![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রিজভান হাসান। ডাক নাম আকাশ আর ব্লগ নিক আকাশ_পাগলা নিয়ে চলছি বেশ কিছু বছর। আমার স্থায়ী ঠিকানা হল http://wings.rizvanhasan.com । আমন্ত্রণ রইল। সারাটাদিন অনেক কারণে বাধ্য হয়ে আর্টিফিশিয়াল সুশীল ভড়ং ধরে রাখতে হয়। ব্লগে আসি তাই হাঁফ ছাড়তে। এভাবেই তাই ব্লগটা এখন নেশা। দরকার হলে উচিৎ কথা বলে আজীবনের জন্য ব্যন হয়ে যাবো, কিন্তু কখনও সুশীল ভাব নিতে চাই না। বাস্তবে যেই দোষে মানুষকে বলি, "সবারই নৈতিক ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখা উচিত।" ব্লগে এসে সেই ব্যক্তিকে সেই দোষেই বলতে চাই, "আইজকা তোরে খাইছি। তুই কত বড় হ্যাডম আইজকা দেখুম!" এমনটা ভাবার কারণ নাই যে, মনিটরের ভিতরেই শুধু গলাবাজী করি। সবখানেই আমি প্রতিবাদী চরিত্রগুলোর প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। কিন্তু আমরা আসলে স্বপ্নে না সমাজে বাস করি, তাই সবখানে আর পেরে উঠি না। আমার শাস্তি যে অনেকের কষ্ট। কিন্তু যখনই সুযোগ পাই ফুঁসে উঠি, ফুঁসে উঠতে চাই। একদিন ঠিক দাঁড়িয়ে যাবো সবার মাথার উপর, তখন আর কেউ আটকাতে পারবে না। (আমার অনুমতি ছাড়া আমার কোন পোস্ট বা পোস্টের অংশবিশেষ অন্য কোথাও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ)
কয়েকদিন ধরে ফেলুদা পড়লাম। সেই ছোট থাকতে একবার পড়েছি। এখন এত্ত বড় বইটা পুরা শেষ করলাম। ২ ঘণ্টা পর পর লোড শেডিং হলে (গেমের ভক্ত, তাই ল্যাপটপ নাই !) এ ছাড়া উপায় নেই ! কিন্তু কেন যেন মজা আর জমল না।
আমি গল্পের বইয়ের ভিষণ পোকা। সেটা কাগজেই হোক, মনিটরেই হোক দারুণ বই পেলে আর খুব বেশি কিছু চাই না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ইদানীং বাংলা সাহিত্য বড় বাক্সবন্দী লাগছে।
যাই-ই পড়তে যাই, বড় বেশি সামাজিক মনে হয়। সব কিছুকে একই স্ট্রাকচারের আওতায় মনে হয়।
আমি ব্যাপারটা বুঝাই।
আমাদের দেশের ভূতের গল্পগুলা দেখেন। সত্যিকারের ভয়ের যেগুলা সেগুলা আসলে রহস্যের আদলে সামাজিক গল্প। এখানে ডাইরেক্ট পিশাচ টাইপের কিছু আসে না। (রূপকথায় আসে অবশ্য। ওগুলা ত হরর না।)
এরপর ধরেন, আমাদের দেশীয় কোন সুপার হিরো আছে কী? মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা খুব বেশি কল্পনাই করতে পারি না।
এরপর ধরেন, চরম একশনের খুব বই কী আমাদের আছে? মাসুদ রানা, তিন গোয়েন্দা অবশ্যই না। এগুলা যেখান থেকে কপি করা তার ৯০% হুবহু মারে। যদিও আমি মাসুদ রানা বেশ পড়ি, কিন্তু ইদানীং দেখা মুভিগুলার সাথে বড়ো বেশি মিলে যাচ্ছে !
পুরোপুরি কল্পনা বা সাধারণ সামাজিকতার বাইরে বলা যায় সায়েন্স ফিকশন গুলোকে। জাফর ইকবালের গুলোকে না ধরাই ভাল। মাসুদ রানার মত সেই প্রবলেম। যদিও আমি ব্যক্তি আর লেখক দু হিসেবেই খুব ভক্ত, সম্মান করি, তবে ইদানীং বেশ কিছু ইংলিশ বই থেকে উনার আগের এবং বর্তমান অনেক লেখার মাত্রাতিরিক্ত মিল পেয়ে হতাশ।
তবে, সায়েন্স ফিকশন মোটামুটি আউট অব দ্যা বক্স।
এরকম আরও আউট অব দ্যা বক্স পদ্মা নদীর মাঝি( জেলেদের নিয়ে বলে না, সোনা/ময়না দ্বীপ আছে তাই)। এরপর ধরেন হিমু আর মিসির আলি। যদিও এগুলার স্ট্রাকচার সাধারণ সামাজিক গল্প গুলোর মতই। তবে মোটামুটি আনকমন কনসেপ্ট। আবার আর্মি নিয়ে বেশ কিছু লেখা পড়েছিলাম। আর্মি সমাজে কীভাবে আছে তা নিয়ে না, আর্মি হিসেবে জীবন কেমন যাচ্ছে তা নিয়ে। লেখকের নাম ভুলে গেছি।
আমি এরকম আউট অব দ্যা বক্স বই চাচ্ছি।
এখন এটার জন্য মুভি দেখার পরামর্শ দিয়েন না। আমি মুভি দেখি। আউট অব দ্যা বক্স বিদেশী সাহিত্যও বেশ পড়ি।কিন্তু এখন বাংলা খুঁজছি।
সাধারণ সামাজিক স্ট্রাকচারে বন্দী না, আসলেই অন্যরকম/ ডাইরেক্ট থিমের বাংলা বই এর নাম থাকলে পিডিএফ কিছু দেন ভাই।
ডাইরেক্ট একশন, ডাইরেক্ট হরর কিছুই পাচ্ছি না। অন্তত মাঝে মাঝে পেলেও খুব একটা মান সম্মত পাই না। অন্তত একটা সুপার হিরোও পাই না। আচ্ছা, গাড়ি বা রেস নিয়েও ত বোধহয় গল্প নেই। তা না থাকুক, নৌকা বাইচ নিয়ে আছে কী? এটাকে কেন্দ্র করে সামাজিক জীবন না, বরং এটা নিয়েই বই আছে কী?
