নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যাচেলর ছেলে!!! \nফেসবুকঃ \nhttps://www.facebook.com/rajshahjahan

শুন্য বাইট

মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যাচেলর ছেলে!!! ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/rajshahjahan

শুন্য বাইট › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতনু সেন - সন্দেহ (নতুন রহস্য সিরিজ ২য় পর্ব :প )

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

পুলিশ এসেছে ইতিমধ্যেই। মল্লিক সাহেবের বাসায় ঢুকতেই পুলিশের সাথে দেখা হলো অতনুর। আগের দিন থানায় গিয়ে দেখা করাতে পরিচয় হয়েছে থানার অফিসারের সাথে। দুজনে একসাথেই উপরে গেলেন। বিশ্বনাথ মল্লিক চুপচাপ বসে আছেন একটা চেয়ারে। বাড়ির কাজের মেয়েটা পাশেই দাঁড়িয়ে। প্রফুল সাহেব এতোক্ষণ মা'য়ের পাশে বসে কান্না করছিলেন পাশে তাঁর স্ত্রী আর সন্তান ছিল। কিন্তু অতনু সেনকে ঘরে আসতে দেখেই তিনি উঠে গেলেন,

-"এই আপনার জন্যই আজকে আমার মা আমাদের ছেড়ে চলে গেলো।"
-"শান্ত হোন প্রফুল বাবু।"
-"এই আপনি কালকে না আসলে কি আর আজকে আমার মা খুন হতো? বলুন?"
-"দেখুন প্রফুল বাবু আপনাকে সান্তনা দেয়ার মতো ভাষা আমার নেই সত্যিই কিন্তু খুনীকে ধরার জন্য আমাদের যা দায়ীত্ব আমাদেরকে তা পালন করতে দিন।"
-"আপনাদের দায়ীত্ব পালনে আজকে আমার মা মারা গেলো কাল যদি অন্য কেউ মারা যায়। আমার আর আপনাদের দায়ীত্ব দেখা লাগবেনা। প্লিজ এবারে আপনারা আসুন।"

মা'য়ের মৃত্যুতে মাথা ঠিক নেই প্রফুল বাবুর। অতনুকে একেবারেই ঘরের ভিতরে ঢুকতে দিতে রাজি হচ্ছেনা সে। বিষয়টি এবার আর মেনে নিতে পারছেনা অতনু। আগে থেকেই এই প্রফুলের ব্যাপারে একটা খটকা তো ছিলই তাঁর উপর আজকের এই ব্যাবহার। একেবারে প্রফুল সাহেবের কানের কাছে মুখ এগিয়ে নিয়ে খুব আস্তে অতনু বললো, "গতকাল রাত্রে কি ক্লাবের জুয়ায় অনেক বেশী টাকা হেরে গিয়েছিলেন আপনি?" এরপর আর একটা কথাও বলেনি প্রফুল বাবু। দরজার একপাশে দাঁড়িয়ে রইলেন তিনি। এই ঘটনায় সব থেকে বেশী অবাক হলো অনির্বাণ। গতকাল রাতে প্রফুল বাবু কোথায় কি করেছে এগুলোর কোন কিছুই অতনুর জানবার কথা নয়।

বিশ্বনাথ মল্লিকের স্ত্রীকের তাদের বাসার দারোয়ানের মতো করেই মারা হয়েছে। খুব ধারালো কিছু একটা দিয়ে ঘারের দিকে আঘাত করা হয়েছে। রক্তে ভেসে গেছে সারা ঘর। রুমে সব কিছুই আগের মতোই আছে। কোন জিনিসপত্র মিসিং নেই এমনকি কোন জিনিস অগোছোলাও নেই। খুনী এতো পরিমাণে চালাক যে সে কোন জিনিস ধরেও নাই। বসার ঘরে যেতে যতে অতনু বিশ্বনাথ মল্লিক কে জিজ্ঞেস করলো,
-"প্রথমে কি দেখেছিলো?"
-"কাজের মেয়েটা সকালে একবার গিয়ে ওর খোঁজ খবর নিতো আর তখনি।"
-"আচ্ছা কিছু মনে করবেন না মল্লিক সাহেব আজকের মতো আসছি তাহলে আমরা।"

