![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাত দে নইলে মানচিত্র খাবো!!!
ইদানিং কালে পোলাপাইনের কথা বাদ, কারণ ব্রয়লার মুরগীর একটাই কাহিনী- সারাদিন খাঁচায় বন্দী। আমাদের মত দেশী মুরগীর ছোটবেলার কাহিনী মিলিয়ে দেখুনতো কার সাথে কোনটা মিলে যায়-
১ জন্ম থেকেই মা-বাবা’র ‘পড় পড়’ জিকির শুনতে শুনতে বড় হওয়া।
২ স্কুল পলানোর দক্ষ প্রতিভা।
৩ মায়ের লাঠি না ভাঙ্গা পর্যন্ত মাইর খাওয়া।
৪ বন্ধুদের টিফিন চুরি করে খাওয়া।
৫ মাগরিবের আযান শেষ হওয়ার আগেই ঘরে ফিরে পড়তে বসা।
৬ ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ছুটির প্লানের খসড়া তৈরি করা।
৭ টিফিনের টাকা বাচিয়ে আর বেতনের টাকা মেরে স্কুল ফ্রেন্ডদের সাথে বাংলা সিনেমা দেখা।
৮ পাড়ার বড় ভাইবোনদের প্রেমের পিয়ন গিরি বিনিময় দুইটা লজেন্স অথবা একটা ঘুড়ি।
৯ পিছনের বেঞ্চে বসে কাটাকাটি খেলা।
১০ ছোট ভাইবোনদের উপর কতৃত্ব ফলানো আর বড়দের হুকুম পালন করা।
১১ জুম্মার নামাজের পর মিলাদের জিলাপির জন্য অপেক্ষা করা।
১২ ক্রিকেট খেলায় এপাড়া আর ওপাড়া ম্যাচ পাতানো।
১৩ ক্লাস টেনে থাকাকালীন একটা বিড়ি সাতজন ভাগ করে খাওয়া।
১৪ বিড়ি টেনে পেয়ারার পাতা চাবানো।
১৫ টিফিনের টাকা আর রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে ভিডিও গেমস খেলা।
১৬ ছোটবেলার প্রিয় কার্টুন নিনজা টারটেল, ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট, পাপাই......
১৭ রেজাল্টের সাতদিন আগে থেকে সেইরাম নামাজী হয়ে যাওয়া, মানে চরম ভাল মানুষ।
১৮ স্কুলের নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকলেই মনে হতো পেটে অর্ধেক বিদ্যা ঢুকে গেছে।
১৯ ছুটির দিনে বাবার করতে দেয়া ৪০টা ট্রান্সলেশন মনে হতো দুনিয়ার আজাব।
২০ বাইরে যতই দাওয়াত খেয়ে আসি না কেন বাসায় ফিরে মা’কে দেখলেই আবার খিদে লেগে যেত।
২১ বাবার পকেট থেকে একটা কয়েন পরে গেলে সেইটা পায়ের তলায় চেপে খাটের তলা টেবিলের তলা খোঁজা।
স্কুলে থাকতে মনে হতো কবে কলেজে উঠবো, কলেজে উঠার পর মনে হতো কবে ভার্সিটিতে যাবো আর ভার্সিটিতে যাওয়ার পর মনে হয় কবে একটা চাকরি পাবো। চাকরি পাওয়ার পর একটা বিয়ে, একটা সংসার...... এইটাই তো জীবন!! কিন্তু এখন মনে হয় শৈশবে ফিরে যাওয়ার পথ টা কোথায়!!!!!
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
রিয়াজ বলেছেন: বিয়াপক!!!!
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
মদন বলেছেন: ++++++++++++++++++++++
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
রিয়াজ বলেছেন: সত্যি মদন!!!
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২০
এন ইউ এমিল বলেছেন:
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
রিয়াজ বলেছেন: )
)
)
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩০
সত্যের সন্ধানী এক যুবক বলেছেন: কুলে থাকতে মনে হতো কবে কলেজে উঠবো, কলেজে উঠার পর মনে হতো কবে ভার্সিটিতে যাবো আর ভার্সিটিতে যাওয়ার পর মনে হয় কবে একটা চাকরি পাবো। চাকরি পাওয়ার পর একটা বিয়ে, একটা সংসার...... এইটাই তো জীবন!! কিন্তু এখন মনে হয় শৈশবে ফিরে যাওয়ার পথ টা কোথায়!!!!! .............
