নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে ও শান্তির অন্বেষায় ...

জোবাইর

বিনয়ী মূর্খ অহংকারী বিদ্বান অপেক্ষা মহত্তর।

জোবাইর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুমেরু অঞ্চলে নিশি রাতে সূর্য দর্শন - পর্ব ১

১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩



ছোটবেলায় শুনেছি উত্তর মেরুতে ছয় মাস দিন, ছয় মাস রাত! তখন শিশুসুলভ মনে অবাক হয়ে ভাবতাম সেখানে মানুষ কেমনে বাস করে! তারা কী এক নাগাড়ে ছয় মাস ঘুমায় ও ছয় মাস জেগে থাকে, রোজার দিনে কী ওরা একনাগাড়ে ছয় মাস না খেয়ে থাকে—অনেক রকমের প্রশ্ন জাগতো মনে। আমাদের (জেনারেশন এক্স) শিশুবেলা এমন একটা সময়ে কেঠেছে যখন এ ধরনের অনেক প্রশ্নের সঠিক উত্তর শিক্ষক বা অভিভাবক থেকে জানা সম্ভব হতো না। "মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার"–যার কারণে আমরা অনেক কিছু সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে বড় হয়েছি। এখন আমি নিজেই শিশুর পিতা এবং সুমেরু অঞ্চলে গিয়ে আমার ছোটবেলার সেইসব প্রশ্নের উত্তর স্বচক্ষে দেখার সুযোগ ও সামর্থ্যও আমার রয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম জুনের শেষ সপ্তাহে নিশিত সূর্য্য দেখার জন্য উত্তর মেরুর কাছাকাছি কোনো দেশে ভ্রমণ করতে যাবো।

সুমেরু অঞ্চল


সুমেরু অঞ্চল বা আর্কটিক (ইংরেজি: Arctic) পৃথিবীর সর্ব উত্তরের অঞ্চলটির নাম। ইংরেজি নামটি এসেছে গ্রিক শব্দ arktos থেকে যার অর্থ "ভালুক"। সাধারণত সুমেরু অঞ্চলের সীমানা হিসেবে সুমেরু বৃত্তকে (Arctic circle) নির্ধারণ করা হয়, যা বিষুব রেখা থেকে ৬৬ ডিগ্রি ৩০ মিনিট উত্তরে কল্পিত একটি গাণিতিক রেখা। এই রেখার উত্তরের সকল স্থানে বছরে অন্তত একটি এমন সময় আসে যখন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সূর্য একবারও অস্ত যায় না, এবং আরেক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সূর্য একবারও উদিত হয় না। মোট ৮টি রাষ্ট্রের (কানাডা, রাশিয়া, ডেনমার্ক, নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও আইসল্যান্ড) সর্বউত্তরের স্থানগুলো সুমেরু অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। ভৌগোলিকভাবে নরওয়েকে নিশীত সূর্যের দেশ বলা হলেও সুমেরু অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত যে কোনো এলাকা থাকেই নিশীত সূর্য দেখা যায়। তবে সবচেয়ে সুবিধাজনক স্থান হলো নরওয়ের উত্তর প্রান্ত অর্থাৎ ত্রমসো (Tromso), এরপর হলো সুইডেনের উত্তরাঞ্চল কিরুনা (Kiruna)। যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূপ্রকৃতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম সুইডেনের সর্বউত্তরের জেলা শহর কিরোনাতে গিয়েই অবস্থান করবো এবং সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে আশাপাশে ঘুরে দেখবো এবং সড়কপথে নরওয়ের উত্তর প্রান্তে যতটুকু যেতে পারি যাওয়ার চেষ্টা করবো।

