নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি চলচিত্র, ব্যক্তি,পরিবেশ এবং সমাজের কথা বলে, \nআর এগুলো নিয়েই আমাদের জীবন,\nচলচিত্র মানেই জীবনের কথা।

আব্দুল্লাহ আল-মানী

মুভি দেখতে ভালোবাসি। থ্রিলার মুভি সব থেকে ভালো লাগে। সাউথ এবং কোরিয়ান মুভির পাগল ভক্ত বলতে পারেন। তবে সব ধরনের মুভি নিয়ে লিখবো আশা করি।

আব্দুল্লাহ আল-মানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"রান আউট (২০১৫)" - একটি আশার রান আউট হবার গল্প

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭


অনেক ভাল ভালো রিভিউ দেখার পর হয়তো আমার এই কথা গুলো ভালো নাও লাগতে পারে। তবুও নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত না করে পারলাম না। কাল মুভিটা দেখার পর থেকেই অনেক ভেবেছি আসলে কি ছিল??? হয়তো আমার ভুল, কিন্তু পরে আরো কয়েকজনের কথা এবং কিছু বন্ধুদের কাছ থেকে অপ্রিয় কথা শোনার পর ভাবলাম না হয়তো আমি একদম ভুল না। তাই আপনাদের সাথে আমার কথা গুলো শেয়ার করার জন্য এই লেখা।

আজকের লেখার বিষয়বস্তু হল ‘রান-আউট’ চলচিত্র। অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে, ১৮+ লেখা পোষ্টার ছাপিয়ে একদম টক অফ দ্য টাউনে পরিণত হয়ে রিলিজ পায় মুভিটি। ক্রাইম একশন থ্রিলার জনরার মুভি এটি। অন্ধকার জগৎ নিয়ে আন্ডার ওয়ার্ল্ড নিয়ে কাহিনী গড়ে উঠবে এমন ভাবেই প্রচার করা হয়েছে মুভিটি।
.
যাই হোক মুভি শুরু হল, সাথে সাথে কাহিনীও শুরু হল। সত্যি কথা বলতে কি, আমি বিরতির আগ পর্যন্ত মুভির কিছুই বুঝলাম না, এতো বোরিং লাগছিলো। খালি সবাই বলে আমার কিশোর কে চাই!!! কিশোর কে চাই !!! কিশোর ইজ মাই প্রোডাক্ট। মুভির গতি যা পেয়েছে তা হল দ্বিতীয় অর্ধে, তাও খুব বেশি না। একশনের কিছুটা ছোয়া খুজে পেলাম অনেক শেষের দিকে। কিন্তু থ্রিলারের তো কিছু পেলাম না। যাই হোক এবার একটু অন্য দিকে চোখ দেয়া যাক। মুভির ভালো মন্দ দিক আর কি......

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬ভালো দিক▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

●ঢাকার বাইরে লোকেশন।

●মৌসুমী নাগের মত একজন বহুমাত্রিক অভিনেত্রীর সন্ধান। সিরিয়াসলি বলছি মুভির কেন্দীয় চরিত্র সজল হলেও আমার কাছে কেন্দ্রীয় চরিত্র মৌসুমী নাগ। লাস্যময়ী নারী, দায়িত্ববান মেয়ে, মমতাময়ী মা এবং ভালোবাসার কাঙ্গাল, এই সব গুলো চরিত্রের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে মৌসুমী নাগের চরিত্রে। আশা করি সে বড় পর্দায় নিয়মিত হবে।

●সজল, মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্রে। ন্যাকামোর জন্য অনেকেই তার অভিনয় দেখতে ইচ্ছা করে না। সিরিয়াসলি সে যা করেছে সেটা তার থেকে আনএক্সপেক্টেড ছিলো। ভালো ছিলো তার অভিনয়। অনেক ওয়ার্ক আউট করেছে সে, বোঝা যায়।

●মুভির ভিজুয়্যাল ইফেক্ট ভালো ছিলো। গুলি করার পর গুলি দেয়ালে ফুটো করে দিছে এই ইফেক্টটা ভালো ছিলো। আর সজলকে Water therapy দেয়ার সীনটাও বেশ রিয়েলস্টিক ছিলো।
.
এবার যা বলব তা আমার সম্পুর্ণ নিজস্ব মতামত।

