![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে লিখতে ভাল লাগে তাই টুক টাক লিখার চেষ্টা করি।
আমার নাম হাসান,বয়স আনুমানিক ৩৫ হবে।পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।এই সময়ের সবচেয়ে সফল একজন চিকিৎসকও বটে।জীবনে সব ক্ষেত্রে আমি মোটামুটি অনেকটা সফল কিন্তু একটা বিষয়ে আমি অনেকটা অসফল।হুম,আমি আমার বৈবাহিক জীবনের কথা বলছি।আমার গিন্নীর নাম ঋতু।সংসার জীবনটা আমার অনেক সুখের চোয়ায় শুরু হয়েছিল।ঋতু আমায় অনেক ভালবাসে কিন্তু আমি ওকে তেমন একটা সময় দিতেই পারতাম না কখনই।সারাদিন চেম্বারে রোগী দেখতাম আর সন্ধ্যায় যখন বাসার আসতাম তখন স্টাডি রুমে রোগীদের কেস নিয়ে পড়ে থাকতাম।আমার স্টাডি রুমটা মুল বাসা থেকে একটু দুরেই ছিল কারণ নিরিবিলিতে আমার কেসে মনোযোগ দিতে অনেকটা সুবিধা হয়।এমন অনেক দিন গেছে আমি আমার স্টাডি রুমেই ঘুমিয়ে পরেছি।এই সব নিয়ে ঋতুর কোন অভিযোগ ছিলনা,হাসি মুখে সব মেনে নিয়েছিল সবই।
সেবার ছিল শীত কাল,আমি একটা রোগীকে নিয়ে অনেকটা ব্যস্ত হয়ে পরেছিলাম।আমায় বেশ কিছুদিন রোগীর বাসায় অবস্থান করতে হয়েছিল তখন।আর এই দিকে আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী ও ছিল ঐ সময়টায় তাই সব কিছু বাদ দিয়ে চলে এসেছিলাম।বিবাহ বার্ষিকীর দিন রাতের বেলা আমি ঋতুকে নিয়ে একটা পরিচিত হোটেলে রাতের খাবার খেতে যাই।সেই রাতটা ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটা রাত।আমারা তখন বাসায় আসছিলাম,বাসা থেকে একটু সামনে একজন মানুষকে বসে থাকতে দেখে একটু সন্দেহ হল আমার।লোকটা থরথর করে কাঁপছিল।ঋতু অনেকটা ভয় পেয়ে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বলল,আমার খুব ভয় করছে।তাড়াতাড়ি এখান থেকে চল।আমি কি যেন মনে করে বললাম,লোকটার ঠাণ্ডা লাগছে মনে হয় তাই অমন করে কাঁপছে।ভয় করনা,আর আমি তো আছিই।আমি আর ঋতু লোকটাকে ক্রস করতে যাব ঠিক তখনই লোকটা আমাদের পথ আগলে দাঁড়ায়।এতক্ষণ অন্ধকারের জন্য ভাল করে মুখটা দেখতে পারিনি কিন্তু এখন ঠিকই চিনতে পারালাম।লোকটা আর কেউই না আমার একজন রোগী যাকে আমি বেশ কিছু দিন হতে চিকিৎসা দিচ্ছি।লোকটা সবসময় একজন মানুষকে দেখে তার আসে পাশে এবং তাকে ভাইজান বলে সম্বোধন করে।লোকটা অদ্ভুত ভাবে হাসতে লাগল এর পুর হুট করেই আবার থেমে গেল।ঋতু অনেকটা ভয় পেয়েছে ও আমার হাতটা খুব শক্ত করে ধরে আছে আর ভয়ে কাঁপছে।লোকটা কটমট দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,ডাক্তার সাব আমি আপনারে অনেকবার কইছি চইলা যাইতে কিন্তু আপনি তা শোনেন নাই।আইজ আপনি কই পালাইবেন হুনি।ভাইজান আপনারে খালাস করতে কইছেন আইজ রাইতেই।তুমি আমার ঠিকানা পাইলা কই থেকে?আমি লোকটাকে বললাম আর আমি তখন দর দর করে ঘামছিলাম,আমার গলা শুকিয়ে একদম কাঠ হয়ে গেছে তখন।আমি ঋতুকে পিছনে ঠেলে দিয়ে বললাম,আমি দেখছি,আর তুমি ভয় পেয়না।লোকটা এতক্ষণ চুপ করে ছিল, হুট করে লোকটা চাদরের ভিতর থেকে একটা চাকু বের করে আমার তল পেটে সাজোরে ঢুকিয়ে দিয়ে বলল,আপনের ঠিকানা আমি ভাইজানের কাছ থাইকা পাইছি।প্রচণ্ড যন্ত্রণা অনুভব করলাম তলপেটে এবং ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তায় ঢলে পড়লাম।জ্ঞান হারানোর আগ মুহূর্তে দেখলাম লোকটা নিজের গোলার মধ্যেও চাকুটা বসিয়ে দিল।এই ঘটনার পর ঋতু অনেকটা বদলে গেল।আমার সাথে একদমই কথা বলা বন্ধ করে দেয়।একি ছাদের নীচে আমাদের বসবাস কিন্তু কেউ কাউকে চিনিনা এমনটা ভাব।
সকাল থেকে বসে আছি একজনের জন্য।এখন আর কোন রোগীকে সময় দেইনা।সারাটা দিন নিজের স্টাডি রুমেই কাটাই।সেই দিনের ঘটনার পর নিজেকে অনেকটা গোটাই নেই বাহিরের দুনিয়ার কাছ থেকে।মাঝে মাঝে শুধু ঋতুকে দেখার জন্য শুধু বের হই।বেশ কিছু দিন হল ঋতু বাবার বাড়ি
©somewhere in net ltd.