নিশিরাতের সূর্য এবং মেরুজ্যোতি


সুমেরু অঞ্চলের বিস্ময়কর নৈসর্গিক প্রপঞ্চ (natural phenomena) দুটি: নিশিরাতের সূর্য এবং মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা বা আরোরা। মেরুজ্যোতি বা আরোরা হলো আকাশে একধরনের প্রাকৃতিক আলোর প্রদর্শনী। প্রধানত উঁচু অক্ষাংশের এলাকাগুলোতে আরোরা'র দেখা মিলে। আরোরা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। আরোরা নিয়ে প্রাচীনকালে অনেক উপকথা চালু ছিল। আরোরা সাধারণত দেখা যায় দক্ষিণ ও উত্তরের দেশগুলোতে। নিশিরাতের সূর্য এবং মেরুজ্যোতি সাধারণতএকই সময়ে দেখা যায় না। নিশিরাতের সূর্য দেখার সবচেয়ে ভালো সময় হলো জুন - জুলাই মাস। মেরুজ্যোতি দেখার জন্য আকাশ অন্ধকার থাকতে হয়। তাই সাধারণত গ্রীষ্মের আগে বা পরে মেরুজ্যোতি দেখার জন্য সবচেয়ে ভালো সময়।

ভ্রমন পরিকল্পনা:

ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য নিশি রাতে সূর্য দেখা। তাই সময়টা বেছে নিলাম জুনের শেষ সপ্তাহ। যেহেতু পৃথিবীর উত্তর পার্শ্বে যাচ্ছি তাই উত্তরে মেরুর দিকে যতটুকু যাওয়া যাই যাওয়ার চেষ্টা করবো। উল্লেখ্য, উত্তর মেরুর অধিকাংশ এলাকা জুড়ে উত্তর সাগর ও বরফের পাহাড় (গ্লাসিয়র)। সড়কপথে নরওয়ের সবচেয়ে উত্তরের শহর থ্রমসো পর্যন্ত যাওয়া যায়। সেইসাথে ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ের উত্তর প্রান্তে ঘুরেফিরে দেখবো। পরিচিতদের মধ্যে কাউকে পেলাম না যাদের এ এলাকায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে। তাই ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ভ্রমণের একটা পরিকল্পনা করে ফেললাম।

ভ্রমণের সময়কাল পাঁচদিন। ভ্রমণের আগেই অনলাইনে কিরোনা শহরে কটেজের একটি রুম বুক করেলাম (রুমের সাথে বাথরুম, কিচেন অন্য রুমের বাসিন্দার সাথে শেয়ার করতে হবে)। সেইসাথে সেখানকার রেন্ট-এ-কার অফিসে চারদিনের জন্য একটি গাড়িও অগ্রিম বুক করে নিলাম। আকাশ পথে স্টকহোম এসে সেখান থেকে ট্রেনে যাবো কিরোনা। সেভাবে টিকেটও কনফার্ম করে ফেললাম। রেলপথে স্টকহোম থেকে কিরোনার দূরত্ব ১২০০ কিলোমিটার সময় লাগবে প্রায় ১৫ ঘন্টা। ট্রেনে যাওয়ার উদ্দেশ্য - চলার পথে ট্রন থেকে সুইডেনের শহর-গ্রাম-প্রকৃতি দেখতে পাবো। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে ইউরোপের সব দেশের প্রকৃতিই ফুলে-ফলে খুব সুন্দর দেখায়। আমার ভ্রমণসঙ্গী আমার একমাত্র কন্যা, বয়স ১০ বছর।


যাত্রা তব শুরু



স্টকহোম বিমানবন্দরে এসে ইমিগ্রেশনের সব কাজ সেড়ে আরলান্ডা বিমানবন্দর থেকে স্টকহোম সেন্ট্রাল স্টেশনের ট্রেনে উঠলাম। ট্রেনের নাম আরলান্ডা এক্সপ্রেস, সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট। এটি এয়ারপোর্ট ট্রানজিট ট্রেন কোনখানে থামায় না। এক টানে দ্রুত গতিতে স্টকহোম সেন্ট্রাল স্টেশন। এখানে এসে পৌঁছলাম স্থানীয় সময় বিকাল ২ টায়। আমাদের কিরোনাগামী ট্রেন ছাড়ার সময় আরো চার ঘন্টা বাকী। ভাবছি এই কয়েক ঘন্টা আশেপাশে একটু ঘুরে দেখি। তারপর খাওয়া-দাওয়া সেড়ে কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে যথাসময়ে স্টেশনে ফিরে আসবো।



