নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যাচেলর ছেলে!!! \nফেসবুকঃ \nhttps://www.facebook.com/rajshahjahan

শুন্য বাইট

মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যাচেলর ছেলে!!! ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/rajshahjahan

শুন্য বাইট › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোদশির ডায়রি

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১২



খুব ইচ্ছা ছিল লিউকোমিয়া নিয়ে একটা গল্প লিখবে,খুব রোমান্টিক গল্প, কিছু রোমান্টিক প্লটও ভেবেছিল,হঠাৎ করে গল্পের নায়িকার লিউকেমিয়া হবে,ফাইনাল স্টেজ,অনেক চেষ্টা করে,টাকা পয়সা তুলে বিদেশে পাঠিয়েও কোন লাভ হবেনা,ট্র‍্যাজেডি গল্প হিসেবে খুব নাম করবে এটা।সবাই খুব বাহবা দিবে।নিজের জীবনের গল্প মনে করবে।একটা গল্প লিখেই হিট করবে সে।
এভাবে ভাবতে ভাবতে নিজেই যে লিউকোমিয়ার রোগী হয়ে যাবে তা কখনই ভাবেনি রোদশি।গল্প লিখে হিট খাওয়ার যায়গা আজকে সে নিজেই গল্প হয়ে যাচ্ছে।ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলছে সে।জীবনের ঘন্টা কখন যেনো ছুটির বেল বাজিয়ে দেয়।শুধুই অপেক্ষা মহাকালের যাত্রার।

রোমান্টিক প্লট ভাবা রোদশির একজন ভালোবাসার মানুষও আছে।সারা দিন রাত এক করে ওর পাশে বসে থাকে ছেলেটা।মুখের দিকে তাকানো যায়না কারোরই।রোদশির মাথার চুল উঠিয়ে দিয়ে বিধাতা হয়ত রুদ্রর মুখে লাগিয়ে দিয়েছে।যে ছেলেটা সবসময় পপরিপাটি থাকতো তার মুখে দাড়ি।চেহারা কেমন জানি মলিন হয়ে গেছে।চোখের নীচে কালো দাগ।চোখ গুলো গর্তে চলে গেছে।কেমন যেনো উদাস হয়ে সারাদিন রোদশির মুখের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সে।

রোদশি অবশ্য প্রথম দিকে ওকে হাসপাতালে দেখলেই চেঁচিয়ে উঠতো।কেনো এসেছে সে? কি চায় এখানে? ওকে এক্ষুনি চলে যেতে বলো।ডাক্তার নার্স কে আছেন প্লিজ ওকে বলুন আমি ঠিক আছি।দুদিন পরেই বাড়ি চলে যাবো।প্লিজ ওকে কেউ বুঝান।বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পরতো সে।একটু পরেই অবশ্য নিশ্চুপ হয়ে যেতো সে।কিছুই বলতে পারতোনা।কিছুক্ষণ দুজনেই চুপচাপ থাকতো।নীরবতা ভেঙে রোদশিই আগে কথা বলতো।বুঝাতো রুদ্রকে।নিজের জীবনটা ভালো করে গুছিয়ে নিতে।দুজনের চোখেই কেবল অশ্রু।একজন আরেকজনের চোখের দিকে তাকিয়েই দিন রাত্রি কাটিয়ে দিতো।

রুদ্র মাঝে মাঝে আসতো না।কোথায় যেনো হারিয়ে যেতো। তবে হারিয়ে যাওয়াটা দু-এক ঘন্টার।এই দুই এক ঘন্টায় রোদশি একাই থাকতো।তার কাছে একটি ডায়েরি ছিল।খুব কষ্ট করে সে ডায়েরিতে দুই এক পাতা লিখতো সে।আজ সেই ডায়েরি টা রুদ্রর হাতে।মাঝে মাঝে রুদ্র এই ডায়েরিটা পরে।
ডায়রি থেকে,
লিউকোমিয়া বাসা বেধেছে দেহে অন্তরে তুমি,তোমারই জয় হবে।
উৎসর্গ রুদ্র।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবিনে রুদ্রর সাথে পরিচয় হয় ওর।এক বছরের জুনিয়র ছিল রুদ্র।তুই তুকারি দিয়ে কথার শুরু হয় রুদ্রর সাথে।রোদশি পড়া বুঝিয়ে দিতো রুদ্রকে।অপলক দৃষ্টিতে রোদশির দিকে তাকিয়ে থাকতো রুদ্র।ধীরে ধীরে সম্পর্কটা হাটা শুরু করে,আর কখন যে এই সম্পর্কটা দৌড়ানো শুরু করে তা জানতোনা কেউই।

