নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে ও শান্তির অন্বেষায় ...

জোবাইর

বিনয়ী মূর্খ অহংকারী বিদ্বান অপেক্ষা মহত্তর।

জোবাইর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ: ফিরে দেখা ১ আগস্ট

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫


সহজলভ্য রেফারেন্সের অভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক ঘটনা বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করেন। এতে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে অসংখ্য বিতর্কের। তাই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনার সূত্র সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।'ফিরে দেখা বাংলাদেশ'। সংবাদপত্র হচ্ছে চলমান ইতিহাসের ধারক। প্রায় সব তথ্য যাচাই-বাচাই করে দেশের প্রধান সংবাদপত্রসমূহ থেকে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১ আগস্ট ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক ঘটনাবলি:

১৯৭১
====
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে জর্জ হ্যারিসন, রবিশঙ্কর ও আলী আকবর খাঁ-এর "দ্যা কনসার্ট ফর বাংলাদেশ" অনুষ্ঠিত।

১৯৭০ সালের ১৩ই নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ-এর) ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের (ভোলা ঘূর্ণিঝড়) কারণে অধিকাংশ বাঙালিই ছিল অসহায়। এর মাত্র কয়েক মাস পরেই শুরু হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনী এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে চালাচ্ছিল গণহত্যা। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো পাকবাহিনীর এই গণহত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞের ব্যাপারে সচেতন ছিল না। এই যুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত নির্বিচার গণহত্যার ফলে প্রায় এক কোটি শরণার্থী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়। এই বিপুল সংখক শরণার্থীদের ভরণপোষণ করতে গিয়ে ত্রাণসামগ্রীর অভাব দেখা দেয়। পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত বাঙালি সেতারবাদক পন্ডিত রবি শংকর তাঁর বন্ধু হ্যারিসনকে বাংলাদেশের মানুষের এইসব সমস্যার ভিত্তিতে আমেরিকাতে একটি দাতব্য সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলেন। হ্যারিসন প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং তাঁর দলের সদস্য বন্ধুদের ম্যডিসন স্কোয়ার গার্ডেনের অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
ভারতীয় সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্কর এবং সাবেক বিটল্স সংগীতদলের লিড গিটারবাদক জর্জ হ্যারিসন ১ আগস্ট রবিবার ২টা ৩০ এবং ৮টায় প্রায় ৪০,০০০ দর্শকের উপস্থিতিতে এই কনসার্টে অংশ নেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলকে অবহিত করা, বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সচেতনতা এবং তাদের জন্য ত্রাণ তহবিল গড়তে মূলত এই কনসার্ট। বিটল্‌স ভেঙে যাওয়ার পর এই অনুষ্ঠানই ছিলো হ্যারিসনের সরাসরি অংশগ্রহণ করা প্রথম অনুষ্ঠান। কনসার্ট হতে প্রায় ২৪৩,৪১৮.৫০ ইউএস ডলার সংগৃহীত হয় যার পুরোটাই ইউনিসেফের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের জন্য দিয়ে দেয়া হয়। সিডি ও ডিভিডি হতে প্রাপ্ত অর্থও ইউনিসেফের ফান্ডে জমা করা হয়। সেই সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে আমেরিকার নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে আয়োজন ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে বিশ্বের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ প্রথম জানতে পারলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ তথা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গণহত্যার কথা।

১৯৭৩
====
ঢাকা জেলার ঘিওর থানার জাবড়া ফাঁড়ি লুট।

১৯৭৮
====
ঢাকা পৌরসভার মুক্তাঙ্গন উদ্বোধন।

১৯৮০
====
বেসরকারীখাতে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত।

১৯৮১
====
ভোলায় লঞ্চ ডুবিতে শতাধিক যাত্রী নিখোঁজ

১৯৮৪
====
সামরিক শাসক হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদের সংক্ষিপ্ত সামরিক আদালত বিলুপ্ত।

