![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ একটি সন্ত্রাসবাদ রাষ্ট্র। উপমহাদেশে পাকিস্তানের পর নাকি আমরাই মূল সন্ত্রাসী। আমাদের সোনার এই বাংলাদেশ নিয়ে যখন এই মন্তব্য কেউ করে তখন স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় রাগ উঠে যায়। যেই দেশ উপমহাদেশের ইতিহাসের পাতায় সর্বাধিক অসাম্প্রদায়িক হিসাবে পরিচিত তখন যখন সেই দেশকেই মানুষ এইসব বলে তখন যেকোনো বাংলাদেশীর মাথায় রাগ উঠবে এইটাই স্বাভাবিক। যাই হোক , বাংলাদেশীদের সন্ত্রাসী বলতে যাদের ২ সেকেন্ড সময় লাগে না। তারা কে ??? আমরা সবাই ভালো মতন জানি তারা হলেন কলকাতার দাদারা আর দিদিরা (আমি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলছি না ) . তাহলে আমরা পাকিস্তানের পর টেররিস্ট হিসাবে উপমহাদেশে আখ্যায়িত হয়েছি। তাহলে উপমহাদেশে "দুধে ধোঁয়া তুলসী পাতা কে ???" নিশ্চই বলার প্রয়োজনবোধ করি না অবশ্যই তারা হলেন , "ভারতীয় দাদারা" . অনলাইন জগতে যদি তাকাই , যারা "টাইমস অফ ইন্ডিয়া " ,সহ আরো বিভিন্ন ভারতীয় নিউজ পোর্টাল থেকে নিউজ পড়েন তারা অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে দেখবেন ভারতীয়রা বুক ফুলিয়ে পাকিস্তান আর বাংলাদেশকে টেররিস্ট বলে চিল্লাইতে থাকে। এমনকি বাংলাদেশী নিউজ পোর্টাল গুলোতে এসেও তারা আমাদের দেশকে আর পাকিস্তানিদের "টেররিস্ট , টেররিস্ট বলতে থাকে " মুক্তমনারা যখন বিভিন্ন স্ট্যাটাস মারে বাংলাদেশের জঙ্গি হামলা আর সংখ্যালঘু আক্রমণ নিয়ে সেই সময় সবার আগে দাদাদের চোখ থেকে পানি পরে আর আবেগে তারা মুসলিম আর বাংলাদেশ নিয়ে পাগলের মতন মাথায় যা আসে তা বলতে থাকে , সাথে তারা ভারতের সেক্যুলারাইজেশন , মডার্নাইজেশন এইগুলার গল্প ঢুকিয়ে দেয়। যার সাথে আমাদের মুক্ত-মনারাও নাচানাচি শুরু করে দেয়। যার সবচেয়ে বড় প্রমান আমরা দেখেছি , হোলি আরটিজেন হামলা আর ব্রাহ্মনবাড়িয়া সংখ্যা লঘু নির্যাতনে। যাইহোক , আজকে এই প্রসঙ্গ নিয়েই বিস্তারিত কথা বলব বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে।
যাইহোক , প্রথমে আপনাদেরকে বলি "গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স ২০১৬" প্রকাশিত হয়েছে। তার আগে একটু বলি ,"গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স" হলো যারা পৃথিবীর সবচেয়ে অথেন্টিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যারা পরিসংখ্যান তৈরী করে (Click This Link)।
যাইহোক , "গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স ২০১৬" দেখলে দাদারা হয়তোবা বেহুঁশ হয়ে যেতে পারে কারণ , "গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স ২০১৬" অনুসারে , ভারত বিশ্বের সন্ত্রাসবাদে তাদের অবস্থান অষ্টম আর পাকিস্তানের অবস্থান চতুর্থ। আর জঙ্গি ,সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশিদের অবস্থান কত নম্বরে জানেন ??? আমাদের অবস্থান ২২ নম্বরে। জি প্রায় ১৩ কুটির বেশি মুসলিমদের দেশ বাংলাদেশ তাদের অবস্থান ২২ নম্বরে। আমাদের প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট হোলিআর্টিজান অথবা ২-১ জন ব্লগার হত্যার জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের জঙ্গি বলে গালি