নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ক্যান্ডাল সমাচার

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

সুনাম হইলে যে বদনামও হইতে হইবে, ইহা অনেকটা অবধারিত হইয়া গেছে। বলা হইয়া থাকে, সম্মান অর্জন করিতে অনেক সময় লাগে, অথচ সম্মান হারাইতে এক মুহূর্তও লাগে না। কথা সত্য।



ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, বিশ্বসেরা খেলোয়াড়, পর্তুগালের মুখ উজ্জ্বল করিয়াছেন। তাঁহার পরিচয়ে পর্তুগাল গর্বিত। অথচ এবারের বিশ্বকাপে খারাপ করিবার পর তিনি যখন দেশে ফিরিলেন, তাঁহাকে বরণ করিবার জন্য কেই এয়ারপোর্টে আসে নাই। ইহাই বাস্তবতা। মানুষ ভালোটা মনে রাখে না। খারাপটাই খুঁজিয়া আনন্দ পায়।



আজ আমার কথাগুলো অত্যন্ত তিক্ত শুনাইবে। এজন্যই সব সত্য বলিতে যাই না। চুপ মারিয়া থাকি।



আমি চাইলেই আপনার নামে স্ক্যান্ডাল দিতে পারি। হ্যাঁ, চাইলেই পারি। আপনিও চাইলে আমাকে পঁচাইয়া ফেলিতে পারেন। আমাকে নিমিষেই কলঙ্কিত করিতে পারেন।



কিভাবে?

কিছুই লাগিবে না। শুধু আমার কোন পোস্টে গিয়া লিখিবেন যে Zeon Amanza একটা চরিত্রহীন, তার অনেক কুকর্মের কথাই আমি জানি।



ব্যস, আর কিছু করিতে হইবে না আপনাকে। এবং আমিও এখানে অসহায়। আমি কিছুই করিতে পারিব না।



কেন করিতে পারিব না ব্যাখ্যা করিতেছি, এখানকার মানুষ সব হুজুগে বাঙালি। "অমুক খারাপ" এটুকু শুনিলেই এদের জন্য যথেষ্ট। কেহ দেখিবার জন্য বসিয়া থাকিবে না যে সে বেচারা আত্মপক্ষ সমর্থনে কী উত্তর দেয়! আমার সম্পর্কে বাজে কিছু বলিবার চেষ্টা করিলে তাহার দাঁতভাঙা জবাব আমি দিতে পারিব এবং দিব। আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ নিশ্চিতভাবেই করিব। কিন্তু কথা হইল, ক'জনে ধৈর্য নিয়া তাহা শুনিবে? ক'জনে দেখিতে আসিবে আমার কথাটায় যুক্তি আছে কি না?



আপনি যখনই লিখিবেন যে Amanza একজন ভণ্ড বা লম্পট, তখনই আমার লিস্টের মেয়েটা ভাবিবে, আরে! এই লোক তো একদিন আমাকেও মেসেজে Hi মারিয়াছিল অযথা, এই বুড়া ভাম তো আমাকেও দাঁত কেলাইয়া হাসির স্মাইলি দিয়া খাতির করিবার অপচেষ্টায় বলিয়াছিল, "কেমন আছেন?" লোক তো তাহলে আসলেই খারাপ!

অতএব, হিসেব মিলিয়া গেল। আমাঞ্জারে ব্লক দেও।

আমাঞ্জা কী বলে, কিভাবে যুক্তি খণ্ডায় তাহা দেখিবার জন্য আর কেউ বসিয়া থাকিবে না।

আমাঞ্জা কয়দিন কয়টা ভালো কথা লিখিয়াছে, কবে কবে কজনের উপকারে আগাইয়া আসিয়াছে বা কোন ভালো কাজে অংশ নিয়াছে তাহা আর কেহ তখন মনে রাখিবে না। যুক্তি একটাই, দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য।

আমার প্রশ্ন হইল, আপনি যে আমাকে দুর্জন শুনিয়াই ব্লক করিয়া দিবেন, আপনার সঙ্গে আমি কোন দুষ্কৃতিটা করিয়াছি?



কাল্পনিক কইতরি বেগমের সঙ্গে আমার যদি কোন ইটিশপিটিশ ঘটিয়াও থাকে সে বোঝাপড়া কইতরির সঙ্গে আমি বুঝিব। আপনি আমাকে বিবেচনা করিবেন আপনার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের পরিচয়ে আমার যাহা আচরণ তাহা দিয়া। কোন নগেন খগেনের কথা দিয়া নহে।



(জজসাহেবের সঙ্গে তো সবাই ভদ্র আচরণ করে এই অযোগ্য যুক্তি এখানে দিয়া কাজ নাই। আপনি জজ নহেন।)



আরো বলি, আপনি একজন ছেলে বা মেয়ে, আপনি কোন কারণে আমার প্রতি বিরক্ত বা ঈর্ষান্বিত। আপনি যদি আমাকে কলঙ্ক দিবার জন্যে আমার নামে বাজে কথা লিখিয়া একটি পোস্ট দেন, সে পোস্টটিতে দুইশো জন লাইক দিবে এবং আরো একশো জন পোস্টটা দেখিয়া চলিয়া যাইবে। তাহারা লাইক কমেন্ট করিল না ঠিকই কিন্তু ঘটনাটা তো জানিল। ইহাদের অনেকেই আমাকে আগে চিনিত না, আপনার পোস্ট মারফত একদম কায়দামতোই চিনিয়া ফেলিল এবং ব্লক করিয়া দিল। লাইক দেওয়া না দেওয়ার মধ্যে যাহারা স্বল্প পরিচিত, তাহারাও আপদ বিদেয় করিয়া নির্ভেজাল ভার্চুয়াল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স করিবার লক্ষ্যে আমাকে ব্লক করিয়া দিবে।

