![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে লিখতে ভাল লাগে তাই টুক টাক লিখার চেষ্টা করি।
১.বাসের জন্য অপেক্ষা করছি প্রায় ৩০ মিনিট হল।দুপুরের কড়া রোদে অবিরাম ঘেমে যাচ্ছি।কিন্তু বাসের আসার কোন নামই নেই।অবশেষে বাসের দেখা মিলল।কিন্তু ভিড়ের ঠেলায় ওঠা খুবি মুশকিল।তাই পরের বাসের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।একটু পর একটা বাস আসল সেটাতেও অনেক ভিড়।ভাবলাম আজ কষ্ট করেই যেতে হবে।তাই অনেক কষ্টে বাসের চিপার মধ্যে ঢুকলাম।যেই বাসটা একটু চলতে শুরু করল তখন বাসের জানালা দিয়ে লক্ষ্য করলাম একটা #বি_আর_টি_সি আর একটা গেট লক বাস এসে হাজির।বাস দুটো একদমই ভিড় মুক্ত ছিল।
২.নুডুলস খেতে খুব ইচ্ছা করছে।যেই ভাবা সেই কাজ তাই সব কিছু রেডি করলাম নিমেষেই।সব কাজ প্রায় শেষ।এখন ডিমটা ভেঙ্গে দেবার পালা।আমার আর তর সইছে না একদমই।তাই তাড়াহুড়া করে ডিমটা ভেঙ্গে দিলাম।মনে মনে প্রমোদ গুনলাম তাড়াহুড়া করার জন্য।ডিমটা পঁচা ছিল,দুর্গন্ধে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হবার মত আবস্থা।সব কষ্ট বৃথা হয়ে গেল আর বাসায় ঐ একটাই ডিম ছিল আজ।
৩.নুডুলসের শোক তখনও কাটেনি আবার এইদিকে খুদাও লাগছে বেশ।হটাৎ মাথায় ১০০ ওয়াটের বাতি জ্বলে উঠল।কালকের আধ খাওয়া চানাচুরের প্যাকেটটার কথা মনে পড়ল।অনেক কষ্টে চানাচুর ওয়ালা পট টা খুঁজে বের করলাম।এর পর চোখে মুখে একরাশ আশা নিয়ে চানাচুরের প্যাকেটটা বের করলাম।কিন্তু ভাগ্য দেবতা এবারও মুখ ফিরিয়ে নিলেন।প্যাকেটের খোলা মুখ দিয়ে সব চানাচুর পড়ে গেল।খুশির চোটে বুঝতেই পারিনি যে খোলা মুখের বিপরীত দিকে ধরে প্যাকেটটা বের করছি।
৪.সব যখন গেল তখন চা বানাবো বলে ঠিক করলাম।এবার ঠিক মতই সবকিছু হল।হাতে চায়ের কাপ নিয়ে কয়েক চুমুক ও দিলাম।আহা কি শান্তি,সব কষ্ট নিমেষেই ভুলে গেলাম।চায়ের সাথে গান শুনলে মন্দ হয়না এই ভেবে কাপ টা টেবিলের উপর রেখে যেই না পিছনে ফিরব ঠিক তখনই অসাবধানতা বসত বাম হাতটা লেগে কাপটা উল্টে গেল।সব চা টেবিলে পতিত হল।
©somewhere in net ltd.