নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজচ্যুত জংলী-উপজাতিদের মতোই হচ্ছে হিন্দুদের সংস্কৃতি। উপজাতিদের মতোই হিন্দুরা দেশী মদ গিলে,অর্ধউলঙ্গ হয়ে চলে, যার তার সাথে যৌনকর্ম করে, চিতায় মরা বাপের লাশ পিটিয়ে পাশবিক উল্লাস করে। খালি পার্থক্য হলো এই যে, জংলী-উপজাতিরা জঙ্গলে থাকে, আর হিন্দুরা ব্রিটিশদের দালালির স্বার্থে একদা সভ্য সমাজে জায়গা করে নিতে পেরেছিল। এখন আফসোসের বিষয় হচ্ছে, মুসলমানরা এসব ইতিহাস জানে না। জানলে হয়তো অনেক আগেই এদেশ থেকে হিন্দুদেরকে বিতাড়িত হতে হতো।
পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলাদেশকে দখল করে নিল ব্রিটিশরা, তারা খুঁজতে লাগলো কিভাবে এই দেশ থেকে সম্পত্তি চুষে নেয়া যায়। ওয়ারেন হেস্টিংস হিসাব করে দেখলো যে, বাংলার চারভাগের একভাগ ভূ-সম্পত্তি মুসলিম ছূফী-দরবেশ ও আলিম-উলামাগণ উনাদের অধীনে রয়েছে। উনারা এসব সম্পত্তি আয় দিয়ে বিনামূল্যে বাঙালি মুসলমান সমাজকে শিক্ষিত করতেন।
এই কুচক্রী ওয়ারেন হেস্টিংসের ষড়যন্ত্রে ১৭৯৩ ঈসায়ীতে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ আইন করা হয়। এই আইনের বলে বাঙালি মুসলমানদের সমস্ত জমিজমা কেড়ে নিয়ে হিন্দুদের দেয়া হয়।
ব্রিটিশদের অনুগত এসব হিন্দুরা স্বাভাবিকভাবেই কোনো ভালো ঘরের সন্তান ছিল না। তারা ছিল ঠগ, বাটপার ও রীতিমতো চরিত্রহীন। মুসলমানগণ ছিলেন মূলধারার সভ্য সমাজের ধারকবাহক, আর মুসলিমবিরোধী এই হিন্দুরা ছিল সমাজচ্যুত এবং যাবতীয় অসামাজিক অপকর্মের মূল হোতা।
উদাহরণস্বরূপ, কথিত বিশ্বকবি রবীন্দ্র ঠগের পরিবারকে সবাই ‘জমিদার’ হিসেবে চেনে। এই ঠগ পরিবারকে নিয়ে কলকাতার লেখক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছে- “রবীন্দ্রনাথের ঠাকুর্দা, দ্বারকানাথ ঠাকুরের তেতাল্লিশটা বেশ্যালয় ছিল কলকাতাতেই।”
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার ২৮শে কার্তিক ১৪০৬ সংখ্যায় আরো ছাপা হয়েছে “অতএব, মদের ব্যবসায় নামল রবীন্দ্রনাথের ঠাকুর্দা। কিছুদিনের মধ্যে আফিংয়ের ব্যবসায়ও হাত পাকাল ও বাজিমাত করল কুরুচির রেসে। ঘোড়দৌড়ে একবার একটি রুপার কাপ দিলো দ্বারকানাথ। কলকাতার ঘোড়দৌড় জমে উঠেছে, দ্বারকানাথের টাকা উড়ছে সেখানে। মামলাবাজ বাবুদের পরামর্শ দিয়ে ভালোই কামাত দ্বারকানাথ। এছাড়া ছিল ২৪ পরগণার সল্ট এজেন্ট ও সেরেস্তাদার।”
অর্থাৎ মাদকদ্রব্য, জুয়াখেলা ও ৪৩টি পতিতালয় পরিচালনা করে রবীন্দ্র ঠগের পরিবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সমাজচ্যুত পতিতাভোগী হিন্দুদের নিয়েই গঠিত হয়েছিল ব্রিটিশদের কথিত ‘বাবুসমাজ’।
১৪ জন মুজাদ্দিদ উনাদের ৭ জনই পাক-ভারত উপমহাদেশে তাশরীফ রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! যখন মুসলমানদের সংস্কৃতিতে বিজাতীয় বস্তু ঢুকে যায়, তখন মুজাদ্দিদগণ উনারা তাজদীদ করে তা দূর করেন। যেমন বর্তমানে এদেশের মুসলমানদের মধ্যে পহেলা বৈশাখ, দুর্গাপূজা ইত্যাদি বিজাতীয় সংস্কৃতি ঢুকে যাচ্ছে।
এখন যেখানে বিগত আটশ থেকে একহাজার বছরে সাতজন সম্মানিত মুজাদ্দিদ ভারতবর্ষে তাশরীফ নিয়েছেন, সেখানে এই ভারতবর্ষের সংস্কৃতি কোন যুক্তিতে ‘হিন্দু সংস্কৃতি’ হতে পারে? কারণ সম্মানিত মুজাদ্দিদগণই হচ্ছেন সংস্কৃতি ও সভ্যতার ধারকবাহক। যে কারণে আমরা দেখতে পাই, ভারতবর্ষের অতীত ইতিহাসে মুসলমানগণ তো দূরের কথা, হিন্দুরা পর্যন্ত অসভ্য হিন্দু সংস্কৃতিকে প্রকাশ্যে ধারণ করতে লজ্জাবোধ করতো।
©somewhere in net ltd.