যে দুইশো জন লাইক দিয়াছে তাহাদের মধ্যে বড়োজোর দশজন কমেন্টে অংশ লইবে এবং কমেন্টকারীদের মধ্য হইতেও আটজন শেষ ফয়সালা পর্যন্ত আর বসিয়া থাকিবে না।

ফলাফল একটাই "গণহারে ব্লক"।



দুশ্চরিত্র কেবল পুরুষই হয় এবং সকলে পুরুষকে ব্লক করিয়া বর্জন করে। নারীর ক্ষেত্রে ঘটে উল্টোটা। সে কখনও দুশ্চরিত্রা হইয়া পঁচিয়া যায় না। বরংচ সুযোগ হাতাইবার লোভে রাতারাতি তাহার ফ্রেন্ড ফলোয়ার বাড়িয়া যায়। তাহাকে ঘিরিয়া মৌমাছির ঘুরাঘুরি বাড়িয়া যায়। সেও সেলিব্রেটি হয়, তাহার কপাল খোলে, কপাল ভাঙে কেবল পুরুষের।



সে যাহাইহউক, আমি কেবল পঁচানোর সহজ একটি উপায় বলিলাম। আরো অকাট্য উপায়ে যে কাউকে পঁচানো সম্ভব। শত প্রমাণেও কাজ হইবে না এমনই আঁটঘাট বাঁধিয়া নামা যায়।



কইতরির সঙ্গে বোঝাপড়ার ব্যাপারটি আরেকটু বিস্তারিত করি। ধরা যাউক, আমি কইতরিকে ঠকাইয়াছি, তাহার সঙ্গে ইটিশপিটিশ করিয়াছি কিংবা তাহার টাকা আনিয়া ফূর্তি করিয়াছি। বোঝাপড়া তাহার আমার সঙ্গে আগে। যদি কইতরি বোঝাপড়া করিতে ব্যর্থ হয়, তবে সে আমার মুখোশ খুলিয়া দিবার অধিকার অবশ্যই রাখে। প্রেম তো মানুষের অহরহই ভাঙিয়া যায়, নিজ দায়িত্বে প্রেমে পতিত হইয়া ঠ্যাং ভাঙিবা, অষুধও নিজে কিনিয়া খাইবা, তোমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে অর্থসংক্রান্ত ব্যাপারে সে আমার বিরুদ্ধে মামলাও করিতে পারে। অপরাধ প্রমাণিত হইলে আরো দশজন সুশীল নিজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখিয়া জনসচেতনতা সৃষ্টি করিতে পারে। তবে নিয়মিত অমুক তমুকের দোষ গাইয়া বেড়ানোকে ভালো কিছু বলা যায় না। এই তালে যাহারা নাচিয়া বেড়ায় তাহাদের আমি দূরে দাঁড়াইয়া সালাম জ্ঞাপন করি। আমি মূলত এসব হীনমন্যতা দেখিতে দেখিতে হাঁপাইয়া উঠিয়াছি।



আমার আর বলিতে দ্বিধা নাই যে ফেইসবুকের এমন কাদা ছোড়াছুড়ি দেখিতে দেখিতে আমি ক্লান্ত, ভীত এবং সন্ত্রস্ত। কখন যে কাহার কোন ফাঁদে মাথা দিয়া বসি এই ভয়ে সবসময় আতংকিত থাকি। সম্প্রতি একজন আমার সঙ্গে মিশিতে আগ্রহী হওয়াতে তাহার প্রতি সন্দিহান হইয়া আমি তাহাকে আঘাতও করিয়াছি।

কী করিব, প্রতিহিংসা আর অবিশ্বস্ততায় ভরিয়া উঠিয়াছে শান্ত বিনোদনের এই ফেইসবুক!



পরিশেষে বলি, আগে নিজে সাবধান হওয়া জরুরি। দোষগুণ এবং আবেগের দুর্বলতা মানুষ মাত্রেই থাকে। আপনি সেলিব্রেটির সঙ্গে ভাব জমাইতে ব্যাকুল হইলে, ফ্যান হইয়া নিজেকে সমর্পণ করিতে লুটাইয়া দিলে সেলিব্রেটি সিডিউস্ড হইয়া উঠিতেই পারে। আর সেলিব্রেটির কাছে লুটাইবার দলে আপনি অন্তত প্রথম ব্যক্তি নহেন, সে ঘাটে যে আরো নৌকা খুঁটা গাড়িয়া থাকিবে সে আর আশ্চর্য কী?



সকলে তো আর খারাপ নহে। সিদ্ধান্ত আপনারই একান্ত।



আর আমার নিন্দা?

আমি তো বিশ্বপ্রেমিক, শুধু আপনিই জানিলেন না

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সেই দিন কাগে খাইছে।

যার যত খুশি পচাক। একটা সময় কারো গায়ে দুর্গন্ধময় নর্দমার কাদা ছুঁড়িয়া ফেলিলেও সমাজে তাকে এক-ঘরে হইতে হইত। সময়ের বদল ঘটিয়াছে। যেহেতু একটা কথা স্পষ্ট যে, মানুষ হুজুগে। হুজুগ কাটিয়া গেলেই সব ঠিক হইয়া যাবে। কাজেই খ্যাতা পুড়ি তাদের, যারা আমাকে সমাজচ্যুত করিল। প্রয়োজনে আমার জন্য নতুন সমাজ খুঁজিয়া লইব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.