আমি কিন্তু লেখার(পত্রিকা/ব্লগ) কথা বলিনি, বই এর কথা বলেছি। ব্লগে প্রচুর লেখা আছে, যা বাংলা সাহিত্যের জন্য একেবারেই নতুন ধারা। হাসান মাহবুব ভাই এর লেখার কথা ধরেন, মাঝে মাঝে খুব ভাল সায়েন্স ফিকশন দেখতাম আগে, সচুর ব্লগার হিমুর আদমচরিত পড়েছিলাম আগে। আরও অনেকেই, নাম মনে আসছে না।
যতই বই পড়ছি কাহিনীর ভেরিয়েশন ত আছেই, কিন্তু স্ট্রাকচারের এত মিল পাচ্ছি ক্যান সেটাই বুঝতেছি না।
আমাকে উদ্ধার করেন।
কয়েকদিন আগে গডফাদার রিভিশন দিলাম। পড়ার সময় তন্ময় হয়ে পড়ি। কিন্তু পড়া শেষে মনে হল কিছু একটা মিসিং। আচ্ছা, এত বড় গ্যাং চালায় এরা, একটাও ডাইরেক্ট একশনের ডাইরেক্ট বর্ণনা নেই। জেমস বণ্ডের মত না হোক, মুভমেন্টঅলা একশনও নেই। গড ফাদার সেভাবে যাবে না জানি, কিন্তু কাহিনী যেভাবে ডালপালা জোর করে গজিয়েছে শুধু একশন দেয়ার জন্যেও একটা ডাল বেশি হলে বেশ হত।
এমনকি পিস্তল বন্ধুকের বর্ণনাও নেই। গডফাদার সবাইকে বিশেষ পিস্তলের মডেল ঠিক করে দিলে, সেটা নিয়ে কাহিনী হলে জম্পেশ হত।
ভুল বুঝবেন না আবার, আমি কাহিনী খারাপ বলছি না। এত বড় লেখকদের পরামর্শও দিতে চাচ্ছি না। আর এটাকে বাংলা সাহিত্যও বলছি না। শুধু বলছি এ ধরণের মিসিং ভাবটা ইদানীং যে বইই পড়ছি বেশ টের পাচ্ছি (কপি পেস্ট মাসুদ রানা বাদে)। আমাকে উদ্ধার করেন। বই দেন, বই।
১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৪৮
আকাশ_পাগলা বলেছেন: বস, বই দিলেই ত হবে না।
কোন বই পড়ব সেটা একটু সাজেস্ট করবেন না ???
আমি এখনই রেজিস্ট্রেশন করছি।
[আপনি আমাকে আপনি করে বললে আমার কাঁদতে মঞ্চায়।]
২| ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫৩
নষ্ট কবি বলেছেন:
না নাই- হয়ত রহস্য পত্রিকা পরতে পারেন- অনেক আগের গুলা- কিন্তু এখন কার গুলা মান হারিয়েছে
১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫৯
আকাশ_পাগলা বলেছেন: না নাই ?? মানে?
এমনে বইলেন না ভাই। আছে নিশ্চয়। আমরা খোঁজ পাইনি। দেখছি, এবার রহস্য পত্রিকা কিনব।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: এই সাইটটায় বইয়ের প্রচ্ছদ এবং বই সম্পর্কে সামান্য বর্ণনা থাকে। সে কারণে সহজেই বোঝা যায় কোন্ বইটা ডাউনলোড করতে হবে।
আচ্ছা। এখন থেকে তুমি করেই বলব ।
১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০০
আকাশ_পাগলা বলেছেন: থ্যাঙ্কস বস।
আমি সাইটটা মুখস্ত করে ফেলব কিছুক্ষণের মাঝে। খাওয়াটা সেরে আসি।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০২
আকাশ_পাগলা বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের বাদশাহ নামদার আর মধ্যাহ্ন টাও কিন্তু পুরোপুরি আউট অব দ্যা বক্স। একেবারে পরিচিত ধ্যান ধারণার বাইরে ভিন্ন কনসেপ্টে লেখা।
এরকম লেখার লিংকু মিংকু কিছু দ্যান ভাইরা।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৫
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: ৪ নং মন্তব্য অনুযায়ী বিমল মিত্রের "বেগম মেরী বিশ্বাস" পড়ে দেখতে পারেন পড়া না থাকলে। দরিদ্র নিম্নবর্ণের "মরালী" থেকে নবাবের হেরেমের "মরিয়ম" হয়ে ক্লাইভের "মেরী" হওয়ার এক বিশাল কাহিনী।
১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৯
আকাশ_পাগলা বলেছেন: পড়া নাই। এখন থেকে তক্কে তক্কে থাকব। পেলেই খেয়ে ফেলব।
থ্যাংকু ভাই।
৬| ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৯
জানজাবিদ বলেছেন: কেন ফলেটের লেখা 'পিলার অফ দ্যা আর্থ' আর 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট এন্ড' পড়ে দেখতে পারেন।
১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৬
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আমি ত বাংলা সাহিত্য খুঁজতেছি ভাই।
পশ্চিম বাংলা হলেও চলবে তবে বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যে আউট অব দ্যা বক্স খুঁজতেছি।
আচ্ছা, আপনার বই গুলোও অবশ্যই পড়ব। কিন্তু এই মুহূর্তে বিদেশী বই পড়তে ইচ্ছা করছে না। নইলে সায়েন্স ফিকশান গুলো ত আছেই।
কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩১
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: একেবারে খাটি বাংলা হতে জন্ম নেওয়া সাহিত্য না হলেও "ফাউষ্ট" এর বাংলা অনুবাদটা পড়ে দেখতে পারেন। সবচেয়ে ভাল হয় মদ খাইয়া মাথা খানিকটা আউলা কৈরা পড়লে, তাইলে আসল মজা পাওয়া যাইব।
কৃষণ চন্দর এর বাংলা অনুবাদগুলাও সেইরকম।
ঠিক উপন্যাস না, অনেকগুলো ছোটগল্প নিয়ে আরেফিন বাদলের "বাছাই গল্প" পড়ে দেখতে পারেন। সার্জনের ছুরি চালানোর মত নিরাসক্ত ভাবে লেখা গল্পগুলো।
শওকত আলীর দেখা পাইছেন? উনার লেখা আমার কাছে চরম লাগে।
১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩৬
আকাশ_পাগলা বলেছেন: বাহ, বেশ কিছু বই এর কথা জানা গেল।
মনটা এখন শান্তি লাগতেছে।
শওকত আলীর দেখা পেলাম না। আমি ভার্সিটির এক বড় ভাইয়ার জন্য খোঁজ করছিলাম। আমি ব্যর্থ। উনিও খোঁজ পান নি বোধহয়।
ভাই, আপনার কাছে এগুলো পিডিএফ আছে?