তথ্য ও ছবিসূত্র: ইন্টারনেট

--------------------------------
কিছু কথা: আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। এর আগে ব্লগে ভ্রমণ বিষয়ক কোনো পোস্ট লেখি নাই। কারণ ভ্রমণ কাহিনী লেখার সময় ব্যক্তিগত কিছু তথ্য ও ছবি না দিলে পোস্টকে নিরামিষ ও কৃত্রিম মনে হয়। আমি আবার ব্যক্তিগত ছবি অনলাইনে দেওয়া পছন্দ করি না। যা-ই হোক, কিছুদিন আগে সুইডেন প্রবাসী ব্লগার ওমেরার '' একটি ক্রিয়েটিভ উপস্থাপনা : আইস হোটেল পড়ে আমার অনেক দিন আগের এই ভ্রমণ কাহিনীটির কথা মনে পড়লো। সেই মনোমুগ্ধকর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এখানে সবার সাথে শেয়ার করলাম। ভ্রমণ কাহিনী লিখতে পরোক্ষভাবে নিজে উৎসাহিত হওয়ার জন্য ওমেরার প্রতি রইলো কৃতজ্ঞতা।

                             সুমেরু অঞ্চলে নিশি রাতে সূর্য দর্শন - পর্ব ২


মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:



বেশ চমৎকার লেখা, আশা করি দ্রুত আপনার ভ্রমন কাহিনীর দ্বিতীয় পর্ব পড়তে পারবো।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১০

জোবাইর বলেছেন: পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। দ্বিতীয় পর্ব দ্রুত লেখার চেষ্টা করবো।

২| ১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:



ভ্রমণ কাহিনী লেখার সময় ব্যাক্তিগত তথ্য তেমন প্রয়োজন পড়ে বলে মনে হয় না, আপনি ছবি দিবেন আপনি যে স্থানে ভ্রমণ করছেন সেই স্থানের সাথে বিস্তারিত বর্ণনা যেমনটা এই লেখায় দিয়েছেন।

আশাকরি আপনার সব ভ্রমণের কাহিনী সামু ব্লগের পাঠক হিসাবে পড়তে পারবো।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৭

জোবাইর বলেছেন: যতটুকু সম্ভব ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি কম দিয়ে স্থানের বর্ণনা ও অভিজ্ঞতা দিয়েই লেখার চেষ্টা করবো। ইদানিং দেশে-বিদেশে পর্যটন খুবই জনপ্রিয়। তাই আশা করি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পড়ে অন্য ভ্রমণপিপাসু ব্লগাররাও উপকৃত হবে। উৎসাহ জাগানিয়া চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও সেইসাথে শুভেচ্ছা রইলো।

৩| ১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৮

জোবাইর বলেছেন: ধন্যবাদ, পরের পর্ব লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

৪| ১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শায়মা বলেছেন: অনেক ভালোলাগা জেনারেশন এক্স ভাইয়া...

সুমেরু অঞ্চলের সদা জাগ্রত সূর্য্য দেখার সৌভাগ্যবান তুমি!!!

অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়ামনি...

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৬

জোবাইর বলেছেন: অনেক ভালোলাগা মন্তব্যের জন্য জেনারেশন ওয়াই বোনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেইসাথে রইলো উত্তর মেরুর নির্জন-নিস্তব্ধ প্রকৃতিতে নিশিরাতে জেগে থাকা রক্তিম সূর্যের স্বর্ণালী আভার পরশ মাখানো প্রীতি ও শুভেচ্ছা ...

