![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘড়ির কাটাঁয় দুপুর ছুইঁ ছুইঁ। বৃষ্টির কারনে বুঝা যাচ্ছেনা মনে হচ্ছে সবে মাত্র সকাল হয়েছে । উত্তরা ৬নং সেক্টরে বাংলাদেশ আইটি সেক্টরে লোক নিয়োগের ভাইভা চলছে।
রফিক সাহেব ভাইভা বোর্ডে বসে আছে বেশ কিছুক্ষন ধরে বেশ বিরক্ত হচ্ছেন তিনি
কাদের নেওয়া হবে আগে থেকেই ঠিক করা আছে তবুও পাবলিক ডিমান্ড আর সিস্টেম এর জোরে বসে থাকতে হয়েছে।
রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে চাকরীর প্রার্থীরা। একে একে ভিতরে যাচ্ছেন ভাইবা শেষে ফিরে আসছেন। হঠাৎ কান খাড়া করলেন বাইরে বসে থাকা বাকি ক্যান্ডিডেডরা।ভেতর থেকে ধমকের আওয়াজ আসছে।কেউ কাউকে আচ্ছামত শাসাচ্ছে।মিনিট দশেক পরেই বের হয়ে এল একজন। মাথা নিচু করে ছিল তবে স্পস্ট দেখা যাচ্ছিল চোখ ছলছল করছে। সাথে সাথে এগিয়ে গেলেন অপেক্ষামান তার সিরিয়াল এর পরে থাকা রাইয়ান সহ আরো কয়েকজন।
কি ব্যপার?
জিজ্ঞেস করতে তিনি শুধু বলেছিলেন-তেমন কিছু না হিজাব পড়া নিয়ে একটু বকাঝকা করেছে।
তিনি বের হলে ভাইভা বোর্ডের সামনে হাজির হবার পালা রাইয়ানের।
রাইয়ানের মানুষের মাইন্ড রিড় করার ছোট্ট একটা পাওয়ার আছে যদিও সে এটা নিজে নিজে ভাবে। রাইয়ান রুমে ডুকে দাড়াল।
তাকে জিজ্ঞেস করা হল কি ব্যাপার আপনি হিজাব পড়ে আসেননি?
-স্যার হিজাব তো মেয়েরা পড়ে আমি কেন পড়ব?
তাই নাকি বলে ধম নিয়ে রফিক সাহেব বলল
ঠিক আছে বসেন।
রফিক সাহেব ভ্রু কুচঁকালেন, একবার সার্টিফিকেট এর দিকে তাকালেন মেজাজ প্রচন্ড বিগড়ে গেল মনে মনে ভাবলেন এত কম গ্রেড নিয়ে কেউ ভাইভা দিতে আসে লাজ-লজ্জা ভুলে গেছে মানুষ।
আগে ভাইভা নিতে বসা হত চাকরী দেওয়ার জন্য এখন বসা হয় ফরমালিটি দেখানোর কাজে। সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাক্তিকে বসানো হয় এই কাজে কারন চাকরী দেওয়া যতটা সহজ বাদ দেওয়াও ততটা কঠিন।
রফিক সাহেব ভাইভা বোর্ডে বসা থাকা সবার দিকে ব্যঙ্গাত্মক ইশারা করলেন উদেশ্যে রাইয়ানকে হেনস্তা করা।
শুরু হল অবান্তর প্রশ্ন
প্রথম কয়েকটা তাও ঠিক একজন হুট করে বলে উঠল ধরেন আপনার মা আপনাকে বলল বাজার করতে কিন্ত আপনার ঘুমাতে ইচ্ছে করছে আপনি কি করবেন?
রীতিমত হাত পা ঠান্ডা করা প্রশ্ন শুনে কিছুই বলতে পারছিলো না রাইয়ান।
আইটি সেক্টরে লোক নিবে বাজার দিয়ে কি করবে কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছিল না সে।
অনেক গুলো প্রশ্ন চলে গেছে একটার ও উত্তর দিতে পারেনি সে।
রফিক সাহেব এতোটাও অমানবিক না তিনি বললেন তোমাকে লাস্ট একটা সুযোগ দেওয়া হবে যদি পারো তোমার ব্যাপারে ভেবে দেখব।
রাইয়ান মাথা নেড়ে সায় দিল।
তিনি বলে উঠলেন আমার জন্মদিন কবে?
-ইয়ে মানে স্যার
-ইয়ে মানে স্যার জন্মদিন হয় নাকি?
রাইয়ান উঠে চলে আসল ভাইভা বোর্ড থেকে।
কারন সে জানে তিনি ভাইভা নিচ্ছেন তার সবকিছু বলার অধিকার আছে।
বের হয়ে হাটতেঁ হাটঁতে নিজেকে জিজ্ঞেস করতে লাগল"যদি আগে থেকে সবকিছু ঠিক হয়ে যায় তাহলে এতো কষ্ট করে পড়ালেখা কমপ্লিট করে চাকরীর ভাইভা দিতে আসার মানেটা কি??
©somewhere in net ltd.