..ভাই আমার মনের কথাটি বলেছেন।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
রিয়াজ বলেছেন: )
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
ইমাম হাসান রনি বলেছেন:
ক্লাস টেনে থাকাকালীন একটা বিড়ি সাতজন ভাগ করে খাওয়া।
১৪ বিড়ি টেনে পেয়ারার পাতা চাবানো।
টিফিনের টাকা আর রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে ভিডিও গেমস খেলা।
ক্রিকেট খেলা মানেই আগে ব্যাটিং
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭
রিয়াজ বলেছেন: )
৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
wasim_khan29 বলেছেন: দিলেন তো অতীত মনে করিয়ে।
৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
উদাস কিশোর বলেছেন: এক্কারে মিল্যা গেছে
ক্লাস টেনে থাকাকালীন একটা বিড়ি সাতজন ভাগ করে খাওয়া । বিড়ি টেনে পেয়ারার পাতা চাবানো । টিফিনের টাকা আর রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে ভিডিও গেমস খেলা ।
৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪
আত্নভোলা বলেছেন: পুরান একটা কথা মনে পড়ে গেল.
don't grow up, it's a trap
৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
ওবায়দুল হক মাহমুদ বলেছেন: এসএসসি কোন ইয়ার এ ভাইজান? সব কমন পড়ছে এমনকি থান্ডার ক্যাটস ও। আমি ১৯৯০।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
একটা কাজ করেন, পয়েন্টগুলোতে নাম্বার দিয়ে দেন।
জন্ম থেকেই মা-বাবা’র ‘পড় পড়’ জিকির শুনতে শুনতে বড় হওয়া। সে আর বলতে।
- স্কুল পলানোর দক্ষ প্রতিভা। সেটা কখনোই হয়নি।
- মায়ের লাঠি না ভাঙ্গা পর্যন্ত মাইর খাওয়া। একবার খেয়েছিলাম, আর সেটা
লাঠি না শুধু, দড়ি লাফের রাবার দিয়ে, পুরাই শপাং শপাং।
- বন্ধুদের টিফিন চুরি করে খাওয়া। কখনোই করিনি।
- মাগরিবের আযান শেষ হওয়ার আগেই ঘরে ফিরে পড়তে বসা। সে আর বলতে।
- ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ছুটির প্লানের খসড়া তৈরি করা। হেহেহেহেহেহে।
- টিফিনের টাকা বাচিয়ে আর বেতনের টাকা মেরে স্কুল ফ্রেন্ডদের সাথে বাংলা সিনেমা দেখা। অনেক পড়ে করেছি।
- পাড়ার বড় ভাইবোনদের প্রেমের পিয়ন গিরি বিনিময় দুইটা লজেন্স অথবা একটা ঘুড়ি। আমার আয়ের প্রধান উৎস।
- পিছনের বেঞ্চে বসে কাটাকাটি খেলা। বহুবার।
- ছোট ভাইবোনদের উপর কতৃত্ব ফলানো আর বড়দের হুকুম পালন করা। খুবই প্রিয় কাজ।
- জুম্মার নামাজের পর মিলাদের জিলাপির জন্য অপেক্ষা করা। হেহেহেহে।
- ক্রিকেট খেলায় এপাড়া আর ওপাড়া ম্যাচ পাতানো। আমি ভাড়ায় খেলতাম।
- ক্লাস টেনে থাকাকালীন একটা বিড়ি সাতজন ভাগ করে খাওয়া। এটা অনেক পরে হয়েছে।
- বিড়ি টেনে পেয়ারার পাতা চাবানো। হিহিহিহিহিহি।
- টিফিনের টাকা আর রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে ভিডিও গেমস খেলা। ইসেস, মোস্তফা।
- ছোটবেলার প্রিয় কার্টুন নিনজা টারটেল, ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট, পাপাই......, থান্ডর ক্যাটস?
- রেজাল্টের সাতদিন আগে থেকে সেইরাম নামাজী হয়ে যাওয়া, মানে চরম ভাল মানুষ। হেহেহেহেেহে।
- স্কুলের নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকলেই মনে হতো পেটে অর্ধেক বিদ্যা ঢুকে গেছে। আবার জিজ্ঞেস।
- ছুটির দিনে বাবার করতে দেয়া ৪০টা ট্রান্সলেশন মনে হতো দুনিয়ার আজাব। এইটা যে তারা কেন করতো তা কোনদিনই বুঝলাম না। আজাইরা, হেহেহেহেহেহেহে।
- বাইরে যতই দাওয়াত খেয়ে আসি না কেন বাসায় ফিরে মা’কে দেখলেই আবার খিদে লেগে যেত। এখনো লাগে।
- বাবার পকেট থেকে একটা কয়েন পরে গেলে সেইটা পায়ের তলায় চেপে খাটের তলা টেবিলের তলা খোঁজা। সেইটা আর কোনদিনও পাওয়া যেত না। পেক পেক পেক।