১৯৮৯
====
বাংলাদেশ-পাকিস্তান অর্থনৈতিক সহযোগিতা স্মারকচুক্তি স্বাক্ষরিত।

১৯৯১
====
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের ব্যাপারে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সাংসদের সমঝোতা আহ্বান।
[বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনি ব্যবস্থা থেকে অনাক্রম্যতা বা শাস্তি এড়াবার ব্যবস্থা প্রদানের জন্য বাংলাদেশে “ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ” আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এ ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। ]
বহিঃসংযোগইনডেমনিটি অধ্যাদেশ

১৯৯২
====
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংহতি সমিতির এক তরফাভাবে ১০ আগস্ট হতে তিন মাসের জন্য অস্ত্রবিরতি ঘোষণা।
[পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জে.এস.এস) হলো স্বায়ত্তশাসন ও জাতিগত পরিচয়ের স্বীকৃতি এবং পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতির অধিকারের জন্য ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। ১৯৭৫ সালে দলটির সামরিক শাখা শান্তি বাহিনীর যাত্রা শুরু হয় যারা সাধারনত সরকারি বাহিনী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর হামলা করতো।]
বহিঃসংযোগপার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি

১৯৯৪
====
মন্ত্রিপরিষদে উপগ্রহের মাধ্যমে বিটিভি'র অনুষ্ঠানমালা সন্মপ্রচারের প্রস্তাব অনুমোদন।

১৯৯৫
====
সিলেট বিভাগের কার্যক্রম শুরু।

১৯৯৯
====
পাঁচ বছর নিয়মিত লাভ করার পর ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছর থেকে বিমানের অস্বাভাবিক লোকসান
- - - - - - - - - - -
সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে গ্রেফতার ৫, বরখাস্ত ১৭ জন।

২০০০
====
ঝালকাঠি-২ আসন উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু নির্বাচিত।

২০০১
====
ঢাকায় চরমোনাইয়ের পীরের সঙ্গে এরশাদের গণমিছিল।

২০০৪
====
গাজীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে জোটপ্রার্থী আবদুল মান্নানের চেয়ে প্রায় ৪৮ হাজার ভোট বেশি পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহিদ আহসান বিজয়ী।

২০০৭
====
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আয় বৈধকরণ প্রক্রিয়াকে আমলে না নিয়ে আয়কর ফাইল তলব। এনবিআর বলছে, যথাযথ নিয়ম মেনে আয়কর প্রদান না করায় তা আমলে নেয়া হচ্ছে না।
[প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৩১ জুলাই প্রায় ৩৩ লাখ টাকা কর দিয়ে এক কোটি ২৫ লাখ টাকার অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করেছেন। অপ্রদর্শিত সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১টি নিশান পেট্রোল গাড়ি, ২টি টয়োটা জিপ, ৯টি এফডিআর, ৫টি সঞ্চয়পত্র এবং এসিসহ বাড়ির আসবাবপত্র। এসব সম্পদের বিপরীতে পে অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়করের অর্থ প্রদান করেছেন। এতদিন তিনি বাৎসরিক রিটার্নে এসব সম্পদের বিবরণী উল্লেখ করেননি।]
- - - - - - - - - - - - - - - -
খালেদা জিয়ার অভিযোগ : মান্নান ভুঁইয়া একজন বামপন্থী নাস্তিক যিনি পার্টিকে ভেঙ্গে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছেন।

