![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা মুসলীম জাতি। আমাদের জীবন ব্যবস্থা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কতৃর্ক চুড়ান্ত পদ্ধতি। আমাদের সংস্কৃতি ও তাই। কিন্তু আমরা অভিশপ্ত সেই জাতির সংস্কৃতি মনে লালন করছি, কর্মে প্রকাশ করছি যাদের বিরুদ্ধে আমরা আল্লাহর কাছে নামাযের মধ্যে সাহায্য চাই। আমরা বলি----
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
অর্থ: ‘‘হে আল্লাহ আমাদের সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করেন, সে পথ যে পথে আপনার নেয়ামতপ্রাপ্ত মানুষরা চলেছেন। তাদের পথ নয় যারা ইহুদী এবং খৃষ্ট্রান’’ যারা পথভ্রষ্ট এবং আপনার গজবপ্রাপ্ত’’।
(সুরা ফাতিহা-৫,৬,৭ নং আয়াত)
একজন কবি যথার্থই বলেছেন তার কাব্যে----
‘‘সরল সঠিক পূন্য পন্থা মোদের দাওগো বলি
চালাও সে পথে যে পথে মোদের প্রিয়জন গেছে চলি
যে পথে তোমার চির অভিশাপ, যে পথ ভ্রান্ত চির পরিতাপ
মোদের কখনও করোনা সে পথগামী”
যাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে আল্লাহ নিষেধ করে বলেছেন-----
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করোনা। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা মায়িদা-৫১)
আল্লাহর রসূল (স) ভৎষনা করে বলেছেন--
لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِي مَا أَتَى عَلَى بني إسرائيل حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ، আমার উম্মতের উপর এমন একটি সময় আসবে যেমনি এসেছিল ইহুদী খৃষ্ট্রানদের উপর। আমার উম্মত আর তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না। যেমন একটা জুতা অন্য আরেকটি জুতার সমান হয় তেমনি আমার উম্মতের মধ্যে কিছু মানুষ ইহুদী-খৃষ্ট্রানদের মত হবে। (সুনানে তিরমিযী, আবওয়াবুল ঈমান)
যারা ইহুদী-খৃষ্ট্রানদের মত তাদের অনুসরণ করবে অর্থ্যাৎ তাদের সংস্কৃতি মানবে তারা সমাজের ক্ষতিকর সম্প্রদায় এবং জাহান্নামী যে কথা হাদিসের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। কিন্তু বড় দু:খজনক ব্যাপার হলো, তাদের অনুসরণ করতে যেয়ে আমরা ধর্মীয় বা দ্বীনি ব্যাপারেও তাদের অনুসরণ করছি।
হ্যাঁ যদি এমন হতো যে, আমরা অশ্লীলতা বা গানবাজনা করছি তাদের মত তাও এক রকম হতো কিন্তু আমরা ভাল কাজ করতে যেয়ে, ধর্মের কাজ আর সওয়াবের কাজ করতে যেয়ে তাদের মত সংস্কৃতি চালু করছি যা আমাদের ধ্বংস্বের কারণ হবে।
(চলবে)
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০
কাগজের ফেরিওয়ালা বলেছেন: সকল খ্রিস্টান ও সকল ইহুদীদের কথা সুরা মায়িদায় বলা হয়নি। যেসব খ্রিস্টান মুসলমানদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলে, যেসব ইহুদী ইজরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলে, তারা মুসলমানদের বন্ধু।
সুরা মায়িদাতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে। ইতিহাসের জ্ঞান স্বল্প হওয়ায় আমাদের আলেম-ওলামারা এমনকি অনুবাদকেরাও এটি ধরতে পারেন নি।
সুরা মায়িদার ৮২ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে:
"আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু হিসেবে ইহুদি ও মুশরেকদের পাবেন আর আপনি সবার চাইতে মুসলমানদের অতি নিকটবর্তী হিসেবে তাদের পাবেন, যারা বলে আমরা খ্রিস্টান। এর কারণ হলো এই যে, তাদের মাঝে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না।"
এ থেকে আমরা বুঝতে পারি, ইহুদীরা যখন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রুতে পরিণত হবে, তখন খ্রিস্টানদের একটি শাখা মুসলমানদের বন্ধুতে পরিণত হবে।
এখন প্রশ্ন হলো কোন খ্রিস্টান?
১। তাদের মধ্যে আলেম থাকবে অর্থাৎ মনাস্টিসিজম,
২। তাদের মধ্যে দরবেশ থাকবে অর্থাৎ প্রিস্টহুড,
৩। তারা অহংকারী জাতি হবে না।
আরো পরিষ্কার করে চেনার জন্য আমরা দেখব সুরা মায়েদার ৫১ নাম্বার আয়াতঃ
" হে মুমিনগণ, তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা নিজেরা পরষ্পরের বন্ধু...."
এই আয়াত নাযিল হওয়ার সময় ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা পরষ্পরের বন্ধু ছিলোনা। খ্রিস্টানরা তাদের ঈশ্বরকে হত্যার অভিযোগে ইহুদীদের দায়ি করত।
তাহলে? এখানে ভবিষ্যতের এমন একটি সময়কে নির্দেশ করছে, যখন কিছু ইহুদী (ইজরায়েল) এবং কিছু খ্রিস্টান (ওয়েস্টার্ন খ্রিস্টিয়ানিটি) পরষ্পরের বন্ধু হবে এবং এংলো-জায়োনিস্ট ন্যাটো ফোর্স গঠন করবে।
সুতরাং, আয়াতটি হলো,
"হে মুমিনগণ, তোমরা (সেইসব) ইহুদী ও (সেইসব) খ্রিস্টানদের সাথে বন্ধুত্ব করোনা যারা নিজেরা পরষ্পরের বন্ধু...."।
অর্থোডক্স খ্রিস্টিয়ানিটি যার রাজধানী রাশিয়া, এই যায়োনিস্ট বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত নয়।