বই মেলা ছাড়া চয়েস করা বই পাওয়া টাফ।
সবচেয়ে ভাল হয় মদ খাইয়া মাথা খানিকটা আউলা কৈরা পড়লে, তাইলে আসল মজা পাওয়া যাইব।
হাসতেই আছি।
১৩ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৩২
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আচ্ছা, এই বই গুলো কোথায় পাওয়া যেতে পারে?
৮| ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩৪
আইডিয়াল বলেছেন: The best laid palns by sidney sheldon এইটা পরে দেখতে পারেন । মুর্ছনা তে পাবেন বাংলা অনুবাদ। আমার খুব ভালো লেগেছে।
১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩৭
আকাশ_পাগলা বলেছেন: দেখেছি। আছে আমার কাছে। বেশ ভাল বই।
আমি আসলে বাংলা সাহিত্য চাচ্ছিলাম। বিদেশী স্বাদ নেয়ার জন্য একেবারে কিছু না হলেও আমাদের মাসুদ রানা ত আছেই। সেরা বই গুলোর নকল, তাই খারাপ লাগেনা । হা হা হাহা।
কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:৫১
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আমার কাছে পিডিএফ চাইয়া লাভ নাইরে ভাই। গত কয়েকবছর ধৈরা কুত্তাপাগল হৈয়া আমি বিমল মিত্রের "বেগম মেরী বিশ্বাস", আবুল বাশারের "ফুলবউ" আর বুদ্ধদেব গুহর "সবিনয় নিবেদন" খুজতাছি। বেগম মেরী বিশ্বাস কান্ধের ব্যাগে কৈরা এয়ারপোর্টে ঢুকছিলাম কিন্তু ওজনের কারনে আনতে পারি নাই। আমি কোন লেখকের যে বই চাই ঠিক ঐটা বাদে ঐ লেখকের আর সব অগা মগা চগা সব বই ইন্টারনেটে পাওয়া যায়, খালি আমারটাই থাকে না। ইমন ভাইয়ের সাইটে যাইয়া এরিখ মারিয়া রেমার্কের "তিন বন্ধু" পাইলাম। ফুসফুসে পিপড়ার ডিমের কথা আবার পড়ব।
১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:০৭
আকাশ_পাগলা বলেছেন: হ, এরিখ আংকল একটা বস।
অল কোয়াএট ইন ওয়েসস্টার্ন ফ্রন্ট -- এত ভাল বই আংকল যে কিভাবে লিখল !! আবার আরও একটা কী যেন আছে, ঐ যে অই কাহিনী থেকে ফেরত আসছে যে সেটা নিয়ে। হঠাৎ করে পড়লে সিকুয়েল লাগে।
ওরে কাহিনী, ওরে বই !!
১০| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:৫৬
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আমার অধিকাংশ বই পল্টন থিকা কিনা। কিন্তু এখন আর পল্টনের ঐ অবস্থা নাই। আপনি নিউ মার্কেটে ঘুইরা দেখতে পারেন।
১১| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৩৮
মশিউর মামা বলেছেন:
ভাই , একান্ত নিজের কিছু কথা বলি | মাইন্ড কইরেন না |
প্রাকৃতিক মুক্তা ক্যামনে আহরণ করে জানেন ? শত শত ঝিনুক খুইজা একটা পাওন যায় | এই কারণে সেইটা হয় দামী | এই শত ঝিনুকের মাঝে খুইজা মুক্তা পাওয়ার যে আনন্দ এইটা কেবল সেই বোঝে যে এই কাজ করে | এই আনন্দ কিন্তু ওই স্বর্ণকার পায় না যে ওই সব দামী মুক্তা কিনা নিয়া তা দিয়া অলংকার বানায় |
বই পড়ার আগ্রহ আছে খুব ভালো কথা | আউট অফ বক্স না খুইজা নিজের আনন্দে যেইটা পান পড়তে থাকেন | বেশির ভাগ বই খারাপ থেইকা মোটামুটি মানের | অল্প কিছু আছে ভালো | অতি নগন্য সংখ্যক বই অসাধারণ | খারাপ বই পড়তে পড়তে যেদিন ওই অসাধারণ বই পড়বেন সেদিন যে আনন্দ পাবেন তার কোনো তুলনা নাই | তখন মনে হবে ১০ টা বাজে বই পড়ার জন্য যে সময় নষ্ট হইছে ১ টা ভালো বই টা পুষাইয়া দিছে | কেবলমাত্র অসাধারণ বই পড়লে কোনো দিন সে মজা বুঝতে পারবেন না | খারাপ আছে দেইখাই ভালোর এত কদর |
অহেতুক উপদেশ দিলাম মনে করলে সরি |
১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:০৫
আকাশ_পাগলা বলেছেন: যারা মুক্তা খুঁজে ঐটা দিয়ে তাদের পেট চলে। তাই সারাদিন অইটা নিয়ে পড়ে থাকতে পারে।
বই পড়ার জন্য আমি সময় দিতে পারি, কিন্তু ২ বছর লাগিয়ে খোঁজার জন্য না। বই কীনে অন্য কেউ দেউলিয়া হয়েছে কী না জানিনা, তবে আমি বেশ কয়েকবার ধরা খেয়েছি।
আর আমি ত ভাল বই না, ডাইরেক্ট থিমের উপর বই খুঁজছি। এখন ওমন বই পড়ার মুড আছে বলেই। ভাল বই এর ত অভাব নেই, কিন্তু বাংলা সাহিত্যে আউট দ্যা বক্সের অভাব বেশ ভালই টের পাচ্ছি।নিজে নিজে খুঁজলে এদিকটা অপূর্ণই রয়ে যাবে।
কমেন্টের জন্য থ্যাংক্স।
১২| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:০৮
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আগে বলেন, বাংলাদেশের কোন সুপার হিরো নাই ?
