![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের রূঢ় বাস্তবতায়, স্বপ্নহীন পথিক অসহায়, তাই স্বপ্ন দেখে যাই, সত্যি হওয়ায় আশায়..........
আমি পাকিস্তানকে ঘৃণা করি । কিন্তু তার চেয়ে শতগুন ঘৃণা করি ভারতকে । ১৯৭১ এ পাকিস্তান আর্মি এবং তাদের দোসররা বাংলাদেশে যা করেছে তাতে আমি তাদের জীবনেও ক্ষমা করব না । কিন্তু ৭১ এর পরে পাকিস্তান আমাদের কোন ক্ষতি করেনি বা করতে পারেনি । কিন্তু ভারত প্রতিনিয়ত আমাদের ক্ষতি করেই যাচ্ছে ।
***১৯৭১ এ পাকিস্তানি বেজন্মারা ৩০ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করেছে, অসংখ্য মা বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে । কিন্তু ভারতীয় বিএসএফ প্রতিনিয়ত বাঙালি হত্যা করছে, মেয়েদের রেপ করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখছে । পাকিস্তানি শুয়োরের বাচ্চাদের আমরা শায়েস্তা পারলেও ভারতের কিছুই করতে পারছি না । কারণ তারা আমাদের বন্ধু (বাই দ্য ওয়ে, ওবামা কিন্তু আমার খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড) । ### ৭১ এ নাকি ভারত বন্ধু হিসেবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু আমি মনে করি বন্ধু হিসেবে নয়,১৯৪৭ থেকে চলা পাকিস্তানের সাথে শত্রুতার জের ধরে পাকিস্তানের উপর প্রতিশোধ নিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে উপলক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করেছিল ভারত। ভারত কোনোকালেই আমাদের বন্ধু মনে করেনি ।
***১৯৫২ তে পাকিস্তানিরা আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়ে বাংলার বদলে উর্দুকে আমাদের ভাষা করতে চেয়েছিল । কিন্তু বাংলার দামাল ছেলেদের সংগ্রামের ফলে তারা ব্যর্থ হয়েছে । কিন্তু এক্ষেত্রে ভারত সফল । তারা কৌশলে আমাদের বাংলা থেকে হিন্দীর দিকে নিয়ে গেছে । বিশেষত আমাদের দেশেরশিশুরা আর কিশোরীরা বাংলার চেয়ে এখন হিন্দীতে বেশি পারদর্শী । সরকার যে এখনো স্কুলগুলোতে হিন্দী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেনি এটা ভাষা শহীদদের কপাল ।
***ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি । বাংলা ভাষায় মানসম্মত অনেক নাটক হলেও বাঙালি নারীরা দেখছে স্টার জলসা আর প্লাস, পুরুষেরা দেখছে হিন্দী মুভি । অন্যদিকে ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল চালানো নিষিদ্ধ ( এই হল বন্ধুত্বের নমুনা )
***ফাকিস্তানিরা বাংলাদেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ করলেও বিদ্রোহী বাঙালি তা মানে নি । আর এখন বাঙালি নজরুল আর লালন না শুনে "তেরে প্যায়ার মে ডুবনা হ্যায়" টাইপের গান শুনে । এক্ষেত্রে সচেতন মানুষদের বসে বসে আঙ্গুল চোষা ছাড়া কিছুই করার নেই ।
***বাংলাদেশকে নদীর পানি থেকে বন্চিত করছে ভারত । ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করেছে ভারত । টিপাইমুখ বাঁধ দিয়ে সবুজ দেশটাকে মরুভুমি বানাতে চাচ্ছে ভারত । এগুলোর মত কোন ক্ষতিই এখন পাকিস্তানের মত আবালচোদা দেশের দ্বারা করা সম্ভব না ।
***বাংলাদেশে ২৩ বছর পাকিস্তানী শাসকেরা অর্থনৈতিকভাবে শোষণ চালিয়েছে । তার কড়া জবাব তারা পেয়েছে । কিন্তু এখন ভারত যে অর্থনৈতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে আমাদের উপর, তা আমরানীরবে মেনে নিচ্ছি । এদেশের খাদ্য, পোষাক, প্রসাধনসামগ্রী আর মোটরসাইকেলসহ অনেক বাজার এখন ভারতের দখলে । কিন্তু বাংলাদেশি পণ্যকে ভারতীয় বাজার দেওয়া হচ্ছে না । বাংলাদেশের ক্রিকেট টিম, রাস্তাঘাট, বিদ্যুত প্রকল্প সব এখন ভারতের দখলে । এভাবে কৌশলে বাংলাদেশকে শোষণ করে চলেছে ভারত ।
###এজন্য পাদা হতেও ভাদা ভয়ংকর । আসুন ভারতকে "না" বলি আর ভাদাদের গদামের উপরে রাখি ।
