![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনী। এ রাতে আল্লাহ তা‘আলা সম্পূর্ণ কুরআন কারীমকে লাউহে মাহফুয থেকে প্রথম আসমানে নাযিল করেন। এ রাতে পৃথিবীতে অসংখ্য ফেরেশতা নেমে আসেন এবং তারা তখন দুনিয়ার কল্যাণ, বরকত ও রহমাত বর্ষণ করতে থাকেন।এটা শান্তি বর্ষণের রাত। এ রাতে ইবাদতরত বান্দাদেরকে ফেরেশতারা জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্তির বাণী শুনান।এ রাতের ফযিলত বর্ণনা করে এ রাতেই একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল হয়।
"নিশ্চয়ই আমি এটিকে (আল-কুরআন) কদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি।
তুমি কি জানো কদরের রাতটি কি?
কদরের রাত হলও হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
ফেরেশতারা ও রূহ (হজরত জিবরাঈল আঃ ) এই রাতে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতীর্ণ হয়;
সেই রাতটি পুরোপুরি শান্তি ও নিরাপত্তার - ভোর হওয়া পর্যন্ত।"
: (সূরা আল-কদর)
লাইলাতুল কদরের সম্ভাব্য তারিখ আল্লাহ তায়ালা আমাদের কাছে গোপন রেখেছেন। তবে অনেকের ই মত হচ্ছে ২৭ রোজার রাত ই হল লাইলাতুল কদর।তদুপরি হাদিসে এসেছে,
হযরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন: তোমরা লাইলাতুল কদরকে রমাদানের শেষ দশদিনের বেজোড় রাতে তালাশ করো। (সহীহ আল-বুখারী)
তাই শুধু মাত্র ২৭ রমজান রাতে ইবাদত বন্দেগী না করে রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাত্রিতে লাইলাতুল কদর কে তালাশ করা একজন মুসলমানের জন্য উত্তম। ইনাশা আল্লাহ আমরা ২০ রোজার দিবাগত রাত থেকে লাইলাতুল কদরের প্রথম সম্ভাব্য বিজোড় রাত্রিতে ইবাদত বন্দেগী শুরু করব।
লাইলাতুল কদরের কিছু আলামত হাদীসে বর্ণিত আছে। সেগুলো হল :
(১) রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।
(২) নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।
(৩) মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।
(৪) সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।
(৫) কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।
(৬) ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।
(৭) সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।
(সহীহ ইবনু খুযাইমাহ- ২১৯০, বুখারী০ ২০২১, মুসলিম- ৭৬২ নং হাদীস)
©somewhere in net ltd.