৫| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর সহজ করে লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে দিব না। ধন্যবাদ পাবেন ওমেরা।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৪

জোবাইর বলেছেন: যথোপযুক্ত ব্যক্তিকে ধন্যবাদ প্রদানের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। আশা করি তিনি যথাসময়ে এসে আপনার ধন্যবাদটি নিয়ে যাবেন :)

৬| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার ছবি কম ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট। নিজেদের ব্যাক্তিগত ছবি না দিলেও প্রকৃতি বিষয়ক ছবি দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন। বর্ননা ঝরঝরে লাগল। আপনার সাথে আমরাও আরল্যান্ডা এক্সপ্রেসের যাত্রী হলাম। অপেক্ষায় রইলাম কিরোনা ও তার পরবর্তী ঘটনার পরিচয় জানতে।

পোস্টে লাইক।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৫

জোবাইর বলেছেন: পোস্টে আপনার লাইক ও সুচিন্তিত মতামতের জন্য প্রীত হলাম। এই এলাকার সবচেয়ে আকর্ষণ হচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য! আগামী পর্বগুলোতে কাছ থেকে দেখা প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলোর ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ভালো থাকুন।

৭| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা দারুন ভাবে বর্ণিত হয়েছে । ভ্রমন আমারও খুব প্রিয় । তবে করোনার কারণে ভ্রমন কমে যাবে মনে হয় । নিশিথ সূর্য্যের দেশ সত্যি দারুন আকর্ষণীয় আমার কাছে ।সে ছোট বেলা থেকে ।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৬

জোবাইর বলেছেন: ভ্রমণ আপনারও খুব প্রিয় জেনে খুশি হলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন, করোনার কারণে সব জায়গায় এখন পর্যটক কম :(। করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইটালি ও স্পেনের মতো দেশগুলো নতুনভাবে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকা স্বত্বেও দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য পর্যটন এলাকাগুলো উন্মুক্ত করে দিয়েছে। অথচ পর্যটক এতই কম যে সেখানকার ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসার উপক্রম!

৮| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার লেখা ,ভালো লাগলো

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৫০

জোবাইর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাল লেখা!

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৫১

জোবাইর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ভ্রমন কাহিনী পড়লে কিছুটা ভ্রমন হয়ে যায়।তার সাথে যানাযায় অনেক কিছু।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৫৬

জোবাইর বলেছেন: সঠিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫২

নতুন বলেছেন: বাকেট লিস্টে অরোরা দেখার ইচ্ছা আছে আর সারা দিন সূয` ডোবেনা সেটাও দেখার ইচ্ছা আছে।

ভ্রমন ব্লগ লেখার জন্য কিছু ছবি তুলবেন তাহলে ব্যক্তিগত ছবি দেওয়ার দরকার হয় না।

ব্লগে ব্যক্তিগত ছবি দেওয়া আমারো পছন্দ না।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:১৩

জোবাইর বলেছেন: অভিজ্ঞ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ঠিকই বলেছেন, অরোরা (মেরুজ্যোতি) দেখার প্রকৃত স্থানও এই সুমেরু অঞ্চল। ভ্রমণ পর্বে এই অভিজ্ঞতাও বর্ণনা করবো। অনেকে অরোরা দেখার জন্যও এখানে আসে। অরোরা দেখার জন্য বছরের প্রায় যে কোনো সময়েই আসা যায়।

আগের ভ্রমণগুলোতে এ ধরনের লেখালেখি নিয়ে চিন্তা করি নাই। তাই বেশিরভাগ ছবি তোলা হতো পারিবারিক অ্যালবামের জন্য। তবে এখন থেকে ভ্রমণে গেলে ব্লগে দেওয়ার জন্য বিশেষ কায়দা করে কিছু ছবি তুলবো যাতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও প্রকাশ হবে আবার ব্যক্তিগত ছবিও সরাসরি প্রকাশ হবে না।

১২| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শুরুটা সুন্দর হয়েছে। সুমেরু অঞ্চলের ভ্রমণ চলুক। সাথে আছি। ২০১৩ সালে সুইডেন ও নরওয়ে ভ্রমণের এক সপ্তাহের অভিজ্ঞতা আছে। ভ্রমণ কাহিনী কখনো লিখি না বলে স্মৃতিগুলো ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। দেশ দু’টির মানুষ খুবই বন্ধু বৎসল, ভদ্র আর সুন্দর। এবার আশা করি, নিয়মিত ব্লগে পাবো।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:২৩