রোদশির বাসা থেকে বিয়ে ঠিক করে। ততদিনে রোদিশি মাস্টার্স শেষ করে ফেললেও রুদ্র সবে মাস্টার্সের ছাত্র।চাকরী তো দুরের কথা টিউশানিও নাই। তবুও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এর দিকেই এগিয়ে যায় তারা।
শুরুর দিকে কষ্ট হলেও মানিয়ে নেয় রোদশি।দীর্ঘদিন হলেই থাকে তারা।এরপর একদিন নিজেদের বাসা হয়।একসাথে থাকা শুরু হয়।নিজেদের মতো করে।ভালোবাসার চর্চা শুরু হয়।

মাঝে মাঝে বাইরে রাত্রের খাবার খাইতে যেতো ওরা।রাত্রের খাবার খেয়ে দুজনে পাশাপাশি নদীর ধার দিয়ে হাটতে হাটতে বাসায় ফিরতো।চাঁদনি রাতে নদীর ধারে হাটার সময় রুদ্রর বাহানা থাকতো একটি গান শুনা।রোদিশির গানের গলাও ছিল লাখে একটা।ওর গলায় রবীন্দ্রসংগীত শুনলে যে কেউ ওই এক গান দিয়েই রাত পার করে দিতে পারবে।গানের নেশায় মাতাল হয়ে সারা রাত কি রকম একটা ঘোরের মধ্যে কেটে যেতো রুদ্রর।
ডায়রি থেকে,
জানো রুদ্র আজকাল আর গলা দিয়ে গান বেরুয়না চাপ চাপ রক্তের জমাট বের হয়।তুমি এই রক্তের নেশা নিও।

রুদ্র আর রোদশি দুজনেই ফিল্ম টেকনোলজি নিয়ে পড়াশুনা করেছে।ফিল্ম নিয়ে পড়াটা একেবারেই শখের বসে।অনেক স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয় সে পথ চলা।নানান জটিলতা কাটিয়ে কাজে মন দেয়া।সব কিছু ঠিকঠাক মতো হয়ে উঠেনা সবসময়।

রুদ্র অনেক ট্যালেন্টেড ছিল।জুনিয়র হয়েও সিনয়রদের অনেক সহযোগিতা সে করেছে।ডিপার্টমেন্টে বেশ নাম আছে তার।তবে রুদ্র বেশ দেমাগি।যার তার সাথে সে কাজ করেনা।রোদশি যেখানে আছে সেখানেই কেবল সে থাকবে।রোদশির গ্রুপে জুনিয়র হলেও রুদ্রর একটা যায়গা আছে।আড্ডায় মাতিয়ে রাখতে পারে সবাইকে।আর টুকটাক কিছু আইডিয়া দিয়ে সে নিজেকে অনেক পুরষ্কারে ভূষিত করে ফেলে।সবাই এই নিয়ে বেষ মজাতেই থাকে।

