নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয় ফিরে আয় শৈশব আমার\nআয় ফিরে আয় আমার মেয়েবেলা \nএক্কা দোক্কা, চড়কি চড়া, ডাঙ্গুলী আর পুতুল খেলা; \nআয় ফিরে আয় শৈশব আমার \nআয় ফিরে আয় আমার ছেলেবেলা \nমাছ ধরা আর চড়ুইভাতী, ফড়িং, পাখির পিছে ছুটা; \nআয় ফিরে আয় শৈশব আমার \nআয় ফিরে আয় আবার আমার কাছে \nগোল্লাছুট

রুমী ইয়াসমীন

রুমী ইয়াসমীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডায়েরির পাতাজুড়ে আমার শৈশবস্মৃতি কথন.....

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৬



প্রায় দুই যুগ হয়ে গেল! মনে হচ্ছে এইতো সেইদিনের কথা,,,,,

দক্ষিণের জানালায় তাকিয়ে আছি ৷ শীতের হিমহিম বাতাস গায়ে এসে লাগছে৷ বন্দরের ঝাঁঝালো সোনালী আলোর ল্যাম্পপোস্টগুলো জ্বলজ্বল করে জ্বলছে আর জাহাজের মাস্তুল ও ক্রেয়ানের মাথাগুলোর নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে ৷ আর হঠাৎই ছোট্টবেলার ফেলে আসা পুতুলখেলার দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ছে৷
যখনই রাতে আমার হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যেত তখন আমি একাএকা চুপচাপ উঠে পুতুলের বাক্স বের করে নিয়ে খেলতে বসতাম, যতক্ষণ না খেলতে খেলতে আবার ঐ অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়া যা নিজেই টের পেতাম না। পরে সকালে সবাই ঘুম ভেঙে দেখতো আমাকে ওই অবস্থায় পুতুলের বাক্স সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে আছি!



মনে পড়ছে পুতুলের বিয়ে দেয়ার সেই অনুষ্ঠানটার কথা! আজও সেই দিনের আনন্দটা আমি পরম সুখে অনুভব করতে পারি ও তা স্পষ্ট আমার চোখের সামনে ভাসছে ৷
আমি প্রতিদিনের স্কুলের টিফিনের টাকা জমিয়ে আমার ছেলে পুতুল আর আমার সেজোবোন সুমীর মেয়ে পুতুলের সাথে বিয়ে দেয়ার অনুষ্ঠানটা করেছিলাম। আমরা দু'বোন মিলে দোকান হতে কেক, চকলেট, বিস্কিট, চানাচুর ও কলা কিনে এনেছিলাম। আমাদের একটা আলাদা খালি ঘরের রুম সাজানোর জন্য জরি সুতা ও রঙ্গীন কাগজ কিনে এনেছিলাম। খুব সুন্দর করে রুমের চারপাশে আম্মার তুলে রাখা রঙিন কাতান শাড়িগুলো দিয়ে ডেকোরেট করেছিলাম আর এতে সাহায্য করেছিল আমার বড় ভাইয়া, বড় আপা ও মেজো আপা। আমার আম্মা কাগজ দিয়ে সুন্দর সুন্দর আলপনা কাঁটতে জানতেন তাই আম্মা রঙ্গীন কাগজগুলো দিয়ে অনেক সুন্দর করে আলপনা কেঁটে দিয়েছিলেন সেগুলো দিয়ে পুরো রুমটা সাজিয়েছিলাম আমরা। আর আম্মা রেধে দিয়েছিলেন ভুনা খিচুড়ি ও ডিম।
সেদিন প্রায় ১৭/১৮ জন আমাদের সব খেলার সাথী হতে পাওয়া পুতুলের উপহার গুলোর কথা খুব মনে পড়ছে ৷ সবাই নিজ হাতে নানান ধরনের কাপড় দিয়ে ডিজাইন করে পুতুলের জন্য জামা কাপড় বানিয়ে প্যাকেট করে এনেছিল। আর সেসব উপহারগুলো পেয়ে আমার সে কী মহা আনন্দ লেগেছিল যা বলে বুঝানো যাবেনা!
মনে পড়ছে রোজ বিকেলে ধানের ক্ষেতে হাঁটু সমান কাদা পানিতে নেমে নারকেলের বড় মালা(বাটি) ও সুপারি গাছের খোল দিয়ে নৌকো বানিয়ে পুতুলকে চড়ানোর প্রতিযোগিতা আর তা চলতো একেবারে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত৷
যেমন- কে সবার আগে তার পুতুলকে নৌকা চড়িয়ে অক্ষত নৌকা নিয়ে ধানক্ষেতের অপর প্রান্তে পৌঁছতে পারে!
তারপর কাদা-পানিমাখা শরীর নিয়ে বাসায় ফিরে বড় আপা ও আম্মার অসম্ভব বকা খাওয়া ছিল নিত্য দিনের ব্যাপার! আর সাথে বড় আপার হাতে ঐতিহাসিক চিমটি খাওয়া যা আজও আপা সেই বদ অভ্যাসটা পরিত্যাগ করতে পারেননি!