২০১১
====
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার : জামায়াতের চার নেতার বিরুদ্ধে ১ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষের নির্দেশ
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক শীর্ষস্থানীয় চার জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে তদন্তকাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এ চার নেতা হলেন—দলের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় এ চার নেতার হাজিরার দিন ধার্য ছিল। আজ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মো. কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তবে মতিউর রহমান নিজামীকে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়।
- - - - - - - - - - - - - - - -
ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম হত্যার সাজাপ্রাপ্ত খুনি এইচ এম বিপ্লবের ফাঁসির দণ্ড মওকুফের প্রতিবাদে সমাবেশ আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি। ওই সমাবেশে যোগদান শেষে ফেরার সময় মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এতে তিন সাংবাদিকসহ অন্তত আটজন আহত হন। সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি বলেছে, লক্ষ্মীপুরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী গডফাদার আবু তাহেরের ছেলে টিপু ও শিপলুর নেতৃত্বে আওয়ামী সন্ত্রাসীরাই এই হামলা চালিয়েছে।
- - - - - - - - - - - - - - - -
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-সংক্রান্ত হত্যা মামলায়
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক ১২ জন আসামিকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য আদালতের নির্দেশ।
- - - - - - - - - - - - - - - -
'শোক দিবসের অনুষ্ঠান করতে হলে নিজেদের টাকা দিয়ে করবেন। চাঁদাবাজি করে নয়। এই শোকের মাসে চাঁদা তুলে বঙ্গবন্ধুর সম্মান নষ্ট করবেন না। এতে তাঁর আত্মা কষ্ট পাবে।' —ছাত্রলীগের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের

২০১৩
====
সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির রায়: জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায় ঘোষণার আধা ঘণ্টার মধ্যেই জামায়াত এর বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছে। এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পাঁচটি মামলায় জামায়াতকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দেন। তবে কোন বিচারপতি ভিন্ন মত দিয়েছেন, তা বলা হয়নি।
রায়ে আদালত বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে রুল অ্যাবসলিউট (রুল মঞ্জুর) করা হলো। নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে যে নিবন্ধন দিয়েছে, তা অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত। এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।

[প্রসঙ্গত: পাঁচ বছরেও গঠনতন্ত্র সংশোধন করেনি জামায়াতে ইসলামী
২০০৮ সালে ছায়া গঠনতন্ত্র জমা দিয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেয়েছিল। কথা ছিল সংসদ নির্বাচনের পর দলগুলো জাতীয় সম্মেলনে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন করিয়ে কমিশনে জমা দেবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বেশির ভাগ দলের গঠনতন্ত্র ইসির অনুমোদন পায়। কিন্তু ইসিতে জমা দিলেও জামায়াতসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দলের গঠনতন্ত্র অনুমোদন পায়নি। পরে জামায়াত ছাড়া অন্য দলগুলোর সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন পায়। এ বিষয়ে ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইসি জামায়াতকে গঠনতন্ত্র সংশোধনের তাগিদ দিয়ে বেশ কয়েকবার চিঠিও দেয়। প্রতিবারই তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ইসিতে জমা দিয়েছে। কিন্তু জমা দেওয়ার পর প্রতিবারই জামায়াত সংবিধান ও আরপিও পরিপন্থী ধারাগুলো বহাল রেখেই গঠনতন্ত্র পুনর্মুদ্রণ করে।
আরপিও ৯০-সি ধারায় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্তে বলা হয়েছে, দলীয় গঠনতন্ত্রের উদ্দেশ্য সংবিধানপরিপন্থী হতে পারবে না। গঠনতন্ত্রে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ভাষা ও লিঙ্গভেদে কোনো বৈষম্য থাকতে পারবে না।
সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর ইসি জামায়াতে ইসলামীকে গঠনতন্ত্র সংশোধনের তাগিদ দিয়ে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, গঠনতন্ত্রের ভূমিকা থেকে ‘মৌলিক বিশ্বাস ও চেতনার ভিত্তিতে ইসলামী সমাজ গঠনের মহান উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই গঠনতন্ত্র প্রণীত ও প্রবর্তিত হইল’ শব্দগুচ্ছ বাদ দিতে হবে। ২(৫) ধারাকেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমের পরিপন্থী বলে ইসি মত দেয়। এ ছাড়া দলের ২০২০ সালের মধ্যে বিভিন্ন স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বলেছে ইসি।
গত ৪ ডিসেম্বর জামায়াত আরেক দফা গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে ইসিতে জমা দেয়। দলটি তখন অতীতের অসংশোধিত গঠনতন্ত্রকে মুদ্রণজনিত ভুল বলে উল্লেখ করে। তত দিনে জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা নিয়ে আদালতে মামলা হলে ইসি গঠনতন্ত্র পর্যালোচনার কাজ স্থগিত রাখে।]
- - - - - - - - - - - - - - - -
ত্বকী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ইউসুফ হোসেন ওরফে লিটন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি: নারায়ণগঞ্জে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে জাতীয় পার্টির (জাপা) স্থানীয় একজন নেতার বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন চালানোর পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

