![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বসন্তের প্রথম প্রহরে আর কোকিল ডাকে না, শীত আসি আসি বলে পৌষ পেরিয়ে মাঘ চলে আসে তবু এই নাগরিক জীবনে শীতের দেখা মেলে না। বৈশাখী ঝড়ে এখনো সব লন্ড ভন্ড হয়, তবু যেন তা সময় মানে না। আষাঢ়ে অঝর বৃষ্টি তে আগের মুগ্ধতা/সরলতা নেই। ভয়ে থাকি কখন না আবার বিদ্যুতের ঝলকানি কেড়ে নেয় মাঠে কর্মরত কোনো দিনমজুরের প্রাণ।
ষড় ঋতুর দেশের ঋতু বৈচিত্র্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ইদানিং বাতাস টা কেমন যেন বদলে যাওয়া মনে হচ্ছে। এমন গরম হয়ত বা আগে ও পড়ছে তবু এবারের গ্রীষ্মে কেমন যেন একটা ধোঁয়াশা ভাব। সকালের আকাশে রোদের সেই ঝল্কানি নেই। যেন কেমন একটা ধোঁয়াশা ভর করে থাকে। পূর্নিমা রাতের চাঁদ টা ও যেন কেমন মলিন হয়ে থাকে। যেন রুপ-লাবন্যহীন এক রমনী। বুঝলাম না শীতের জরাজীর্নতা কি এখনো আমাদের ভর করে আছে কিনা?
ব্যাপার গুলো প্রকৃতির স্বাভাবিক পরিবর্তন বলে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। এটা প্রকৃতির নিয়মের ব্যতয় যা আমদের খামখেলিপনার আর ক্ষমতাবানদের লিপ্সার জন্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ই পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলনের খবর দেখি। অপরিকল্পিত ভাবে নদীর বুক ছিড়ে বালু উত্তোলন, নদী-নালা ভরাট করে হচ্ছে নগরায়ন, সুন্দরবন উজার করে কেটে ফেলা হচ্ছে সুন্দরী গাছ। সবকিছুই হয় প্রশাসনের ছায়াতলে । আর দেশপ্রেম তাই হয়ে যায় পকেট বন্দি।
অবাক হই যখন দেখি খোদ সরকার সুন্দরবনের জমি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের জন্য পার্শ্ববর্তী দেশকে লীজ দেয়। যে সুন্দরবন আমাদের ঢাল হয়ে দাড়িয়ে আছে, আজ সে সুন্দরবন কে হত্যার সব আয়োজন করা হয়ে গেছে।
প্রকৃতি তার সৌন্দর্য্য হারাবে তাতে কার কি? তীব্র গরমে সাধারন মানুষ পুড়বে, অতি শীতে সাধারন মানুষ মরবে। প্রাকৃতিক জ্বলোচ্ছ্বাসে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ ই তো মরবে।
©somewhere in net ltd.