নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে ও শান্তির অন্বেষায় ...

জোবাইর

বিনয়ী মূর্খ অহংকারী বিদ্বান অপেক্ষা মহত্তর।

জোবাইর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গাদের অন্যায় ও অযৌক্তিক দাবি এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বাড়াবাড়ি

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৮


বাংলাদেশ সরকার নিজেদের ১৬ কোটি মানুষ নিয়ে সমস্যায় থাকার পরও দেশের নিরাপত্তা ও আর্থ-সামজিক ঝুঁকি নিয়ে মানবতার খাতিরে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বছরের পর বছর লালনপালন করে যাচ্ছে। এদের নিজ দেশে ফেরা এখন সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বিশ্বের মোড়লরা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংঘটনগুলো কাজের কাজ কিছু করতে না পারলেও কিছুদিন পরপর রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য নতুন নতুন আবদার নিয়ে ও রোহিঙ্গাদের অযৌক্তিক দাবিকে সমর্থন করে 'মানবতার জননী' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠান। গত বছর নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন ৩৯টি মানবাধিকার সংগঠন। গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল, ২০২০) আন্তর্জাতিক ৫০ টির মতো সংগঠন রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মোবাইল ও ইন্টারনেটে যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণের কাজ স্থগিত করা এবং সময় মত কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো এবং চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে শরণার্থী ও নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্যহীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে যৌথ ভাবে চিঠি পাঠান।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ৩৯টি মানবাধিকার সংগঠনের চিঠি


গত বছর নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন ৩৯টি মানবাধিকার সংগঠন। তাদের দাবি, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার আগে, সেখানে বসবাসের সম্ভাব্যতা যাচাই করা জরুরি। বাংলাদেশের টেকনাফ-উখিয়ায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যা টেকনাফ-উখিয়ার জনগণের ৩ গুণ। রোহিঙ্গাদের কারণে টেকনাফ-উখিয়া অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে—এই আশঙ্কায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা যারা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে আছেন, তাদের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছিল। সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তাদের নিয়ে ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে ভিত্তিহীন উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনালসহ ৩৯টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। যেখানে বলা হয়, ভাসানচর নিয়ে ভীতি রয়েছে রোহিঙ্গাদের। তাই সেখানে স্থানান্তরের আগে রোহিঙ্গাদের মতামত নেয়া জরুরি। এদের সাথে সুর মিলিয়ে আপত্তি জানায় জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। সেই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয় নি। এতগুলো টাকা খরচ করে নির্মিত বড়িগুলো এখনও খালি পড়ে আছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত


বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ক্যাম্পে সন্ত্রাসীরা খুন-ধর্ষণ, চুরি-ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, শিবির থেকে পালিয়ে যাওয়া, মাদক ও মানব পাচারসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাছাড়া এমন কি ছোটখাটো বিষয় নিয়েও এরা স্থানীয় বাঙালিদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি করছে। যার কারণে রোহিঙ্গাদের অপরাধ ঠেকাতে আশ্রয় শিবিরগুলোর চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। আড়াই থেকে তিন ফুট ইটের গাঁথুুনির উপর এ প্রাচীর নির্মাণ হবে। আলাদা ৭টি ক্যাম্পের চারদিকে ১৫৭ কিলোমিটারজুড়ে কাঁটাতার বসানোর দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়। কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের জন্য পিলার বসানোও শুরু করে সেনাবাহিনী। এখানেও আপত্তি জানালো তথাকথিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন সহ ৫০ টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কক্সবাজার জেলায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করা এবং চলমান মোবাইল ইন্টারনেট বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে বংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবারো একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন।

রোহিঙ্গা শিবিরে বেড়া নির্মাণ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীকে মানবাধিকার সংগঠনের চিঠি

