নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যাকিং

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩১


হ্যাকিংকে সাধারণত একটি গর্হিত ব্যাপার বলে ধারণা করা হয়, হওয়াই উচিত, কারণ কারো গোপনীয়তায় অনধিকার প্রবেশ বা সে গোপনীয়ত হরণ করা অবশ্যই একটি অপরাধ। সে অর্থে হ্যাকিং একটি অবৈধ কর্মকাণ্ড এবং হ্যাকার একজন অপরাধী। কিন্তু হ্যাকার হতে পারা যে কত বড়ো প্রতিভার স্বাক্ষর তা খুব কমই ভেবে দেখা হয়।

হ্যাকিংয়ের শুরুটা হয় টেলিফোন কলিং সিস্টেম হ্যাকিং দিয়ে। দূরবর্তী ব্যয়বহুল কলের খরচ হতে বাঁচার জন্য জন ড্রাপার নামের একজন প্রথম এই কাজ করেন। এছাড়া ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চুরির ব্যাপারটিও সমসময়ে শুরু হয়। বিশ্বনন্দিত স্টিভ জব্স সাহেবও টেলিফোন হ্যাকিংয়ের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন।

এর পরের ইতিহাস বেশ চওড়া এবং কমবেশি সবাই জানেন। কেভিন মিটনিক নামটা দির্ঘদিন কম্পিউটার বিশ্বকে জ্বালিয়েছে। লিজিয়ন অব ডুম গ্রুপটাও কম ভোগায়নি, Y2K, I love you ইত্যাদি ভাইরাসের তাণ্ডব আপনারা অনেকেই দেখেছেন বা শুনেছেন। সেসব ইতিহাস নিয়ে আর কপচাবার কিছু নেই। তবে উত্তরসূরীদের জন্য ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য হ্যাকিং শেখানো বা হ্যাকিংকে উৎসাহ প্রদান নয়। এমনি একটা কনসেপ্ট আপনাদের মধ্যকার কোন হ্যাকারের কাছে তুলে ধরাই আমার উদ্দেশ্য। আমার মনে হয়, কনসেপ্টটা আপনাকে একটু হলেও চমকে দেবে।

হ্যাকারদের ভাগ করা হয় দুই ভাগে- হোয়াইট হ্যাট এবং ব্ল্যাক হ্যাট। হোয়াইট হ্যাট হচ্ছে নীতিবান হ্যাকার, যে তার মেধাকে মঙ্গলজনক কাজে ব্যয় করে। এরা সম্মানিত। অপরদিকে ব্ল্যাক হ্যাট যারা, তারা সব অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। কিন্তু ব্যাপার হল হ্যাকিংয়ের এই জগতে সর্বেসর্বা বলতে কেউ নেই, এবং হ্যাকিং নামক অপরাধটি করে পার পেয়ে যাওয়ার কল্পনা করাও বৃথা।
যাঁরা এই বিদ্যা রপ্ত করতে পেরেছেন, তাঁদের বলি, আউটস্ট্যান্ডিং কিছু করুন, চমকে দেবার মতো কিছু একটা করুন, বিশ্ব আপনাকে খুঁজে নেবে এবং মর্যাদা দেবে। আপনি যদি হ্যাকিংই জানেন তবে আপনার মধ্যে যে কতটা পসিবলিটি আছে তা হয়ত আপনি ভেবেও দেখেননি।

হ্যাকার হওয়া কি সোজা কথা? একজন প্রকৃত হ্যাকার যে কতটা তীক্ষ্ন দৃষ্টি আর প্রখর মেধার হয় তা বলাই বাহুল্য। একজন মানুষ তার কম্পিউটারে কত অদ্ভুত পাসওয়ার্ডই তো দিতে পারে, সেই পাসওয়ার্ডকে ব্রেক করতে হলে যে একজন হ্যাকারকে চিন্তার কতটা গভীরে গিয়ে পৌঁছতে হয় তা ভেবে কুলানো যায় না। ওয়েবসাইট ইউজারদের একাউন্ট হ্যাক করা বিরাট কোন ব্যাপার না। এটিএম বা কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের তুলনায় খুবই সহজ বলা চলে। কেননা, এখানে আপনার এ্যাকাউন্টে আপনি কী পাসওয়ার্ড দিয়েছেন তা একজন হ্যাকারের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। হ্যাকার আপনার এ্যাকাউন্টটা কিভাবে নিজের হাতের মুঠোয় নেবে সেটাই হ্যাকারটির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই কাজগুলো করে সাধারণত Script Kiddies বা Intermediate Hackers'রা। এটা তেমন ক্রিয়েটিভ কিছু নয়। এরা সাধারণত লিংক, বাগিং বা অন্য কারো দেখিয়ে দেওয়া পদ্ধতিতে দুয়েকটা তুকতাক করে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করে।