মানুষের মৃত্যু একেবারেই অনিশ্চিত। গত ছয় মাস যে মানুষটি বিছানাশয্যা ছিল, নিয়মিত ডাক্তারের চেকাপের মধ্যে ছিল, প্রতিটি মুহুর্ত বেঁচে থাকার লড়াই করেছে, প্রতিদিন ন্তুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন সাজিয়েছে সে আজকে আর কোন লড়াই করতে পারেনি। অথচ অন্য সবাইকে আজকে একটা নতুন লড়াই দিয়ে গেলো সে। বাড়ির বাইরে আসতেই অনির্বাণ অতনুকে জিজ্ঞেস করলো,
-"প্রফুল মল্লিককে কি এমন বললে যে সে একেবারে চুপ হয়ে গেলো।"
-"কি আর বলো ক্লাবের জুয়া খেলে বলে হুমকি দিলাম।"
-"কিন্তু তুমি, "
-"বড়লোকের ছেলে ঘরে সুন্দরী বউ, ছেলে রেখে নিয়মিত ক্লাবে যায় ব্যাপারটা কেমন না। হয় মদ নাহলে জুয়া কিছু একটা তো থাকবেই তাইনা। জুয়ার কথা আন্দাজে বললাম আর সেটাই লেগে গেলো।"
-"বাহ একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছো কিন্তু।"
-"কিন্তু কথা হচ্ছে প্রফুল বাবু এতো টাকা কোথায় পায়? যে চাকরী করে তাতে তো এতো টাকা থাকার কথা না। আর সত্যিই যদি আগের দিন জুয়ায় হেরে থাকে তাহলে সেই টাকা কি সে তাঁর মা'য়ের কাছে চেয়েছিলো?"
-"অথবা এর আগে সে কিছু করেছিল যে তাঁর মা জানতো আর আমাদের গতকাল সেটা জানাতে চেয়েছিলো বলে হয়তো তাঁর মা'কে খুন করেছে।"
-"না না এতো সহজ ভাবলে হবেনা অনির্বাণ। আমাদের আরো ভাবতে হবে। তুই একটা কাজ কর এখনি অলোকের বাড়ি যায় ওর বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বল।"
-"আর তুমি?"
-"আমার এদিকটায় বেশ কিছু কাজ আছে। তুই যা।"

অনির্বাণ কে ছেড়ে দিয়ে অতনু সোজা চলে গেলো ক্লাবে। ক্লাবের রেজিষ্টার খাতায় প্রফুল মল্লিকের নাম চেক করে মোটামুটি ডিটেইলস সে জেনে নিলো। মাঝে মাঝে জুয়া খেলে সে কিন্তু খুব বেশী টাকার যে খেলা এখানে হয় তা না। আর প্রফুল বাবুর ভাগ্য নাকি খুবই ভালো সে খুব কম দিনই হেরেছে। আর জিতে প্রতিদিনই পার্টি দিতো তাই এখানকার প্রায় সবাই তাকে চিনে।

বাসায় ফিরেই একটা লম্বার ঘুম দিলো অতনু। ঘুম থেকে উঠে কথা হলো অনির্বাণের সাথে। যখন মাথায় কোন কিছু কাজ করেনা তখন ঘুম কাজ করে।
-"কিছু পেলি?"
-"নাহ ওদের বাড়ির অবস্থাও তেমন ভালো না। টাকা রোজগারের মানুষ না থাকলে যা হয় আরকি।"
-"কিন্তু এই খুনের সাথে তাদের কি সম্পর্ক হতে পারে। আচ্ছা তুই যা ফ্রেশ হয়ে নে।"

