নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারনের মাঝে অসাধারণ খুজেঁ বেড়াই। হেয়ালি একটা জিনিসের মাঝেও শিক্ষনীয় কিছু খোজার চেষ্টা থাকে । জানিনা কতটা পারি, তবে চেষ্টা করে যাই অবিরাম।

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার

শেরপুর নিউজ ২৪ নামক অনলাইন পত্রিকায় কর্মরত

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মশকরার প্রতিবাদ জানাই

১১ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬


স্ক্রিনশটটি কিছুক্ষণ আগে একজন ফেসবুকে পোস্ট করেছে দেখলাম। অনেকেই হাহা রিএক্ট দিলেও আমার হাসি আসলোনা কিছু কারনে :

এরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও মজা করার সাহস কিন্তু অতি তেলবাজ, চেতনাবাজদের কারনেই পায়। এরা নিজেদের এবং দলের ফায়দার জন্য "বঙ্গবন্ধু" এবং "মুক্তিযুদ্ধ" কে এমন এমন জায়গায় ব্যবহার করেছে কিংবা করে, এখন সাধারণ মানুষেরও তাদের কর্মকান্ড দেখে এসব দেখে দেখে বিরক্তি ধরে গেছে।

উদাহরণ চান? গতকাল (১০-০৬-২০২২) গিয়েছিলাম জামালপুর। ফুফুর বাসায় যাওয়ার সময় বাইপাসে দেখলাম জাঁকজমক করে বানিজ্য মেলা হচ্ছে। মেলার পাশেই বৃষ্টির পানি জমে ডোবার সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে কিছু প্যাডেলবোট ছেড়ে দর্শনার্থীদের ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক ছিলো । কিন্তু এই বিষয়টার নাম দিয়েছে কি জানেন? "বঙ্গবন্ধুর সোনার তরী" । ব্যানারটা দেখার সাথে সাথেই ছোটভাই ফিয়াদ কে বললাম গাড়িটা দাড় করাতে। উদ্দেশ্য পাবলিক রিএকশন সম্পর্কে ধারনা নেওয়া। দেখলাম অনেক মানুষই ব্যপারটা নিয়ে হাসাহাসি করতেছে এবং নানান উক্তিও করতেছে। কেও কেও আবার বিরক্ত। এর মধ্যে একজনকে ডাক দিয়ে বললাম , "ভাই, বঙ্গবন্ধুর সোনার তরীতে উঠবেন না?" সে হাসতে হাসতে বললো, " বউ বলছিলো উঠবে কিন্তু ব্যানারের লেখা দেখে আর উঠলোনা। "

এই যে বিরক্তি, এইযে অনিহা , এই দায়টা কার কিংবা কাদের? প্রশ্নটি সবার কাছেই রইল।
যাইহোক, প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কিছুর ফলাফল খারাপ। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত তেলবাজী কিংবা চেতনাবাজী তো আরও খারাপ। এর জন্য একটি দলের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, তখন জনগনের সমর্থন হারিয়ে নির্বাচনে জিততে ভোটচুরির দারস্থ হতে হয়। ভোট যাতে ম্যানিপুলেশন করা যায় এজন্য নানা কলকবজা হালাল করতে সংবিধানের দোহাই, ইভিএমের কারিশমা ইত্যাদি নানান মারপ্যাঁচের বুদ্ধি আটতে হয়। অথচ বদমায়েশিটা একটু কম করলেই, দুর্নীতি কিংবা চুরি চামারি একটু কম করলেই উন্নয়ন দেখিয়েই ভোটে জেতার অপশন‌ ছিলো। কিন্তু এইসব এতো বেশি হয়েছে যে, উন্নয়নকেই ফিকে বানিয়ে ফেলেছে। এতোই উন্নয়ন হয়েছে যে, দেশের প্রত্যেকের এখন মাথাপিছু এখন ৯৫ হাজার টাকা ঋন।

পুনশ্চ: মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, মাওলানা_ভাসানী, শেরেবাংলা_ফজলুল_হক, শহীদ_সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু_শেখ_মুজিবুর_রহমান, জিয়াউর_রহমান ও অন্যান্য সকল জাতীয় নেতাদের কর্ম এবং এই দেশের প্রতি অবদান খাটো করে দেখার কোনই সুযোগ নেই। উনারা থাকুক দলমত উর্দ্ধে প্রতিটি বাঙ্গালীর অন্তরে। অন্তত এদের নাম নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটা কিংবা মিস ইউজ যাতে না হয়, সেজন্য সকলকেই সচেতন হওয়া জরুরী।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জাতির জনককে নিয়া ব্যাংগকরা
হীনমন্যতার পরিচয়। যারা গুণীজনদের
সম্মান করতে জানেনা তারা নিন্দার পাত্র।

২| ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৯

অক্পটে বলেছেন: পোস্টটি ভাল লেগেছে। তবে ভোট ইভিএমেই হবে।
একবার ১৫১ সিট ভোটের আগেই দখল।
একবার রাতের ভোটের ফসল
এবার ইভিএমের পালা।

আচ্ছা এটা কার স্বপ্ন বাস্তবায়ন আপনিকি জানেন?

৩| ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: এটা সিরিয়াস কিছু না। জাস্ট ফান।

৪| ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: অক্পটে বলেছেন:
আচ্ছা এটা কার স্বপ্ন বাস্তবায়ন আপনিকি জানেন?

এদেশে ৩জি, ৪জি, পদ্মাসেতু, যমুনা সেতু সব একজনের স্বপ্ন

ভাই ফেসবুক পোষ্টের ওই কথা মশকরা না,
আমি ঐ কথার সাথে একমত। সিগারেটের দাম বাড়ানো চেতনা বিরোধী কাজ। :P

৫| ১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৪০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বঙ্গবন্ধু ধূমপান করতেন; এটা তো সত্যি।

৬| ১২ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১০

বিটপি বলেছেন: বঙ্গবন্ধু ধূমপান করতেন, কিন্তু সিগারেট খেতেন না। তাই সিগারেটের দাম বাড়ালে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা হয়না। বঙ্গবন্ধু নিজেও সিগারেটের দাম বাড়িয়েছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.