![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিষয়: তাদের বিরোধীতা করা আমাদের জন্য অবধারিত বাধ্যতামূলক
-----------------------------------------
বিষয়ের শুরুতে একটি হাদিস দ্বারা শুরু করলে আমাদের বুঝতে খুব সুবিধা হবে বলে মনে করছি। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা বলেন, রাসূল (স) বলেছেন-
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
অর্থ: যার সাদৃশ্য যেই জাতির সাথে থাকবে সে তাদেরই একজন।
(সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুল লিবাস বা পোষাক অধ্যায়, হাদিস নং-৪৩০১)
অর্থ্যাৎ আমি যদি ইহুদী বা খৃষ্ট্রানদের কোন সংস্কৃতির সাদৃশ্য কোন কিছুর অনুসরণ করি তবে আমি তাদের একজন বলেই গন্য হবো। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর।
কেননা আমার রাত জেগে তাহাজ্জুদ, শীতের সকালে অজু বা কষ্টের টাকা সাদাকা করেও আমি কিছু কারনে যদি ইহুদী বা খৃষ্টান হয়ে আল্লাহর সামনে উপস্থিথ হই তার থেকে বড় ক্ষতি আর কিবা হতে পারে। এবার আমরা দেখবো আল্লাহর রাসূল (স) আমাদের কতভাবে সতর্ক করেছেন যেন আমরা দ্বীনি বিষয়ে তো দুরে থাক জাগতিক বা দুনিয়ার ব্যাপারেও যেন কোনভাবেই ইহুদী ও খৃষ্ট্রান চরিত্রের অধিকারী না হই।
রাসূলুল্লাহ (স) আমাদের যে মূলনীতি শিক্ষা দিয়েছেন তার অন্যতম হলো ইহুদী-খৃষ্ট্রান, কাফের মুশরীক সহ অমুসলীমদের বিরোধীতা করা। বিশেষ করে তাদের চলমান আচরণ বা সংস্কৃতি। তার মুখনিসৃ:ত সেই অমূল্যবানী কেয়ামত পর্যন্ত হাদিসের কিতাবগুলোতে স্বর্ণাক্ষারে লিখা থাকবে। চলতেই থাকবে মুহাদ্দিসিন কেরামের দারসে সেই আওয়াজ আর তাহলো---- خَالِفُوا الْيَهُودَ والنصري
তোমরা ইহুদী ও খৃষ্ট্রানদের বিরোধীতা করো -
Different from the Jews and the christians
রাসূলুল্লাহ (স) যেভাবে ইহুদী-খৃষ্ট্রানদের বিরোধীতা করতেন এবং সাহাবীদের নির্দেশ দিতেন-
১. ইহুদী-খৃষ্ট্রানরা চুল-দাড়িতে কোন রঙ্ ব্যবহার করতো না। তারা এগুলোকে সাদা রাখতো। রাসূলুল্লাহ (স) আমাদের চুল-দাড়ি রাঙ্গাতে নির্দেশ দিয়েছেন (লাল বা হলুদ ব্যবহার করতে হবে, কালো করা হারাম)।
হাদিস: আবু হুরাইরা রা: বলেন, রাসূল (স) বলেছেন-
إِنَّ اليَهُودَ، وَالنَّصَارَى لاَ يَصْبُغُونَ، فَخَالِفُوهُمْ
ইহুদী-খৃষ্ট্রানরা চুল-দাড়িতে কোন রঙ্ ব্যবহার করে না। তোমরা তাদের বিরোধীতা কর। (সহীহ বুখারী, নবীদের কাহিনী অধ্যায়, হাদিস নং-৩৪৬২)
বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ন তা আমরা এখান থেকেই বুঝতে সক্ষম হই। চুল-দাড়ি একেবারেই তুচ্ছ বিষয় আমাদের কাছে। অথচ সেখানেও তাদের বিরোধীতা করতে বলা হয়েছে।
২.সাপ্তাহিক ছুটি বা দিবস পালনে তাদের বিরোধীতা করা।
ইহুদীরা শনিবার ও খৃষ্ট্রানরা রবিবার নিজেদের সাপ্তাহিক ছুটি ও আনন্দের দিন হিসেবে ধার্য করেছে। পক্ষান্তরে রাসূলুল্লাহ (স) ঐ দুদিন রোজা রাখতেন। শুধু তাই নয়। তিনি এমন এক কথা বলেছেন যা আমাদের ব্যাক্তিগত জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন ও আর্ন্তজাতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ন এক নীতিমালা আর তাহলো-
উম্মে সালামা (রা) বলেন, রাসূল (স) বলেছেন-
فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أُخَالِفَهُمْ