২০১৪
====
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ বরযাত্রী নিহত, আহত ৭০
উল্লেখ্য, ট্রেন এলে রেলক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধের জন্য সচল রয়েছে 'ব্যারিয়ার'। সেটি নামানোর জন্য নিযুক্ত রয়েছেন দু'জন গেটম্যান। এরপরও সে রাতে 'ব্যারিয়ার'টি নামানোর জন্য পাওয়া যায়নি কাউকে। এই কাজটি না করার জন্যই ঘটল ১১ জনের প্রাণহানিসহ ৭০ নারী-পুরুষ আহত হওয়ার মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

২০১৫
====
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল

ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণে নতুন মানচিত্র পেল বাংলাদেশ। ছিটমহল বিনিময়ে ঐতিহাসিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করল বিশ্ব। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত সীমানা চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ৬৮ বছরের বঞ্চনার ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটল। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দারা এখন বাংলাদেশের নাগরিক। তারা সমস্বরে গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। উড়ল বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। ছিটমহলের ঘরে ঘরে জ্বলে উঠল ৬৮টি মোমের বাতি। রাজনীতির পাশা খেলায় যবনিকাপাত ঘটল। জয় হল মানুষের। মুছে গেল রাষ্ট্রহীনতার কষ্ট। রাষ্ট্রহীন মানুষগুলো এখন পাবে আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন সনদ।


