![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুটি জিনিস বন্ধ হউক এই প্রার্থনা করি। একটি হল গাজায় ইসরায়েলি হামলা, আর একটি হলো স্টার জলসা। টিভি খুললে এখন এই দুটি জিনিসই দেখা যায়। খবরগুলোতে ইসরায়েলী বিভতসতা (কি বোর্ডের জন্য বানান ভুলে ক্ষমা করবেন) ভেসে উঠে। আমি প্রতিনিয়ত নিজের ভিতর নিজেকে হত্যা করি। আমি কল্পনায় প্রতিবার গাজার হ্ত্যাকৃত শিশু হই। এটা আমার কল্পনা বিলাস নয়। আমাকে সৃষ্টিকর্তা আমার জীবনের বিনিময়ে শিশুগুলোর জীবন চাইতো তবে আমি তাই করতাম। ছোট বেলা থেকেই আমি শিশু ভালবাসি। শিশুর নিষ্পাপ হাসি, কথাবার্তা আমাকে মোহিত করে। মনে ভাবি যদি শিশুর মত অবুঝ হতাম তাহলে বুকের ভিতর অনেক কষ্ট এভাবে লালন করতে হতো না। পৃথিবীটা কত সহজ হতো। যেখানে কোন কষ্ট নেই, কাউকে হারানো ব্যাথ্যা নেই। সব কিছুতেই আনন্দ। আমি শিশুর একটা হাসির জন্য অনেকক্ষন তার দিকে চেয়ে থাকি। আমার এমনও ঘটনা আছে যে, আমার পাশের বাসার একটি ছোট বাচ্চাকে আমি আদর করতাম। সে তো জেগে থাকলে বেশির ভাগ সময় আমার কাছে থাকতই, ঘুমিয়ে গেলেও তার পাশ দিয়ে আমি কথা বলে পর্যন্ত যেতে পারতাম না। সে ঘুম থেকে উঠে আমাকে খুজতে শুরু করত। ছোট বেলায় একটা শিশু আমার কাছে থাকলে আমার সময় কেটে যেত, এখন যেমন ল্যাপটপ। ল্যাপটপ হলে আমার সময় কেটে যায়। সেই আমার প্রিয় শিশুগুলো প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে। আমি টিভি সেটের সামনে বসতে পারি না। বিশ্ব বিবেক জেগে উঠো। এভাবে চলতে পারে না। এসভ্যতা মানবতার, এসভ্যতা মানুষ মানুষের জন্য।
দ্বিতীয় কথাটি স্টার জলসা নিয়ে আর বলতে ইচ্ছে না। স্টার জলসার নাটকের জন্য বাংলাদেশের কোন নাটক দেখা যাচেছ না। সাহিত্যের কোন মানদন্ডে এ নাটকগুলো বিচার করা যায় না। শুধু পরকীয়া আর পরকীয়া। প্রত্যেক নাটকে বিয়র আয়োজন ৫০/৬০ জন কলাকেৌশলী দিযে এক জায়গায় দাড় করিয়ে দিয়ে কোরাস তৈরি করা। ফেনসিডিল ইন্ডিয়ার তৈরি একটি ঔষধ। তারা এটা খেয়ে নেশা করে না অথচ বাঙালী খেয়ে বুদ। কেউ খেয়ে মাতাল আবার নাম শুনে (না খেয়ে) মাতাল। বাঙালী যা কিছু করে উজাড় করে দিয়ে করে। স্টার জলসা যত পরিমান দর্শক তা হয়তো তাদের নিজ দেশে নয়। তাছাড়া তারা নাটকে যে বহুগামীতার চর্চা করে তা হয়তো তাদের মানায়। কিন্তু আমাদের ধর্মেতো ব্যভিচার, বহুগামীতা সমর্থন করে না। আমরাতো এসব দেখে গোল্লায় যাচ্ছি। যদি সংস্কৃতির কোন নির্দিষ্ট মানচিত্র নেই। স্টার জলসা কোন সংস্কৃতির মানদন্ডে পড়ে না। গত ৬/৭ বছর ধরে স্টার জলসা যে নাটকগুলো দেখিয়েছে সেগুলো দিয়ে মাত্র এক ঘন্টার একট নাটক করা সম্ভব। এত বছর দেখানো সম্ভব নয় । এটা এক ধরণের বেহায়াপনা, ভাড়ামি, নাটক সম্পর্কে উচ্চ জ্ঞান না থাকা। টাকা থাকলে নাটক লেখা যায় আর তা তৈরি করে দর্শককে জোর করে দেখানো যায়। এটাতো কখনো হতে পারে না সে প্রত্যেক নাটকে নায়কের দুটো বিয়ে করতে হবে। অথবা দুটো বিয়ের ইচ্ছ জাগবে। কোন না কোন কায়দায় ফেলে নায়ক অথবা নায়িকাকে দুটি বিয়ে করানো। আর তাছাড়া প্রায় সব চরিত্রই দুটি বিয়ে অধিকারী। এমনও আছে নায়ক একদিন মাতাল ছিল আর তাতেই অন্যের গর্ভে তার সন্তান। এগুলো কি হচ্ছে। শুনেছি স্টার জলসা বন্ধ করে দেয়া হবে। কিন্তু কবে? যেদিন বন্ধ হবে সেদিন হয়তো আর বন্ধ না হলেও চলবে। কারণ বাঙালী চর্চা হয়তো তখন স্টার জলসার চেয়ে আরো এগিয়ে যাবে!
©somewhere in net ltd.