নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাপুরুষ

এম. জাকারিয়া

একজন সাধারণ নাগরিক

এম. জাকারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবর/মাজার পূজা ও মূর্তি পূজার মধ্যে পার্থক্য।

১৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

হযরত আদম আঃ থেকে নূহ আঃ পযন্ত তৎকালীন পৃথিবীর সকল মানুষই মুসলিম ছিল, তাওহীদের উপর অটল ছিল, কোন ফেরক্বা বন্দী ছিলনা,এমন অবস্হা হযরত নূহ আঃ এর জমানা পযন্ত চলতে থাকে। ইমাম নভবী রঃ বলেন হযরত আদম আঃ ও নূহ আঃ এর মধ্যবর্তী সময়ে ৫ জন বিশিষ্ট মুত্তাকী ধমভীরু নেককার লোক ছিল, যার বর্ণনা সূরা নূহতে এ ভাবেই এসেছে,এ ৫ জন যথাক্রমে ওয়াদ,সূয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক, ও নসর, এরা প্রকৃত পক্ষে সে জামানার মুত্তাকী পরহেজগার লোক বা সে জমানার অলী, সবাই এদের সন্মন করত, তাদের কৃত নছিহত শুনতো আমল করত। ভক্তরা সূদীঘকাল পযন্ত তাদের পথ অনূসরন করে সঠিক ও তাওহীদের উপর অটল ছিল। তাদের সকলের এন্তেকালের পর শয়তন মানুষবেশী জুব্বা পাগডী পরিধান করে ভক্তদের কাছে এসে পরোচনার জাল আঁটল এভাবে যে,
১৷ তোমরা যে সকল মহাপুরুষদের পদ অনুসরন করছ তাদের ছবি এঁকে উপাসানলয়ে রেখে এবদত করলে এবাদতে পূর্ণতা লাভ করশ, মানুষবেশী শয়তানের পরামর্শে তাই করল, এ ভাবে অনেক দিন চলতে থাকে। .
২৷ পরবর্তীতে এদের মৃত্যুর পর অন্য প্রজন্মের কাছে অন্য আর একটি পন্দী আঁটল এ ভাবে যে তোমাদের মুরুব্বীদের মূর্তী তৈরী করে তোমদের সামনে রেখে দাও তাহলে আল্লাহর এবাদতে একাগ্রতা ও পূনতা লাভ করবে , তারা শয়তানের ধোকা বুঝতে না পেরে প্রতিকৃতি উপাসনালয়ে রাখল , এদের সৃতি জাগরীত করে এবাদতে বিশেষ পুলক অনূভব করতে লাগল , এ ভাবে অনেক দিন চলতে লাগল ৷
তবে এখনও মূর্তি পুজা শুরু হয়নি।
৩।তৃতীয় ধাপে এসে পরবর্তী বংশধরদের কাছে এসে এমন ভাবে প্ররোচনা করল যে মালয়ূন
শয়তান কামীয়াব হয়ে গেল ত, আর ভক্তরা পথভ্রষ্ট হয়ে ইতিহাসের সবনিন্ম আস্তাকূডে নিক্ষিপ্ত হলো৷
৩৷ শয়তান বলল যে, তোমাদের পূর্ব পুরুষরাই শুধু মাত্র এ সব মূর্তীর সন্মানই করেনী বরং এ সকল মূর্তীরই এবাদত করেছে, এগুলোই হচ্ছে ওদের উপাসক বা খোদা।
সুতরাং তোমরা ও তোমাদের বাপ দাদার অনূসরন কল্পে এদেরই এবাদত কর। কাজেই শয়তানের পরামশে তাই করল।
এ ভাবে পৃথিবীতে সব প্রথম মূর্তি পূজার সূচনা হয়।
এর ফলে তখনকার সময় প্রায় সকল মানুষই মুর্তি পূজায় লিপ্ত হয়ে এসকল মূর্তির কাছে মনোবসনা পূ্ন্যের কামনা করত . নজর- নেওয়াজ কোরবানী ইত্যাদী সব কিছুই করত।
কেউ কেউ এ সকল মূর্তিকেই সয়ং খোদা মনে করতো। কেউ বা খোদাকে পাওয়ার মাধ্যম মনে করতো ৷
