়ে গেছেন, সব মিলিয়ে এইতো আমার স্বার্থকতা। অনেক ভালো থাকুন প্রিয় সহব্লগার। শুভেচ্ছা রইল।

৬৬| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩০

পংবাড়ী বলেছেন: অনেকদিন হয়ে গেলো, নতুন কিছু লিখুন!

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনাদের জন্যেই তো এখনো লেখা চালিয়ে যাচ্ছি। এত আবেগ, এত ভালোলাগা আর অপেক্ষা কি উপেক্ষা করা যায়? খুব শিগরিই নতুন লেখা দেব আশা করছি। শুভেচ্ছা রইল।

৬৭| ১৬ ই মে, ২০১৪ ভোর ৫:১৫

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: কি ভয়ংকর গল্প!!! তবে এক কথায় অসাধারণ!!! :) :)

১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অঘটনঘটনপটীয়সী ভাই, (কি নিকরে বাবা!) অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। অনেক ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

৬৮| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৩:২১

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: এরকম ভয়ংকর একটা গল্প লিখেছেন আপনি। অথচ আমার সামান্য একটা নিক দেখে ভয় পেয়ে গেলেন। :P

আরও গল্পের অপেক্ষায় রইলাম। শুভ কামনা। :)




(বাই দ্যা ওয়ে, আমি ভাই না।)

২১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৫৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা , ভয়ংকর গল্প লিখলাম কোথায়? :) এটাতো ট্রাজিক-রোমান্টিক গল্প :) হা হা হা

গল্প লেখা চলছে, তবে একটু স্লো, পরের গল্প পোষ্ট দিতে একটু দেরী হতে পারে; লিখতে গেলেই ভীষণ আলসেমি চেপে বসে :(

মাই এপোলজি।

ভাল থাকুন, সামনের দিনগুলো আনন্দে কাটুক, শুভকামনা রইল।

৬৯| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটা চার-এ এসে মারাত্মক টার্ন নিল। অপ্রত্যাশিত ফিনিশিং ভাল লাগল :)

৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার, আপনার ভালো লাগা চমৎকার করে প্রকাশ করেছেন। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

৭০| ০১ লা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: চার এর শেষের দিকে এসে তুলিকে কল্পনা করতে গিয়ে শিহরিত হয়েছি ।
প্রিয় মানুষের এমন রুপ সহ্য করা কষ্টকর। সেই কষ্ট বহন করেও লোকটি তার ভালবাসার মানুষের কষ্ট দূর করতে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে ,পাগল হিসেবে আখ্যায়িত হচ্ছে তাতে যেন তার কিছুই যায় আসেনা সে শুধু ছুটছে কিভাবে তুলির কষ্ট দূর করা যায়!!!
শান্তির দেবদূত ভাইয়া আমার গল্প ভাল লেগেছে তবে মনে একটু অশান্তি ভর করেছে যেন.।

০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় স্বপ্নছোঁইয়া ভাই, আপনার কমেন্টটা একেবারে হৃদয় ছুঁয়ে গেল। আপনি মাত্র কয়েকটি বাক্যে কি চমৎকার করে সম্পূর্ণ গল্পের সারমর্ম তুলে ধরেছেন! অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সুন্দর উৎসাহপ্রদ কমেন্টের জন্য।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল অনেক।

৭১| ০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

নাজনীন১ বলেছেন: ভয়ংকর! :-&

০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা , আসলেই কি এত ভয়ংকর লেগেছে ? যেভাবে ভয়ের চোটে চুল খাড়া হয়ে যাওয়ার ইমো দিলেন, আমিই তো ভয় পেয়ে গেলাম ! হা হা হা

অনেক ভালো লাগলো আপনার কেমেন্ট পেয়ে। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

৭২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১৭

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: ভয়ংকরতার সম্নয়ে গড়ে উঠেছে প্লট: ভালো প্রকাশ, গতি আছে গল্পে

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হরিণা আপনাকে, আপনাদের প্রশংসা পেয়েই তো এলেবেলে এই লেখা গুলো লেখার সাহস করতে পারছি। অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

৭৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
প্রিয় মানুষ।

সাত ঘাটের কানাকড়ি।

সবাই এই গল্পটিকে এত ভাল বলছে কেন বুঝতে পারছি না।
আগে পড়তে হবে..............

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় লেখোয়াড় ভাই, অনেক দিন পর দেখলাম আপনাকে। ভালো ছিলেন নিশ্চয়।
সবাই ভালো বলছে আসলে মনে হয় উৎসাহ দিচ্ছে আর কি। পাঠকদের এত ভালবাসা মিশ্রিত আশকারা মুলক প্রশংসার কারনেই তো লিখে যেতে পারছি মনের আনন্দে এলেবেলে এইসব লেখা।

অনেক ভালো লাগল আপনার উপস্থিতিতে। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য, প্রিয় সহব্লগার।

৭৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৯

চড়ুই বলেছেন: ভালো লাগলো। গল্প প্রিয়তে নিলাম।

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চড়ূই আপনাকে। এত বড় লেখা কষ্ট করে পড়েছেন, চমৎকার করে ভালো লাগা জানিয়েছেন, প্রিয়তেও নিয়েছেন, সম্মানিত বোধ করছি।