খাওয়া লাগে এই ভারতীয়দের মুখ থেকে তাদের নিজস্ব দেশ সন্ত্রাসবাদে পৃথিবীর ১২৯ টি দেশের মধ্যে অষ্টম। বলে রাখা ভালো লিবিয়া আর মিশরের অবস্থান ভারতের পিছনে। মিশরের অবস্থান হলো নবম , লিবিয়ার অবস্থান হলো দশম। বর্বর সৌদিদের অবস্থান হলো ৩২তম আরও মজার বিষয় হলো ফিলিস্তানের অবস্থান হলো ২৮তম। বর্বর ইরানের অবস্থান হলো ৪৭তম। হ্যা ভারতের আগে কিছু মুসলিম দেশ আছে যারা যুদ্ধ বিদ্ধস্ত তাই স্বাভাবিক ভাবেই তারা প্রথম সারিতে থাকবে। কিন্তু ফিলিস্তান ,সৌদি , মিশর ,ইরান ,লিবিয়ার চেয়েও ভারতে সন্ত্রাসবাদ বেশী। (Click This Link)
আরেকটু যোগ করি ২০১৫ সালে ভারত সন্ত্রাসবাদে ষষ্ঠ ছিল সেই বছর , সেই বছরও পাকিস্তান ছিল ৪ নাম্বারে আর সেই বছর সিরিয়ার পর সন্ত্রাসবাদে ভারতের অবস্থান ছিল ( Click This Link)
যাইহোক , এই অংশটাতেই রিফিউট করলাম ভারতীয়রা সন্ত্রাসবাদে কতটা উন্নত আর বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদে কতটা পিছনে এই অংশটাতেই তা রিফিউট হয়ে গিয়েছে।
যদিও এইবার অনেক দাদারা হয়তো বা কথাটা ঘুরাতে পারে এবং মুসলিমদেরকে দোষারোপ করতে পারে। কাশ্মীর ইস্যুকে টানতে পারে , তাই এই অংশটার জবাব দেওয়ারও চেষ্টা করবো।
২০১৪ সালে ভারতে ৯৭৬ জন মানুষ সন্ত্রাসবাদের কারণে প্রাণ হারায় যার ফলে ভারত পৃথিবীতে সিরিয়ার পর সন্ত্রাসবাদে ২০১৫ সালে "গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্সে" ভারতের অবস্থান ছিল অর্থাৎ ষষ্ঠ। (Click This Link),(Click This Link) . একটু বলে রাখি "গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স" সাধারণত তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করে বিগত বছরের টেরোরিজমের উপর রিসার্চ করে। ধরুন ২০১৩ সালে মোট সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে হিসাব করে তারা ২০১৪ সালে তা প্রকাশ করবে।
আর এই ৯৭৬ জনের মধ্যে ৪৬৫ জন মারা যায় উত্তর-পূর্ব ভারতে আর ৩১৪ জন মারা যায় মাওবাদীদের হাতে। আর কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের হাতে মারা যায় ১৯৩ জন। কাশ্মীর হলো যুদ্ধ বিদ্ধস্ত একটি এলাকা এইখানে ঝামেলা হবেই এইটাই স্বাভাবিক কিন্তু মুসলিমদের বাদে যে এত গুলো এলাকায় এতো গুলো মানুষ মারলো দাদারা তার হিসাব দেবে কে ???( Click This Link)আর কাশ্মীরের বাইরে মুসলিমদের দ্বারা কোনো সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ড হয়নি বললেই চলে। উইকি লিস্টে দেওয়া ২০১৪ সালে ইন্ডিয়ায় ঘটে যাওয়া অল্প কিছু সন্ত্রাসী কান্ড গুলোর মধ্যে শুধু মাত্র ১টি মুসলিমদের দ্বারা ছিল তাও আবার কাশ্মীরে বলে বলে রাখা ভালো উইকি লিস্টে খুবই সামান্য কিছু আক্রমণের ঘটনা দেওয়া। বলতে পারেন বিন্দু মাত্র। (Click This Link)
যাইহোক ২০১৫ সালে "টেরোরিজম ইনডেক্সে" ভারত ছিল ষষ্ঠ সিরিয়ার পরেই তাদের অবস্থান আর সেই বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৫ নম্বরে। (Click This Link) তাহলে দেখুন ২০১৫ সালে সিরিয়ার পরেই ভারতের সন্ত্রাসবাদে অবস্থান ছিল (ষষ্ঠ )। যেইখানে , মুসলিমদের অবস্থান ছিলোনা বললেই চলে।
আর ২০১৩ সালে ভারতে জঙ্গি হামলায় প্রায় ৮৭৯ জন মারা যায় যার ফলে , ২০১৪ সালে "গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্সে " ভারত ষষ্ঠ ছিল।