শুরু থেকে ঘটনা গুলো ভাবতে শুরু করলো অতনু। প্রথমে দারোয়ান খুন আর দারোয়ানের সাথে বাড়ির কাজের মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক। পাশের বাড়ির দারোয়ানও এই বাড়ির কাজের মেয়ের সাথে কথা বলতে চাইতো কিন্তু ঠিক সুবিধা করে উঠতে পারেনি। আর ঘটনার দিন থেকে সে নিখোঁজ। এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, সে নিখোঁজ নাকি তাকে নিখোঁজ করা হয়েছে? আর এদিকে তেরো দিন পরেই বিশ্বনাথ মল্লিকের স্ত্রী খুন। যে মানুষটি গত ছয়মাস বিছানাশয্যা আর গতকাল কি এমন বলতে চেয়েছিলো যার জন্য সে আজকে খুন হলো? এর বাইরে থাকলো ডাক্তার যার এই ফ্যামিলিতে গত ছয়মাসে যাতায়াত আছে। এই ডাক্তার! সাথে আরো একটা বিষয় পরিষ্কার দুইটা খুনের মধ্যে একটাই কানেকশান খুনী একজনই। খুনের হাতিয়ার একটাই, আর খুনের ধরনও একই। আগের খুনের কিছু একটা জানতেন বিশ্বনাথ মল্লিকের স্ত্রী যার ফলাফল স্বরুপ আজকের এই খুন।

পরদিন সকালেই একটা বাহানা বানিয়ে নিজের পরিচয় গোপন করে ডাক্তারের চেম্বারে হাজির হলো অতনু। বয়স প্রায় চল্লিশ পার হয়ে গেছে ভদ্রলোকের। রাত জাগার জন্য চোখের নীচে কালো দাগ পরে গেছে। কি করেন রাত জেগে পড়াশুনা নাকি রাত্রের শিফটে কোন হাসপাতালে চাকরী করেন? রোগীদের সাথে যথেষ্ঠ আন্তরিক ব্যাবহার করেন তিনি। তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিলো অতনু। এই ডাক্তার বাবুর প্রচুর টাকা পয়সা আছে কিন্তু টাকার উৎস আসলে তেমন কিছু জানা গেলো না। রাত্রের শিফটে অন্য কোন হাসপাতালে চাকরীও তিনি করেন না আর এই চেম্বারে রোগীদের যে অবস্থা তাতে এই ফ্রী স্কুল স্ট্রীটে ফ্ল্যাট কিনে ফেলা মুখের কথা না।

ঘটনা যতটাই সহজ ভাবা হচ্ছিল ঠিক ততটাই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে দিন দিন। তিনজন মানুষ যাদের নিয়ে অনেক গুলো প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে অতনুর। দেয়ালে লাগানো ছোট ছোট কাগজগুলোর দিকে তাকিয়ে অতনু ভাবতে শুরু করলো,

"প্রথমত, প্রফুল মল্লিক। বড়লোক বাবার একমাত্র ছেলে অনেক টাকা পয়সার মালিক হলেও নিজে খুব বেশী দামী চাকরী সে করেনা। ক্লাবে জুয়ার অভ্যাস আছে, রাত্রে দেরী করে বাড়িতে ফেরে। এ ছাড়া আর তেমন কোন সন্দেহের বিষয় নেই তাঁর মাঝে। দারোয়ানের সাথে ঝামেলা হলে দারোয়ানকে বদলে নতুন দারোয়ান রাখবে কেনো তাকে খুন করতে যাবে? আর নিজের মা'কে খুন করা? কিন্তু প্রশ্ন যেখানে টাকার সেখানে খুনী যে কাউকেই খুন করতে পারে। আর বাড়ির সব জায়গায় তাঁর অবাধ বিচরনতো থাকছেই। সব থেকে সহজে সেই সবার রুমে যেতে পারছে। "