রোদশি এখন বিছানায় শুয়ে শুয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনের কথা চিন্তা করে মাঝে মাঝে।তাদের ভালোবাসার শুরুর দিকের কথা,
সবাই খুব চিন্তিত।একটা রোমান্টিক এসানমেন্ট করতে হবে। কেউ নতুন কোন আইডিয়া পাচ্ছে না।আর পেলেও মনের মতো হচ্ছেনা।রুদ্র তখন গিটার নিয়ে বসে আছে।রুদ্র হঠাৎ দাঁড়িয়ে রোদশির দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়।রোদশিও উঠে দাঁড়ায়।মনে হচ্ছিল এমন ডাকের জন্যই সে অপেক্ষা করেছিল।
রুদ্র বলা শুরু করে,
নায়িকা নায়কের দিকে এগিয়ে যাবে,নায়ক তখন নায়িকাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরবে,দুজনে মুখের দিকে ক্লোজ শর্ট, কিস করতে যাওয়ার মুহুর্ত,নায়িকা চোখ বন্ধ করবে সাথে সাথে কাট।এই পুরো দৃশ্যটা রুদ্র রোদশিকে নিয়ে করে দেখায়।
সাবাই খুব হাত তালি দিয়ে পরের শর্টে কি হবে তা জিজ্ঞেস করতে থাকে।কিন্তু রোদশি সেদিন রুদ্র চোখে কোন শর্ট খুজে পায়না।খুজে পায় সারা জীবনের জমা করা ভালোবাসা।এক জাদুকরী শক্তি আছে এই ছেলের চোখে।যা সেদিন রোদশি অবহেলা করতে পারেনি।
রুদ্র রোদশির দিকে তাকিয়ে বলে যাচ্ছে,
নায়িকা নায়ককে তারা করবে এটা সমুদ্র সৈকতে শুট হবে।নায়কের পিছনে পিছনে নায়িকা দৌড়াবে।বুঝা যাবে কিস করার অপরাধে নায়কের এই ভোগান্তি।
পরের সিন সাগর তীরের হোটেলের বারান্দায়,
নায়িকাকে জড়িয়ে বসে আছে নায়ক,সমুদ্রের গর্জন শুনা যাবে,নায়িকার কণ্ঠে গান।
রোদশি তখন রুদ্র কে থামিয়ে দিয়ে গান গাওয়া শুরু করে।সবাই খুব অবাক হয়ে যায়।যে রোদশিকে সবাই এতো দিন রিকোয়েস্ট করেও গান গাওয়াতে পারে নাই সে আজ নিজে থেকে গাইছে।ভালোবাসার শুরু এখান থেকেই।
এখন এসব ভেবে মাঝে মাঝে একা একাই হাসে রোদশি।ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করতে করতে জীবনে হাসির অবলম্বন এই স্মৃতিগুলোই।রুদ্রর দুষ্টামি, ফাযলামিতে ভরা তাদের ভালোবাসা।আর অনেক না পাওয়ার বেদনা।হাসির যায়গা দিন দিন কমে যাচ্ছে।এসব ভাবতে ভাবতে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে রোদশির।

রুদ্র এসে পরেছে।এসেই রোদশিকে একগাদা কথা শুনিয়ে দিলো সে।রুদ্র অনেকবার নিষেধ করেছে তাকে এই ডায়রি নিয়ে না বসতে।কে শুনে কার কথা।রোদশি জানিয়ে দিয়েছে, যখন আমি থাকবোনা তখন এই ডায়রিটাই তোমার সংগী হবে।তবে আমি যতদিন আছি ততদিন এই ডায়রিটা তুমি পাবানা।

বেশ কিছুদিন হলো হাসপাতালে যায়না রুদ্র।একেবারে বদলে গেছে সে।দিনরাত হাসপাতালে বসে কাটিয়ে দেয়া ছেলেটা এখন হাসপাতালেই যায়না।কাজের চাপ বেরে গেছে।সব কিছু ভুলে কাজে মনোযোগী হওয়াটা তার জন্য খুবই কষ্টকর ছিল প্রথম দিকে।কিন্তু ধীরে ধীরে সব গুছিয়ে নিয়েছে সে।অনেক পরিশ্রমী ছেলে।নতুন গাড়ী হয়েছে,বাড়ী হয়েছে।রোদশির ইচ্ছামতো বাড়ী সে বানিয়েছে।কোন কার্পন্য করেনি কোথাও।