আর বার্ষিক পরীক্ষার শেষ দিনতো যেন স্কুল হতে নাচতে নাচতে বাসায় ফেরা, অনেকদিন স্কুল ছুটি ও পড়াশোনা হতে মুক্তির আনন্দে!
ফিরে সাথে সাথেই সব খেলার সাথীদের দলবল নিয়ে চলে যেতাম খেলতে না মেনে কারো শাসন বারণ!
চলতো চড়ুইভাতির আয়োজন৷ সকালে নাস্তা করেই দলবেঁধে ছুটে চলতাম পাহাড়ে বুনোফুল, লতাপাতা এনে খেলার ঘর সাজাতে৷ যেন এতেও চলত এক মহা প্রতিযোগিতা! কে কার চেয়ে সুন্দর করে তার খেলার ঘর সাজাতে পারে৷ আরো চলতো পাহাড়ি চড়ার (কর্ণফুলী নদীর ছোট খাল) পানিতে মাছ ধরার মহা ধুম! গামছা নিয়ে চলে যেতাম দল করে মাছ ধরতে চড়ার স্বচ্ছ হাঁটু পানিতে৷
আহা! সে কী মহা আনন্দ পেতাম যখন গামছায় অনেক ছোট ছোট মাছ আটকে যেত!
আর সারা দুপুর পর্যন্ত চলত এসব......

জানিনা এমন সুন্দর রূপকথার মতই সোনালী-রূপালী শৈশব স্মৃতি ক'জনার জীবনে আছে যতটা আমার জীবনে আছে!?!
যা বলতে গেলে লিখতে গেলে যেন সারাজীবনেও পুরাবে না সেই হাজার দুষ্টমিভরা দস্যিপনায় মাতানো খেলাধুলায় ভরপুর আমার প্রিয় শৈশব জীবনটা!


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আজ হতে বরাবর ৫ বছর পূর্বে এইদিনে ফেসবুকের ওয়ালে শেয়ার করা আমার শৈশব স্মৃতিকথনটা দেখে তা আবারো মনে পড়ে গেল। তাই এখানে শেয়ার না করে আর পারলাম না।

ছবি- ভাগ্নির(বড় আপার মেয়ে) জন্যে বানিয়ে দেয়া আমার হাতের কাপড়ের পুতুল। ভাগ্নি আপার কাছ হতে সবসময় আমার পুতুলখেলা নিয়ে বিভিন্ন গল্প শুনে তাকেও কাপড় দিয়ে আমার পুতুলের মতন একটা পুতুল বানিয়ে দেয়ার বায়না ধরেছিল।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


দক্ষিণের জানালা দিয়ে শীতের বাতাস? শীতের বাতাস আসে উত্তর দিক থেকে!

আপনার শৈশব ভালো কেটেছে, মনে হয়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৫

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্য পেয়ে অনেক ধন্য ও খুশি হলাম চাঁদদাদু। :)
হ্যাঁ শীতের বাতাস অবশ্যই উত্তর দিক হতে আসে জানি। কিন্তু আমার জানালাটা ছিল দক্ষিণ দিকে তাই ওই জানালা দিয়ে ফাঁকা পেয়ে বাহির হতে ঠান্ডা বাতাস আসছিল।

ঠিক ধরেছেন দাদু, আমার শৈশব জীবন অবশ্যই অনেক অনেক ভালো সুন্দর কেটেছে ঠিক যেন রূপকথার রাজ্যের মতন।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২১

শায়মা বলেছেন: তোমরা ছোটবেলায় চড়ুইভাতি করোনি?