১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:২২
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: এই মুহুর্তে সেরকম কিছু হাতে নাই। পেলে দিয়ে যাবনি।
১৩ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আচ্ছাহ।
১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:২৪
মশিউর মামা বলেছেন:
এই লিঙ্কে ক্লিক কইরা লেখক মাসকাওয়াথ আহসানের - মৃত্যুর শহর, বিষন্নতার শহর বই দুইটা পইড়া দেখতে পারেন | লেখকের লেখার হাত ভালো | ভালো লাগলে জানাইয়েন |
Click This Link
১৩ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৪২
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আচ্ছা পড়ব।
ডাউনলোডে দিয়েছি।
রবে রিভিউ পড়ে ত আরও বেশি সামাজিক লেখা মনে হল !!
আউট অভ দ্যা বক্স মানে ত খুব ভাল না, খুব ডিফারেন্ট বুঝায়।
যাক গা, পড়ে আমিও রিভিউ দিবক্ষণ (অবশ্যই ব্যক্তিগত মতামত)।
১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৩৩
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আমারো তাই মত। আপনার পোস্টের লিঙ্ক রেখে দিলাম। খেয়াল রাখতে হবে নতুন কোন বইয়ের নাম পাওয়া যায় কি না। আমিও ভীষণ বই পোকা। আপনি কোন ভালো বই পেলে আমাকে জানাবেন কিংবা ব্লগে পোস্ট দিবেন
১৩ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আচ্ছাহ।
আমি ভাবছি আমাদের দেশের জন্য একটা সুপার হিরো তৈরি করলে কেমন হত !! এট লিস্ট ব্যাটম্যানকে বাংলাদেশ একবার ভিজিট করিয়ে নেই !!
১৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৩০
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: কে লিখবে?
১৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
িনদাল বলেছেন: পুরোপুরি কল্পনা বা সাধারণ সামাজিকতার বাইরে বলা যায় সায়েন্স ফিকশন গুলোকে। জাফর ইকবালের গুলোকে না ধরাই ভাল। মাসুদ রানার মত সেই প্রবলেম। যদিও আমি ব্যক্তি আর লেখক দু হিসেবেই খুব ভক্ত, সম্মান করি, তবে ইদানীং বেশ কিছু ইংলিশ বই থেকে উনার আগের এবং বর্তমান অনেক লেখার মাত্রাতিরিক্ত মিল পেয়ে হতাশ।
তবে, সায়েন্স ফিকশন মোটামুটি আউট অব দ্যা বক্স।
কোন কোন বইয়ের মিল পেয়েছেন বইয়ের নাম আর আরিজিনাল বইয়ের নামসহ একটু জানাবেন ?
১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৩২
আকাশ_পাগলা বলেছেন: বল্টু ফল্টু মিংকি পিংকি দিয়ে কিশোর এডভেঞ্চারের মত যেসব সাই-ফাই লিখেছেন, তার সবগুলো বাদ দিলাম। কারণ এগুলো মূলত বেশির ভাগ একই থিমের উপর।
শক্তিশালী সাইন্স ফিকশান হিসেবে যা যা পরিচিত তার অর্ধেকই -- কপি করা দ্যা স্পেস অডিসি ২০০১ থেকে। মজার ব্যাপার হল স্পেস অডিসি ২০০১ এর পর পর কয়েকটা পাতা থেকে জাফর স্যারের কয়েকটা গল্প বেরিয়েছে। শুধু যে কাহিনীর মিল তাই না, এমনকি মূল কম্পিউটারের কালারের কথা একবার এসেছিল, সেটাও একই।
এরপরে আলেকজান্ডার বেলায়েভের উভচর মানুষ বা এম্ফিবিয়াস ম্যান থেকেও উনার মোটামুটি নতুন ২টা সাই ফাই হুবহু কপি। এমনকি ঘটনা স্থানের মিলও এক্কেবারে কপি পেস্ট।
জাফর স্যার আমার খুবই প্রিয় লোক বলে আমি নোট করে রাখিনি। তবে আমি যে বই এর নাম দিলাম, পড়লে আপনি নিজেই বুঝবেন।
১৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০২
সাইকোপ্যাথ্ বলেছেন: শিব্রাম সমগ্র পড়ে দেখতে পারেন।নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদা,সমরেশের সাতকাহন,বিভুতিভুষণের বই,শরৎ এর শ্রীকান্ত/শরৎ সমগ্র।আপাতত আর মনে করতে পারছিনা।
১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:২৬
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ওই মিয়া এগুলি শ্যাষ। এগুলি না পড়ে কী বললাম যে বই পড়ি !!!