এতো কাজের ভীরে তবুও তার মনের কোনায় সবসময় রোদশিই থাকে।তাইতো কাজের ফাকে একটু সময় পেলেই রোদশিকে ফোন করে সব খোজখবর নিয়ে নেয় সে।রোদশির অবশ্য অনেক অভিমান ওর উপরে। কিন্তু হাসপাতালের এতো খরচ যোগার করার জন্য এ ছাড়া কোন উপায় ছিলনা রুদ্রর কাছে।অভিমান ভাঙ্গানোর উপায় রুদ্রর জানা আছে।খুব সকালে এক গুচ্ছ ফুল নিয়ে ওর মাথার পাশে দাড়ালে সবকিছু ভুলে যাবে সে।এইবারই প্রথম টানা দিন পনেরো হাসপাতালে যায়নি রুদ্র।এবারের অভিমান একটু বেশীই।

হাসপাতালের বেডে প্রায় তিন বছর কেটে গেছে রোদশির।এই রুমটাকে তাই ধীরে ধীরে নিজের ঘরই বানিয়ে ফেলেছে সে।প্রতিদিন বিকেলে একজন নার্স আসে যার সাথে গল্প করে ভালোই সময় কেটে যায় তার।সকল স্টাফ পরিচিত হয়ে গেছে।মাঝে মাঝে নতুন কোন রোগি আসে পাশের কেবিনে তাদের সাথেও কথাবার্তা হয় টুকটাক। সবার ছুটি হয়ে যায় কিন্তু তার হয়না।

হাসপাতালের এই রুমটা একেবারে রাস্তার সাথে।জানালা খুললেই গাড়ির শব্দ কিন্তু রাতের বেলায় খুব নীরব।রাত্রে লাইট অফ করে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে সে।রাত্রে বেলাও মানুষ চলাফেরা করে।ট্রাক গুলো দ্রুত গতিতে উচ্চস্বরে হর্ন বাজিয়ে চলে।জানালার পাশে দাঁড়িয়ে এসব দেখতে দেখতে মাঝে মাঝে ভোর হয়ে যায়।

আজকে সকালেই রুদ্র এসেছে।এক গুচ্ছ ফুল আর দুইটা নতুন বই নিয়ে এসেছে সে।অভিমানে জানালার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে রোদশি।কিন্তু ফুল আর বই চোখে পরতেই সব রাগ ভুলে গেলো সে।রুদ্রকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো সে।ভালোবাসার মানুষকে এভাবে জড়িয়ে ধরলে আর কিছু বলতে হয়না,সে নিজেই তার ভুল বুঝতে পারে।

আজকে ডক্তার রুদ্রকে ডেকে অপারেশান এর জন্য বলেছে।এটাই শেষ ভরসা।রুদ্র অবশ্য না বলেছে প্রথমে কিন্তু ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী কয়েকটা পেপারসে সে স্বাক্ষর করে দিয়েছে।পরের সাপ্তাহে অপারেশান হবে।খুব চিন্তিত হয়ে রোদশির সামনে বসে পরেছে সে।ফোন করে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে নিয়েছে সে।এই এক সাপ্তাহ সে কোথাও যাবেনা।সবসময় রোদশির পাশেই থাকবে।

রোদশি আগের থেকে একটু ভালো ফিল করে এখন।ধীরে ধীরে তার শরীরের উন্নতি ঘটেছে।রুদ্রকে চিন্তা করতে না করেছে সে।তবুও এতো বড় একটা অপারেশান। সারাদিন দুজনের কত জমানো কথা চলতে থাকে।ডায়রি নিয়ে কথা তুলে রোদশি।এই ডায়রিটা রোদশি গত তিন বছর ধরে লিখছে।তার হাসপাতালের এই তিন বছরের সংগী ছিল এই ডায়রি।এখানে সে তার জীবনের অনেক না বলা কথা লিখে রেখেছে। অনেক না বলা ইচ্ছা আর ভালোবাসার কথা।
ডায়রির শেষ পাতা থেকে,
মানুষের ইচ্চার কোন শেষ থাকেনা তবে আমার ইচ্চা ফুরিয়ে যাচ্ছে।এখন আমাকে যদি কেউ শেষ ইচ্ছা জিজ্ঞেস করে তবে আমি বলে দিতে পারবো। এই ডায়রিটা কোন এক বিকেলে আমি আর রুদ্র একসাথে বসে পড়তে চাই।