জোবাইর বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার ভাই, অনেক দিন পর আপনাকে পেলাম। আপনিওতো মনে হয় এখন অনেকটা অনিয়মিত! বিস্মৃতির আড়ালে যাওয়ার আগেই লিখে ফেলেন ভ্রমণ কাহিনী। আমরাও জানলাম, আপনার স্মৃতিগুলোও লিপি হয়ে স্থায়ী হয়ে থেকে যাবে। স্মৃতি একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে প্রতারণা করে, লিপি কিন্তু তা করে না।

১৩| ২০ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:৪৭

ইসিয়াক বলেছেন:




পোস্টে ভালো লাগা।
শুভকামনা রইলো।

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১২

জোবাইর বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা।

১৪| ২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫১

বিজন রয় বলেছেন: মনে হলো সেখান থেকেই ঘুরে এলাম। আপনার লেখাটি এত ভাল লেগেছে।

সুন্দর।

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

জোবাইর বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আগামী পর্বে আবার দেখা হবে।

১৫| ২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!
প্রথম ভ্রমনপোষ্টেই বাজিমাত!

দারুন লাগলো।
পদাতিক দার সাথৈ আমিও উঠলাম তবে আপনার ভার্চুয়াল ভ্রমনসংগী হয়ে-আরল্যান্ডা এক্সপ্রেসে :)

+++

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২২

জোবাইর বলেছেন: আপনাদেরকে ভার্চুয়াল ভ্রমনসংগী হিসাবে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আপনাদের উৎসাহ আমার লেখার গতিকে আরো বেগবান করবে, অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: পরের পোস্টও লিখে ফেলেন। পড়বো আশা করি।অনেকগুলো পরামর্শও পেয়ে গেছেন দেখতে পাচ্ছি।আমার ব্যক্তিগত একটি মত।অনেকে ভ্রমণের ছবিগুলো আকর্ষণীয় করার জন্য বেশি এডিটিং করে আর্টিশিয়াল বানিয়ে ফেলেন।র' ছবি দেখতেই আমার ভালো লাগে।

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

জোবাইর বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য অজস্র ধন্যবাদ। ছবিকে বিনা প্রয়োজনে এডিটিং করে কৃত্রিম করা ঠিক না। আমার এই ভ্রমণটা অনেক আগের। তখন আমার কাছে ছিল একটি সাধারণ মানের ক্যামেরা। তাই কিছু প্রাকৃতিক ছবি নেট থেকে সংগ্রহ করেছি, যেগুলো আমার তোলা ছবি থেকে অনেক বেশি সুন্দর ও ভালো। শুভেচ্ছা রইলো, পরের পর্বে দেখা হবে।

১৭| ২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ছিমছাম গোছানো পোষ্ট। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩১

জোবাইর বলেছেন: ধন্যবাদ, শীঘ্রই আসতেছে ২য় পর্ব।

১৮| ২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪২

রাকু হাসান বলেছেন:

পোস্টে অভিনন্দন । পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি ভাইয়া।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৫

জোবাইর বলেছেন: ধন্যবাদ রাকু হাসান, আপনাদের অপেক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ২য় পর্ব লেখা শুরু করেছি। দুই-একদিনের মধ্যে চলে আসবে। ভালো থাকবেন।

১৯| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুন্দর সুন্দর ছবি সহ পোস্ট দিয়েন।