২০১৩ সালে মাওবাদীদের হাতে মারা যায় ৪২১ জন এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে মারা যায় ২৫২ জন এবং কাশ্মীর সহ বিভিন্ন মুসলিমদের দ্বারা ঘটিত সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডে (বিশেষ করে কাশ্মীরে ) প্রায় ২০৬ জন। কাশ্মীর একটি যুদ্ধ বিদ্ধস্ত এলাকা এইখানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হবেই এইটাই স্বাভাবিক এবং তার পরিমান খুব একটা বেশি না।
(Click This Link)
এবং এর ফলে ভারত ২০১৪ সালে "গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্সে" ৬ নাম্বারে অবস্থান করে। সেই বছর বাংলাদেশ ছিল ২৩ নম্বরে (Click This Link)
আরও বিস্তারিত জানতে হলে "অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার চিফ এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর , আকার পটেলের এই আর্টিকেলটা পড়ুন :
(Click This Link)
তাহলে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ড গুলিতে অযথা মুসলিমদের দোষ দিয়ে লাভ নেই এইখানে বেশির ভাগই দাদাদের অবদান। এবং পৃথিবীতে অন্যতম সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রই হলো ভারত। বাংলাদেশের চেয়ে বহুগুন বেশি সন্ত্রাসী সেইখানে।
যাইহোক , এইবার আসি পাকিস্তান প্রসঙ্গ নিয়ে। পাকিস্তান একটা খারাপ রাষ্ট্র। বলতে গেলে , "ফেইলড স্টেট্" যাই হোক পাকিস্তান প্রতি বছরই প্রায় "গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্সে " সেরা ৫ এ থাকে। ভারতও খারাপ অবস্থানে থাকে না যেমনটা উপরে দেখলাম। যাইহোক, পাকিস্তানে প্রতিবছর ব্যাপক টেররিস্ট এটাক হয় আর সেই সংখ্যাটা কত তা ঠিক মতন বলা অসম্ভব। কিন্তু "গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স" খুব সম্ভবত দাঙ্গা গুলোকে টেররিস্ট হামলা হিসাবে ধরে না।
কারণ যদি ধরা হত হয়তো বা ভারত আরো অনেক উপরে থাকতো। কারণ শুধু মাত্র ২০১৪ সালে ভারতে প্রায় ৬৪৪ টা দাঙ্গা লেগেছিলো (প্রায় সব গুলোই ধর্মকে কেন্দ্র করে )
(Click This Link)
আমাদের দেশে বছরে ১০টা দাঙ্গাও লাগে না। কোনো মতে , যদি ২-১ টা ঝামেলা হয়ে যায় তা নিয়ে কান্নাকাটি , হুলুচতুলুচ হয়ে একাকার হয়ে যায়। ভারতীয় দাদারা ইচ্ছা মতন মুসলিমদের গালি গালাজ করে। ইসলামের উপর প্রচুর পরিমান গালি বর্ষণ হয়। যাইহোক , আমাদের দেশের সংখ্যালঘু অত্যাচার যে , ২-৫ টা হয় তাও আশা করি শেষ হবে ইনশাল্লাহ। যাইহোক , যারা আমাদের দেশে এই সব ২-৫ টা ঘটনার জন্য যারা ইসলাম-মুসলিম সবাইকে টানে তাদের নিজেদের দেশের কি বাজে অবস্থা।
যাইহোক , এইবার আসি সংখ্যালঘু অথবা হিন্দু নির্যাতন নিয়ে,
যেকোন দেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের উপর আমি প্রতিবাদ করি। যেকোন দেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার হলেই আমি নিন্দা জানাই। কিন্তু মূলত ভাবে আমাদের হিন্দু ভাইদের কে অত্যাচার করে ??? আমি আজকে এইটা নিয়েই একটু গবেষণা করব।
ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে তার কঠোর ভাবে নিন্দা জানাই। হিন্দুদের নির্যাতনের ঘটনা শুনতে গেলে সোজা মুসলিমদের উপরেই আঙ্গুল ওঠে বর্তমানে।
কিন্তু আসল ঘটনা কী ???
