![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলায় আমরা সবাই ঈদের জামা খুব যত্ন করে লুকিয়ে রাখতাম। দিনে কয়েকবার করে খুলে খুলে দেখতাম সব ঠিক ঠাক আছে তো?
কাউকে জামা দেখতে দিতাম না। দেখলেই তো জামা পুরনো হয়ে যাবে! ঈদ শেষ হয়ে যাবে!
জামা দেখলে পুরনো হয়ে যাবে, এই ধারনা কিভাবে ছোটদের মাথায় আসলো? সে বিষয়ে বলছি, তবে আগেই বলে নেই এখনকার বাচ্চারা কিন্তু অনেক ম্যাচিউর। তাদের মাঝে এই ধারনা খুব একটা নেই বললেই চলে।
ঈদ সবার জন্য আনন্দের। তবে মধ্যবিত্তদের জন্য কিছুটা চিন্তার সঞ্চালকও বটে।
বাবা, মা নিজেরা জামা নেন বা নাই নেন তাঁরা সন্তান কে একটি নতুন জামা কিনে দেন। সন্তানের একটু খুশি মুখটাই তাদের ঈদের সবচেয়ে বড় আনন্দ। মধ্যবিত্ত পরিবারে বাবা,মা সন্তানদের হয়তো একটির বেশি জামা দিতে পারেন না। আর বাচ্চাদের একটা স্বভাব হল কারোটা দেখে তার প্রতি আকর্ষিত হওয়া। সন্তান হয়তো আরেকজনের টা দেখে বা নিজের টা অন্য বাচ্চাকে দেখিয়ে জামা কারটা বেশি সুন্দর এ ধরনের দো-টানায় পরতে পারে। এবং বন্ধুর জামার মত আরেকটা কিনে দিতে বায়না ধরতেই পারে। বাচ্চা মানুষ সে তো আর তেমন বুঝে না।
কিন্তু মধ্যেবিত্ত পরিবার একটার বেশি জামা দিতে সামর্থ রাখে না। আর এইজন্যই বাবা,মা বাচ্চাদের মাঝে এক ধরনের ধারনা ঢুকিয়ে দেন যে, জামা কাউকে দেখানো যাবে না পুরান হয়ে যাবে।
যুগের পর যুগ মধ্যবিত্তদের ঈদ এভাবেই কেটে আসছে। কিছুটা টানাপড়ার মধ্যেও তাদের মাঝে এক প্রকার সুখ থাকে। সেটা একদমই স্বর্গীয় ।
তবে ছেলে মেয়েরা বড় হওয়ার সাথে সাথে ঈদের জামা কাপড় এর ব্যাপার স্যাপার নিয়ে হৈ- চৈ গুলো চলে যায় একদম। বিশেষ করে ছেলেদের মাঝে। এক সময় ঈদের জামা থাকে তাদের 'ভাল' জামা। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে ভাল বা খারাপ জামা বলে ছেলেদের মাঝে কিছু থাকে না। সব জামাই এক। শুধু কোথাও যাওয়ার আগে চুলে একটু পানি দিয়ে দৌড় !!
২৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭
ইয়াসির রাফা বলেছেন: তবুও ভাল থাকুক মধ্যবিত্ত রা।
শুভেচ্ছা রইলো
২| ২৮ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৪
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ছোট বেলায় আমিও এমন করেছি।
২৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭
ইয়াসির রাফা বলেছেন: হাহা। হ্যা। অনেকেই করেছি এমন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫২
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: হুমম, আপনি বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। আসলেই মধ্যবিত্তের ঈদ মানেই হচ্ছে দোটানা!!