নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কিন্তু কেউ না। সময়ে অসময়ে পাওয়া কতগুলো মিসকল শুধু। যে মিসকল হয়তো আপনার কাছের কেউ দিয়েছিল, কিংবা আপনার অপরিচিত। ভালো থাকুক আমার শত্রুরা আর সুস্থ থাকুক আমার প্রিয়জনেরা। - একটি মিসকল

একটি মিসকল

আমি একটি মিসকল, যেখানে আমি আমার নিজঃস্ব স্বত্তাকে পুরোপুরি নিজের ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি, তবে সবার দৃষ্টিকোণ এক নয়। মানুষের চিন্তা/ধারনা পরিবেশ, সময়, স্থান, কাল, পাত্র ভেদে ভিন্ন রকম হতেই পারে! সবাইকে আমন্ত্রন, বিশেষত যারা আমাকে পছন্দ করেন না তাদেরকে।

একটি মিসকল › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসটিটিউশন বনাম আমাদের তথাকথিত সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

"নারী" এমন একটা শব্দ যার সাথে মিশে আছে অনেক গুলো সম্পর্ক, অনেক রকমের চিন্তা ধারনা। নারীরা একদিকে যেমন মা, কখনো বোন, আবার কখনো ভাবী, চাচী,মামী, খালা এবং এক সময় নিজের স্ত্রী। এই নারীর আবার আরেক রূপ হলো *শ্যা, মা*, ন*, ছিনা*, খান*। তার এই রূপের নাম প্রসটিটিউশন। অপর দিকে একজন পুরুষ মানুষ বাবা, চাচা, পুত্র, মামা এবং একসময় স্বামী। মজার বিষয় পুরুষ মানুষের আর ভিন্ন রূপ এই সমাজ ব্যবস্থা বের করতে পারেনি। একটা মেয়ে/মহিলা কখনোই নিজের ইচ্ছায় প্রসটিটিউশনে আসে না। তাকে কখনো শারীরিক কিংবা মানসিক ভাবে বাধ্য করা হয় নিজের শরীরকে বিক্রি করার জন্য। আর আমরা দুধে ধোয়া তুলসিপাতা পুরুষ মানুষেরা তাদের দৈহিকভাবে তো ব্যবহার করেই ছাড়ি না তার সাথে ওই মহিলার "থুক্কু" কথিত আমাদের সুস্থ সমাজের দেয়া সেই বিখ্যাত শব্দ *শ্যা, মা*, ন*, ছিনা*, খান*দের মানসিক ভাবেও ধর্ষন করে আসি প্রতিটি মুহূর্তে। মানসিক ভাবে নির্যাতনের স্বীকার কোন মানুষ কখনো আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে না। শারীরিক ভাবে ধর্ষন থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়, কিন্তু মানসিক ভাবে ধর্ষন হওয়া থেকে কোন কিছুই রক্ষা করতে পারে না। মানসিক ভাবে একটা মানুষ প্রতি মুহূর্তেই ধর্ষন হতে থাকে। নিজের প্রতি ঘেন্যা চলে আসে, বেঁচে থাকার ইচ্ছা পঁচে-গলে খসে যেতে থাকে সেই ঘেন্যার সাথে সাথে। প্রসটিটিউশনের মূল কারন অসুস্থ মস্তিষ্কযুক্ত পুরুষ(!!!)। তাদের দৈহিক চাহিদা পূরনের জন্য এই নিষিদ্ধ পল্লী/পতিতা/পতিতালয়ের সৃষ্টি। দিনে দুপুরে এইসব গলিতে/পল্লীতে যেতে নেই। আর গেলেও এমনভাবে যাও যাতে কেউ তোমাকে না দেখে। এই হলো আমাদের সুস্থ সমাজের নমুনা। কেউ তার নিজের শরীর বিক্রি করছে, অন্যজন তা উপভোগ করছে। কিন্তু আমার কথা হল, যেহেতু "এক হাতে তালি বাঁজে না" তাহলে নারীকেই কেন অপরাধী করা হয়? পুরুষকে নয় কেন? পুরুষও সমান ভাবেই অপরাধী.

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দু্ই পক্ষই অপরাধী। তবে তাই বলে নারীদের এই পেশায় আসাটা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। যেই পরিস্থিতিতেই হোক না কেন?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

একটি মিসকল বলেছেন: ভাই কেউ নিজের ইচ্ছায় আসে না এই পেশায়। যত কিছুই হোক না কেন কারো না কারো হাত থাকে... তবে এটাও সত্য হাতের সব আঙ্গুল সমান না... ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.