আমি কথা বলছি তৃতীয় এবং উন্নত শ্রেণীর হ্যাকারদের সম্পর্কে, এদেরকে বলা হয় Elite Hacker । আর হ্যাকিংয়ের ঈশ্বরেরা বাস করে এদেরও উপরে।

হ্যাকিংয়ের সঙ্গে C Programming এর সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। বলা হয়ে থাকে, প্রোগ্রামিং না জানলেও হ্যাকিং করা যায়, কিন্তু আমি বলব, সেটা অনিশ্চিত এবং অনির্ভরযোগ্য হ্যাকিং। আপনাকে হ্যাকিংয়ের সম্রাজ্যে প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই প্রোগ্রামিংয়ের জগতে একজন রত্ন হতে হবে। আমি মনে করি, প্রত্যেক সফল প্রোগ্রামারই একজন সম্ভাবনাময় হ্যাকার। প্রোগ্রামের এই খেলার জগত একের পর এক সৃষ্টি করে যাওয়াও অন্য রকম আনন্দের একটি বিষয়। কিন্তু আমাদের দেশের যেসব ছেলেমেয়ে EEE বা কম্পিউটার নিয়ে পড়েছে তাদের মধ্যে কজনে প্রোগ্রামিংকে আপন করতে পেরেছে, ভালোবেসেছে তা নিয়ে আমার বিশেষ সন্দেহ আছে। এই জগতটার স্বাদ তারা কেন গ্রহন করতে পারছে না কে জানে। প্রোগ্রামিংয়ের একটি শর্তই হচ্ছে উন্নয়ন করা, এখন যা আছে, তার চেয়ে বেটার কিছু করা। একেকটি প্রোগ্রামকে আমি একেকটি মিঝাইলের চেয়ে খাটো করে দেখি না। কিন্তু আমাদের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েকেই দেখা গেছে দায়সারাভাবে কোনমতে পাশ করে হাত ঝেড়েছে!

হ্যাকিং নিয়ে প্রোগ্রামিং প্রসঙ্গে বলার পর আর তেমন কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। কেননা এখানে আসা মানেই খাদের কিনারায় এসে দাঁড়ানো, এরপরে যা বাকি, তা কেবলই সাঁতার কাটা, চমকপ্রদ এক সৃষ্টির রাজ্যে বিচরণ করা। সেটা কেবল বিছানায় শুয়ে কল্পনা করার বস্তু নয়।

এতক্ষণ যে এলিট হ্যাকারটি এই পোস্ট পড়ে মুচকে মুচকে হাসছিলেন, তাঁকে প্রশ্ন করি, আনব্রেক্যাবল প্রোগ্রাম কি অসম্ভব কোন বস্তু?

চমকে দেয়ার কনসেপ্টটি এখন বলি, আমরা ইউনিকোড নামক অবিশ্বাস্য প্রোগ্রামিংয়ের কথা শুনেছি। কিন্তু কম্পিউটারের এত সব অবিশ্বাস্যতার ভিত্তিই তো Mathmatics ! আর এখন পর্যন্ত গণিত বা Numbers এর চেয়ে বড়ো ম্যাজিক বা রহস্য তো কিছু আবিষ্কার হয়নি। আমার প্রশ্ন হলো, ফিবানোচ্চি সিরিজের মতো এমন কোন ম্যাজিক্যাল নাম্বার কি খুঁজে বের করা সম্ভব, যেটা হবে Master Key?

আশা করি বুঝতে পেরেছেন যা বোঝাতে চাইছি। আমি কোন এক বিষয় নিয়ে বেশিক্ষণ মাথা খাটাতে পারি না। একটা করতে গিয়ে আরো দশটা আইডিয়ার শিকড় উঁকি দিতে থাকে। তবু আমি অবসর পেলেই Neumeric এই Master Key খোঁজার অসম্ভব খেলাটি নিজের সাথে খেলি। কিন্তু আমি যে একনিষ্ঠ নই কোন কিছুতেই। এক ধ্যানে লেগে থাকলে হয়ত একটা কিছু হত। আমাকে দিয়ে যেহেতু এই এক জায়গার ধ্যান উপবেশন সম্ভব নয়, তাই আমি আজ এই কনসেপ্ট আপনাদের মাঝেও ছড়িয়ে দিলাম। ভাবুন, মজা পেতে শুরু করবেন।

শুভরাত্রি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৫৭

রঙিলা ভূত বলেছেন: বাংলাদেশে কখনোই হ্যাকাররা তার প্রাপ্য সম্মান পায়নি । আমার পরিচিত ২ জন বাংলাদেশি আজ হ্যাকার ওয়ানের ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং এ ২৮ এবং ২৯ নাম্বারে অথচ তাদের হয়তো বাংলাদেশের আইটি বিশেষজ্ঞরা চেনেইনা । :(

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:০২

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: অবশ্যই সে নজরে পড়ার মত কিছু করেনি। তাকে বলুন কোন একটি নামকরা ফার্মের টেকনিক্যাল বা সিকিউরিটি প্রবলেম খুঁজে বের করতে। তারপর সে প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.