ছোটবেলায় গাছের ডালে বাঁধা দোলনাও আমার খুব প্রিয় ছিলো তবে ছোট থেকেই আমি গবেষক ছিলাম। নানা রকম নিত্য নতুন গবেষনার উপহার ছিলো আমার পিঠের উপরে! :(

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: প্রিয় আপু, আপনার মন্তব্য পেয়ে কী যে খুশি লাগছে তা বলে বুঝানো যাবেনা। :)

হ্যা আপু চড়ুইভাতির কথা তো উল্লেখ করেছি।তা কতো যে করেছি তার হিসেব নেই....
আর গাছের ডালে দোলনা বাঁধা নিয়ে স্মৃতি কয়েকদিনের মধ্যেই লিখে পোস্ট করব।

কিন্তু মন্তব্যে আপনার মন খারাপ দেখে তো খুব খারাপ লাগছে আমার কাছে। :(

"নানা রকম নিত্য নতুন গবেষনার উপহার ছিলো আমার পিঠের উপরে!"

বুঝতে পেরেছি আপু অনেক শাসনের মধ্যে ছিলেন। এমনটা কড়া শাসনে আমরাও ছিলাম তবে পিঠে উপর উপহার পড়ার মতন সেই সুযোগ কাউকে দেইনি। :)

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪২

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ধন্য হলাম শ্রদ্ধেয় ভাইয়া...
পাঠে মন্তব্য ও লাইক পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভালো থাকবেন ভাইয়া। অনেক অনেক শুভকামনা....

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: পুতুল দেখেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম এই পুতুল গুলোয়াপনি বানিয়েছেন।
সুন্দর পুতুল বানিয়েছেন। আমার জন্য দু'টা পুতুল বানিয়ে দেন প্লীজ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫০

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: হা হা হা হা.... ভাইয়া আপনি ঠিকই বুঝতে পেরেছেন তাহলে। :)
আমার পুতুল বানানো সুন্দর হয়েছে জেনে অনেক আনন্দিত হচ্ছি।
আর হ্যাঁ ভাইয়া আপনি চাইলে অবশ্যই বানিয়ে দিবো। কিন্তু কাপড়ের বানানো এই সামান্য পুতুল দিয়ে কি করবেন! এই পুতুল দিয়ে তো ছেলেরা খেলেনা এমনকি এই যুগের মেয়ে বাচ্চারাও খেলেনা।

আপনার এই মন্তব্যে পেয়ে সত্যি অনেক অনেক ভালো লাগছে।

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪২

শায়মা বলেছেন: হা হা পিঠে পড়ুক আর পেটে পড়ুক কেউ কি আর আমার সাথে পারবে!!!!!!!!!! :P

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আপনি বলেছেন: হা হা পিঠে পড়ুক আর পেটে পড়ুক কেউ কি আর আমার সাথে পারবে!!!!!!!!!!"

হা হা হা.... বুঝেছি আপু, আপনি ক্যারাটেও জানেন! :P

আবারো আপু আপনার মন্তব্য দেখে অনেক অনেক অনেক ধন্য হচ্ছি ❤❤❤❤

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: সোনালী রুপালী স্মৃতি আহা কত মজার

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৭

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয়...
আপনার মন্তব্যে আমি ধন্য হলাম ও কৃতজ্ঞ রইলাম।
সুন্দর মন্তব্য পেয়েছি।

"সোনালী রুপালী স্মৃতি আহা কত মজার"

আসলেই আমাদের শৈশবের দিনগুলোই ছিল সবচেয়ে মজার ও আনন্দের!
সবার আদর,শাসন ও অসম্ভব দুষ্টুমিতে কেটেছিল সেই সোনালী রূপালী জীবন।

অনেক অনেক শুভকামনা রইলো... ভালো থাকবেন।

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১১

বিজন রয় বলেছেন: আমার ছোটবেলা বা শৈশববেলা ছিল কিনা তাই ভাবছি!

আসলে ওই বিশেষ কালটা সবার জন্য যেন কি রকম।

ভাল লাগে আবার আফসোস হয়।

আপনার পুতুলের জন্য আদর।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৮

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আপনি বলেছেন: আমার ছোটবেলা বা শৈশববেলা ছিল কিনা তাই ভাবছি!