###পরিশিষ্ট: বুবুজানের ভারতপ্রেম আর দেশটাকে ভারতের কাছে বিক্রি করার প্রবণতা দেখে আগে থেকেই আমি শংকিত । এখন গুলাবী ম্যাডামকে একই রাস্তা ধরতে দেখে পুরাই হতাশ । তবু এত হতাশারমাঝেও বাংলাদেশের হ্যাকারদের মত কিছুমানুষ আশা জুগিয়ে যাচ্ছে, স্যালুট টু দেম । ভারতের ওয়েবসাইট হ্যাককারী সেইসব হ্যাকারদের উত্সর্গ করলাম এই সামান্য লেখাটি ।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩১
নবকবি বলেছেন: চরিত্রের দিক দিয়ে ভারত এশিয়ার আমেরিকা। স্বার্থের জন্যে এরা যে কারো বন্ধু ও শত্রু হয়।
স্বাধীনতার পৈত্রিক দাবিদাররা ছাড়া ভারতের সাম্রাজ্যবাদী মুখোশ সবার সামনেই পরিস্কার হয়ে গেছে।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০২
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: ভারতকে আমি সবচেয়ে বেশি ঘৃনা করি । তাই দেখে কোন পাকিস্তানী দালাল যদি তাবেদারী করে তবে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০২
সু্মিত বলেছেন: কিন্তু ৭১ এর পরে পাকিস্তান আমাদের কোন ক্ষতি করেনি বা করতে পারেনি । কিন্তু ভারত প্রতিনিয়ত আমাদের ক্ষতি করেই যাচ্ছে ।
>>> কথা ঠিক না। পাকিস্তান এর আই এস আই প্রতিনিয়তই বাংলাদেশ এ স্বাধিনতা বিরোধি দের (জামাত শিবির) সাপোর্ট করে আসছে। তারা প্রতিনয়তই বাংলাদেশ এর ক্ষতি করে যাচ্ছে।
***১৯৭১ এ পাকিস্তানি বেজন্মারা ৩০ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করেছে, অসংখ্য মা বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে । কিন্তু ভারতীয় বিএসএফ প্রতিনিয়ত বাঙালি হত্যা করছে, মেয়েদের রেপ করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখছে । পাকিস্তানি শুয়োরের বাচ্চাদের আমরা শায়েস্তা পারলেও ভারতের কিছুই করতে পারছি না । কারণ তারা আমাদের বন্ধু (বাই দ্য ওয়ে, ওবামা কিন্তু আমার খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড) ।
>>> এই দুটির তুলনা করেই তো নিজের আসল পরিচয় দিয়ে ফেললেন। ৩০ লক্ষ বাঙালিকে জেনোসাইড করা আর লক্ষ লক্ষ বাঙালি মেয়েকে রেপ করা এবং সিমান্তে বর্ডার ক্ল্যাশ সমান কথা হল? কোন মেয়ে কে কবে রেপ করে ভারতিয়রা কাটাতার এ ঝুলিয়েছে? ফেলানি কিন্তু রেপ হয় নাই।
### ৭১ এ নাকি ভারত বন্ধু হিসেবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু আমি মনে করি বন্ধু হিসেবে নয়,১৯৪৭ থেকে চলা পাকিস্তানের সাথে শত্রুতার জের ধরে পাকিস্তানের উপর প্রতিশোধ নিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে উপলক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করেছিল ভারত। ভারত কোনোকালেই আমাদের বন্ধু মনে করেনি ।
>>> ভারত বন্ধু মনে করুক আর যাই করুক; আমাদের স্বাধিনতার জন্য আট লাখ ভারতিয় সৈন্য প্রান দিয়েছে। বাংলাদেশ এ দখলদার ফোর্স হিসেবে তারা এক সেকেন্ড ও প্রয়োজোন এর চেয়ে বেশি থাকেনি (যা তারা চাইলেই পারত কোন কনসিকোয়েন্স ছাড়া)। এগুলি মনে রাখা উচিত।
***১৯৫২ তে পাকিস্তানিরা আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়ে বাংলার বদলে উর্দুকে আমাদের ভাষা করতে চেয়েছিল । কিন্তু বাংলার দামাল ছেলেদের সংগ্রামের ফলে তারা ব্যর্থ হয়েছে । কিন্তু এক্ষেত্রে ভারত সফল । তারা কৌশলে আমাদের বাংলা থেকে হিন্দীর দিকে নিয়ে গেছে । বিশেষত আমাদের দেশেরশিশুরা আর কিশোরীরা বাংলার চেয়ে এখন হিন্দীতে বেশি পারদর্শী । সরকার যে এখনো স্কুলগুলোতে হিন্দী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেনি এটা ভাষা শহীদদের কপাল ।
>>> ভারতিয়রা কৌষলে হিন্দির দিকে নিয়ে গেছে এটা কি তাদের নিচতা না আমাদের আবালিয়তা? সিনেমার কথা বলার কিছু নাই কিন্তু আমাদের দেশ এর নাটক এর কোয়ালিটি কিন্তু ওদের চেয়ে ভাল। আমাদের মা বোন রা স্টার প্লাস কেন দেখে? এটা কি ওদের দোষ? কালকে বাংলাদেশ সরকার স্টার প্লাস আর সনি টিভি ব্যান করে দিলে দেশে রায়ট হয়ে যাবে।
***ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি । বাংলা ভাষায় মানসম্মত অনেক নাটক হলেও বাঙালি নারীরা দেখছে স্টার জলসা আর প্লাস, পুরুষেরা দেখছে হিন্দী মুভি । অন্যদিকে ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল চালানো নিষিদ্ধ ( এই হল বন্ধুত্বের নমুনা )
>>> ভারতিয়রা আমাদের মত আবাল না দেখেই তাদের দেশে বাংলাদেশি চ্যানেল চলে না। আর সেটা চালানো কিন্তু নিষিদ্ধ ও না। কোন ক্যাবল ওপারেটর ছাইলেই নিতে পারে। কিন্তু সেদেশে বাংলাদেশি চ্যানেল এর কোন ডিমান্ড নাই। অপর দিকে কালকে বাংলাদেশ সরকার স্টার প্লাস আর সনি টিভি ব্যান করে দিলে দেশে রায়ট হয়ে যাবে।
***ফাকিস্তানিরা বাংলাদেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ করলেও বিদ্রোহী বাঙালি তা মানে নি । আর এখন বাঙালি নজরুল আর লালন না শুনে "তেরে প্যায়ার মে ডুবনা হ্যায়" টাইপের গান শুনে । এক্ষেত্রে সচেতন মানুষদের বসে বসে আঙ্গুল চোষা ছাড়া কিছুই করার নেই ।
>>> যারা রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনার লোক তারা ঠিকই শুনছে। যারা সস্তা বিনোদন খুজে তারা প্যায়ার মে ডুবনা হ্যায় ই খুজবে। হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু হলিউড এর পর সবচেয়ে জনপ্রিয়।
***বাংলাদেশকে নদীর পানি থেকে বন্চিত করছে ভারত । ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করেছে ভারত । টিপাইমুখ বাঁধ দিয়ে সবুজ দেশটাকে মরুভুমি বানাতে চাচ্ছে ভারত । এগুলোর মত কোন ক্ষতিই এখন পাকিস্তানের মত আবালচোদা দেশের দ্বারা করা সম্ভব না ।
>>> টিপাইমুখ বাঁধ দিলে দেশ টা মরুভুমি হবে এই কথা টা ঠিক না। এ নিয়ে অনেক অপপ্রচার আছে। আসলে ঠিক কি হবে সেটা নিয়ে আজ পর্যন্ত কোন স্টাডি হয়নি। ভারত বাংলাদেশ জয়েন্ট স্টাডি হওয়ার কথা আছে। তার আগেই এত প্যানিক করার কিছু নেই। খালি চোখ এ টিপাইমুখ বাঁধ হলে বাংলাদেশ এর ও স্বার্থ আছে। ভরা মৌসুমে পানি সংগ্রহ করে তা খরা মৌসুমে দেয়া টাই ভারত এর সাথে আমাদের আন্ডারস্ট্যানডিং। যা বাংলাদেশ এর জন্য লাভ জনক। এই ভিডিও টি দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=NPVl9SHzc4Y
***বাংলাদেশে ২৩ বছর পাকিস্তানী শাসকেরা অর্থনৈতিকভাবে শোষণ চালিয়েছে । তার কড়া জবাব তারা পেয়েছে । কিন্তু এখন ভারত যে অর্থনৈতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে আমাদের উপর, তা আমরানীরবে মেনে নিচ্ছি । এদেশের খাদ্য, পোষাক, প্রসাধনসামগ্রী আর মোটরসাইকেলসহ অনেক বাজার এখন ভারতের দখলে । কিন্তু বাংলাদেশি পণ্যকে ভারতীয় বাজার দেওয়া হচ্ছে না । বাংলাদেশের ক্রিকেট টিম, রাস্তাঘাট, বিদ্যুত প্রকল্প সব এখন ভারতের দখলে । এভাবে কৌশলে বাংলাদেশকে শোষণ করে চলেছে ভারত ।
###এজন্য পাদা হতেও ভাদা ভয়ংকর । আসুন ভারতকে "না" বলি আর ভাদাদের গদামের উপরে রাখি ।
###পরিশিষ্ট: বুবুজানের ভারতপ্রেম আর দেশটাকে ভারতের কাছে বিক্রি করার প্রবণতা দেখে আগে থেকেই আমি শংকিত । এখন গুলাবী ম্যাডামকে একই রাস্তা ধরতে দেখে পুরাই হতাশ । তবু এত হতাশারমাঝেও বাংলাদেশের হ্যাকারদের মত কিছুমানুষ আশা জুগিয়ে যাচ্ছে, স্যালুট টু দেম । ভারতের ওয়েবসাইট হ্যাককারী সেইসব হ্যাকারদের উত্সর্গ করলাম এই সামান্য লেখাটি ।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৮
আততায়ী০০৬ বলেছেন: ঠিক কইছেন , শেয়ার করলাম
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২৩
আততায়ী০০৬ বলেছেন: ভাদা সুমিতের প্রতিঃ বন্ধু মনে করুক আর যাই করুক; আমাদের স্বাধিনতার জন্য আট লাখ ভারতিয় সৈন্য প্রান দিয়েছে।
হাস্তে হাস্তে প্রান গেল
৭১ এ নাকি আট লাখ ভারতিয় সৈন্য প্রান দিয়েছে।
তুই ভাদা না, তুই সরাসরি ভারতীয়, বাংলাদেশি ব্লগে কি করস??