এ ভাবে যখন গোটা জাতিই শিরকে লিপ্ত হলো চতুরদিকে কূফরীর অন্ধকার চেয়ে গেছে ঠিক তেমনি সে মূহুতে মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের হেদায়েতের জন্য হযরত নূহ আঃ কে রসুল হিসাবে প্রেরন করলেন ৷
কিন্তু তিনি ৯৫০ বৎসর পযন্ত দাওয়াতের কাজ করার পর মাএ ৪০ জন বা ৪০ জোডা মহিলা পুরুষ মিলে তাঁর ধম গ্রহন করলেন।
অবশেষে তিনি ওহী মারফত জানতে পারলেন যে এ জাতি আর হেদায়েত পাবেনা তখনি আল্লাহর হুকুমে তিনি তাদের ধবংসের জন্য দোয়া করলেন ,
এবং আললাহ তায়ালা মহাপ্লাবন দারা সকল কাফেরদের ধবংস করে দিলেন
তেমনি ভাবেই আজকাল আমাদের দেশের স্বাথম্বেশী পেট পূজারী গূটি কয়েক আলেমের ছএ ছায়ায় কবর কেন্দ্রিক লাল -সালু কাপড, মুমবাতি আগর বাতি জালিয়ে গডে তুলছে শিরকের কারখনা, সেখানেই করা হচ্ছে ঈমান বিধংসী কমকান্ড,
বর্তমানে আমাদের দেশে কবরকে কেন্দ্র করে যা করা হচ্ছে , পূর্বেকার যূগে ও প্রাথমীক ভাবে
এমন কর্মকান্ড করা হতো যার ফলে গোটা জাতিকে কুফরের অন্ধকারে পেলিয়ে ধবংস হয়েছিল। এখন ও অদূর ভবিষ্যতের এ দেেশর আবস্হা এমন হতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মূর্তি পূজক দের অনূষ্ঠানঃ
_____________________
**** মূর্তি পূজকরা সাধারনত ৪ টি কাজ করে থাকে
[১] বাৎসরীক ২ টি বড অনূষ্ঠান দূর্গাপূজা ও কালীপূজা এ ছাডা আরও ছোট ছোট অনূষ্ঠান
[২] প্রতিমাদের সামনে প্রদীপ মূমবাতী আগরবাতী ইত্যাদী প্রজ্যলীত করে
[৩] এদের নামে পশূ / পাঁঠা কোরবনী [বলী] দিয়ে থাকে
[৪] প্রতিমাদের সামনে মাথা নত ও সেজদা করে থাকে
দুর্গার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র বলে, ‘আয়ুরারোগ্যং বিজয়ং দেহি দেবি নমস্তুতে। রূপং দেহি যশো দেহি ভাগ্যং ভগবতি দেহি মে। পুত্রান দেহি ধনং দেহি সর্ব্বকামাংশ্চ দেহি মে।।’ (হে ভগবতী, আপনাকে প্রণাম করি, আপনি আমাকে রোগমুক্ত করুন, বিজয়ী করুন, যশ ও সৌভাগ্য প্রদান করুন, পুত্র ও ধন দিন এবং আমার সকল কামনা পূর্ণ করুন।)
মাজার পন্থীদের অনূষ্ঠানঃ
_____________________
**** মাজার পন্থীদের ও ৪ টি কাজঃ-
[১] বাৎসরীক ওরস ও মিলাদ মাহফিল সহ আরও কত কি
[২] কবরের সামনে মুমবতি আগরবাতি প্রজ্যলন করন
[৩] পীরের / মাজারের নামে পশু কোরবানী /মান্নত করন
[৪] কবর ওয়ালার কাছে কিছু চাওয়া ,মনোবাসনা পূন্যের জন্য কবর কেন্দ্রিক দোয়া করা ,ক্ষেএ বিশেষ কবর কে সেজদা করা ইত্যাদি।
**** আর মাজার পন্থীরা মাজার/কবর /বা পীরের কাছে ধন সম্পত্তী* /সন্তান /রোগমূক্তি/ মনোবাসনা পূন্যের দোয়া করে থাকে।
সংগৃহীত—————

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.