![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রথম আলোর সংবাদ পরে চমকিত হলাম! বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে দেশের দারিদ্রের হার যে হারে কমছে তা বেশ আশা জাগানিয়া কিন্তু যে ব্যাপারটিকে তারা দারিদ্র কমার কারন বলে চিহ্নিত করেছে সেখানে আমার কথা আছে। আগে একেকটি পরিবারে একজন করে কর্মক্ষম লোক ছিল এখন তা বেড়েছে সত্য কিন্তু এই তথ্য কিভাবে প্রমান করে মানুষের দারিদ্রতা কমেছে? আগে একজনের আয়ে পরিবারের কোনরকম চলে যেত আর এখন বাপ-মা-পুত-ঝিয়েরা মিলে কাজ করেও সংসার ঠিকমত চলেনা। রাজনৈতিক দোলাচলে পরে সাধারণ ছুটির পাশাপাশি গায়ে খাটা লোকজনরা হরতাল আর সহিংসতার কারনে বছরে আরও মাসদুয়েক কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি তাদের বাড়তি আয়কে কখনও পুজিতে রুপান্তর হতে দেয় না। তারা সারাজীবন কলুর বলদই থেকে যায়! একে কিভাবে দারিদ্র বিমোচন বলে?
আয় বৈষম্যের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তা বিরাট জোচ্চোরি বলে মনে হয়েছে। ধনী লোকজন এত ধনী হয়েছে যা কল্পনাতিত। অপরপক্ষে গরিবদের তথাকথিত বাড়তি আয় মুদ্রাস্ফীতি নামক পিঁপড়া খেয়ে যাচ্ছে। ঢাকার রাস্তায় নিত্যনতুন হামার, প্রাডো গাড়িগুলো কিন্তু “জিনি কোএফিসিএন্টের” অন্য বার্তা দেয়!
মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কমে যাওয়া সামাজিক উন্নতির লক্ষন যদিও এক্ষেত্রে সমান বা আমাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলি অর্থনীতিতে কিন্তু ভালো অবস্থানে আছে। সামাজিক উন্নয়ন যদি সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে না পারে তাইলে তথ্যে গড়মিল আছে এই ধারণা থাকাটা আমুলক নয়।
গত কয়েক বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধির যে হার তা অনেকটা সমান্তরাল। নতুন কোন বিনিয়োগ হচ্ছে না আর তাই দেশের বিরাট একটা শ্রমশক্তি গুটিকয়েক রপ্তানি পন্যের উপর পুরোমাত্রায় নির্ভরশীল। নব্য ধনিক শ্রেণীর পকেটে থাকা তৈরি পোশাক খাত যে কোন মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে (তাজরিনের মত ঘটনা চিন্তায় আনুন) তখন কর্মসংস্থানের অবস্থা কি হবে তা ভাবতে ভয় লাগছে। বিশ্ব মন্দার কারনে শ্রমিক রফতানি অনেক দেশেই বন্ধ আছে। বিদেশ থেকে শ্রমিকরা ধরপাকড়ের জন্য নিয়মিত ফেরত আসছেন। অবস্থা অনেকটা বেগতিক বলেই মনে হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিশ্বব্যাংকের মতে ২% কর্মসংস্থান বাড়িয়ে ২০২১ সালের ভিতর মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গোল্ডম্যানসাচের “নেক্সট ইলাভেন” গ্রুপের গর্বিত সদস্য হওয়াটা অলীক স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে।
সংবাদটির শেষ অংশটাকেই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। ভারত, পাকিস্থান বা পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে বিনিয়োগ না গিয়ে আমাদের দেশে আসবে বলেছে বিশ্বব্যাংক কিন্তু বাস্তবতা কি? বিনিয়োগ আসার কথা কিন্তু এসেছে কতটুকু তা ভাবার ১০১টা কারন থাকাটা যুক্তিযুক্ত মনে করছি। রাজনৈতিক ডামাডোলে বিশ্বব্যাংকের সংবাদ সম্মেলনের তথ্যগুলি আমার কাছে সরকারকে খুশি করার একটা চেষ্টা বলে মনে হয়েছে আরেকটু খাস বাংলায় “ঘুষ”। ওরা কি পদ্মা সেতুতে ফেরত আসতে চায় নাকি সরকারের মতিগতি বোঝার টোপ ফেলেছে? বোঝা মস্কিল তাই সাধু সাবধান! সময় করে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
জাকারিয়া জামান তানভীর বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। নতুন বছরের প্রতিটি দিন কাটুক আনন্দে।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪০
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি কি বলতে চান যে বিশ্ব ব্যান্ক আওয়ামী লীগের টাকা খেয়ে এই সন্মেলন করেছে
ওরা কি কোন তথ্য/উপাত্ত ছাড়াই মনগড়া কথা বলছে...........
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
জাকারিয়া জামান তানভীর বলেছেন: তথ্যের কার্যকারিতা নির্ভর করে তথ্য বিশ্লেষণের উপর। বিশ্বব্যাংক আগেও অনেক কথা বলেছে এখনও বলছে অন্যসবের মত তাদেরও নিজস্ব এজেন্ডা আছে সেটা বাস্তবায়নে তারা সচেষ্ট। পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদেরকে বিশ্বের সামনে হেয় করেছে। এই বলছে সেতু করে দেব এই বলছে করতে পারবনা। এমন সময়ে সরকারের কঠিন আচরণের কারনে তারা একটু কোণঠাসা বলে মনে হচ্ছে(!) বরফ গলাতে তারা যেকোনো পথই বেঁচে নিতে পারে। সামান্য সংবাদ সম্মেলনের গাল ভরা কথায় দেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায় না। দেশ যদি এতই ভালো চলত তাইলে সরকারকে মাসে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যাংক থেকে ধার করতে হত না।
যাই হোক আপনার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩২
দুষ্টু ছোড়া বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।