'ফেলানি কিন্তু রেপ হয় নাই। ' কি সুন্দর কথা, আমাগো ধন্য করসেন
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২৭
রিয়াদ চৌধুরী বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে আমিও ভারত আর পাকিস্তান কে ঘৃনা করি। তবে আপনার উপরের কথা গুলুর সাথে একমত হতে পারলাম না। পাকিরা আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষ মেরেছে ৪ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম জঘন্য গনহত্যা। এটার সাথে অন্য কোনো কিছুর তুলনা চলে না। পাকিদের উপর এই ত্রীব্র ঘৃণার সাথে অন্য কোনো ঘৃণার তুলনা চলে না।
আর সংস্কৃতির আগ্রাসন যা বলছেন তা আমাদের দোষ। আমরা কেন এইসব ফালতু জিনিস দেখি?
আর রজনৈতিক ভাবে আমাদের প্রধান ২ দল ই তো ভারত কে তেল দিয়ে চলে।
৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪২
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন: বড় মানে একজন ভারত প্রেমিক সুমিত দা
------------------------------------------
যে বন্ধু উপকারে থেকে ক্ষতি করে বেশি তার বন্ধু না হয়ে শত্রু হওয়াই ভালো --
এখানে শত্রু মানে টুস টাস না প্রতিযোগি হওয়া উচিত -- ইন্ডিয়ান চ্যানেল বন্ধ হইলে আমাদের কিছুই যাইবো আইবো না ইন্ডিয়ার হাজার হাজার কোটি টাকার বিজনেস যাইবো -- কিন্তু সরকার এতো ব্যর্থ কেম্বায় --
চীনে নীতি আমার খুবই ভালা লাগে এখন কার এর মধ্যে
৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৫
mahee বলেছেন: age pakira mereche ekho varot. Bortomane varot sera sotru .vada o padader baas.
১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৬
শরৎমেঘ বলেছেন: @ সুমিত আমাদের স্বাধীনতার জন্য আট লাখ ভারতীয় সৈন্য প্রাণ দিয়েছে! এইটা তো প্রথম শুনলাম! মুক্তিযুদ্ধের একেবারে শেষের দিকে ভারতীয় সৈন্যরা প্রত্যক্ষভাবে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। আর মাত্র এইকয়েক দিনেই আট লাখ সৈন্য মারা গেলো! আপনি এই তথ্য পাইছেন কোথাই? আট লাখের তথ্যসূত্রটা উল্লেখ করলে খুশি হবো।
১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫১
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: আট লাখ ! আলহামদুলিল্লাহ । তাইলে তো মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে ভারতীয় সৈন্য বেশি
১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫১
mahee বলেছেন: vai ami bcs written (asurance dyjest )boite dekesi 5000
১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৬
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: রিয়াদ চৌধুরী, ৭১ এর পাকিদের বাঙালি হত্যা করা আর এখন একটি সুপ্রতিষ্ঠিত স্বাধীন রাস্ট্রের নাগরিক হত্যা করা এক কথা না । আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন । আর এর পরের কথাটা লক্ষ্য করেন । আমরা পাকিদের উপর বদলা নিতে পেরেছি । কিন্তু ভারতকে কি করেছি? তাদের তোয়াজ করেছি !
১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৯
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: যারা সংস্কৃতির আগ্রাসনকে ভারতের দোষ হিসেবে না দেখে আমাদের একার দোষ মনে করছেন তাদের কথা মানলে তো বলতে হয়, মাদকদ্রব্য উত্পাদনকারী আর বিক্রেতাদের কোন দোষ নেই ! সব দোষ সেবনকারীর !
১৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৫
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: আর টিপাইমুখ আর ফারাক্কা বাঁধ দিয়া ভারত আমাদের কত উপকার করতাছে তা দাদা আর ভাদারাই ভালো জানেন । আশা করি, সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি । এরপর কেউ যদি ভারতের দালালি করতে আসে তবে বলব, যা ভাদা ইন্ডিয়া গিয়া মর । শালা, সুশীলতার মায়েরে.....