আমি ত ভাল বই না, একটু ডাইরেক্ট একশন বই/ আউট অভ দ্যা বক্স স্ট্রাকচারের খুঁজতেছি।
যা বলছেন তার মাঝে বিভূতিভূষণ এর দৃষ্টিপ্রদীপ টা একটু অন্যরকম। আর অরণ্য নিয়ে নামের কী যেন একটা অন্যরকম।
বাকি সব যা আছে, সবই সেইম সামাজিক স্ট্রাকচারের ভিতরে।
১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৩৭
লিটল হামা বলেছেন: আমার অনলাইনে বই পড়ে অভ্যাস নাই। কয়েকটা ভালো অনুবাদের নাম বলি কাজি আনোয়ার হোসেনের।
পঞ্চ রোমাঞ্চ
ছয় রোমাঞ্চ
ছায়া অরণ্য
তিনটি উপন্যাসিকা
গৌরকিশোর ঘোষ এর দুইটা বই,
কমলা কেমন আছে
তলিয়ে যাবার আগে
আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের
সোনার হরিণ নেই
আনিসুল হকের একদম প্রথম দিকের দুইটা বই
অন্ধকারের একশ বছর
ফাঁদ
খুঁইজা বের কৈরা পড় নেটের কোন চিপায় আছে জানিনা
১৭ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:০২
আকাশ_পাগলা বলেছেন: শেষের কয়েকটা বাদে বাকি গুলি পড়া।
আচ্ছা, শেষের গুলা খুঁজতেছি।
হার্ড কপি থাকলে দেন না !! এত কাছের বাসায় থেকে বই ধার না দিলে আর হল টা কী !! সাই ফাই পড়লে আমার থেকে নিয়েন।
২০| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:০৪
িনদাল বলেছেন: রিপ্লাই দিতে অনেক দেরী হয়ে গেল। উভচর মানুষ বইটা আমার বাসায় ছিল, কাজের সময় আর খুঁজে পাই না। কিনতে গিয়েও অনেক জায়গা ঘুরে অবশেষে পেলাম।
এরপরে আলেকজান্ডার বেলায়েভের উভচর মানুষ বা এম্ফিবিয়াস ম্যান থেকেও উনার মোটামুটি নতুন ২টা সাই ফাই হুবহু কপি। এমনকি ঘটনা স্থানের মিলও এক্কেবারে কপি পেস্ট।
আপনি জাফর ইকবাল এর বইগুলোর নাম বলেন নি। আমি খুঁজে কাছাকাছি থিমের একটাই বই পেলাম, জলমানব।
দুইটার মধ্যে মিল হচ্ছে ২ টার হিরোই উভচর আর দুই জনেই ডলফিনে চড়ে।
হুবহু কপি করার প্রশ্নই আসে না ২টার থিম পুরাই আলাদা।ঘটনাস্হল ও ডিফরেন্ট। আসল টা বর্তমান সময়ের পটভূমিতে লেখা, আর জাফর স্যারের টা ভবিষ্যতের। ফিনিশিং পুরাই আলাদা।সবচয়ে বড় অমিল হচ্ছে উভচর মানুষ একটা শিশুতোষ গল্প, আর জাফর স্যারের টার একটা ইনার মিনিং আছে। এখানে জলমানব পুরো একটা জাতি, জাস্ট একজন না; যারা প্রতিনিধিত্ব করছে ৩য় বিশ্বের। এই কনসে্প্ট নিয়ে জাফর স্যারের আরও বই আছে, একটাতে সম্ভবত ছিল গরীবরা আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকে এই টাইপ।
এখন জাফর স্যারের আরেকটা বই আছে ইকারাস, এখন আপনি যদি বলেন এটা গ্রীক মিথোলজি থেকে কপি, কারণ দুজনের পাখা আছে, তাহলে তো হবে না। বা আপনি যে সায়েন্স ফিকশন লেখেন সেখানে কপোট্রন, এটমিক ব্লাস্টার এগুলোর কথা আছে তার মানে আপনি জাফর স্যার থেকে কপি করেছেন.........................................
আর আপনি যেহেতু জাফর স্যারের ফ্যান, লজিক্যালি যদি চিন্তা করে দেখেন, উভচর মানুষ হচ্ছে বাংলাদেশে সর্বাধিক পঠিত সাই ফাই গুলোর মধ্যে একটা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যে স্কুল কার্যক্রম আছে, সেখানে ৭/৮ এর বা্চ্চাদের এই বইটা পড়তে দেয়া হয়, যারা জাফর স্যারের সবচেয়ে বড় পাঠক। যদি আমি ধরেও নেই যে উনি কপি করবেন ঠিক করলেন, উভচর মানুষ এর মত এত জনপ্রিয় একটা বই থেকে কি কপি করবেন ? উনি তো চাইলেই এমন সব জায়গা থেকে কপি করতে পারেন যেটা আমাদের পক্ষে ধরা অসম্ভব। একবার পড়েছিলাম ওনার প্রিয় সাই ফাই লেখকদের মধ্যে একজান হচ্ছেন মিচিও কাকু, যিনি ফিজিসিস্ট। ওনার বই আপনি বাংলাদেশে পাবেন না। এত কিছু রেখে...............................
একই কথা স্পেস অডিসির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তারপরও আপনি যখন বলেছেন আমি ওইটাও পড়ে দেখব। সমস্যা হচ্ছে নিলক্ষেতে ২ বার গিয়েও বইটা পাইনি। এখন পিডিএফ নামাতে হবে। এখন এত বড় বই পিসির সামনে বসে পড়লে তো মরে যাব, আপনি যদি একটু কষ্ট করে পেজ নাম্বারটা একটু মেনশন করে দিতেন। আর পিসির কালারের যে কথা বললেন, ওটা জাফর স্যারের কোন বইয়ে আছে......................................
