![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'রমিজের স্ত্রী মরিয়া বাচিয়াছে কিন্তু রমিজকে বাচিয়া থাকিয়া মরিতে হইবে'- স্যার একদিন এই লাইনটিকে পনিটিক্সে রপান্তর করতে দয়েছিলেন। লাইনটি মনে গেথে যায়। কারণ- অভাবের সংসারে সন্তানের মুখে আহার দিতে না পেরে, অনটনের সংসারে স্বামীর প্রতি প্রচন্ত অভিমানে রমিজের স্ত্রী আত্মহত্যা করে। সে বেচে যায়। এখন আর তাকে অভাব অনটন দেখতে হবে না্। পৃথিবীর কোন হিসাব নিকাশ, ভালো মন্দ তাকে পাবে না। পৃথিবীর কিছুতে তার কিছু যায় আসে না। কিন্ত রমিজ, সেতো মরে নাই! তাকে এই অভাব অনটনের মধ্যে বেচে থাকতে হবে। এই অসহায় সন্তান দুটোর মুখের দিকে তাকালে তার পৃথিবীর নড়ে উঠবে। প্রিয় স্ত্রী হারানের ব্যাথ্যা তাকে কুড়ে কুড়ে খাবে সারা জীবন। যতদিন বেচে থাকবে তার এ যন্ত্রনা লাগব হবে না। মায়ের অভাব সন্তানদের কখনো সে পুরণ করতে পারবে না। তাই রজিমকে বেচে থেকে পৃথিবীর সকল দুখ কষ্ট ভোগ করে যন্ত্রনা ভোগ করে তবে মরতে হবে।
কথাটা মনে হলো ফিলিস্তিনের অসহায় শিশুদের অবস্থা দেখে। কি অপরাধ ছিল তাদের? তারা কি কখনো জানতো তাদের সামনে এই এক ভয়াবহ পৃথিবী অপেক্ষা করছে। যে শিশু মরে গেছে, তার পিতা মাতা যদি মরে গিয়ে থাকে একসাথে তাহলে ল্যাঠা চুকে গেছে। আর যদি পিতা মাতা বেচে থাকে তাহলে কান্না রেখে গেছে। কিন্তু যে শিশুটি বিধ্বস্ত অবস্থা রক্তাক্ত অবস্থায় পিতামাতাকে হারিয়ে বেচে আছে তার কষ্ট কিভাবে ঘুছবে? পৃথিবীর এমন কোন উপশম মলম নেই যে তার কষ্ট লাগব করবে। সে সারা জীবন যে যুদ্ধের স্মৃতি আর পিতামাতার শোক ভয়ে বেড়াবে তা থেকে তার মৃত্যু অনেক ভাল ছিল।
কে শুনবে কার কথা!কোথায় বিশ্ব মানবতা! মাদার তেরেসা হয়তো বেচে থাকলে আশ্রম না করে এখন মদের দোকান খুলে বসতেন। কেন না তার সারা জীবন যে ব্রত নিয়ে চলেছেন সে ব্রত ধুলিসাত হয়ে গেছে। তার শিশু এখন খেলনার পুতুল। মরে পড়ে আছে যত্রতত্র। তার মানবতা এখন ভুলুন্ঠিত। শেয়াল শুকুনে চেটে খাচ্ছে তার মানবতা। পদদলিত হচ্ছে তার মানবতা। কে জানে হয়তো ইসরায়েলই আগামীতে নোবেল শান্তিতে ভূষিত হতে পারে।
মানবতা শব্দটি উঠিয়ে দেয়া হোক ডিকশনারী থেকে। এশব্দটি কিএখন আর কোন সভ্য মানুষ ব্যবহার করবে?
©somewhere in net ltd.