১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৬
সু্মিত বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই আট লাখ টা my bad। আসলে আট হাজার লিখতে যেয়ে ভুলে আট লাখ লিখেছি। সেই নাম্বার নিয়েও দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু আমার পয়েন্ট সেটা না। পয়েন্ট শুধু এটুকুই যে তাদের অনেক লোক মারা গিয়েছে। এটা ভুলে যাওয়া ঠিক না।
স্বপ্নচারী পথিক ছাড়া বাকি সবাই গালাগালি ছারা কিছুই বলল না। এমন একটা ভাব যেন গালাগালি দিলেই পয়েন্ট এসটাবলিস হয়ে গেল। "তোর মায়েরে **দি" বলা পৃথিবীর সবচেয়ে সোজা কাজ। তাতে কিছুই এসটাবলিস হয় না। যারা গালি দিয়ে গেলেন তাদের বেশির ভাগ এর চেয়েই সামু তে আমি বেশি দিন আছি। আগে এত 'আমার সাথে এগ্রি না করলেই গালি' টাইপ লোক ছিল না।
স্বপ্নচারী পথিক এর কথার যৌক্তিক উত্তর দিতাম। কিন্তু তার সর্ব শেষ লাইন "এরপর কেউ যদি ভারতের দালালি করতে আসে তবে বলব, যা ভাদা ইন্ডিয়া গিয়া মর" এর অর্থ হল এটাই যে সে আর কিছউ শুনতে চায় না। তার ধারনা সে যেট মনে করে সেটাই ফাইনাল।
সো আর বলে কি লাভ। যে যা খুশি মনে করুক। আমারে ভাদা বললেও আমার কিছু না। আমার আরো অনেক কাজ আছে। বাই।
১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৬
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: আমি ব্লগে ব্যক্তি আক্রমন পছন্দ করি না । কিন্তু না বলে পারছি না । সুমিত যেভাবে বললেন বেশি সময় ধরে আছি, তাতে মনে হতে পারে সেলিব্রেটি নাকি । কিন্তু না । গত ৪ বছর ৩ মাসে ব্লগটি প্রায় ৪৭০০ বার দেখা হয়েছে আর মন্তব্য পেয়েছেন ১০০ এর মত । আর আমি বলেছি "দালালি করতে এলে" তাই হয়ত উনার গায়ে লেগেছে । কিন্তু কেউ গঠণমূলক আলোচনা করতে এলে তাকে স্বাগতম
১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০২
শয়ন কুমার বলেছেন: আমার শত্রু ইন্ডিয়াও না পাকিস্হানও না ।
আমার শত্রু ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ , আমার শত্রু তারেক চোরার বি এন পি , আমার শত্রু দূর্নীতিবাজ জাতীয় পার্টি , আমার শত্রু হানাদার বাহিনীর শীর্ষ দোষর নেতৃবৃন্দের জামাতি ইসলাম
১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:২৯
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: সুমিত সাহেব আমি আপনার সাথে পুরাই একমত। যারা গালাগালি করে তাদের কথার উত্তর দেয়ার মানে হয় না। কিন্তু আপনি যেইভাবে ভারতের পক্ষে সাফাই দিলেন তাতে শুধু মাত্র দুইটা সম্ভাবনাই থাকে,
হয় আপনার এক চোখের দৃষ্টি শক্তি সাংঘাতিক ভাবেল লোপ পেয়েছে আর না হয় আপনি সাংঘাতিক ভাবে প্রভুভক্ত
কিছুই বলার নাই। আগে শুনতাম যে, কত ধরনের খারাপ মানুষ আছে যারা নাকি নিজের স্বার্থের জন্য যেকোনো কিছুই করতে পরোয়া করে না।বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু এই সামু ব্লগে এসে যা দেখলাম তাতে দিনে দিনে মুগ্ধ হয়ে যাই।
২০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০২
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: শয়ন কুমার, একটু ভেবে দেখবেন কি আপনার ঐ শত্রুদের গডফাদার কারা ?
২১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৬
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: আমি কিন্তু গালাগালি করি নাই, যুক্তি খন্ডন করেছিলাম । আর ভাদাদের বলেছিলাম ইন্ডিয়া গিয়া মর । সুমিত যদি ভাদা না হন তাইলে তো এই কথা তার গায়ে লাগার কথা না । আর তিনি যদি ভাদা হয়ে থাকেন তাহলে তিনি তার উপযুক্ত জবাব পেয়েছেন
২২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৭
সু্মিত বলেছেন: একাকী বাংলাদেশি: আপনি শুধু এই দুটি সম্ভাবনাই দেখছেন কেন? আমার কথার টু দা পয়েন্ট বলেন যে কোন কথা টা ঠিক না?
আমি টিপাইমুখ নিয়ে যে ভিডিও টা দিলাম সেটা দেখেন। বুজবেন যে কেন টিপাই মুখ নিয়ে আমি এত প্যানিকড না।
আপনার কথার সাথে আমি একমত না হলেই যে আমাকে ভাদা সেটে দিয়ে আজাইরা কথা বলতে হবে সেটা কেমন মনভাব?