আসলে ওই বিশেষ কালটা সবার জন্য যেন কি রকম।"

শ্রদ্ধেয় দাদা শৈশববেলা সবারই থাকে, হয়তো ভিন্নতা রয়েছে আমাদের পরিবেশ পরিস্থিতিভেদে।
এই বিশেষ কালটা আফসোস তাদের জন্যই যারা তা খেলাধুলা, হাসি আনন্দের মাঝে কাটাতে পারেনি ও উপভোগ করতে পারেনি।

দাদা আপনার মন্তব্যে ও আন্তরিকতায় ববাবরই আমি অনেক মুগ্ধ ও ধন্য হচ্ছি।
আর আপনার দেয়া আদর আমার পুতুলের জন্যে অবশ্যই গচ্ছিত রাখলাম।
আমার অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো .... :)

৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পুতুল খেলার দিনগুলো সত্যিই খুব মজার ছিলো।
সেই দিন গুলো আর ফিরবেনা কোন দিন।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৬

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: যদি কোনো আলাদীনের জ্বীনি এসে বলতো, তোমার তিনটি ইচ্ছে পূরণ করা হবে, তবে কেবল আমি আমার সেই রূপকথার গল্পের মতন আমার প্রিয় শৈশব জীবনটাই ফিরে পেতে চাইতাম”

জানি যে সময় একবার আমাদের চলে যায় তা আর কখনোই ফিরে পাওয়া যায় না। :(

শ্রদ্ধেয় ভাইয়া আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশি ও ধন্য হলাম।
আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভালো থাকবেন নিরন্তর.....

৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন হয়েছে আপি

এই কাহিনি আমার ছোটবেলাও আছে

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩২

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: প্রিয় আপু বরাবরই আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ধন্য ও অনুপ্রাণিত হই।

আপনার এইসব শৈশববেলার গল্প দারুণ ছন্দে ছন্দে কাব্যের মাঝে পড়ি ও অতি মুগ্ধ হয়ে সাথে সাথেই শৈশব জীবনটা জীবন্ত যেন আপনার কবিতার মাঝে ছবি হয়ে চোখে ভেসে ওঠে সবসময়!

মন্তব্যে আমার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিবেন আপু.... ❤

১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৯

নুরহোসেন নুর বলেছেন: আপনাকে যদি আবার শৈশবে নিয়ে যাওয়া হয় আপনি কি চাইবেন?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫১

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: এক্সদি সত্যিই আবার আমাকে আনন্দ উচ্ছ্বাসের খেলাধুলায় মাতানো সেই প্রিয় শৈশবের দিনগুলোতে নিয়ে যাওয়া যেত তবে আমার আর কিছুই চাওয়ার ছিলনা। :)

আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশি হলাম ভাইয়া।
ভালো থাকবেন ও আমার শুভেচ্ছা নিবেন.....

১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা ! শৈশব ...
স্মৃতির পাতায় একডালি শিশির শিক্ত শিউলি !
অনেক সুন্দর লেখা আপুনি , ভালোবাসা।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: বলেছেন: "আহা ! শৈশব ...
স্মৃতির পাতায় একডালি শিশির শিক্ত শিউলি !
অনেক সুন্দর লেখা আপুনি , ভালোবাসা।"


অনেক সুন্দর করে বলেছেন শ্রদ্ধেয় আপু।
আসলে স্মৃতির পাতায় কেবল বারবার প্রিয় শৈশব জীবনটাতেই ফিরে ফিরে যাই ও ফিরে ফেতে চাই।
আপু আপনার মন্তব্য আমাকে অনেক ধন্য করলো ও অনুপ্রেরণা দিলো।
আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল আপনার জন্যেও....

১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৫

ওমেরা বলেছেন: পুতুল খেলার দিন ফুরালো জানিনা কখন, একদিন হঠাৎ আবিস্কার করলাম আমি বড় হয়ে গেছি , তবে পুতুল আমি এখনো মনে মনে খেলি শৈশব স্মৃতি কথা খুব ভালো লাগল।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৫

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আসলেই আপু পুতুল খেলার দিনগুলো ফুরালেও আমার কাছে মনে আমি সেই ছোট্টটি-ই আছি। চোখ বন্ধ করলেই যেন হারিয়ে যাই সেই ছোট্টবেলায়।
আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যখানা পেয়ে খুশি হলাম বরাবরের মতই। আপনাদের ভালোলাগাই যে আমার অনুপ্রেরণার উৎস।
আমার অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনার জন্যে..... ❤

১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ কী সুন্দর ঝরঝরে উপস্থাপন! +

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১০

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: বলেছেন: "বাহ কী সুন্দর ঝরঝরে উপস্থাপন! +"

প্রিয় শ্রদ্ধেয় ভাইয়া, আপনার মন্তব্যে ও পাঠে আমি বরাবরই অনেক ধন্য ও অনুপ্রাণিত হলাম।
অনেক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দোয়া করি সবসময় ভালো থাকুন, সুস্থ সুন্দর থাকুন.... :)

১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পুতুল গুলো খুব সুন্দর।
এই পুতুল বানিয়ে ব্যবসা কেন শুরু করছেন না?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: অ্যাঁ! কী যে বলেন ভাইয়া!!!