এটা নিয়ে এত চেতে যাওয়ার কারণ হচ্ছে আমি সামুতে এটা নিয়মিত দেখি জাফর ইকবালকে নিয়ে কিসু লিখলেই শুরুতে যেটা লেখে সেটা হচ্ছে উনি নাকি কপি পেস্ট করেন। আমার মনে হয় এটার মাধ্যমে ওনাকে যতখানি অপমান করা হয় অন্যকিছু বল এতখনি করা যায় না(যদিও কাউকে কখনো কোন প্রমাণ দিতে দেখি না)। যিনি মানুষ হিসেবে এত ভাল তিনি কখনোই চুরি করবেন না, এটা গ্যারান্টেড। তাদের কাছে প্রমাণ চেয়ে একটা পোস্ট দেয়ারও ইচ্ছা আছে, তাই হোমওয়ার্ক করে নিচ্ছি।
২৫ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:০৮
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আপনি উভচর মানুষের শিশুতোষ ভার্সন হয়ত পড়েছেন। হা হা হা।
নাহ, একজন লেখকের বেলায় "হুবহু কপি পেস্ট" কথাটার মিনিং হচ্ছে সে ৫০% কপি করেছে। জাফরস্যার একজন বড় মাপের লেখক, তিনি একটা লেখার এদিক সেদিক পরিবর্তন করে ঘুমিয়েও ৫০% পরিবর্তন করতে পারেন। এক, সময় ২, পটভূমি পরিবর্তন করলেই কাহিনী আপনার কাছে অনেক অপরিচিত মনে হবে।
আমি জানিনা আপনি লেখেন কী না, কিন্তু অভ্যাস থাকলেই বুঝার কথা যে এটা ইচ্ছাকৃতভাবে আরেকজনের লেখার উপর কেরিকেচার।
ইকারাস গ্রিক মিথোলজি থেকে না, এটাও উভচর মানুষ থেকেই কপি। আর জলমানবও। দুটোই। লেখকদের কপি করা মানে এটাই।(১) থিম টা কপি হবে -- এটাকে নকল ধরা হবে কী না নির্ভর করে কোন থিম মিলল তার উপর। (২) থিমের আগমন ও অভন্তরীন পরিস্থিনি কপি হবে - -বড় মাত্রার নকল।
একটা একটা করে বুঝাই।
(১) যেমন ধরেন, আপনি স্পাইডার ম্যান বা আলিফ লায়লা বা হ্যারি পটার এর নতুন এডভেঞ্চার নিয়ে লিখলেন। এটা নকল না, কারণ আপনি উলটা এক্সপেক্ট করছেন যে পাঠক আগে থেকেই স্পাইডার ম্যানকে চেনে। তারা ওর নতুন এডভেঞ্চার উপভোগ করবে।
কিন্তু এখন আপনি যদি লা মিজারেবল,হিমু এর থিম কপি করেন?অথবা স্পাইডারম্যানকে নিয়েই নতুন কিছু না করে আপনি "রশিমানব" নামের আরেকটা হিরো তৈরি করেন? তাহলে এটা স্পষ্টত নকল। পোশাকি বাংলায় "অনেক বেশি অনুপ্রাণিত।"
(২) ধরা যাক আপনার বানানো নতুন হিরো রশিমানব এর বাবা মা মৃত। সে আংকেলের কাছে বড় হইছে। সেও মরছে, তার আন্টির কাছে এখন সে থাকে। সে অর্থকষ্টে ভুগে।
এমন সময় হল কী, এক ল্যাবে যেয়ে কী একটা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার্ড মাকড়সা/টিকটিকি/অপরিচিত পোকা তাকে কামড় দিল আর সে "রশিমানব" হয়ে গেল।
দাঁড়ান, সে আবার খুব ভাল ছাত্রও। হাবিজাবি আরও।
এখন?? স্পাইডারম্যানকে ত কপি করলেনই (নিজের সৃষ্টি রশিমানব হিসেবে) আবার তার কাহিনীও মেরে দিলেন।
ওয়েইট, আপনি ত লেখক, বেশ গুণী লেখক। আপনি আরও একটু কাজ করলেন। স্পাইডির গার্লফ্রেন্ড ছিল, রশিমানবের নাই। স্পাইডি নিউওয়র্কে থাকে, রশিমানব ঢাকায়। তাই তার বাসার সামনে জ্যাম পড়ে, সে মাঝে মাঝে ধোঁয়ায় কষ্ট পায়। সীসা বাতাসে লুকিয়ে থাকতে তার ড্রেস সীসা রঙের। সে ঘণ্টায় ঘণ্টায় ব্যংক ডাকাতকে ধরে না, বরং রাজনৈতিক দলের নেতাদের ধরে।
এই শেষ লাইনে এসে বাজিমাত। এখন আপনি ইনার মিনিং পাবেন, প্রেক্ষাপট আর এন্ডিং পুরাই চেঞ্জ হয়ে যাবে।
