![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে লিখতে ভাল লাগে তাই টুক টাক লিখার চেষ্টা করি।
নানু বাড়ি। আমার কাছে বরাবরের মতই খুব লোভনীয় একটা জায়গা।একটু সময় পেলেই দে ছুট।"নানু বাড়ি মধুর হাড়ি" কথাটার স্বার্থকতা খুব ভালই বুঝি আমি।অনেক দিন হল,নানু বাড়ি যাই না।খুবি মিস করি সেই হারান দিন গুলি।খুব ছুটে যেতে ইচ্ছা করে পুরান সেই দিনগুলোতে।
নানু বাড়িতে দুটো বিশাল দীঘি আছে।প্রতিদিন ঐ দীঘিতে দল বেধে গোসল করতাম আমরা সব কাজিন মিলে।২/৩ ঘণ্টার কম কখনই আমাদের গোসলের পাট চুকত না।আমরা নানু বাসায় গেলে নানু প্রায় প্রতিদিন পুকুর থেকে মাছ ধরতে বলতেন ছোট মামাকে।আর যায় কোথায়,মামার সাথে আমরা সবাই নেমে পড়তাম মাছ ধরতে।
নানু বাড়িতে বিশাল বিশাল অনেক গুলো আম গাছ ছিল এক সময়।আমাদের কোথাও না পেলে ঐ গাছগুলোতে পাওয়া যেত অল টাইম।এখন আম গাছ গুলো আর নেই,আর নেই ছোট বেলার সেই জোশ।তাই আর গাছ গুলোর জন্য তেমন একটা খারাপ লাগে না।
নানু বাড়ির চারপাশ ঘিরে আছে বিশাল এক সুপারি বাগান।তো নানু যখন বিক্রি করার জন্য সুপারি পাড়তেন তখন নানু আমাদের এক বিশাল অফার দিতেন।আমরা তা সানন্দে গ্রহন করতাম।অফার তা হল "বোটা থেকে সুপারি আলাদা করা।আর এর বিনিময়ে নানু আমাদের প্রত্যেককে ১০ টাকা করে দিতেন"।সেই ১০ টাকা হাতে পেয়ে আমরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যেতাম।সেই ১০ টাকা নিয়ে কি করব না করব, সেটা নিয়ে চলত বিস্তর গবেষণা।যদিও প্রায় সব সময় সেই টাকা দিয়ে পিকনিক করতাম।ভাত,ডিম,আলুর ডাল,মাছ,এবং গরুর মাংস এই গুলোই ছিল আমাদের পিকনিকের খাদ্য তালিকায় সবসময়।আমরা যদিও রান্না পারতাম না কিন্তু সব কিছু ঠিক করে দিত ছোট মামি আর আম্মু।আর বাকিটুকু আমরা সবাই মিলে করতাম।এখনও সুপারি পাড়া হয় কিন্তু নানু আর আমাদের সেই অফারটা দেননা।এখন বড় হয়ে গেছি কিনা,তাই হয়ত।
নানু বাড়ির একটা বিশেষ বিশেষত্ব ছিল সব সময়ই আমাদের কাছে।আর তা হল দুধ পিঠা।ঘুম থেকে উঠেই এই বিশেষ লোভনীয় খাবারটা আমাদের দেয়া হত।আর এর জন্য কে কার আগে উঠতে পারে সেই প্রতিযোগিতা চলত সব সময়ই।
নানুর দুটো সাইকেল ছিল।আর এই সাইকেল ছিল আমাদের কাছে খুবি লোভনীয়।নানু বাসায় না থাকলে আমরা সাইকেল নিয়ে হাওয়া হয়ে যেতাম।সারাটা দিন টোঁটোঁ করে ঘুরে বেড়াতাম।এখনও নানু বাসায় সাইকেল আছে কিন্তু দুটো না একটা, আর অন্যটার জায়গা দখল করে নিয়েছে ইঞ্জিন চালিত সাইকেল।
©somewhere in net ltd.