১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনার শৈশব কথন আমাকেও স্মৃতি-বিজড়িত করলো
কি কী আনন্দই না করেছিলাম আমরা শৈশবে ....
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে।
শুভ সকাল, ভালো থাকুন।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা আপু..
আমি খুব দুঃখিত আপু প্রতিমন্তব্য করতে দেরী হয়ে গেল বলে।
আর হ্যাঁ আপু আপনার এমন সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমার লিখা স্বার্থক মনে হচ্ছে যে আমার শৈশবস্মৃতি কথন আপনাকেও স্মৃতি-বিজড়িত করে দিল জেনে।
আসলেই আমাদের শৈশব জীবনটাই মনে হয় বেশি আনন্দের ছিল সেই নব্বইদশকে আমরা যারা শৈশবজীবন পার করে এসেছি।
অনেক কৃতজ্ঞতা ও আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপু।
ভালো থাকবেন খুব.... ❤

১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: শায়মা আপু ছোট বেলায় কি রকম চঞ্চল ছিলেন সেটা দেখতে পারলে দারুন হতো!
আর আপনি যে চটগাইয়া সেটা তো জানতাম না? বলেন কি? আপনার আর আমার জন্মস্থান কিন্তু একই জায়গায়। কিন্তু বড় হয়েছি আলাদা আলাদা জায়গায়। আপনি কি এখনও কর্নফুলির আশেই থাকেন?
পুতুলের বিয়ে নিয়ে খুব মজা হতো। আমার চাচাতো বোন পুতুলের বিয়ে দিত আর আমি যেয়ে মজা করে খেয়ে আসতাম।
ধন্যবাদ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: বলেছেন: শায়মা আপু ছোট বেলায় কি রকম চঞ্চল ছিলেন সেটা দেখতে পারলে দারুন হতো!"

হা হা হা... আসলেই শায়মা আপুর শৈশববেলা নিয়ে আমারও অনেক জানার কৌতূহল জন্মালো ভাইয়া মনে হচ্ছে উনি সবসময় পিঠে বস্তা বেঁধে রাখতেন! :P কারণ উনি দুষ্টুর শিরোমনি ছিলেন যা নিশ্চিত বলতে পারছি। :)

আর আমি চাঁটগাইয়া নই যদিও চট্টগ্রাম শহরে বেশ কয়েকবছর ছিলাম পড়াশোনা ও জবের সুবাদে তাই চট্টগ্রাম আমার প্রিয় একটা শহর। আমার জন্মস্থান রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনায় যার চারপাশে পাহাড়েঘেরা একটা মফস্বল শহর এবং বড় হয়েছি পুরো সেখানেই কর্ণফুলী নদীর ধারেই বলা যায়।

ভাইয়া আপনার চাচাতো বোনের পুতুলের বিয়েতে নিশ্চয়ই দাওয়াত ছাড়াই বা উপহার ছাড়া খেতে যেতেন! এতেও কিন্তু অনেক মজা।
কারণ এক খেলার সাথী অন্য খেলারসাথীকে দাওয়াত না দিলে সে কী লঙ্গাকান্ড ও রাগারাগি হতো যাকে আমরা বলতাম কাট্টি!

শেষে ভাইয়া আপনার এতো সুন্দর আন্তরিক মন্তব্য পেয়ে অনেক অনেক ভালো লাগছে।
আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।

১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শৈশবের স্মৃতি আমাদের সবাইকে স্মৃতিকাতর করে তোলে। তবে রোমন্থনের গুনে কখনো কখনো সেটা আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে। আপনার সুখস্মৃতি পড়ে মজা পেলাম। আমার ছোট বোনের এরকম অনেক পুতুল ছিল। প্রত্যেকেরই এক একটি নাম ছিল।ও এদের পড়াশোনার সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার কাজও করাতো।এমনো হয়েছে ওর ভাগের মাছের গাদা কোন একটি পুতুলকে খেতে দিল।আর সেই দিনটি ছিল আমার কাছে পরম আনন্দের দিন। পুতুলের এঁটো করা খাবারটি খেতাম আমিই। উহ! ভাগের মাছ খেয়ে টেস্ট পেতাম না। যেটা পেতাম ঐ মাছটিকে উদরপূর্তি করে।
পাশাপাশি ছিল মাঝে মাঝে পুতুলের বিয়ে দেওয়া। বাড়িতে সকলে ব্যস্ত বিবাহ অনুষ্ঠান নিয়ে। আমি মজা পেতাম দেড়/দুঘন্টার মধ্যে পিকনিকে খাওয়ার সুযোগ মিলবে ভেবে।
যাইহোক আপনি যেমন পুতুলদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন আর আমরা ভায়েরা বোধহয় সেইসময় বোনদের সৌজন্যে একটু বাড়তি খাবার-দাবারে আশায় ওত পেতে বসে থাকতাম।
ভালো থাকুন সবসময়।