কাহিনীর এখন অনেক ফারাক হয়ে গেল, কিন্তু এটা কী মৌলিক লেখা হল? মাসুদ রানাতে অনেক বই আছে, এর চেয়ে বেশি মৌলিক। জাফর স্যার দুই এঙ্গেলেই আটকে যান। আপনি বলতে চাইনা উনি ইচ্ছাকৃত ভাবে করেন, বরং এটাই ভাবতে চাই যে মনের ভিতর থেকে পড়া বইগুলার থিমই উনার চলে আসে। এটাকে নিজের থিম মনে করেই কাজ করে যান। হয়ত বয়স হয়েছে, তাই বেশির ভাগ লেখাই এমন হচ্ছে।পছন্দের একজনকে, অন্তত যার বই পড়ে বড় হয়েছি, তাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে নকলবাজ কখনই ভাবতে চাইনা।
২১| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৩১
িনদাল বলেছেন: আপনার পোস্টের ব্যাপারে কোন কমেন্ট করা হয় নাই। আসলে আউট অফ দ্যা বক্স বলতে কি বুঝিয়েছেন সেটা আমার কাছে ক্লিয়ার না। কমেন্টের রিপ্লাই এ আপনি কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন, সেটা পড়ে যা বুঝলাম তাতে বলতে হয়, ব্যাপারটা পুরাই আপেক্ষিক। একই বই আপনার কাছে আউট অফ দ্যা বক্স মনে হতে পারে, আরেকজনের কাছে অর্ডিনারি।
আমি কিছু বই এর নাম বলতে পারি যেগুলো আউট অফ দা বক্স কিনা জানি না, তবে ডিফরেন্ট ধরনের। প্রথমে বলতে হবে মতি নন্দী;র কথা, বাংলা ভাষায় খেলাধুলা নিয়ে সবচেয়ে ভাল লেখক আমার মনে হয়েছে ওনাকে। ক্রিকেট, ফুটবল, সাঁতার, টেনিস এরকম আরো অনেক খেলা নিয়ে লেখা উপন্যাস আছে। ওনার একটা ক্যারেক্টারও আছে যাকে নিয়ে সিরিজ উপন্যাস লিখেছেন, কলাবতী।
আপনি নিলক্ষেতে গিয়ে ১৪০০/১৪০২ সাল থেকে ১৪০৮/১৪১০ সাল পর্যন্ত আনন্দমেলা (আনন্দলোক না কিন্তু) পূজাসংখ্যা কিনবেন, একেকটার দাম এরাউন্ড ৪০ টাকা রাখা উচিত। প্রত্যেক টার মধ্যে একটা করে মতি নন্দীর উপন্যাস পাবেন। সাথে ফ্রি পাবেন শীর্ষেন্দুর লেখা অদ্ভুতুড়ে সিরিজের একটা করে উপন্যাস। এই টাইপের গল্প বাংলায় মনে হয় একমাত্র উনিই লিখেছেন। একই গল্পে ভূত আর সাই ফাই।
এছাড়া ডিফরেন্ট গল্পের মধ্যে সন্জীবের লোটাকম্বল পড়ে দেখবেন। নিলক্ষেত প্রিন্ট এভেইলেবল।
সৈয়দ মুজতবা আলী তো নিশ্চই পড়েছেন। চাচা কাহিনী, হিটলার, দেশে বিদেশে।
শাহাদুজ্জামানের ক্রাচের কর্নেল বইটা পড়ে পারেন। ড: আবদুর রাজ্জাকক নিয়ে লেখা আহমেদ ছফার যদ্যপি আমার গুরু পড়তে পারেন, অনেক মজার মজার ইনফো পাবেন।
ব্যোমকেশ বক্সী তো পড়েছেন, এটা পড়ার পর ফেলুদা বাচ্চাদের মনে হবে। নিলক্ষেতে পাবেন।
আর আপনি যেহেতু অ্যানিমের ভক্ত, গ্রাফিক নভেল ডাউনলোড করে পড়ে দেখতে পারেন। অনেক জনপ্রিয় মুভির কাহিনী গ্রাফিক নভেল থেকে নেয়া, যেমন ভি ফর ভ্যান্ডেটা, ৩০০, ওয়াচম্যান, দ্যা লিগ অফ এক্সট্রা অর্ডিনারি জেন্টেলম্যান, সিন সিটি...................................
আর মাসুদ রানা নিয়েও কথা ছিল, এখন আর তেল নাই, পরে লিখব।
২৫ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:২২
আকাশ_পাগলা বলেছেন: থ্যাংক্স। আমার অবশ্যই মাথায় থাকবে। এত ইনফরমেটিভ কমেন্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আউট অভ দা বক্স বলতে আমি কী বুজিয়েছি আবার বুঝানোর চেষ্টা করি।
ধরা যাক, বোমকেশ বক্সী। এটা দারুণ একটা গোয়েন্দা কাহিনী ত বটেই। কিন্তু এর প্রেক্ষাপট টা দেখেন। একেবারে আমাদের ভিতর এনে দাঁড় করানো,তাই না? বা চাচা কাহিনী?
সাধারণের চেয়ে এগুলো অন্যরকম বটেই, কিন্তু আউট অভ দ্যা বক্স না।
ধরেন, ফেলুদাতে অস্ত্রের বর্ণনা কেমন পেয়েছেন? ফেলুদার অস্ত্র ব্যবহার হল কয়বার?