আসলে বাংলাদেশ এ ভারত বিদ্বেষীতা যদি ১০০ হয় তার মধ্যে মাত্র ১০ হয় জেনুইন কারনে। বাকি ৯০ ই হল বি এন পি এর পলিটিক্যাল মানুভারিং। প্রত্যেক পলিটিক্যাল পারটির একটা এনেমি ফিগার লাগে মানুষ কে এক কাতারে আনার জন্য। বি এন পি ভারত কে সেই এনেমি ফিগার বালিয়েছিল।
স্বপ্নচারী পথিক: আপনি বলেছেন যে আপনি যা বললেন এর পরও যদি কারও কিছু বলার থাকে তাহলেই সে ভাদা। এই বক্তব্য এটাই বুঝায় যে আপনি আপনার ডিসিসান নিয়ে বসে আছেন এবং আমি যাই বলি তা আপনার কানে যাবে না। সো আর বলে লাভ কি। আমি আসলে নিজে লেখার চেয়ে অন্যের লেখা পরি বেশি। সে জন্যই চার বছর এও আমার লেখা এত কম। আজকাল দেখি পোলাপান ফেসবুক স্ট্যাটাস স্টাঈলে ব্লগ লেখে। দুই লাইন এ।
যাই হোক আপনি কি টিপাইমুখ নিয়ে দেয়া ভিডিও টা দেখেছেন? দেখে মন্তব্য জানালে খুশি হব।
২৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: আপনার দেয়া ভিডিওটা দেখলাম । কিন্তু ঐটা ছাড়াও বাংলাদেশের অনেক বিশেষজ্ঞ টিপাইমুখ নিয়ে কথা বলেছেন । তাদের কথা আমার কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে । আপনি নিশ্চয় বলবেন না, তাদের উদ্দেশ্য প্যানিক ছড়ানো ? আর এটা ছাড়া সংস্কৃতি আর সীমান্ত হত্যা নিয়ে কি বলবেন ? ##আপনি কিন্তু আমার কথার ভুল ক্যাপসন করেছেন । আমি বলেছি 'দালালি করতে আসলে' আর আপনি সেটাকে বানিয়েছেন 'কথা বলতে আসলে' । 'দালালি করা' আর 'কথা বলা' যে এক জিনিস নয় সে সেন্স কি আপনার নেই?
২৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৫
জন রাসেল বলেছেন: অনেকদিন আগে একটা লেখা লিখেছিলাম। সেটাই এখানে পেষ্ট করে দিচ্ছি। আমার চিন্তাধারার সাথে কার কতটুকু মিলবে জানিনা। তবে আমি আমার পথে হাটতে পছন্দ করি, যা দেখি সেটাই বিশ্বাস করি। ৭১, মুজিব, জিয়া, ভারত, পাকিস্তান, লীগ, শিবির এগুলো শুনে আবেগী হয়ে আমি অমুকের পক্ষে কথা বলব আর তমুকের বিরোধীতা করব এগুলো আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
কাটাতারে যাদের মৃত্যু লেখা থাকে ওদের নাম ফেলানী
জন রাসেল
মৃত্যুঃ
মৃত্যু চিরন্তন, সে আসবেই। অমরত্ব বলে কিছু নেই, যা আছে তা মনের সৃষ্টি, এসব অমরত্বের কোন বস্তুগত অস্তিত্ব নেই। এই অর্থে মৃত্যু খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু, বেচে থাকার পরও যখন আমরা মারা যাই বারবার, তখন মৃত্যুর সংগাটা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে যায়।
বিবেকঃ
একটি মৃতদেহ ঝুলে থাকে কাটাতারে, দেহটি আমার নয়, তবে দেহটি কোন একজন মানুষের, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু আজ সেই দৃশ্য আমাকে নাড়া দেয় না। দেহটি কার সেটা আমার জানতে ইচ্ছে করেনা। অর্থাৎ আমার বিবেক আজ অনুভূতিহীন। তার মানে তো এই-ই দাঁড়ায় বেচে থেকেও আমি মৃত।
এই সচল অথচ মৃত “আমি”র মধ্যে বসবাস করছে আজ প্রায় পনের কোটি মানুষ। একটি ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে এরা অনুভব করতে পারেনি যে, এই দেহটি তার বোনেরও হতে পারত। পানির জন্য কাতরাতে কাতরাতে কাটাতারে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমার বোন যদি মারা যায় এতে আমারো দায়বদ্ধতা থেকে যায়, এ দায়বদ্ধতা আমি এড়াতে পারবোনা কোনদিন - এ অনুভুতি আজ জেগে ওঠেনি তাদের মধ্যে। এখনও “শিলার জওয়ানী আর মুন্নির বদনাম”- ই আমাদের আলোচনায় মুখ্য হয়ে উঠেছে। কে সেরা? শাহরুক? আমির? নাকি সালমান? এগুলো নিয়েই আমাদের চিন্তা এগিয়ে চলছে। একজন ফেলানীর মত তুচ্ছ মানুষের কুকুরের মত মৃত্যু নিয়ে ভাবার সময়ই বা কোথায়? কিন্তু এই ঘুণে ধরা বৃদ্ধ বিবেক নিয়ে আমরা কতটুকু পথ পাড়ি দিতে পারব?