অনেক অনেক শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

৭৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সেই রকম গল্পে ভালো লাগা +। শেষটা খুবই ছুঁয়ে যাবার মত। হল লাইফের বর্ণণাটুকুও বেশ লাগলো।

১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তনিমা আপনাকে। হল লাইফের বর্ণনাটুকু অভিজ্ঞতা থেকে আর বাদ বাকী কল্পনা মনে হয় সেই কারনেই এই অংশটুকু বেশ লেগেছে, হা হা হা। অনেক ভালো লাগলো আপনার প্রশংসা পেয়ে।

অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

৭৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: অনেক ক্ষণ থেকে ভাবছি কি কমেন্ট করবো....ভাবে পাচ্ছি না ভাই কিছুই। চুলের প্রেমের প্রেমিকের যেন ভয়াবহ আর্তনাদটাই অনুভব করলাম আরকি। চমৎকার লিখেছেন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে; আপনার চমৎকার কমেন্টটা খুব ভালো লেগেছে, অনেক ইন্সপায়ারিং। আপনাদের এমন চমৎকার চমৎকার উৎসাহপ্রদ কমেন্টের কারনেই তো এখনও লিখে যেতে পারেছি বার সাহস করছি।

অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

৭৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:১৪

একলা চলো রে বলেছেন: সহজ সাবলীল ভাষায় অসম্ভব রকম সুন্দর একটা মায়া ফুঁটিয়ে তুলেছেন। বর্ণনাভঙ্গী‚ উপস্থাপনা অসাধারণ হয়েছে। সাইফাই ভাবটাও বজায় রেখেছেন।

অনেক অনেক ভাললাগা গল্পে।

একটা প্রশ্ন-চুলের এলার্জি ভাবটা চলে যাওয়ার কারণটা কি ছিল?

২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ একলা চলো রে ভাই আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। এমন অনুপ্রেরণা পাই বলেই তো লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছি।

চুলের এলার্জি চলে যাওয়ার একটা সুনির্দিষ্ট কারন আছে এই গল্পে, কিন্তু সবাই এই পয়েন্টটা এড়িয়ে গেছে কিংবা খেয়াল করেনি। ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্টটি তুলে আনার জন্য। আসলে এখানে মায়ের ভালোবাসা দেখাতে চেয়েছি। এলার্জি ভাবটা হয়তো মুহূর্তেই চলে যায়নি, ধীরে ধীরে চলে গিয়েছে সন্তানের জন্য মায়ের স্যাক্রিফায়েসের কারনে। অথবা এটা ঠিক এলার্জিই ছিল না; হয়তো একটা অস্বত্বি ভাব ছিল কিন্তু সন্তানের প্রতি ভালোবাসার কারনে এই ভাবটা চলে গিয়েছে। এই গল্পটা শুধু আসলাম আর তুলির ভালোবাসার গল্প না, একই সাথে মাতৃত্ব নিয়েও।

আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল, শুভেচ্ছা অনেক অনেক।

৭৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নতুন লেখা চাই।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: একটু ব্যক্তিগত ঝামেলায় ছিলাম কয়েক মাস, এখন একটু গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পেরেছি, আশা করছি কয়েকদিনের মাঝেই একটা কিছু পোষ্ট দিতে পারব।

ভাল থাকুন প্রিয় লেখক, অনেক শুভকামনা।

৭৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: গল্পের ভেতর গল্প, তার ভেতর গল্প। শ্রদ্ধেয় লেখক, মন্তব্যের পাঠে জানতে পারলাম আপনার স্পেশালাইজেশন স্কাইফাই গল্পে। কিন্তু এ গল্পে ক্রমশ আসলাম সাহেবের চুল ফেলে দেয়ার ঔষধ খোঁজার কারণটা যেভাবে রিভিল করলেন, এতে আপনার সব ধরণের লেখনীর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা তৈরি হয়।

সতত ভালো থাকুন, আরও অনেক লিখুন আমাদের জন্যে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় আবির ভাই, অনেক ভালো লাগল আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে। আপনারা যেভাবে প্রশংসা করেন, লজ্জায় লাল হওয়া ছাড়া গতি নেই। আপনাদের এমন উৎসাহ পেয়েই না লিখে যেতে পারছি।

অনেক ভালো থাকুন, শুভকামনা ও নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল।

৮০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
শান্তির দেবদূত,
গল্প লেখা বাদ দিলেন নাকি ! খোঁজ নিয়ে গেলুম। আশাকরি লিখবেন ...

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় অন্ধবিন্দু ভাই, আপনি আবার এসে ঘুরে গেছেন, পরবর্তি গল্পের অপেক্ষায় আছেন একজন লেখকের জন্য এটাই তো পরম পাওয়া। অনেক ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আর, পরবর্তি গল্প লেখা চলছে, আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই পোষ্ট দিতে পারব।

৮১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: ভেবেছিলাম সাইনসফিকশোন কিচু হবে

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ওহ! আপনার আশা ভঙের কারন হয়ে থাকলে দুঃখিত। ইনশাআল্লাহ, পরবর্তি গল্প কল্পগল্প দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনার জন্য অগ্রীম নিমন্ত্রণ রইল। অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল প্রিয় ব্লগার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.