গত বৃহস্পতিবার আর্টিকেল ১৯, আসিয়ান পার্লামেনটারিয়ন ফর হিউম্যান রাইটস, অ্যাকশন করপস, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, বিওন্ড বর্ডারস মালয়েশিয়া, ব্রিটিশ রোহিঙ্গা কমিউনিটি ইউকে, ফরটি রাইটস, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক ৫০টি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে যৌথভাবে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া থামাতে মুঠোফোনের দ্রুতগতির ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অবাধ ইন্টারনেট স্বাস্থ্য কর্মীদেরই সেবা দিতে ভালো ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া শরণার্থীশিবিরে যারা কাজ করছেন তাদের জন্যও এটি প্রয়োজন। চিঠিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের চারপাশে বেড়া নির্মাণের কাজ মহামারি শুরু হওয়ার আগেই শুরু হয়। এই বেড়া নির্মাণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে তীব্র ভয় ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে যা রোহিঙ্গা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা সরকারকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যের অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং তথ্যে প্রবেশিধকার ও চলাচলের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য অনুরোধ করেছে। সময় মত কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো এবং চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে শরণার্থী ও নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্যহীনতা নিশ্চিত করার জন্যও তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমন করতে শিবিরগুলোর চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া থাকা জরুরী। কারণ প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে রোহিঙ্গারা আশ্রয় শিবির থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। এছাড়া খুন, হত্যা, মাদক ও নারী-শিশু পাচারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তারা জড়িয়ে পড়েছে তারা। মোবাইল ব্যবহার করে ক্যাম্পের ভেতরে মাদক ও মানব পাচার এবং হাটবাজার নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তাঁর কাঁটার বেড়া দিয়ে রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট স্থানে আটকে রাখলে তারা অপরাধ করার সুযোগ কম পাবে। আর যেহেতু সারা বিশ্ব কোভিড-১৯ ভাইরাসের মহামারিতে ভুগছে, সেহেতু এই প্রায় ১১ লক্ষ মানুষকে অবাধে চলাফেরা করতে দেওয়া অনেকটা হুমকি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোহিঙ্গা প্রত্যবাসন সংগ্রাম পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক মাহমুদুল হক চৌধুরী বলেন, কাঁটাতার বা দেয়াল নির্মাণ করে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।

গ্রিসে সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের মানবেতর জীবন ও মানবাধিকার সংঘটনগুলোর নীরবতা


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তুরস্কে এখনও পর্যন্ত ৩৭ লাখ শরণার্থী ও অভিবাসীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই সিরিয়ার। এছাড়াও আফগানিস্তান থেকে আসা অনেককেও তুরস্কে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই শরণার্থী ও অভিবাসীরা যাতে ইউরোপে যেতে না পারে সেজন্য ই.ইউর সাথে করা এক সমঝোতার আওতায় তুরস্ক কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল। এজন্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তুরস্ককে কিছু অর্থ সাহায্যও দিয়েছিল। কয়েকমাস ধরেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলে আসছিলেন, তুরস্কের পক্ষে আর ইউরোপের পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। শরণার্থী ও অভিবাসীদের ইউরোপে যাওয়া ঠেকাতে ইইউর সাথে তুরস্কের যে সমঝোতা হয়েছিল - গত মাসের শুরুর দিকে আংকারা আর তা মেনে চলবে না বলে ঘোষণা করে। তারপরেই গ্রিসের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন শরণার্থীরা অনেকে পায়ে হেঁটে গ্রিস সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয়। আবার অনেকে নৌকায় করে গ্রিসের লেসবস দ্বীপে গিয়ে উঠে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কয়েক বছর আগে কয়েক লক্ষ শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার পরিচয় দিলেও এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন নীতি নিয়ে মাঠে নেমেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সন্মিলিত সিদ্ধান্তে গ্রিস ইচ্ছাকৃতভাবে প্রায় ২০ হাজার শরণার্থীকে এই দ্বীপে আটকে রেখে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য করছে। উদ্দেশ্য, জীবনবাজী রেখে যারা উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি জমাতে চায় তাদেরকে নিরুৎসাহিত করা।

ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর নির্লিপ্ততা, রোহিঙ্গাদের গোঁয়ার্তামি ও মারমুখী আচরন এবং জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংঘটনগুলোর মায়াকান্নার কারণে এখানে বাংলাদেশ সরকারের কোনো পরিকল্পনায় বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ভালো-খারাপ সব পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের বিরোধিতার কারণগুলো হচ্ছে: শিক্ষার অভাব, অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে থাকার প্রবণতা এবং কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা। তথাকথিত মানবাধিকার সংঘটনগুলো গ্রিসে শরণার্থীদের প্রতি ই.ইউর অমানবিক আচরণে সরব না হলেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের 'মিয়ানমারে ফিরে যাবে না', 'ভাসানচরেও যাবে না', 'ক্যাম্পের চারপাশে ঘেরাও দেয়া চলবে না', 'মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে' ইত্যাদি অন্যায় ও অযৌক্তিক আবদার বাস্তবায়নের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে!