▬▬▬▬▬▬▬▬▬আমার দেখা খারাপ দিক সমূহ▬▬▬▬▬▬▬▬▬

●কাহিনী খুব দূর্বল। থ্রিলিং কিছু ছিলো বলে চোখে পড়ে নাই। আর একশন সেটা তো একেবারে শেষে। ক্রাইমের কি ছিলো বুঝলাম না।

●প্রথম দৃশ্যতে, সজল খুন খুন বলে চিল্লালো, ভালো কথা। এরপর হেল্প হেল্প বলে সেটাও ভালো। ঘরে বাতি জ্বলে কিন্তু কেউ নাই এমন ভাব। ওকে তাও মানলাম। কিন্তু যখন বলল রক্ত তখন এলো পুলিশের গাড়ী। গাড়ীর হেডলাইটের আলোতে সজলের হাতে রক্তের বদলে ছিলো তেলের মত জিনিস। কথা হল রক্ত এতো সাদা হল কি করে?

মুভির শেষ দৃশ্যতেও এই রকম ঝামেলা আছে, যা আসলেই চোখে পড়ার মত।

●কিশোর তো চাচ্ছিলো না এই অন্ধকারে আসতে তাহলে কেন এলো?? এর কোন উত্তর খুজে পেলাম না।

●একবার নিজের প্রেমিকে ছাড়ে তো প্রেমিকা তাকে ছাড়ে। এতেও অসুবিধা নাই। কি এমন ঘটলো যে, বারে এসে নায়লা নাইমের ড্যান্স দেখে একবারে বন্দুক নিয়ে ইয়া টিস টিস টিস শুরু করে দিলো????

●মুভির মিউজিক নিয়ে আমার একটু বলার আছে। এক টাইপের হয়ে গেছে সবগুলো গান, সব সময় ড্রাম, গিটারের আওয়াজ ভালো লাগে নাই। চলচিত্রের গান একটু মেলোডিয়াস হয়ে থাকে। হয়তো সবার সাথে নাও মিলতে পারে।

●আচ্ছা মুভির শেষে সজলের মা কোথায় গেলো ??? আর নায়িকার কি হল মানে রোমানা স্বর্নার???
.......................................................................................

এমন অনেক প্রশ্ন নিয়েই শেষ করেছিলাম ‘রান-আউট’।

যাই হোক মুভির মেকিং ভালো থাকা সত্ত্বেও কাহিনীর দূর্বলতার কারনে মুভিটি পরিপূর্ণতা পায়নি। পরিচালক যদি এই দিকগুলো মাথায় রেখে পরবর্তী মুভি তৈরী করেন হয়তো তার কাছ থেকে সেরাটা বের হতে বাধ্য। অনেক ভাল ভালো রিভিউ দেখার পর হয়তো আমার এই কথা গুলো ভালো নাও লাগতে পারে। তবুও নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত না করে পারলাম না। কাল মুভিটা দেখার পর থেকেই অনেক ভেবেছি আসলে কি ছিল??? হয়তো আমার ভুল, কিন্তু পরে আরো কয়েকজনের কথা এবং কিছু বন্ধুদের কাছ থেকে অপ্রিয় কথা শোনার পর ভাবলাম না হয়তো আমি একদম ভুল না। তাই আপনাদের সাথে আমার কথা গুলো শেয়ার করার জন্য এই লেখা।

আজকের লেখার বিষয়বস্তু হল ‘রান-আউট’ চলচিত্র। অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে, ১৮+ লেখা পোষ্টার ছাপিয়ে একদম টক অফ দ্য টাউনে পরিণত হয়ে রিলিজ পায় মুভিটি। ক্রাইম একশন থ্রিলার জনরার মুভি এটি। অন্ধকার জগৎ নিয়ে আন্ডার ওয়ার্ল্ড নিয়ে কাহিনী গড়ে উঠবে এমন ভাবেই প্রচার করা হয়েছে মুভিটি।
.
যাই হোক মুভি শুরু হল, সাথে সাথে কাহিনীও শুরু হল। সত্যি কথা বলতে কি, আমি বিরতির আগ পর্যন্ত মুভির কিছুই বুঝলাম না, এতো বোরিং লাগছিলো। খালি সবাই বলে আমার কিশোর কে চাই!!! কিশোর কে চাই !!! কিশোর ইজ মাই প্রোডাক্ট। মুভির গতি যা পেয়েছে তা হল দ্বিতীয় অর্ধে, তাও খুব বেশি না। একশনের কিছুটা ছোয়া খুজে পেলাম অনেক শেষের দিকে। কিন্তু থ্রিলারের তো কিছু পেলাম না। যাই হোক এবার একটু অন্য দিকে চোখ দেয়া যাক। মুভির ভালো মন্দ দিক আর কি......

