নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগের লেখা সম্পূর্ণরূপে আমার ব্যক্তিগত মতামতের প্রতিফলন। আমার চাকুরী, চাকুরীদাতা কর্তৃপক্ষ ও কর্মস্থলের সাথে এর কোনও সম্পর্ক নাই।

জওয়াদুল করিম খান

জওয়াদুল করিম খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষ্ক্রিয় তারুণ্য

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

আমাদের দেশের তরুণরা একটা বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। তাদের প্রায় অর্ধেকেরই কিছুই করার সুযোগ নেই, তারা না ছাত্র, না কর্মজীবি, না কোনও প্রশিক্ষণে আছে, তারা স্রেফ নিষ্ক্রিয়।

অবশ্য ইদানিং দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ বেড়েছে, কিন্তু শ্রমবাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা সৃষ্টি না হলে, শুধু প্রশিক্ষণে কি লাভ হবে? আমাদের দেশে শ্রমের মূল্যও অত্যান্ত কম, একজন নতুন শ্রমিকের বেতন সাধারণতঃ ছয় সাত হাজার টাকা, সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা। বলা হচ্ছে সরকারী বেতন দ্বিগুণ-ত্রিগুণ করাতেও মুদ্রাস্ফীতি হয় নাই, কিন্তু বাস্তবে এই বাজারে আট-দশ হাজার টাকায় কারও চলে? এই জন্যই শিল্পক্ষেত্রে সৃষ্টি হচ্ছে অশান্তি। তারুণ্য জীবনের সেরা সময়, কিন্তু এই বঞ্চিত তরুণরা তা পাচ্ছে না, আবার সমাজও বঞ্চিত হচ্ছে তাদের উৎপাদন থেকে। Demographic dividend এর কথা বলা হলেও এখানে তা dividend নয়, বরং burden।

পর্যাপ্ত কমসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। বাণিজ্যিক বান্ধবতা বা ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশের বিচারে আমাদের দেশের অবস্থান বিশ্বে একদম নীচের দিকে, সেক্ষেত্রে কিভাবে কর্মসংস্থান হবে। উন্নয়নের অনেক ঢাক-ঢোলের আওয়াজ শুনলেও এখানে তা ম্লান।

দেশের ৪০% তরুণ নিষ্ক্রিয়, আইএলও, আমাদের সময়

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পর্যাপ্ত কমসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। বাণিজ্যিক বান্ধবতা বা ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশের বিচারে আমাদের দেশের অবস্থান বিশ্বে একদম নীচের দিকে, সেক্ষেত্রে কিভাবে কর্মসংস্থান হবে। উন্নয়নের অনেক ঢাক-ঢোলের আওয়াজ শুনলেও এখানে তা ম্লান।
কথার সাথে একদম সহমত, ভাই মামা চাচা ছাড়া আজকাল কোন চাকরি হয় না এতো বিশাল এক সমস্যাই তার উপর দেশে হাজার হাজার মানুষ বেকার সবখানেই বিপদ!!

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০০

সুখী নীলগঞ্জ বলেছেন: দোষটা আমাদের তারুণ্যেরও। তারা কেবল শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহী। যেখানে পরিশ্রম করে উপার্জন করতে হয় - এরকম কিছুতে তারা আগ্রহী নয়। আমাদের প্রচুর ধানি জমি আছে। ধান কাটার মৌসুমে প্রচুর লোক সেখানে দরকার পড়ে। কিন্তু দিনে ৫০০ টাকা সাধলেও অশিক্ষিত স্বল্পশিক্ষিত বেকার যুবকেরা সে ধরণের কাজে কোন আগ্রহ দেখায় না। কিন্তু গার্মেন্টসে শিক্ষিত যুবকেরা পর্যন্ত মাসে ১০,০০০ টাকার চাকরির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.