_____________________________
তথ্য ও ছবিসূত্র: পত্র-পত্রিকা ও ইন্টারনেট

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: দুঃখজনক।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২২

জোবাইর বলেছেন: এই দুঃখজনক ব্যাপারটা অনেকেই বুঝতেছে না! ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশটা দরিদ্র। আমরা যেমন ভালো নেই। দরিদ্র দেশে রোহিংগারাও ভালো নেই। সহজ হিসাব। আর রোহিংগারা শখ করে আমাদের দেশে আসে নাই।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩৫

জোবাইর বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হয়েছে লেখাটি ভালোভাবে পড়েন নাই! বলতে চেয়েছি, বাংলাদেশ সরকার রোহিংগাদের ভালোর জন্য যেসব পরিকল্পনা করছে রোহিংগারা না বুঝে বা কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় সেগুলোরও বিরোধিতা করছে। তাদের সেই অযৌক্তিক দাবীকে সমর্থন করে দাতা দেশ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোও আমাদের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Sad

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৩

জোবাইর বলেছেন: Very sad!

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: দুঃখজনক।

রোহিঙ্গা নিয়ে শুরু থেকে লেখা-লেখি করে আসছে; তাতে কোন কাজ হয়নি।

এখনও হবে না। X((

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৪

জোবাইর বলেছেন: রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সরকার কিছু সাহায্য-সহযোগিতা পায়, তাই দাতা দেশগুলোর কথাও শুনতে হয়। তাছাড়া এখন বাংলাদেশ পড়েছে উভয় সংকটে। ইচ্ছা থাকলেও একা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করার সামর্থ্য নাই।

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাগ্য। সিরিয়ান্দের আমাদের দেশে নিয়ে আস্তে চাইলে এক্টাও আসবে না!

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

জোবাইর বলেছেন: তবে আমাদের দেশের লোককে যদি সিরিয়া যেতে বলা হয় অনেকে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েও যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হবে! কারণ আমাদের দেশের অনেক লোকের ধারণা বিদেশ মানেই টাকা, হউক না সে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া!!

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আশ্রয়দাতার চেয়ে বাইরের মানবাধিকার সংস্থার মাথা ব্যথা বেশী মনে হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অনেক কথায় যুক্তি আছে কিন্তু তারা শুধু রোহিঙ্গাদের পক্ষে বলছে। বাংলাদেশের সমস্যাগুলো বিবেচনায় আনছে না।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৪

জোবাইর বলেছেন: যুক্তসঙ্গত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বাইরের মানবাধিকার সংস্থাগুলো যখন রোহিঙ্গাদের অন্যায় আবদারকে সমর্থন করে বাংলাদেশ সরকারের গঠনমূলক কাজকেও বিতর্কিত করে তখন মনে হয় আমরা আশ্রয় দিলেও সব সিদ্ধান্তের ক্ষমতা ওদের X((

৭| ০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:০১

রাকু হাসান বলেছেন:


শ্রদ্ধেয় অগ্রজ জোবাইর ভাইয়া । জানি বিবেগ ও সামুর প্রতি ভালোবাসার টানেই লিখেন। দুঃখ প্রকাশ করছি আমি । যারা ব্লগে আ্যাক্টিভ থাকে না ,তাঁদের ভালো লেখাগুলো নিয়ে খুব বেশি কথা হয় না । এটা ভালো লেখার প্রতি অন্যায় । মানের বিচারে এই পোস্টটি বাংলাদেশের যে কোনো দৈনিকে গুরুত্বের সাথে ছাপার মত ।
আমি ব্লগে কিছুদিন ছিলাম না ,ব্যস্ততার কারণে। গতকালই মনে পড়ছিল আপনার ,লক ডাউনে অনেক ব্লগারই একটু হলেও উঁকিঝুঁকি মারছে ব্লগে । ভাবছিলাম জোবাইর ভাইয়ার ব্লগে যেতে হবে ,এর একটু পরই দেখি আমার পোস্টে লাইক । দেখে আনন্দিত হয়েছে । আপনার উপস্থিতি সুখময় আমার জন্য।

কপিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতি আমার আস্থা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। এরা হাজার ডলার অনুদান নিয়ে কিছু বিলাচ্ছে আর কিছু নিজেরা খাচ্ছে। বাংলাদেশের মত দুর্বল রাষ্ট্রের প্রতি ওদের মানবাধিকার বেশি দেখায় । সংগঠনগুলো এখন মনে হচ্ছে উঠে পড়ে লেগেছে ,যদি কোনভাবে বাংলাদেশেই স্থায়ী একটা সমাধান করা যায়। কিছু আগে যখন রোহিঙ্গা ট্রলার সাগরে ভাসছিল ,তখন যুক্তরাজ্য সরকার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বাড়াবাড়িতে পরাষ্ট্রমন্ত্রীর জবাব টি ভালো লেগেছিল। নিজের খোলন ছেড়ে বের না হলে চাপতেই থাকবে ওরা । চরিত্রটাই এমন। যদি তুলনা আনা হয় অন্যান্য শরণার্থীদের সাথে সেই হিসাবে যোজন যোজন ভাল আছে রোহিঙ্গারা।