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৬

জোবাইর বলেছেন: অবশ্যই, এখন থেকে তাই হবে, ধন্যবাদ।

২০| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম পর্বটাকে অতি সংক্ষিপ্ত মনে হলো। তবে সুন্দর সুন্দর ছবি দেখে সেটা পুষিয়ে গেল!
ভ্রমণের ব্যাপারে আপনার দশ বছরের কন্যার ঔৎসুক্য কেমন ছিল?
আগের ভ্রমণগুলোতে এ ধরনের লেখালেখি নিয়ে চিন্তা করি নাই। তাই বেশিরভাগ ছবি তোলা হতো পারিবারিক অ্যালবামের জন্য (১১ নং প্রতিমন্তব্য) - আমিও ভ্রমণের সময় সেটা খেয়াল রাখতে পারি না, ফলে ছবি ব্লগ দিতে পারিনা। ছবি ব্লগ লিখতে গেলেই দেখি ছবি নেই। হয় নিজের নয়তো পরিবারের কারো মুখ এসে গেছে ছবিতে এমনভাবে যে ক্রপ করতে গেলে ছবির আর কিছু থাকে না। :)
র' ছবি দেখতেই আমার ভালো লাগে - কল্পদ্রুম এর এ অভিমতের সাথে আমিও একমত।
পোস্টে প্লাস + +

০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

জোবাইর বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই, আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভ্রমণ কাহিনী লেখার উৎসাহ আপনার লেখা বিভিন্ন ভ্রমণ কাহিনী বিশেষ করে 'কাশ্মীর ভ্রমণ' সিরিজ পড়ে পেয়েছিলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

প্রথম পর্বটা তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত - সহমত। তাই ছবিসহ আরো কিছু তথ্য যোগ করে দিলাম। আমার মেয়ের উৎসাহ-উদ্দীপনা একেবারে তুঙ্গে! তবে সে শারীরিকভাবে বেশ ক্লান্ত। কারণ এ ধরনের ভ্রমণ তার জন্য একটু বেশি পরিশ্রমের হয়ে গেছে। শুভেচ্ছা নেবেন, ভালো থাকুন।

২১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

ওমেরা বলেছেন: প্রথম পর্ব থেকেই শুরু করলাম । ভ্রমনটা পুরানো হলে আপনার লিখনীর কারনে একেবারেই টাটকা লাগল।
আমার মত অতি সাধারন একজনের লিখা থেকে উৎসাহিত হয়েছেন খুবই আনন্দ লাগছে এটা ভেবে আমার কারনে আপনি উৎসাহিত না হলে এত এত সুন্দর একটা ভ্রমন কাহিনী শুধু আমি না ব্লগের সবাই মিস করত।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৫

জোবাইর বলেছেন: ব্লগের এত পেছনে এসে আমার পুরানো ভ্রমণ কাহিনী পড়া ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। বাংলাদেশের অনেক মানুষের 'নিশিরাতের সূর্য ও আইস হোটেল' সম্পর্কে বাস্তব ধারণা নেই। আপনার আইস হোটেলের পোস্টটি পড়ে ভাবলাম আমার বাস্তব অভিজ্ঞতাটুকু সবার সাথে শেয়ার করি। এভাবেই শেষ পর্যন্ত পুরো ভ্রমন কাহিনী লেখার দুঃসাহস করে ফেললাম। শুভেচ্ছা নেবেন।

২২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

জুন বলেছেন: যাক শেষ পর্যন্ত ওমেরার পরোক্ষ অনুপ্রেরনায় ভ্রমন কাহিনী লিখেছেন যা আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া জোবাইর ।
থ্যাংকস ওমেরা :) খুব সুন্দর ডিটেইল বর্ননা করেছেন যা পড়ে খুব ভালোলাগলো । অরোরা বোরিয়ালিস নিয়ে ছোটবেলায় আপনার মতই এক রোমাঞ্চ নিয়ে বড় হয়েছি । এখনো মনে হয় যদি দেখতে পারতাম সেই সৌন্দর্য্যকে নিজ চোখে। কিন্ত বড্ড শীত কাতুড়ে আমি :-&
+

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৬

জোবাইর বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটি কেমন মিস হয়ে গেলো! যথাসময়ে প্রতিমন্তব্য করতে পারি নাই, দুঃখিত! ঠিক বলেছেন, আমার এই লেখার অনুপ্রেরনাকারী ওমেরাকে কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয়। শীতকালে এখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসেরও নীচে থাকে! শীতকালে এখানে আসার এত বড় ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.