০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: হা হা হা.... ভাইয়া আপনার বোনের পুতুল খেলা নিয়ে আপনার এইসব মজার স্মৃতির কথা শুনে আমারও অনেক মজা লাগছে ও হাসি পাচ্ছে। অনেক সুন্দর করে বলেছেন মন্তব্যে পড়ে অনেক ভালো লাগছে।
আর ভাইরা মনে হয় সবসময় বোনদের পিছনে এইভাবে লেগে থাকে। ছোটবেলায় আমি মাছ একদম খেতাম না তাই আমার ভাগেরটা আমার ভাইয়া নিয়ে খেয়ে ফেলতো দেখা যেতো আমি নিজেই ভাইয়ার পাতে তুলে দিতাম। ভাইয়া এতে অনেক খুশি হতো আর ভাইয়ার সাথে ছেলের সাথে গিয়ে খেলার সুযোগ পেতাম খুব সহজেই ভাইয়া তখন আমাকে বারন করতে পারতো না।
এই রে দেখছেন আপনার মন্তব্য পড়ে আমার আরো কতো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। :)
অনেক অনেক অনেক ধন্য হলাম ভাইয়া আপনার এত্তো সুন্দর একটা মন্তব্য পেয়েছি বলে।
আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো ভাইয়া। আপনিও ভালো থাকবেন সবসময় এই দোয়া করি।

১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রুমী ইয়াসমীন,




মাঝে মাঝে স্মৃতিরা বড্ড তাড়া করে ফেরে! তারা মাঝে মাঝেই হিমহিম বাতাসের মতোই মনটাতেও কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়ে যায়।

আপনার ডায়েরির পাতা জুড়ে শৈশবস্মৃতি যেমন, মনে হয় কারো কারো মনের পাতা জুড়েও তেমন ---মাঝে মাঝে ........

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৮

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাইয়া আপনি আমাকে অনেক ধন্য করলেন আপনার অসাধারণ স্মৃতিময় কৈশোরবেলার কবিতাটা আমাকে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে ও আমার লিখা পাঠে ও সুন্দর মন্তব্যে আমাকে কৃতজ্ঞ করলেন।

"দেখেনা কেউ, আর একটি কিশোর থেকে যায় সেই বন্দরে" এই লাইনটা পড়ে চোখগুলো ছলছল করে উঠল আপনার কবিতায়...

নিরন্তর শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে... ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি

১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: শৈশব এর কথা শুনলেই মনটা ভরে যায়। কি এক ভালো লাগার হাজার পায়রা ডানা ঝাপটায়। শৈশবে যে ব্যাপারটার জন্য সব সময় অপেক্ষা করতাম সেটা হল কবে আসবে ডিসেম্বর মাস, কবে নানু বাড়ী যাব। আর বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না। কি হারানোর কষ্ট নিজেকে আকড়ে ধরছে।

ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম আপনার পোষ্টে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫১

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: ""কি এক ভালো লাগার হাজার পায়রা ডানা ঝাপটায়।""
আহা কী সুন্দর করে যে বললেন ভাইয়া মনটা একদম ভরে গেল ও আপনার মন্তব্য আমাকে খুব ধন্য করে দিল।
আপনার ভালো লাগাতে আমার লিখাটারও স্বার্থকতা.... অনেক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আর ডিসেম্বর মাস আসলেই কত রকম ইচ্ছা যে ভর করত মনের ভিতর তার হিসেব নেই। পড়াশোনা হতে মুক্তি, পিকনিক, চড়ুইভাতি, মাছ ধরা, পাখির বাসায় পাখির ছানা খোঁজা ও নানু বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া কত রকম যে প্ল্যান ফন্দি.... ।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.