আমরা সবাই জানি , পৃথিবীর ইতিহাসে যত বাজে কিছু প্রথা ছিল কাস্ট প্রথা অথবা বর্ণপ্রথা তার মধ্যে অন্যতম। অনেক হিন্দু রিফর্মার এইটাকে রিফর্মের চেষ্টা করেছে। এবং অনেকখানি রিফর্মও করেছে কিন্তু সত্যি বলতে এই জঘন্য প্রথা এখনো আছে।
২০১৩ সালে ভারতে ৬৭৬ জন নিচু শ্রেণীর লোকদের হত্যা করা হয় , ২০৭৩ জন নিচু শ্রেণীর মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়, বিভিন্ন অত্যাচারে আহত হয় প্রায় ৪৯০১ জন সব মিলিয়ে ২০১৩ সালে প্রায় ৩৯৪০৮ টা ক্রাইম হয় নিচু বর্ণের ব্যক্তিদের উপর অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ১১০ টা ,প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৪ টা , প্রতি ১৫ মিনিটে প্রায় ১ টা। এইটাই বাস্তব প্রতি ১৫ মিনিটে একজন নিচু বর্ণের হিন্দু ভারতে কোনো না কোনো ঝামেলায় পড়ছে। যদিও বলে রাখি ২০১৪ সালে নিচু শ্রেণীর হিন্দু মেরে ফেলার ঘটনা ১৯% বেড়েছে বর্তমানে সংখ্যাটা প্রায় ৭৪৪ জন আর ২০১৪ সালে নিচু বর্ণের মহিলা ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে দাড়িয়েছে ২২৩৩ টি। (Click This Link)
শুধু তাই না , প্রতিদিন ভারতে প্রায় ২ টা নিচু বর্ণের ব্যক্তিদের ঘর পোড়ানো হয়। প্রতিবছর হয়তো ৭০০র মতন।
(Click This Link)
Indiatoday.in নামক একটি ভারতীয় নিউজ পোর্টালের দাবী অনুসারে , ভারতের "জাতীয় হিউম্যান রাইটস কমিশন ২০১০" এর রিপোর্ট অনুসারে ,
"ভারতের ২৮% গ্রামে নিচুবর্ণের ব্যক্তিদের পুলিশ স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয় না , গ্রামাঞ্চলে , ৩৯% সরকারি স্কুলে নিচুবর্ণের ছেলেদের-মেয়েদের খাবারের সময় আলাদা ভাবে বসানো হয় , ২৪ পার্সেন্ট গ্রামে নিচু শ্রেণীর লোকদের কাছে চিঠি পৌঁছানো হয় না , ৪৮% গ্রামে নিচু বর্ণের ব্যক্তিদের পানির বিভিন্ন উৎস ছুঁতে দেওয়া হয়না অথবা ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না"(সূত্র : Click This Link)
আরো বর্ণপ্রথা কেন্দ্র করে ভারতে অগণিত দাঙ্গা-ভায়োলেন্স হয়েছে। আপনারা চেলে উইকিপিডিয়া থেকে পড়তে পারেন :
(Click This Link)
তাহলে ,দেখুন অযথা বাংলাদেশে বছরে ২-৫ টা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং পাকিস্তানেও হিন্দু নির্যাতনের সংখ্যা ভারতের তুলনায় বহুগুণ কম। তারপরেও দোষ পরে অযথা বাংলাদেশের। ভারতে বিশেষ করে কলকাতার দাদাদের প্রায় প্রত্যেকের প্রোফাইল পিকচারে/আইডিতে এই ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে আছে শত শত পোস্ট। নিন্দা জানাতে আমার কোনো আপত্তি নেই কিন্তু দেখুন তাদের নিজেদের দেশে হিন্দু অত্যাচার এইরকম প্রকট তারা কেন অন্য মানুষদের নিন্দা করবে ??? অবশ্যই সমাজের প্রত্যেক অপরাধকেই আমাদের নিন্দা জানানো উচিত তাই বলে নিজের ঘরে ধর্ষণ চলবে অন্য মানুষের বাসায় ইভ-টিজিং চলতেছে নাকি তা নিয়ে বেশি তামাশা না করাই উত্তম।
এইখানে অবশ্যই কেউ শিয়া-সুন্নি টানবেন না আশা করি কেননা শিয়া-সুন্নীর মারামারি সব মুসলিমরাই স্বীকার করে কিন্তু হিন্দু নির্যাতনের প্রশ্ন উঠলেই পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ হিন্দু মুসলিমদেরকে দোষারোপ করে।
আমি বাংলাদেশে যে , সামান্য সংখ্যালঘু অত্যাচার হয় তার তীব্র নিন্দা জানাই , পাকিস্তানেও যে হিন্দু অত্যাচার হয় তারও তীব্র নিন্দা জানাই ,বিশেষ করে ইন্ডিয়ায় ব্যাপক আকারে হিন্দু নির্যাতনকেও নিন্দা জানাই।
আমি ইন্টারনেট জগতে ওয়েস্টার্নদের মুখে যতবার এই উক্তিটি শুনেছি তার চেয়ে বেশিবার আমি হিন্দু অথবা ভারতীয় দাদাদের মুখে এই উক্তিটি শুনেছি ,
"All Muslims are not terrorist but all terrorists are Muslim" কিন্তু হিসাবে কথাটা কিন্তু পরস্পর বিরোধী হয়ে দাড়ায়। কেননা বিশ্বের সিংহভাগ মুসলিম রাষ্ট্র আর মুসলিমরা টেরোরিজম আক্রান্ত না। তবে পৃথিবীর বৃহত্তম হিন্দু রাষ্ট্র ইন্ডিয়া পৃথিবীর ৯০% এরও বেশি হিন্দুরে এই জায়গা বসবাস করে তাদের দেশ সন্ত্রাসবাদে এতো খানি উন্নত। যদিও সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম নেই। কোনো সন্ত্রাসীর ধর্ম নেই এইটাই আমি বিশ্বাস করি।
আশা করি আমরা একটা অসাম্প্রদায়িক , উন্নত পৃথিবী গঠন করতে পারবো
©somewhere in net ltd.