এভাবে সাতদিন পার হয়ে গেলো।রুদ্র আর রোদশির এমন ভালোবাসার কথা হাসপাতালের সবাই জানতো।আজকে সবাই এসেছে রোদশিকে উইশ করতে।সবার ভালোবাসায় অনেক সাহস পেলো রোদশি।বেচে থাকার ইচ্ছা আরো প্রবল হতে লাগে তার।অপারেশান থিয়েটার এ নিয়ে যাওয়ার সময় রুদ্রর হাতে ডায়রিটা দিয়ে যায় রোদশি।তবে তা খুলতে নিষেধ করে যায়।

এরপর অনেক দিন কেটে যায়।রোদশির ওই বেডে নতুন একজন এসেছে।রোদশির ছুটি হয়ে গেছে।প্রায় তিন বছরেরও বেশী সময় সে এখানে ছিল।এতোগুলো দিন এখানে কাটিয়ে তার মনে হয়নি হাসপাতেলের বেডে কিভাবে সে থাকবে কিন্তু ছুটির দিনে তার নিশ্চয়ই মনে হয়েছিল একথা।

রুদ্র সমুদ্র সৈকতের পারে দাঁড়িয়ে আছে।তার হাতে একটা ডায়রি আছে।এটা সেই ডায়রিটা যেটা রোদশি তাকে দিয়েছিল।ভার্সিটি জীবনে এসাইনমেন্ট হিসেবে করা সেই রোমান্টিক গল্পের রিমেক করতে এখানে এসেছে সে।পুরাতন সে গল্পের শেষে নতুন একটু যুক্ত হয়েছে এখন।আর এবারে সে নিজেই নায়কের ভুমিকায় অভিনয় করছে।

নায়ক আর নায়িকা হোটেলের বারান্দায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকবে।এই সিনে নতুন করে যুক্ত হয়েছে,
নায়ক আর নায়িকা একসাথে একটা ডায়রি পড়ছে।রোদশির ডায়রি


পদটিকাঃএমন গল্পে নায়িকার মরে যাওয়াটাই উচিৎ ছিল।আমিও গল্প লেখার আগে এমনটাই ভেবেছিলাম।কিন্তু যেদিন থেকে গল্প লেখা শুরু করেছিলাম সেদিন থেকেই মনে হচ্ছিল কেনো মেরে ফেলবো?আমি অনেক ভেবেছি এই বিষয় নিয়ে।অনেক চিন্তা করে দেখলাম, রোদশিদের বেচে থাকার খুব দরকার।
আর এটা আমার গল্প আমি চাইলেই রোদশিকে বাচিয়ে রাখতে পারি।তাই সেই সুযোগটা নষ্ট করতে পারলামনা।রোদশিরা বেচে থাকুক বাস্তবে না হলেও আমার গল্পেতো থাকুক

বিদ্রঃএরকম গল্প হয়তো অনেক আছে আমিও দুএকটা পড়েছি।এর থেকে অনেক ভালো সে গল্প গুলো।আমি্ প্রেক্ষাপট বদলে নতুন কিছু একটা লেখার চেষ্টা করেছি।বাকিটা কমেন্ট বক্সে।
:)

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: কি যেন বলতে চেয়েছিলাম। ভুলে গেছি। ভালোই।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

শুন্য বাইট বলেছেন: হাহা মনে করার চেষ্টা করুন।ভালবাসা নিবেন :)

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২১

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভাল ছিল ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

শুন্য বাইট বলেছেন: ভালবাসা নিয়েন :)

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

শুন্য বাইট বলেছেন: ভালবাসা নিয়েন :)

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

আফ্রোদিতে বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। হৃদয় ছুঁয়ে দিলো। ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

শুন্য বাইট বলেছেন: ভালবাসা নিয়েন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.