ইতিহাসের ভাষ্য: কুচবিহার রাজ্যের কোচ রাজার জমিদারির কিছু অংশ রাজ্যের বাইরের বিভিন্ন থানা পঞ্চগড়, ডিমলা, দেবীগঞ্জ, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, লালমনিরহাট, ফুলবাড়ী ও ভুরুঙ্গামারিতে অবস্থিত ছিল। ভারত ভাগের পর ওই আট থানা পূর্ব পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত হয়। আর কুচবিহার একীভূত হয় পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে। ফলে ভারতের কিছু ভূখণ্ড আসে বাংলাদেশের কাছে। আর বাংলাদেশের কিছু ভূখণ্ড যায় ভারতে। এই ভূমিগুলোই হচ্ছে ছিটমহল।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে বাংলা ও পাঞ্জাবের সীমারেখা টানার পরিকল্পনা করেন লর্ড মাউন্টবেটন। তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্রিটিশ আইনজীবী সিরিল রেডক্লিফকে প্রধান করে সে বছরই গঠন করা হয় সীমানা নির্ধারণের কমিশন। ১৯৪৭ সালের ৮ জুলাই লন্ডন থেকে ভারতে আসেন রেডক্লিফ। মাত্র ছয় সপ্তাহের মাথায় ১৩ আগস্ট তিনি সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। এর তিন দিন পর ১৬ আগস্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় সীমানার মানচিত্র।
কোনো রকম সুবিবেচনা ছাড়াই হুট করে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি যথাযথভাবে হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, কমিশন সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তা আর জমিদার, নবাব, স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও চা-বাগানের মালিকেরা নিজেদের স্বার্থে দেশভাগের সীমারেখা নির্ধারণে প্রভাব ফেলেছে। আর উত্তারিকার সূত্রেই উপমহাদেশের বিভক্তির পর এই সমস্যা বয়ে বেড়াচ্ছে দুই দেশ।
১৯৫৮ সালের নেহেরু-নুন চক্তি অনুযায়ী বেরুবাড়ীর উত্তর দিকের অর্ধেক অংশ ভারত এবং দক্ষিণ দিকের অর্ধেক অংশ ও এর সংলগ্ন এলাকা পাবে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী বেরুবাড়ীর সীমানা নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ভারতের অসহযোগিতায় তা মুখ থুবড়ে পড়ে। ফলে বেরুবাড়ীর দক্ষিণ দিকের অর্ধেক অংশ ও এর ছিটমহলের সুরাহা হয়নি।
এরপর সাতচল্লিশের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির পর দুই দেশ ছিটমহলের আলাদা আলাদাভাবে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে। কিন্তু দুই পক্ষের তালিকায় দেখা দেয় গরমিল। পরে ১৯৯৭ সালের ৯ এপ্রিল চূড়ান্ত হয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ও ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল রয়েছে।
এখানে বলে রাখা ভালো, ১৯৫৮ সালে সই হওয়া নেহেরু-নুন চুক্তিতে ছিটমহল বিনিময়ের উল্লেখ থাকলেও এ ব্যাপারে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সে দেশের সংবিধানের ১৪৩ ধারা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চান। তখন আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংবিধানের সংশোধনীর মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে হবে। পরে ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে সংবিধান সংশোধনী আর জনগণনার অজুহাতে বিলম্বিত হয়েছে ছিটমহল বিনিময়।
অবস্থান: বাংলাদেশে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের আয়তন ১৭ হাজার ১৫৮ একর। ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন সাত হাজার ১১০ একর।
ভারতীয় ছিটমহলগুলোর বেশির ভাগই রয়েছে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এসব ছিটমহলের ৫৯টি লালমনিরহাটে, পঞ্চগড়ে ৩৬টি, কুড়িগ্রামে ১২টি ও নীলফামারিতে চারটি।
ছিটমহল মানে ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের আর বাংলাদেশের ভেতের ভারতীয় ভূখণ্ড। আবার এমনও আছে, বাংলাদেশের ভেতরে ভারত, তার ভেতরে আবার বাংলাদেশ। যেমন কুড়িগ্রামে ভারতের ছিটমহল দাশিয়ারছড়া। দাশিয়ারছড়ার ভেতরেই আছে চন্দ্রখানা নামের বাংলাদেশের একটি ছিটমহল।
বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অবস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। ৪৭টি কুচবিহার এবং চারটি জলপাইগুড়ি জেলায়।
মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি: সীমান্তের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের ১৬ মে দিল্লিতে স্থল সীমানা চিহ্নিতকরণ-সংক্রান্ত এক চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ভূমি হস্তান্তরের বিষয়ে চুক্তির তৃতীয় ধারায় বলা হয়েছে, ভূমি বিনিময়ের সময় লোকজন কোথায় থাকতে চান, সে ব্যাপারে তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। ভূমি বিনিময় হলে বাড়তি ১০ হাজার একর জমি বাংলাদেশের পাওয়ার কথা।
ভারতের অবস্থান পরিবর্তন: দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ২০০০ সালের ডিসেম্বরে যৌথ সীমান্ত কার্যদল (জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপ-জেবিডব্লিউজি) গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর এ পর্যন্ত চারটি বৈঠক করে ওই কমিটি। ২০১০ সালের নভেম্বরে দুই পক্ষ দিল্লিতে বৈঠক করে ১৯৭৪ সালের চুক্তির আলোকে বিষয়গুলো সুরাহার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তুতিপর্ব শেষ করে অবশেষে সম্পন্ন হলো ছিটমহল বিনিময়।
বহিঃসংযোগনতুন মানচিত্রে বাংলাদেশ

২০১৬
=====
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া'য় বৃহত্তম মানববন্ধন

