![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৬ নাম্বার বাসে ঝুলে যাচ্ছিলাম। হঠা করে ইংরেজী কথোপকথন শুনে পিছু ফিরলাম। দেখলাম এক মালয়েশিয়ান ছেলে কে উপদেশ দিচ্ছেন আমাদের ই এক স্বজাতি ভদ্রলোক। ভদ্রলোক চুয়েট থেকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার। কি যেন একটা প্রজেক্টে চাকুরী করেন। ভিনদেশি ছেলেটা আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেছে। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গেল। উপদেশ দেয়ার এমন চান্স কে হাতছাড়া করে!!!
প্রথম কথা টাই তুমি এত দেশ থাকতে বাংলাদেশে পড়তে আসছ ক্যান?? জার্মানি, ইন্ডিয়া বা কোরিয়া তে যাইতে পারতা। এই দেশে তো পড়ার সিস্টেম ভাল না। ৮০% থিওরিটিক্যাল আর ২০% প্রাক্টিক্যাল। উন্নত দেশে ৮০% ই প্রাক্টিক্যাল। এ দেশে পড়াশোনা করে লাভ নাই। আর চামে বাংলায় গরু-ছাগল বলে গালি দিতে ও দ্বিধাবোধ করল না। মেনে নিলাম আমাদের দেশের পড়া শোনার সিস্টেম ভালো না। আমরা এখনো সেই মান্দাতার আমলে রয়ে গেছি। তাই বলে কি এই সব উপদেশ একজন ভিনদেশি কেই দিতে হবে। যে কিনা এই দেশ সম্পর্কে একটা ভাল ধারনা পোষন করে বলেই এখানে পড়তে আসছে। ছেলেটি বলার চেষ্টা করল যে, এই থিওরিটিক্যাল পড়াতে তার আপত্তি নেই। তবু উনি তার ধারনা ছেলেটির উপর ছাপিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন ই।
বিরক্ত হয়ে ই ভদ্রলোককে বললাম, একজন মানুষ অন্যদেশ থেকে এখানে আসছে পড়তে। তাকে আপনি ওয়েলকাম না করে এভাবে ডিমোটিভেট করতেছেন কেন? এর কি উত্তর দিবেন উনি? কাঁচুমাচু করে বললেন না আমি এমনি বলতেছি আর কি।
ছেলেটা খুব ই হতাশ হল। হয়ত ভাবতেছিল এখানে আসার ডিসিশন টা কতটা যৌক্তিক ছিল। যেতে যেতে বলল যে, তুমি আমাকে ডিসকারেজ করছ। ছেলেটি আমার আগেই বাস থেকে নেমে গেল। না হলে কিছুটা চেষ্টা করতাম হতাশাটা কমানোর জন্য।
এই দেশ শত প্রতিকূলতার মাঝে ও এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ছাত্ররাই বিভিন্ন দেশের নামি ভার্সিটির সাথে কমপিট করতেছে। আর আমাদের ই এক স্বজাতি, হেনরি কিসিঞ্জারের মতো এক ভিনদেশির কাছে এই দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করতেছে!! আফসোস!!!
৬ নাম্বার বাসে ঝুলে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে ইংরেজী কথোপকথন শুনে পিছু ফিরলাম। দেখলাম এক মালয়েশিয়ান ছেলে কে উপদেশ দিচ্ছেন আমাদের ই এক স্বজাতি ভদ্রলোক। ভদ্রলোক চুয়েট থেকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার। কি যেন একটা প্রজেক্টে চাকুরী করেন। ভিনদেশি ছেলেটা আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেছে। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গেল। উপদেশ দেয়ার এমন চান্স কে হাতছাড়া করে!!!
প্রথম কথা টাই তুমি এত দেশ থাকতে বাংলাদেশে পড়তে আসছ ক্যান?? জার্মানি, ইন্ডিয়া বা কোরিয়া তে যাইতে পারতা। এই দেশে তো পড়ার সিস্টেম ভাল না। ৮০% থিওরিটিক্যাল আর ২০% প্রাক্টিক্যাল। উন্নত দেশে ৮০% ই প্রাক্টিক্যাল। এ দেশে পড়াশোনা করে লাভ নাই। আর চামে বাংলায় গরু-ছাগল বলে গালি দিতে ও দ্বিধাবোধ করল না। মেনে নিলাম আমাদের দেশের পড়া শোনার সিস্টেম ভালো না। আমরা এখনো সেই মান্দাতার আমলে রয়ে গেছি। তাই বলে কি এই সব উপদেশ একজন ভিনদেশি কেই দিতে হবে। যে কিনা এই দেশ সম্পর্কে একটা ভাল ধারনা পোষন করে বলেই এখানে পড়তে আসছে। ছেলেটি বলার চেষ্টা করল যে, এই থিওরিটিক্যাল পড়াতে তার আপত্তি নেই। তবু উনি তার ধারনা ছেলেটির উপর ছাপিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন ই।
বিরক্ত হয়ে ই ভদ্রলোককে বললাম, একজন মানুষ অন্যদেশ থেকে এখানে আসছে পড়তে। তাকে আপনি ওয়েলকাম না করে এভাবে ডিমটিভেট করতেছেন কেন? এর কি উত্তর দিবেন উনি? কাঁচুমাচু করে বললেন না আমি এমনি বলতেছি আর কি।
ছেলেটা খুব ই হতাশ হল। হয়ত ভাবত্তেছিল এখানে আসার ডিসিশন টা কতটা যৌক্তিক ছিল। যেতে যেতে বলল যে, তুমি আমাকে ডিসকারেজ করছ। ছেলেটি আমার আগেই বাস থেকে নেমে গেল। না হলে কিছুটা চেষ্টা করতাম হতাশাটা কমানোর জন্য।
এই দেশ শত প্রতিকূলতার মাঝে ও এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ছাত্ররাই বিভিন্ন দেশের নামি ভার্সিটির সাথে কমপিট করতেছে। আর আমাদের ই এক স্বজাতি, হে রি কিসিঞ্জারের মতো এক ভিনদেশির কাছে এই দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করতেছে!! আফসোস!!!
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১০
জেডআসাদস্ বলেছেন: ঠিক বলেছেন
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
পেইচিং বলেছেন: শালার পুতের গালে একটা থাবড়া দিতেন। কোন দেশে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হইছে? কোন দেশে চাকরি করে? কোন দেশের আলো বাতাসে বড় হইছে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: আমাদের আর একটা মজার গুন হলো বিদেশীদের কথা শুনে ঘরের মানুষরে গালি দিতে খুবই ভালবাসি, অথচ সেই বিদেশীই কোন ভুল করলে বলা হয় চেপে যান অথবা নরম শুরে বলেন, কাহিনী সত্যই জীবন থেকে নেয়া