নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিখ্যাত চিত্রকারের ক্ষুদ্র ছোঁয়া।

ইয়াসির রাফা

বিখ্যাত চিত্রকারের ক্ষুদ্র ছোঁয়া।

ইয়াসির রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নরবলি (ছোট গল্প)

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

আপনি এই পর্যন্ত কতটা নরবলি দিয়েছেন?

- বেশি না। নরবলি দেয়া আমার পছন্দ না। তবে উনার ইচ্ছায় আজ তিন বছর যাবত ছয়টা বলি দিসি।

সব কি পুরুষ নাকি নারী?

- তিনজন পুরুষ আর তিনজন নারী।

আচ্ছা পুরো ব্যাপার টা খুলে বলেন তো?

- হে হে হে . খুইল্লা কওনের কিছু নাই বাপজান।
একদিন উনারে স্বপ্নে দেখলাম। আমারে বললেন, কাজেম তুই আমারে খুশি কর, আমিও তরে খুশি করবো।
আমি জিজ্ঞাস করলাম আমার কি করা লাগবো, উনি বললেন প্রতি ছয় মাষ পর পর কাচা রক্ত দিবি আর উঠানের গাছটায় সুন্দর কইরা বাইন্ধা দিবি আমি থাকবো। আমি বললাম ঠিক আছে।
তারপর থেইক্কা সাধনা শুরু।

আপনি যে মানুষ মাড়েন পুলিশ কিছু বলে নাই এখন পর্যন্ত বা গ্রামের মানুষ?

- আপনি বড্ড রসিকতা করেন বাবাজী। একবার পুলিশ আসছিল। তারপর দিন ওই পুলিশ এর কাটা মাথাটা পাওয়া গেছে বাড়ির সামনে।

বলেন কি! !! এ তো ভয়ানক অবস্থা !!'

- ভয় নাই বাবা। যারা বেয়াদব তারা শাস্তি পইব। উনি সব পছন্দ করেন। আপনি উনার সামনে নেংটা হইয়া নাচেন কনো সমস্যা নাই। কিন্তু বেয়াদবি করলেই সমস্যা।

নেংটা হইয়া নাচা বেয়াদবি না?

- নাহ। উনার বিষয় আসলে আদমির উল্টা। পাপ উনার কাছে পুণ্যি আর পুণ্যি উনার কাছে পাপ। একবার কি হইছে শুনেন " বৃস্টির দিন বুঝলেন, আমার আবার তারাতারি ঘুমানির অভ্যাস। আমি শুইতে যামু এমন সময় পুরা খাট কাইপ্পা উঠলো, পুব পাশ থেইক্কা আওয়াজ আসলো 'কাজেম তোর কাজে আমি সন্তুষ্ট তুই আমার কাছে কি চাস বল?' আমি ভয়ে ভয়ে বললাম, আমার কোন সন্তান নাই একটা সন্তান চাই।' উনি বললেন 'হবে' তারপর সব স্বাভাবিক। এর ছয় মাষ পর আমার এক মেয়ে হইলো। একদম পরীর মত সুন্দর। কিন্তু মেয় কথা কইতে পারে না। জন্ম থেইক্কাই বুবা। কিন্তু প্রতি আমাবস্যা রাইতে জবান ফুটে। সেদিন সে মানুষের ভবিষ্যৎ বানী দেয়। কথা যা বলে একদম সত্য বলে। কিন্তু একটা সমস্যা হয় ভাইজান, আমাবস্যার পরদিন মাইয়া আমার বেহুশ থাকে। দেখলে মনে হয় মইরা গেছে।

আমি কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। তার কথা আমি এক ফোটাও বিশ্বাস করিনি। তারপরেও জিজ্ঞাস করলাম "এখন পর্যন্ত কেউ আপনার "উনিকে" সোরাসরি দেখেছেন?

- নাহ। তবে উনি দেখা দেন। আপনার মত কম বয়সী ছাওয়াল উনার পছন্দ। প্রোয়জন মত দেখা দেন যারে দরকার।

এই কথার পর আমি বিদায় নিলাম। যতসব গাঁজাখুরে গল্প। বৃথাই পরিশ্রম করে এতদূর আসলাম।
গাড়ীত উঠে রৌওনা দিলাম। সাথে এক গাদা ফালতু গল্প । বিরক্ত লাগছিল খুব।
গ্রামের রাস্তা পার হয়ে মাত্র পাকা রাস্তায় উঠবো এমন সময় গলায় ঠান্ডা কিছুর স্পর্শ লাগলো। সাথে সাথে গাড়ি থামালাম।
হঠাৎ মাথার উপর থেকে নারী কন্ঠ বলে উঠলো "এত তারাহুরা করিস ক্যান? দুইদিন থাক আমার কাছে ".. ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১২

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: দারুণ

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

ইয়াসির রাফা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

সুমন কর বলেছেন: আরো একটু লিখতে পারতেন....

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

ইয়াসির রাফা বলেছেন: হ্যা। আসলে অনেক পুরোনো লিখা। একদম কাচা হাতের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.