"দ্বিতীয়ত, পাশের বাড়ির দারোয়ান। এই বাড়ির কাজের মেয়ের সাথে হয়তো তারই সম্পর্ক আর এই বাড়ির দারোয়ান মিথ্যা বলছে যে তাঁর এই বাড়ির দারোয়ানের সাথে সম্পর্ক ছিল। অলোক হয়তো এই বাড়ির কাজের মেয়েকে ডিস্টার্ব করতো সে জন্য প্রথমে অলোককে খুন আর এরপর সেই খুনের স্বাক্ষী বিশ্বনাথ মল্লিকের স্ত্রীকে খুন। কিন্তু কিভাবে? কাজের মেয়েটা পিছন দিকের দরজা খোলা রেখেছিল যে দিক দিয়ে খুব সহজে বাড়ির ভিতরে আসে পাশের বাড়ির এই দারোয়ান। প্রেমের জের ধরে পরপর দুই দুইটা খুন!"

"আর একেবারে শেষ মানুষটি এই ডাক্তার। ছয় মাস ধরে এই বাড়িতে যাতায়াত। বাড়িতে এমন কোন দামী বস্তু আছে যার জন্য একের পর এক সব মানুষকে খুন করে চলছেন তিনি। আর এরপর সময় বুঝে সেই জিনিস নিয়ে ভেগে যাবেন। তাঁর এতো সম্পত্তি থেকে এটা অনুমান করা সহজ আর ডাক্তার হউয়ার জন্য খুব তারাতারি নিঃশব্দে মানুষ খুন করারা ব্যাপারটা তারই জানবার কথা। কিন্তু সে এই বাড়িতে আসবে কিভাবে?"

অনেক ভেবেও কোন কুল কিনারা করতে পারছেনা অতনু। সবার ক্ষেত্রেই একটা ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে। তিনদিন পরে আবার বিশ্বনাথ মল্লিকের বাড়িতে গেলো অতনু। এবারে সে বাড়ির ভিতরের সব জিনিস খুব গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করলো। খুব সৌখিন এই মানুষ বিশ্বনাথ মল্লিক। বাড়িতে এতো এতো কাঠের জিনিসের সংগ্রহ যা কেউ ভাবতেই পারবেনা। এহেন কোন কাঠের তৈরী জিনিস নাই যা এখানে নেই। অনেক দামী সব আসবাবপত্র। কাঠের জিনিসের প্রতি একটা দুর্বলতা আছে তাঁর। সবার রুম ঘুরে সে কাজের মেয়েটাকে ডেকে পাঠালো বসার ঘরে,
-"তুমি প্রতিদিন কখন ঘুমাতে যাও?"
-"স্যার, সবার খাওয়া দশটার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় আর এরপরেই আমি থালাবাসন ধুয়ে ঘুমাতে যাই।"
-"আর পাশের বাড়ির দারোয়ান কি তুমি ঘুমানোর পরেই এই বাড়িতে আসে রোজ।"
-"স্যার বিশ্বাস করেন এই খুনের সাথে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই।"
-"আমিতো বলিনি তাঁর এই খুনের সাথে কোন সম্পর্ক আছে।"
-"স্যার আমি জানি আপনারা তারে সন্দেহ করছেন কিন্তু যে মানুষটি এতগুলো দিন নিখোঁজ সে কিভাবে খুন করবে?"
-"কিভাবে খুন করবে তাঁর থেকে বড় কথা সে খুন করেছে কিনা? আচ্ছা তুমি যাও।"
-"স্যার আমি সত্য বলতেছি এর সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।"