ভারতঃ
এই দেশটি ১৯৭১ এ আমাদের সাহায্য করেছিল নিস্বার্থভাবে – এটাই প্রচলিত প্রবাদ বাক্য। তো এদের এমন কি দরকার পড়ে গিয়েছিল আমাদের সাহায্য করার যদি কোন স্বার্থই না থাকে? হ্যা আমি খুব জ্ঞানী না, তবে আমাকে এতটা বোকা ভাবারও কোন কারণ নেই যে, আমি বিশ্বাস করব যে কোন উদ্দেশ্য ছাড়াই ভারতের মত একটা দেশ আরেকটা দেশকে সাহায্য করতে আসবে। প্রথম দিকে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের ছায়ায় এদের উদ্দেশ্যটা গোপন থাকলেও এখন তো এটা ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। আর এরা যদি এতই ভালো হতো তাহলে, এখন কেন আমাদের সাহায্য করছেনা? এখন কেন আমাদের সাহায্যের পরিবর্তে ন্যায্য অধিকার থেকেও বঞ্চিত করছে? নাকি এদের সিস্টেমই এটা? এরা কোন দেশকে সাহায্য করে এই শর্তে যে, যুদ্ধে বিজয়ের পর দেশটা তাদেরকে লীজ দেয়া হবে - এমন কিছু? এগুলো আমি জানি না, জানতে চাইও না। এগুলো নিয়ে অ্যানালাইসিস করার জন্য অনেক জ্ঞানীগুনীরা আছেন, আমি জ্ঞানবিচারে তাদের চেয়ে যোজন যোজন মাইল পিছিয়ে আছি। আমি শুধু চাই আমার অধিকার, আমার সার্বোভৌমত্ব, আমার স্বাধীনতা, আমার বোনের জীবনের নিশ্চয়তা, তার সম্ভ্রমের নিরাপত্তা। এগুলোর ব্যাপারে আমি ভারত কেন, পৃথিবীর কোন শক্তিকেই ছাড় দিতে পারবো না। আমার সরকার কেও না। আমি রাজনীতি বুঝি না, বি এন পি-আওয়ামী লীগ দ্বন্দে আমি রাজপথে নামি না, ডক্টর ইউনুস নোবেল পেলে তাকে অভিনন্দন জানাতেও যাই না, তবে আমার বোনের জন্য কিন্তু আমি ঠিকই নামবো রাজপথে। শুধু আমি বললে ভুল হবে, এই “আমি”র মধ্যে থাকবে ১৫ কোটি জনগন। সমুদ্র গভীর জনতা যখন রাজপথে নামে তখন কিন্তু আকাশে বাতাসে সেই ধ্বনি বাজতে থাকে, সেই শক্তিকে প্রতিহত করার ক্ষমতা কোন আওয়ামী লীগ-বি এন পির নেই, এটা যেন তারা ভুলে না যায়। ভারতের গোলামী সরকার করতে পারে, কিন্তু একটি স্বাধীন দেশের জনগন কোনদিন গোলামী করার শিক্ষা নিয়ে বড় হয় না। সে জয়ের গৌরব গায়ে মেখেই বড় হয়, পরাজয়ের গ্লানি কিভাবে বইতে হয় সেটা সে জানেনা। আজ হোক, কাল হোক সে ঘুরে দাঁড়াবে এসবের বিরুদ্ধে। তখন সরকারের মধ্য দিয়েই যাবে প্রথম ধাক্কাটা। এতক্ষন যা বললাম, এর প্রতিফলন আগামী নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেলেও অবাক হব না।
বাংলাদেশ সরকারঃ
একটি দেশে সরকার কেন প্রয়োজন? নিশ্চয় দেশ পরিচালনার জন্য। তবে দেশ পরিচালনা মানে তো এই নয় যে দেশটা সরকারের নিজের ফ্যামিলি বিজনেসে পরিণত হবে, যখন ইচ্ছে বিজনেস বিক্রি করে দিলাম, যখন ইচ্ছে আবার কিনলাম। কিন্তু এখন তো তাই মনে হচ্ছে। দেশ যেহেতু ভারত লীজ নিয়ে নিয়েছে তাই তাদের অধিকার আছে এই দেশের মানুষের উপর যে কোন কিছু করার। আমাদের সরকারের বক্তব্য ব্যাখ্যা করলে এমনটাই দাঁড়ায়। সরকারের কথা হচ্ছে “ভারত তো ১৯৭১ সালে আমাদেরকে সাহায্য করেছে, এখন প্রতিদিন দুই একজন করে ফেলানী মারলে আমাদের এত আপত্তি কিসের? এসব ফেলানীদের তো জন্মই হত না ভারত যদি সাহায্য না করতো ১৯৭১ তে।”
আওয়ামী লীগ দলটা ভারতের কাছ থেকে নানা রকম সাপোর্ট পায় এটা সবাই জানে। সেই সাপোর্টের প্রতিদান তারা দিলেও তাদের দোষ দেয়া যাবেনা। কিন্তু একটা দেশ কি কখনো প্রতিদান হতে পারে? একটা দেশের মানুষের জীবন কি কখনও প্রতিদান হতে পারে? যদি উত্তর হয় “না”, তাহলে ফেলানীর মৃত্যুতে কেন সরকার নিশ্চুপ? সাধারণ জনগন যেখানে চোখের পানি ফেলে সেখানে কিভাবে একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবলীলায় বলে বসে “বর্ডার কিলিং আমাদের চিন্তার বিষয় না”? এ কেমন উত্তর? তাহলে আপনার চিন্তার বিষয় কোনটি? বলিউডের হিরো নির্বাচন? আমরা গোলামী করতে চাই না বলেই তো স্বাধীন হয়েছি যুদ্ধ করে। একটি স্বাধীন দেশের বিজয়ী নেতার কন্ঠে আজ এ কি মন্তব্য? ১৯৭১ কি আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছিল? মাথা নিচু করে চলতেই শিখিয়েছিল? একাত্তরের চেতনা কি বিক্রি করে দিয়েছি তবে? নাকি কেড়ে নিয়ে গেছে অন্য কেউ? দেশের স্বার্থে কিসের আপোষ? আমার অধিকার আদায়ের সময়ে আমার কণ্ঠে উচ্চারিত হবে, বজ্রের মত বলিষ্ঠ ভঙ্গিমা। আমি কেন তোষামোদ করতে যাব? তাহলে কেন আমরা যুদ্ধ করলাম যদি গোলামীই করব? নাকি এক গোলামী ছেড়ে আরেক গোলামী মেনে নেয়ার প্রতিজ্ঞা ছিল আমাদের মনে?