নিচের ছুটি ইয়েমেনের


আমার জানা নাই ভাই,পৃথিবীর আর কোন দেশ এমন পরিকল্পিত আশ্রয়কেন্দ্র নিমার্ণ করছে। যদিও প্রকৃতিগতভাবে ভাসানচর কিছুটা অনিরাপদ ,পদে মানুষ এর চেয়ে খারাপ, এমন কি হিমাঙ্গের নিচের তাপমাত্রাও বাস করছে। ওদের নিরাপদ আশ্রয় ভেবে সেখানে যাওয়া উচিত। ওরা এখন বলছে 'শরণার্থী ও নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্যহীনতা দূর করতে ।

----এটা বেশি বাড়াভাড়ি হয়ে গেছে..। চুপ থাকলে দেখবেন এক দুই দশক পরে নাগরিকত্বের দাবি তুলে বসবে। নাগরিকত্বের ব্যাপারটা আমি জানতাম না । রাগ হচ্ছে।

ইউএনসিআরের তথ্য বলছে সবেচেয়ে শরণার্থী হোস্ট দেশ । বাংলাদেশও কম করে হলেও টপ ১০ শে থাকবে। সুদান,সোমালিয়া, বাংলাদেশের মত দেশগুলো শরণার্থীর বোঝা সত্যিই দূর্বিষহ।

আমার মতে সরকারের কঠোর হতে হবে । পরাষ্ট্রনীতির নতজানু নীতি পরিবর্তন করতে হবে । পরাষ্ট্রমন্ত্রীর যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া সহ নানান কিছু সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে ,পরাষ্ট্রনীতি শক্তি অর্জন করায় কাজ করছে । সর্বশেষ চীন থেকে ১০ সদস্যের যে চিকিৎসক টিম আসলো, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিশ্চয় চাপে ছিল বাংলাদেশ। চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে অনন্ত ২ মাস হবেই । এত পরে অবশেষে আসলো ,কেন দেরি হলো ? ভেতরে নিশ্চয় কিছু আছে ,সাধারণরা জা্নতে পারি না । অপরদিকে পাকিস্থানে সংক্রমণের শুরুতেই চীনা চিকিৎসক দল পাকিস্থানে পৌঁছাইছে। সাত সময়ও নেয় নি চীন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেরি হলো ভালোই। আর চীন ভারত বর্তমান খবর তো জানেনই । এর মধ্যেই এটা ।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো আছেন ? আশা করছি নিরাপদে আছেন।

১১ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:১৮

জোবাইর বলেছেন: রাকু হাসান, অনেকদিন পর ব্লগে আপনার সক্রিয়তা দেখে ভালো লাগলো। আশা করি ভালো আছেন। করোনা মহামারির বর্তমান সংকটকালীন সময়ে মানসিকভাবে খুব ভালো নেই। জীবন থেমে থাকে না। তাই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ও কোভিড-১৯'এ সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েও বেঁচে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।

আপনার তথ্যসমৃদ্ধ ও সুচিন্তিত দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার সাথে সহমত, 'সরকারের কঠোর হতে হবে । পরাষ্ট্রনীতির নতজানু নীতি পরিবর্তন করতে হবে। নিজের খোলন ছেড়ে বের না হলে চাপতেই থাকবে ওরা । চরিত্রটাই এমন।' বহির্বিশ্বের অন্যায্য চোখ রাঙানীকে ভয় পেলে ওরা আরো ভয় দেখাবে। বিশ্বব্যাংকের মিথ্যা অভিযোগ ও অপমানজনক শর্তকে অগ্রায্য করে শেখ হাসিনা নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের যুগান্তকারী সিদ্বান্ত নিয়েছিলেন বলেই বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন হয়েছে।

তাই আমার মনে হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যাপারেও তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থা ও কিছু দেশের অন্যায় আবদারকে অগ্রায্য করে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলেই ওদের টনক নড়বে। ইয়েমেনে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থা নিয়ে ওদের তেমন একটা মাথাব্যাথা নেই। মিডিয়াও এ ব্যাপারে নীরব!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.