নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের আত্মপ্রকাশ...

আমি সবসময় লিখি না। হয়তো লেখা তেমন ভালো হয় না। তবুও চেষ্টা করি ভালোভাবে লিখতে।

জিয়াদুল আমিন চৌধুরী

আমি ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র। লেখালেখি আমার কাজ না। তবুও মাঝে মাঝে লিখতে ইচ্ছে হয়, তাই লিখি। https://www.facebook.com/Juphon

জিয়াদুল আমিন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের মৃত্যু

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩১

একদিন সবাইকে মরতেই হবে।
যেমন আজকে আমার এক বড়আব্বা (মাহমুদুল হাসান মুক্তা) মারা গেছেন। যখন উনাকে উনার ছেলেরা বারান্দাতে এনে শুইয়ে দিচ্ছিলেন, তখন চিন্তা করছিলাম এই লোকটাই তো কিছুদিন আগেও রাস্তায় হেঁটেছেন, খিদা পেলে খাবার খেয়েছেন, তাই না? বাড়িতে কোন মেহমান এলে আথিতেয়তা দেখিয়েছেন।
অথচ আজকে উনার সব আত্মীয়-স্বজন উনার পাশে থাকার পরও উনি কারো সাথে একটা কথাও বলতে পারছিলেন না।
কখন কি চিন্তা করেছেন? মৃত্যুর কথা যখন কেউ বলে, তখন আমাদের শুনতে ভালো লাগেনা। কিন্তু আমাদের ভালোলাগা বা মন্দ লাগার উপর আল্লাহ্‌র হুকুম নির্ভর করে না।
আমাদের একদিন ঠিকই মরতে হবেই। প্রতিদিন আমরা কত-শত মিথ্যা বলি, কত অন্যায় করি। এরপর আরও বলি, "জীবন তো দুই দিনের। তাই জীবনটাকে এনজয় করছি"।
কিন্তু চিন্তা করি না, দুইদিনের "এনজয়" শেষ হলে যে জীবনটা আসবে তার জন্য কি করেছি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়াত করুন।
আমীন।

মৃত্যু সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের বানীঃ

‍” মৃত্যুর লক্ষ্য হলো সবাইকে আল্লাহতায়ালার কাছে ফিরিয়ে নেয়া এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।” (সূরা-আম্বিয়া, আয়াত-৩৫)

“তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরও অবস্থান করো, তবুও।” (সূরা-নিসা, আয়াত-৭৮)

“আমি তোমাদের মাঝে মৃত্যুকে নির্ধারণ করেছি।” (সূরা-ওয়াকিয়াহ, আয়াত-৬০)

মৃত্যু যন্ত্রনা সম্পর্কে নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন ঃ

হযরত হাসান বসরী বর্ননা করেন নবী করীম সাঃ বলেন, মুমিনের মৃত্যু যন্ত্রনা ও কষ্ট ৩০০ বার তলোয়ারের আঘাতের সমান। মৃত্যু সম্পর্কে যার এ বিশ্বাস রয়েছে তার উচিত নেক কাজ করে ও পাপ কাজ পরিত্যগ করে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেয়া। কারন মানুষ জানে না যে মৃত্যু কখন আসবে।

একদিন হযরত উমর রাঃ কা’ব রাঃ কে বললেন- হে কা’ব মৃত্যু সম্পর্কে বলুন। তিনি বললনে যে মৃত্যু হল একটি কাঁটাযুক্ত গাছের ন্যায়। সে গাছটি আদম সন্তানের পেটে প্রবেশ করিয়ে দিলে তার প্রতিটি কাঁটা শিরা উপশিরায় গেঁথে গেল। অতঃপর কোন শক্তিশালী ব্যাক্তি সেটা ধরে টান দিলে তার কিছু অংশ ছিঁড়ে চলে এল আর কিছু অংশ রয়ে গেল।

আব্দুল্লাহ ইবনে মিস ওয়ার হাশেমী বর্ননা করেন এক ব্যাক্তি নবী করীম সাঃ এর নিকট উপস্থিত হয়ে আরজ করল আপনার নিকট আমার আগমনের উদ্দেশ্য আমাকে আপনি বিষ্ময়কর জ্ঞ্যনের কথা শিক্ষা দিবেন। মহানবী সাঃ বললেন তুমি মৌলিক জ্ঞ্যনের ব্যাপারে কি করেছ? সে বলল মৌলিক জ্ঞ্যন কি? মহানবী বললেন তুমি কি মহান আল্লাহ পাকের পরিচয় লাভ করেছ? সে বলল হ্যা। নবীজী বললেন- তাঁর জন্য কি করেছ? বলল- আল্লাহর ইচ্ছা। নবীজী বললেন মৃত্যু সম্পর্কে জেনেছ? বলল – হ্যা। নবীজী বললেন সে জন্য কি প্রস্তুতি গ্রহন করেছ? বলল – আল্লাহর ইচ্ছা। নবীজী বললেন – যাও আগে সেগুলো সম্পন্ন কর, অতঃপর এসো। আমি তোমাকে বিষ্ময়কর জ্ঞ্যানের কথা শিক্ষা দিব। কয়েক বছর পর লোকটি পুনরায় এল। মহানবী সাঃ বললনে- তোমার হ্রিদপিন্ডের উপর হাত রাখ। তুমি তোমার নিজের জন্য যা পচ্ছন্দ করবে না, তা তোমার মুসলমান ভাইয়ের জন্য পছন্দ করবে না এবং যা তোমার নিজের জন্য পচ্ছন্দ করবে , তা তোমার মুসলমান ভাইয়ের জন্য পছন্দ করবে। এটি একটি বিষ্ময়কর জ্ঞ্যানের কথা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: খাইসে!

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মূল্যবান কথা।

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৩

আদম_ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। মৃত্যু চিন্তা একটা বিরাট ঔষধ। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.