জন্মভূমিকে ভয়ঙ্কর জঙ্গি আগ্রাসন থেকে রক্ষা করে দেশের উন্নয়নের পথ সচল রাখতে সারাদেশের লাখ লাখ মানুষ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন শত-সহস্র মানববন্ধনে। আক্ষরিক অর্থেই 'টেকনাফ থেকে তেটুলিয়া'য় মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে কলেজ, মাদ্রাসা এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী। গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলার এক মাস পূর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আহ্বানে সারাদেশে একযোগে মানববন্ধনের এ কর্মসূচি পালিত হয়।

২০১৭
=====
সংসদের ক্ষমতা বাতিল - বিচারপতি অপসারিত হবেন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে
জাতীয় সংসদে পাসকৃত বিচারপতি অপ-সারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণার রায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছে, বর্তমান ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ ও প্রশাসনের নিয়ন্ত্রন সংসদ সদস্যদের একটি দলের (গ্রুপ) হাতে। এ ব্যবস্থায় দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার স্বাধীনতা নেই কোনো সংসদ সদস্যের। এমনকি তার দল যদি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত বা নিদের্শনা দেয় তাহলেও তার বিরুদ্ধে ভোট বা মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই। তারা দলের নীতি নির্ধারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। ৭০ অনুচ্ছেদ বলবত থাকাবস্থায় বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলে একজন বিচারককে দলীয় নীতিনির্ধারকের করুনা অনুযায়ী চলতে হবে। রায়ে বলা হয়, সংসদ কর্তৃক বিচারক অপসারণের বিধানের বিরূপ প্রভাব নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহই নেই। এটা প্রধান বিচারপতির দৈনন্দিন কাজেও বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। ৭৯৯ পৃষ্ঠার রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেছে আপিল বিভাগ।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘আপনারা প্রধান বিচারপতি ও কোর্টের স্বাধীনতা খর্ব করতে করতে এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন, যে আমরা কি মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো কথা বলতে পারবোনা? আমরা কি কোর্টে বসে মন্তব্য করতে পারব না?

২০১৮
=====
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা অচল

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চতুর্থ দিনে অচল হয়ে পড়ে পুরো রাজধানী। বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাহত হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে চলমান এই আন্দোলনে রাজধানীতে চলাচলকারী বেশিরভাগ পরিবহনের বাস নামেনি।
তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, বাস আটকের পর বহিরাগতরা আকষ্মিকভাবে বাস ভাংচুর করে। কাওরানবাজারে এরকম বাস ভাংচুর করার অভিযোগ এক বহিরাগতকে শিক্ষার্থীরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ভাংচুর শেষে বিকালের দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় পড়ে থাকা কাঁচ ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করে দেয়। দিনব্যাপী চলতে থাকা এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বাসচালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করে। চালকরা তাদের লাইসেন্স দেখাতে না পারলে, শিক্ষার্থীরা গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে সেখানেই বাসটি আটকে রাখে। বিভিন্ন স্থানে লাইসেন্সবিহীন চালকের পুলিশের গাড়ি চালনার বিষয়টি ধরা পড়ে। অনেক সার্জেন্টের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় শিক্ষার্থীরা মোটরবাইক আটকে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে কথা শুনিয়ে দেন।
- - - - - - - - - - - - - - -
আগামীকাল (২ আগস্ট) দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে টানা চার দিন ধরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে আজ নির্দেশ দেওয়া হয়।
- - - - - - - - - - - - -
কষ্ট একটাই, জিয়ার বিচারটা করতে পারলাম না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিলেন বলেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন। জিয়াউর রহমানের যে পরিণতি হয়েছিল, তা ছিল অবধারিত। কিন্তু তার (শেখ হাসিনা) দুঃখ একটাই, জিয়ার বিচারটা তিনি করতে পারলেন না। তার আগেই তিনি (জিয়াউর রহমান) মারা গেলেন।
রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সূচীপত্র:→ বাংলাদেশ: ফিরে দেখা

________________
তথ্য ও ছবিসূত্র:
দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক সমকাল, দৈনিক যুগান্তর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ মাধ্যম।
বাংলাদেশের তারিখ : বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
বাংলাদেশের ইতিহাস সংক্রান্ত বিভিন্ন বই-পুস্তক ও পত্রপত্রিকা।
ইন্টারনেট, উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