আমি তাদের (ইহুদী-খৃষ্ট্রানদের) বিরোধীতা করতে ভালবাসি।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-২৬৭৫০)
৩. সালাম দেওয়ার সময় হাত না ইশারা করা।
রাসূল (স) বলেছেন-لَا تَشَبَّهُوا بِاليَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارَى، فَإِنَّ تَسْلِيمَ اليَهُودِ الإِشَارَةُ بِالأَصَابِعِ، وَتَسْلِيمَ النَّصَارَى الإِشَارَةُ بِالأَكُفِّ
তোমরা ইহুদী ও খৃষ্ট্রানদের সাথে আচার-আচরণে মিল রেখ না। তাদের সাদৃশ্য রেখ না। ইহুদীরা সালাম দেয় আঙ্গুলের ইশারায় আর খৃষ্ট্রানরা দেয় হাতের তালুর ইশারায়।
(সুনানে তিরমিযী, আবওয়াবুল ইসতি’যান বা অনুমতি অধ্যায়, হাদিস নং-২৬৯৫)
এমনিভাবে রাসূলুল্লাহ (স) তাদের মতো করে বসতে, পোষাক পড়তে, তাদের দিবস পালন করতে, তাদের মত আসবাব-পত্র ব্যবহার করতে, চুল রাখতে সহ তাদের প্রতিটি ব্যাপারে আমাদের বিরোধীতা করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি নিজে বিরোধীতা করেছেন এবং বিপরীত আমল করেছেন।
একটি ঘটনা বলেই আজকের লেখা শেষ করবো। রাসূলুল্লাহ (স) সহ তার সকল সাহাবায়ে কেরাম রিদওয়ানাল্লাহি আজমাইন মহররম মাসের দশ তারিখ আশুরার রোজা রাখতেন। রাসূলুল্লাহ (স) সাহাবীদের (রা) এমন প্রশিক্ষণ দিয়েছেন যে তারা রাসূলুল্লাহ (স) কে জানালেন, ইহুদীরা ও মহররম মাসের ১০ তারিখ রোজা রাখে। রাসূলুল্লাহ (স) সাথে সাথে আরও একদিন বেশী রোজা রাখার ইচ্ছা করলেন এবং সবাইকে তাদের বিরোধীতা করে আমল করতে নির্দেশ দিলেন।
(সহীহ মুসলীম, কিতাবুস সিয়াম বা রোজা অধ্যায়, হাদিস নং-১১৩৪)
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮
নতুন বলেছেন: এমনিভাবে রাসূলুল্লাহ (স) তাদের মতো করে বসতে, পোষাক পড়তে, তাদের দিবস পালন করতে, তাদের মত আসবাব-পত্র ব্যবহার করতে, চুল রাখতে সহ তাদের প্রতিটি ব্যাপারে আমাদের বিরোধীতা করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি নিজে বিরোধীতা করেছেন এবং বিপরীত আমল করেছেন।
উল্লেখ্য '' তাদের মত আসবাব-পত্র ব্যবহার করতে,'' মানে তারা যা ব্যবহার করে, আবিস্কার করে নিজেদের ব্যবহারের জন্য সেই সবও কিন্তু বিধমীদের জিনিস তাইনা?
ঈহুদী/খৃস্টানেরা কম্পিউটার আবিস্কার করেছে, ব্যবহার করেছে এবং এই গুলি যেহেতু রাসুল সা: তার সাহাবী, তাবেতাবাইন কেউই ব্যবহার করে নাই।
তাই আপনারও উচিত হবে সেই সব ব্যবহার না করা।
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০
নতুন বলেছেন: বিধমীরা রাসুল সা: এর সুন্নত উট ব্যবহার না করতে উতসায়িত করেছে। তারা গাড়ী আবিস্কার করেছে প্লেন আবিস্কার করেছে..
সেই গুলিও কিন্তু পরিত্যাগ করা উচিত...
দেশে উট পাওয়া যায় আপনি কিন্তু একটা কিনে নিলে একটা বেশি সুন্নত পালনের ছোয়াব পেতে পারেন...
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭
রিপন বর্মণ বলেছেন: আমি তাদের (ইহুদী-খৃষ্ট্রানদের) বিরোধীতা করতে ভালবাসি।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-২৬৭৫০)
প্রতিটি ব্যাপারে আমাদের বিরোধীতা করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি নিজে বিরোধীতা করেছেন এবং বিপরীত আমল করেছেন।
OMG.
Is it islam?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬
আশরাফুল আলম আশিক বলেছেন: বিরধিতা করা যাবে,তবে আক্রমন না। ক্ষতি নয়।