অতনুর মুখে অনেকক্ষন পরে একবার হাসি দেখা গেলো। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক দাঁড়ালো পাশের বাড়ির দারোয়ানের সাথে এই বাড়ির কাজের মেয়ের। আর এই কাজের মেয়েটা খুব সুন্দর করে মিথ্যা বলে যাচ্ছিল। বিশ্বনাথ মল্লিকের বাড়ি থেকে বের হয়ে সোজা থানায় চলে গেলো অতনু আর অনির্বাণ। যেভাবেই হোক দারোয়ানকে খুঁজে বের করতে হবে। আর সেই সাথে এই ডাক্তার আর প্রফুল বাবুর উপরেও নজর রাখতে হবে। তবে এখন প্রফুল বা ডাক্তার এর থেকে বেশী জরুরী দারোয়ানকে খুঁজে বের করা। থানার অফিসারের সাথে কথা বলে এতটুকু নিশ্চিত করা গেলো যে পুলিশ তাকে খুঁজে পেলেই অতনু সেনকে জানাবে। বাড়ি চলে আসলো তারা।

বিশ্বনাথ মল্লিকের স্ত্রী খুন হওয়ার আজকে তেরো দিন হয়ে গেলো। পুলিশ এখনো পাশের বাড়ির দারোয়ানকে খুঁজে পায়নি। আর এদিকে অতনু আর অনির্বান ডাক্তার আর প্রফুল বাবুর উপরে নজর রেখে যাচ্ছে নিয়মিত। বিশ্বনাথ মল্লিকের সাথেও কথা হয়েছে বেশ কয়েকবার। তাঁর মাঝেও আর আগের সেই ভাবটা নেই। হয়তো স্ত্রী হারাবার পরে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছেননা। পুরুষের কাছে তাঁর স্ত্রীই সব। খুনের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন এই ভদ্রলোক। সন্ধ্যার দিকে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে চেয়ারে বসে টেবিলের উপরে পা তুলে বসে আছে অতনু। বাইরে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। আর মাথার মধ্যে চলছে মল্লিক বাড়ির খুনের হিসাব। কখন সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত গভীর হয়ে গেলো তা বুঝতে পারেনি অতনু। রাত প্রায় দশটার দিকে টেলিফোন বেজে উঠলো,
-"নমষ্কার, অতনু সেন বলছি।"
-"অতনু বাবু, পাশের বাড়ির দারোয়ানের খোঁজ পাওয়া গেছে।"
-"কোথায় আছে?"
-"আমাদের এখান থেকে প্রায় পচিশ কিলোমিটার দূরে একটা মদের আড্ডায় তাকে দেখেছে আমাদের এক কনস্টেবল।"
-"আচ্ছা আপনারা তাকে নিয়ে থানায় আসেন তাহলে আমি আসছি।"

থানায় যাওয়ার জন্য বের হবে অতনু আর তখনই শুরু হলো প্রচণ্ড রকমের ঝড় আর সেই সাথে বৃষ্টি। এর মধ্যে বের হওয়ার কোন উপায় নেই। বার কয়েক সিদ্ধান্ত নিয়েও থানায় যাওয়ার কোন বন্দোবস্ত করতে পারছেনা অতনু। আর বৃষ্টি ছাড়তে ছাড়তে রাত প্রায় দুইটা বেজে গেলো। থানায় ফোন করলো অতনু,

-"নমষ্কার অতনু সেন বলছি।"
-"স্যার আপনার কথা বলে গেছেন, কিন্তু স্যার এখনো আসেননি। রাস্তায় গাছ পরে রাস্তা আটকে গেছে তাই স্যার এখনো আসতে পারেননি।"

এখন আর তাহলে থান্য গিয়েও কোন লাভ হবেনা। আবারো সেই চেয়ারে বসে দেয়ালে লাগানো কাগজের দিকে তাকিয়ে রইলো অতনু। সকালের অপেক্ষা। অপেক্ষা মানুষকে বিরক্ত এনে দেয়। সকালে বেলা টেলিফোন বেজে উঠলো টেলিফোন কানে তুলেই অতনু বললো,

-"কাকে খুন করা হয়েছে এবার?"
-"কাজের মেয়েটা গতকাল রাত্রে খুন হয়েছে।"

বিদ্রঃ চলবে। খুনী কে জানাতে ভুলবেননা। :)


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.