রানা আমান বলেছেন: ফিরে দেখা ভালোই , তবে তাকাতে হবে সামনের দিকেই ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩১

জোবাইর বলেছেন: সামনের দিকে যেতে হলে মাঝে মাঝে পেছনের দিকেও ফিরে দেখতে হয়, কারণ পেছনের অভিজ্ঞতা সামনের দিকে চলার পথকে সহজ করে।
ধন্যবাদ।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

রাকু হাসান বলেছেন: অপেক্ষায় ছিলাম আপনার পোস্টের ,বেশ কিছূ জানার সুযোগ হলো । আগের ঘটনা গুলোর ছোট বর্ণনা মনে করিয়ে দিল ইতিহাস , পর্ব চলুক :-B ,বিশেষ করে ত্বকীর কথা টা ভুলে গেছিলাম ,আজ যে সেদিন |-)

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

জোবাইর বলেছেন: আপনার পজিটিভ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমরা আসলে সবকিছু তাড়াতাড়ি ভুলে যাই! আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা এই সুযোগটাই নেয়। গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ যোগ করে দিলাম যাতে নতুন প্রজন্ম পুরো ঘটনাটি জানতে পারে, বুঝতে পারে।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

গরল বলেছেন: অনেক তথ্য, তবে উল্লেখযোগ্য তিন-চারটা বাদে বাকিগুলো তথ্য ভান্ডারে স্থান দেওয়ার মত না। তারপরেও অশেষ ধন্যবাদ তথ্যগুলো উপস্থাপনের জন্য।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫১

জোবাইর বলেছেন: তথ্য বেশি হলে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও চোখ এড়িয়ে যায়, তাছাড়া পোস্টও একটু বড় হয়ে যায়। তাই ভাবছি, আগামী পোস্টগুলোতে ছোট ছোট ঘটনাগুলো বাদ দেব। মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এসেছেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৪

জোবাইর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইল।
ব্লগে কমবেশি সব ধরনের লেখাতো আছে, তাই ভাবলাম ব্যতিক্রম কিছু লেখি যা অনেকের কাজে আসবে।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ জোবাইর ভাই, এতো এতো তথ্য উপস্থাপন করতে দেখে অবাক হলাম; দীর্ঘ পরিশ্রমী পোস্ট লেখার জন্য সাধুবাদ জানাই। +++++++++

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১০

জোবাইর বলেছেন: আমার ব্লগে উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ কাউসার ভাই।
আমাদের দেশে রাজনৈতিক কথা মানে বিতর্ক! 'আপনারটা ভুল আমারটা ঠিক'—এই মন-মানসিকতা। ইতিহাস কেউ মনে রাখে না, জানতে চায় না। তথ্যের বা যুক্তির কোনো রেফারেন্স নেই। আজকে যে দল বা নেতাকে নতুন প্রজন্মের তরুণরা সমর্থন দিচ্ছে তাদের অতীত কার্যকলাপ সম্পর্কে এদের কোনো ধারণা নেই। তাছাড়া কেউ অতীতকে জানতে চাইলেও ইতিহাস বিকৃতি ও মিথ্যাচারের কারণে তা আবার খুব সহজও নয়। তাই আমার পরিশ্রম হলেও বাংলাদেশের ৪৭ বৎসরের রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীকে দিনপঞ্জীতে সাজিয়ে দিলাম। অন্ততপক্ষে যাদের জানার ইচ্ছা আছে তাদের কাজে লাগবে।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পরিশ্রমী পোস্ট। তথ্য খুব কাজে আসবে।

আপাতত আপনাকে অনুসরনে রাখলাম।
পরে, সময় করে পড়বো..

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৭

জোবাইর বলেছেন: ঠিক আছে, তথ্য আপনাদের কাজে আসলেই আমার পরিশ্রম সার্থক। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.