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬ভালো দিক▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

●ঢাকার বাইরে লোকেশন।

●মৌসুমী নাগের মত একজন বহুমাত্রিক অভিনেত্রীর সন্ধান। সিরিয়াসলি বলছি মুভির কেন্দীয় চরিত্র সজল হলেও আমার কাছে কেন্দ্রীয় চরিত্র মৌসুমী নাগ। লাস্যময়ী নারী, দায়িত্ববান মেয়ে, মমতাময়ী মা এবং ভালোবাসার কাঙ্গাল, এই সব গুলো চরিত্রের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে মৌসুমী নাগের চরিত্রে। আশা করি সে বড় পর্দায় নিয়মিত হবে।

●সজল, মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্রে। ন্যাকামোর জন্য অনেকেই তার অভিনয় দেখতে ইচ্ছা করে না। সিরিয়াসলি সে যা করেছে সেটা তার থেকে আনএক্সপেক্টেড ছিলো। ভালো ছিলো তার অভিনয়। অনেক ওয়ার্ক আউট করেছে সে, বোঝা যায়।

●মুভির ভিজুয়্যাল ইফেক্ট ভালো ছিলো। গুলি করার পর গুলি দেয়ালে ফুটো করে দিছে এই ইফেক্টটা ভালো ছিলো। আর সজলকে Water therapy দেয়ার সীনটাও বেশ রিয়েলস্টিক ছিলো।
.
এবার যা বলব তা আমার সম্পুর্ণ নিজস্ব মতামত।

▬▬▬▬▬▬▬▬▬আমার দেখা খারাপ দিক সমূহ▬▬▬▬▬▬▬▬▬

●কাহিনী খুব দূর্বল। থ্রিলিং কিছু ছিলো বলে চোখে পড়ে নাই। আর একশন সেটা তো একেবারে শেষে। ক্রাইমের কি ছিলো বুঝলাম না।

●প্রথম দৃশ্যতে, সজল খুন খুন বলে চিল্লালো, ভালো কথা। এরপর হেল্প হেল্প বলে সেটাও ভালো। ঘরে বাতি জ্বলে কিন্তু কেউ নাই এমন ভাব। ওকে তাও মানলাম। কিন্তু যখন বলল রক্ত তখন এলো পুলিশের গাড়ী। গাড়ীর হেডলাইটের আলোতে সজলের হাতে রক্তের বদলে ছিলো তেলের মত জিনিস। কথা হল রক্ত এতো সাদা হল কি করে?

মুভির শেষ দৃশ্যতেও এই রকম ঝামেলা আছে, যা আসলেই চোখে পড়ার মত।

●কিশোর তো চাচ্ছিলো না এই অন্ধকারে আসতে তাহলে কেন এলো?? এর কোন উত্তর খুজে পেলাম না।

●একবার নিজের প্রেমিকে ছাড়ে তো প্রেমিকা তাকে ছাড়ে। এতেও অসুবিধা নাই। কি এমন ঘটলো যে, বারে এসে নায়লা নাইমের ড্যান্স দেখে একবারে বন্দুক নিয়ে ইয়া টিস টিস টিস শুরু করে দিলো????

●মুভির মিউজিক নিয়ে আমার একটু বলার আছে। এক টাইপের হয়ে গেছে সবগুলো গান, সব সময় ড্রাম, গিটারের আওয়াজ ভালো লাগে নাই। চলচিত্রের গান একটু মেলোডিয়াস হয়ে থাকে। হয়তো সবার সাথে নাও মিলতে পারে।

●আচ্ছা মুভির শেষে সজলের মা কোথায় গেলো ??? আর নায়িকার কি হল মানে রোমানা স্বর্নার???
.......................................................................................

এমন অনেক প্রশ্ন নিয়েই শেষ করেছিলাম ‘রান-আউট’।

যাই হোক মুভির মেকিং ভালো থাকা সত্ত্বেও কাহিনীর দূর্বলতার কারনে মুভিটি পরিপূর্ণতা পায়নি। পরিচালক যদি এই দিকগুলো মাথায় রেখে পরবর্তী মুভি তৈরী করেন হয়তো তার কাছ থেকে সেরাটা বের হতে বাধ্য।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকাছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.