নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

::::::::::::অতি সাধারন একজন...

আমি মনে প্রাণে একজন মুসলিম। ঘৃণা করি ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকদের এবং ধর্ম ব্যবসায়ী ছাগু তথা উগ্রবাদীদের। ক্যঁচাল পছন্দ করিনা ।।

যুবায়ের

যখন যা মাথায় আসে লিখে ফেলি।

যুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধান বীজ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষক!. দেখার কেউ নেই?..

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৪



এখন চলছে ইরি-বোরো বীজ মৌসূম। কৃষকের বীজ সংগ্রহ এবং বীজতলায় বীজ ছিটানোর সময়। কৃষক ব্যস্ত বীজ কিনে প্রক্রিয়াজাত করে বীজতলায় বীজ ছিটানোয় ব্যস্ত গ্রাম-বাংলার সকল কৃষকগণ।

নির্ধারিত বীজ ভান্ডার সহ মৌসূমী বীজ ব্যবসায়িদের ব্যবসা চলছে ধুমছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর বীজ স্বল্পতার কারনে
কিছু নামী, বেনামি কোম্পাণী প্যকেটজাত করে সেইসব বীজ বাজারজাত করছে। কোন পরিক্ষা-নিরিক্ষা করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ-সংষয়!!.. কৃষকের বীজ খারাপ হলে তার প্রভাব পড়বে উৎপাদনে। আর উৎপাদন কম হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশের খাদ্য উৎপাদন।


আমরা বাঙালী ভাত মাছ আমাদের মুল খাদ্য। ধান থেকেই চাল হয়। আমরা দেশে উৎপাদিত চাল থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে থাকি। গতবছরে ধানের বাম্পার ফলন হওয়া স্বত্তেও কৃষক বণ্ঞ্চিত হয়েছে নায্য মূল্য থেকে। যখন ধানকাটা-ধান মাড়াই মৌসুম ছিলো তখন ধানের দাম ছিলো প্রতি মণ ৪৫০-৫০০ টাকা!
কৃষকের উৎপাদন খরচই ঠিকমতো ওঠেনি। অনেক কৃষক হতাশ হয়ে রবিশস্যর প্রতি ঝুকেছে। অনেকে পাট,গম এর প্রতি ঝুকেছে। ধান চাষের জমি এবছর কিছুটা হলেও কমবে। কারন যারা রবিশষ্য আবাদ করেছে তারা গম অথচা পাট বুনবে। ধান রোপনের মৌসুম তারা ধরতে পারবেনা।
যা হোক এবারে মুল কথায় ফিরে আসি।

বিএডিসি ছাড়াও বেশ কিছু সিডস কোং দেশে আছে যারা চায়না, ভিয়েতনাম সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত জাতের বীজ আমদানী করে প্যকেটজাত করে উচ্চমূল্য বিক্রী করে থাকে। মুল্য যদিওবা বেশি তারপরও ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা মানসন্মত বীজ কিনে থাকেন। আমদানীকৃত চিকন ধানে বীজ
২ কেজি প্যকেটের দাম ২৩০ টাকা! হাইব্রিড ১ কেজি ওজনের প্যকেট ১২০ টাকা! অথচ বিএডিসির ভিত্তি ধানের বীজ ১০ কেজির প্যকেট মাত্র ৩৫০ টাকা!
বিএডিসির বীজ সংকটের কারনে বেনামী এবং স্হানীয় কিছু নামমাত্র সিডস কোম্পানী গজিয়েছে। এরা বাজার থেকে ধান কিনে চটের ব্যগ তৈরি করছে। ব্যগে ধান ভরে সেলাই করে স্কিন প্রিন্ট করে লিখে দিচ্ছে অমুক সিডস কোম্পাণী! গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত! আর সরকারী বীজে যেমন ট্যগ থাকে ঠিক সেইরকম ট্যগ প্রেস থেকে ছাপিয়ে লিখে দিচ্ছে অন্কুরোদগম ক্ষমতা ৮৫-৯০% আর এক সিল মেরে দিচ্ছে একজন কৃষিবিদের নামে। যার নামে সিল দেওয়া হয়েছে তিনি আদৌ বীজ পরিক্ষা করেছেন কিনা সেটা স্বয়ং আল্লাহ ভালো জানেন। এভাবে মানহীন বীজ চলে যাচ্ছে কৃষকের হাতে…
সরকারের তদারকী প্রতিষ্ঠান কি করে এইসব বেনামী কোম্পানীদের বিষয়ে?..
আদৌ তারা কি আছেন নাকি অফিসে বসে সময় কাটাচ্ছেন?..
এদেশের হত-দরিদ্র কৃষক যখন প্রতারিত হচ্ছে এইসব মুনাফাখোর বেনামী কোম্পানী দ্বারা তখন কৃষকের জন্য কি ভাবেন সরকার?..
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁবচবে... খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসর্পুনতা ধরে রাখা সম্ভব হবে।

{ছবি-ইন্টারনেট থেকে}

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩১

বিদ্রোহী বাঙাল বলেছেন: দেশের মানুষের ক্ষতি হয় এমন বিষয় নিয়ে আরো লিখুন। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৩

যুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী বাঙাল
লিখবো ইনশাআল্লাহ..

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৪

যুবায়ের বলেছেন: ওয়াও লেখাটি নির্বাচিত পাতায় স্থান পেয়েছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.