নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়তে ভালোবাসি, ভালো থাকেত এবং রাখতে চেষ্টা করি ।

ইয়াকুবুল হাসান রুপম

ইয়াকুবুল হাসান রুপম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রাচের কর্ণেল

২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৬

বলতেই হবে লেখক সফল। প্রচুর তথ্য সমৃদ্ধ বই। সবচেয়ে ভালো লেগেছে প্রতিটি অংশের নামকরণ। পর্দার আড়ালে থাকা একজন মানুষকে, একটি পরিবারকে তুলে ধরেছেন। যে মানুষটি সারা জীবন লড়াই করে গেছেন এই দেশের মানুষের জন্য, তাদের মুক্তি এবং উন্নতির জন্য। কার্যত এই মানুষটিই ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ এই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেণ নেপথ্যে থেকে।

মানুষটি একা নন, পুরো পরিবার কাজ করেছে দেশের জন্য কাঁধে কাধ মিলিয়ে। সবকটি ভাই একসাথে যুদ্ধ করেছে দেশের জন্য। লোকে বলতো ব্রাদার্স প্লাটুন! লোকটি ছিলো মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টেরের সেক্টর কমান্ডার। ছিলেন পাকিস্থান সেনাবাহিনীতে, সেখান থেকে পালিয়ে এসে যোগদেন মুক্তিযুদ্ধে। দেশের জন্য তার যুদ্ধ শুরুহয় অবশ্য তারো অনেক আগে থেকে। স্বাধীনাতার পর যোগদেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। নেন কুমিল্লা সেনানিবাসের দায়িত্ব। তিনি ঘুচিয়ে দিতে চান সাধারণ মানুষ এবং সেনাবহিনীর মধ্যকার দূরত্ব। সে লক্ষ্যে কাজ করে যান। কিন্তু তার এই কাজ সহ্য করতে পারেনি অনেকে। পদত্যাগ করেণ সেনাবাহিনী থেকে। সক্রিয় হন রাজনীতিতে, যোগদেন স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম বিরোধীদল জাসদে। কিন্তু ইতিমধ্যে সংগঠিত হয় ইতিহাসের ঘৃণিত গনহত্যার একটি, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের হত্যা। নাটের গুরু খন্দকার মোশতাক। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে সময়। ঘটতে থাকে নানা সামরিক উত্থান পতন।

এর মধ্যে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয় ইতিহাস, জেলের চার দেয়ালে আটকে ফেলার চেষ্টা করে ষড়যন্ত্রকারী মহল। ২১ জুলাই ১৯৭৬ ফাঁসি দেয়া হয় মানুষটিকে। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজের পা হারিয়েছেন, পেয়েছেন বীরউত্তম খেতাব। মানুষটি আর কেউ নয় কর্ণেল আবু তাহের। লেখকের ক্রাচের কর্ণেল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.