নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারনের মাঝে অসাধারণ খুজেঁ বেড়াই। হেয়ালি একটা জিনিসের মাঝেও শিক্ষনীয় কিছু খোজার চেষ্টা থাকে । জানিনা কতটা পারি, তবে চেষ্টা করে যাই অবিরাম।

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার

শেরপুর নিউজ ২৪ নামক অনলাইন পত্রিকায় কর্মরত

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুল পালানোর গল্প

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

আমার স্কুল পালানোর সঙ্গীর নাম শাহীন । হাইস্কুলে একসঙ্গে পড়ার সময় আমাদের দুইজনের একটা রেকর্ড ছিলো। আমরা কখনোই বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ক্লাশ করতামনা। যেভাবেই হোক, পালাতামই। আমাদের এই পালানো ঠেকাতে স্যারদেরও ছিলো নানামুখী তৎপরতা। তবে সকল তৎপরতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবশেষে আমরাই সফল হতাম। পরের দিন শক্ত মার খেতে হবে জেনেও কখনো অভিনয় করে, কখনো সদর দরজা দিয়ে, কখনো জামগাছ বেয়ে, কখনো দেয়াল টপকে, শার্টের নিচে বই খাতা লুকিয়ে আমাদের পালানোটা অব্যাহত থাকতো ।

একদিন হলো কি, ইংরেজি শিক্ষক খোকন স্যার সহ অন্যান্য স্যার দায়িত্ব নিলেন, আমাদের বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ক্লাশ করিয়েই ছাড়বেন। দুপুর ১২ টা বাজা মাত্র স্কুলের সকল গেইট তালাবদ্ধ করে দেওয়া হলো এবং আমাদের রাখা হলো শক্ত নজরদারির ভেতর। এমনকি টিফিনের সময়ও সদর গেইটের দোকান গুলোর কাছে ঘেষতে দেওয়া হলোনা। সেদিন আবার শাহীনও স্কুলে আসেনাই। তাই বলে কি এতদিনের স্কুল পালানোর ঐতিহ্য ভুলুন্ঠিত করতে দিতে পারি? বন্দী অবস্থাতেই বেজে গেল ৩ টা। স্কুলের আঙ্গিনাতেই বেশ কয়েকজন স্যার একসঙ্গে বসে খোশগল্প করছে। এর মধ্যেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম, পালাতেই হবে। লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে তাদের চোখের সামনে দিয়েই ভঁো দৌড়। যেভাবেই হোক, সামনের দেয়ালটার স্পর্শ পেতেই হবে। পেছনে একবার তাকিয়ে দেখি অন্তত দুই তিনজন স্যার এবং কিছু অতি উৎসাহি ছাত্র আমার পেছনে দৌড়ে আসছে। ততক্ষণে দেয়ালের কাছে পৌঁছে গেছি। এতো উঁচু দেয়াল কিভাবে নিমেষেই পার হয়েছিলাম, সেই প্রশ্নের উত্তর আজও খুজে বেড়াই। পেছন থেকে স্যারের হুঙ্কার, "তুষার ফিরে আয়, কালকে কিন্তু কপালে শনি আছে। " আবার সেইসব অতি উৎসাহী ছাত্ররাও ততক্ষণে দেয়ালের উপরে উঠে পড়েছে আমাকে ধরবে বলে। পরিমরি করে, বই নিয়েই পার্শ্ববর্তী ভোগাই নদীতে লাফ।

ফলাফল : ভয়ের চোটে রাত ৯ টার সময় বাসায় গিয়েছিলাম এবং ৩ দিন স্কুল কামাই করেছিলাম। যতটা রিএকশন হবে আশংকা করেছিলাম কেন যেন সেটা হলোনা। মোটা বেত দিয়ে পৃষ্ঠদেশে ৫ টা বাড়ি খেয়েছিলাম।

এ আর এমন কি? এটাতো প্রতিদিনই খাই।।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এ আর এমন কি? এটাতো প্রতিদিনই খাই

এই বয়সে নিশ্চয়ই শিক্ষক কিংবা মা-বার কাছ থেকে খান না!!
এই খাওনটা কি অর্ধাঙ্গীনির কাছ থেকে !!
এ আর এমন কি?? ব্যাপারনা !!

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আহ কি মজার স্কুল

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: জীবনে একবার শখ করে স্কুল পালিয়ে ছিলাম। তারপর ধরা খেয়ে গেলাম স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে। উফ !!!!

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

হাঙ্গামা বলেছেন: :P =p~

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: াহাহাহাহাহা
শৈশব =p~

৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

বিজন রয় বলেছেন: মধুর স্মৃতি।

++++

৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হাহহাহা মজার স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন ।

৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

আটলান্টিক বলেছেন: হা হা হা আমি কোনদিন স্কুল পালায় নাই।হাইস্কুলে অসম্ভব ভাল ছাত্র ছিলাম।কলেজেও সেই ছাত্র ছিলাম।

৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২২

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার বলেছেন: হাহাহাহা
"প্রতিদিনই খাই" মানে, তখনকার সময় বুঝিয়েছিলাম।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.