আমার উপলব্দিঃ
মাঝে মাঝে রাগ হয়, আমার কেন এত মাথা ব্যথ্যা? আমি কে? সরকার যেখানে বলে এগুলো স্বাভাবিক ব্যাপার সেখানে আমার কাছে কেন ব্যাপারগুলো অস্বাভাবিক মনে হয়? পরক্ষনেই মনে হয়, দেশটা তো আমার, বোনটাও আমার, কাটাতারে ঝুলে থাকা দেহটা আমার দেশের মানচিত্রকেই রক্তে ভিজিয়ে দেয়, সেই সাথে আমার দিকে তাকিয়ে হাসে তাচ্ছিল্যের হাসি। তাই আমি চুপ থাকতে পারিনা, আমার হাতে কলম উঠে আসে, রক্তে কাপন ধরে, আমার বোনের কাতর চিৎকার আমার ঘুম কেড়ে নেয়।
আমাদের ভাবনা ও বাস্তবতাঃ
থাক এসব নিয়ে আর ভেবে এখন কি হবে? যা হবার হয়ে গেছে। যত আলোচনা কম হবে তত তাড়াতাড়ি বিষয়টা চাপা পড়বে। আসুন টিভি ছেড়ে গবেষনা করি, বলিউডের সেরা অ্যাক্টর কে হতে যাচ্ছে? আপনি কাকে ভোট দিচ্ছেন? আর হ্যা, ফেলানী শ্রেনীর মানুষের নিয়ে আলাদা করে ভাবার মত কিছু নেই। এদের জন্ম-মৃত্যু খুবই সাধারণ ব্যাপার। এরা কাটাতারে ঝুলেই মরবে কারন, “কাটাতারে যাদের মৃত্যু লেখা থাকে ওদের নামই ফেলানী।”
এই লেখায় পাকিস্তান নিয়ে কিছু নেই কারণ এটা মূলত ফেলানীকে নিয়ে লিখেছিলাম। পাকিস্তান নিয়ে আমার অ্যানালাইসিসটা আরেকদিন লিখব। লিখে এখানে দিয়ে যাব।
২৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৮
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: মর্মস্পর্শীঃ মর্মকে স্পর্শ করে যা । পড়ার সময় মনে হচ্ছিল ঠিক যেন আমার মনের কথাই বেজে চলেছে । আমি ঠিক এ বিষয়টাই বুঝাতে চেয়েছিলাম । কিন্তু এত সুন্দর করে বলতে পারি নি । জন রাসেলকে ধন্যবাদ, আমার মনের অব্যক্ত কথাগুলো এত সুন্দরভাবে বলে যাওয়ার জন্য
২৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৪
এন এফ এস বলেছেন: সুমিতের হিসাবে তো আমি সেলিব্রেটি ৩ সপ্তাহে আমার ব্লগ তিন হাজারের বেশি দেখা আর চারশত এর বেশি মন্তব্য পাইছে।
হুররে আমি সেলিব্রেটি ব্লগার তাই সুমতিকে বলছি ভারতের জনসংখ্যা এক হাজার ! ওহ হো আসলে আমি একশকোটি বলতে চাইছিলাম!
সুমিত ভাই একটা কথা ভারতের মত বন্ধু থাকতে শত্রুর দরকার নাই
২৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৫
এন এফ এস বলেছেন: সুমিতের হিসাবে তো আমি সেলিব্রেটি ৩ সপ্তাহে আমার ব্লগ তিন হাজারের বেশি দেখা আর চারশত এর বেশি মন্তব্য পাইছে।
হুররে আমি সেলিব্রেটি ব্লগার তাই সুমতিকে বলছি ভারতের জনসংখ্যা এক হাজার ! ওহ হো আসলে আমি একশকোটি বলতে চাইছিলাম!
সুমিত ভাই একটা কথা ভারতের মত বন্ধু থাকতে শত্রুর দরকার নাই
২৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১১
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: ব্লগার সুমিত এর ব্লগ ঘুরে বুঝলাম তার মাঝে দেশপ্রেম এক্কেবারে ঠেসে ঠেসে ভরা ! তবে ঐ দেশটার নাম বাংলাদেশ না, দেশটার নাম..............
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১২
রিফাত হোসেন বলেছেন: সবাই শত্রু সবাই বন্ধু.. আপাতত এ মর্ম বুঝবেন মনে করি ।