এবার আসেন মাসুদ রানায়। ধরে নিন, সবই মৌলিক। এর পটভূমি আমাদের মাঝে হলেও কাহিনী আমাদের কল্পনা করতে শেখায়। অন্যজগতে নিয়ে যায়। এর মাঝে ইকুইপমেন্টের বর্ণনা, যন্ত্রের বর্ণনা সবই আপনাকে আপনার চারপাশের অবস্থা থেকে বের করে আনবে।
টম এন্ড জেরি ত সবাই দেখেছে। দেখার সময় কী আপনার মনে হয়েছে, আরে বিড়াল কী এভাবে দৌড়ায়, ইদুর কী গাড়ি চালায়? না মনে হওয়ার কথা না। আপনি এভাবেই মেনে নিয়েছেন। এটার নাম আউট অভ দ্যা বক্স।
খেলা নিয়ে লিখলে তাও অবশ্যই এই ক্যাটাগরীতে পড়ে। সুপার হিরো নিয়ে লিখলেও। একোটা লেখা পড়ার সময় নিজেকেই হিরো মনে হতে থাকে। সেই হিরো যখন এমন হবে, আমি ত নয়ই আমার পরিচিত কারও পক্ষেই এই হিরো হওয়া সম্ভব না, তখন বোধহয় আউট অভ দ্যা বক্স বলা যায়।আমরা হিমুকে ধরতে পারি, মাসুদরানা, স্পাইডারম্যান; এমনকি প্রফেসর শংকুও। কিন্তু মিসির আলীকে সেভাবে ধরা যাবে না, কারণ উনি বাক্সে মানে সাইকোলজিরই টিচার। উনারা এই ধরণের বুদ্ধি রাখতেই পারেন। কিন্তু হিমুকে আপনি মেনে নিয়েছেন কোন যুক্তি ছাড়াই।
চেষ্টা করছি বুঝানোর।
মতি নন্দীর বেশ কিছু লেখা আমি পড়েছি।
কয়েকটা খুব ভাল্লাগছিল।
ওহ, আরেকটা জিনিস।
ফেলুদার মত বোরিং আর কিছু হতে পারে না।
২২| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৪০
িনদাল বলেছেন: আপনি ডাইরেক্ট একশন চেয়েছিলেন, একটা এইমাত্র মনে পড়ল, শীর্ষেন্দুর বিকেলের মৃত্যু
২৫ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:২৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আইচ্ছা।
হুমায়ূন আহমেদেরও খুব ভাল একটা বই আছে।
একদম মাসুদ রানার মত।
২৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৬
িনদাল বলেছেন: আমি সেবার অনুবাদ টা পড়েছি, আ্যমফিবিয়ান ম্যান, রুপান্তর: কাজী মায়মুর হোসেন।
আপনার কথা একেবারেই মানতে পারলাম না। উভচর মানুষ অবশ্যই একটা শিশুতোষ বই। কমন একটা ফরম্যাট, নায়ক এর সুপার পাওয়ার আসে, সে নায়িকাকে পছন্দ করে, এক দুষ্ট লোক নায়িকাকে বন্দী করে নায়ককে ব্যাবহার করতে চায়। আপনার থিওরি অনুযায়ী এইটা আলাদিন, হারকিউলিস এর হুবহু কপি।
এবং হুমায়ুন আহমেদ এর সামাজিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে শুধু প্রথমটা অরিজিনাল, বাকি সবগুলা সেইটার কপি।
আর রশিমানব এর যে উদাহরণ দিয়েছেন, ব্যাংক ডাকাত না নেতা ধরে, তাই ইনার মিনিং আছে, জলমানব আর উভচর মানুষ এর ডিফারেন্স মোটেও এত সিম্পল না। জলমানব বইটা যদি কাছে থাকে কষ্ট করে আরেকবার পড়ে দেখেন। জলমানব জাস্ট একটা রুপক। জাফর স্যারের সাই ফাই এ এই জিনিস টা কমন যে ভবিষ্যতে আলাদা দেশ থাকবে না, গোটা একটা জাতি থাকবে। ১ম বিশ্ব ৩য় বিশ্বকে শোষণ করতেই থাকবে, যেহেতু রিসোর্স কমে আসবে, এটা এক্সট্রিম পর্যায়ে পৌছে যাবে। এক পর্যায়ে ১ম বিশ্ব টেকনোলজির উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে যাবে, তখন ৩য় বিশ্ব বেসিক সায়েন্সের ব্যাবহার করে কামব্যাক করবে। এটা বলতে পারেন জাফর ইকবালের সিগনেচার মুভ, এই থিম আরও অনেক গল্প আছে, যেমন একটা আছে ৩য় বিশ্বের লোকজন থাকে আন্ডার গ্রাউন্ডে, তাদের কোন সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় না, মাঝে মাঝে হঠাৎ করে তাদের মাঝে খুব বুদ্ধিমান একজনের জন্ম হয়, তখন ১ম বিশ্ব তাকে উপরে নিয়ে আসে........................................
আমি যেটা বলতে চাচ্ছি বইটার মেইন ফোকাস মোটেও জলমানব না, উপরে যেটা লিখলাম এই ব্যাপারটা।এই জিনিস উভচর মানুষে কোথায় ??
এখন এটা যেহেতু সায়েন্টিফিক কোন জিনিস না, আমি এটা প্রমাণ করে দেখাতে পারব না। তবে আমি কনভিন্সড না ( প্লিজ বলবেন না আপনি কনভিন্সড হতে না চাইলে কেউ কনভিন্স করতে পারবে না, আমি একগুঁয়েমি করছি না)। আর জাফর ইকবাল স্যারের বইয়েই আছে পৃথিবীর সব গল্প ইতিমধ্যে লেখা হয়ে গেছে, এখন সেগুলোকে নতুন করে লেখা হচ্ছে, এখন যেই গল্প বের হোক না কেন, আপনি সেটাকে পুরনো কোন একটা সাথে রিলেট অবশ্যই করতে পারবেন।
আর জাফর স্যার কপি করতে চাইলে/ ইন্সপিরেশন নিলে কত জোস গল্প বানাতে পারেন তার প্রমাণ আছে আধুনিক ঈশপের গল্প বইটাতে। তিনি ইন্সপিরেশন নিলে সেইরকম বই বের হত, যেমন আপনি হুমায়ুন আহমেদ এর যে একশন বইয়ের কথা বললেন সেটা সম্ভবত সম্রাট বা অমানুষ, দুইটাই "কপি করা"।
যাই হোক, আপনি যদি পারেন স্পেস অডিসি নিয়ে আরেকটু ডিটেইলস এ দিয়েন, ঐ যে কম্পিউটারের কালারের কথা বললেন হুবহু কপি। একটু পড়ে দেখতাম।
২৬ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:১১
আকাশ_পাগলা বলেছেন: স্পেস অডিসির বিস্তৃতি অনেক ব্যাপক।
সেখান থেকে একটা গল্প কপি করা ইম্পসিবল।
বিভিন্ন ছোট ছোট থিম নেয়া। তবে, এমন ভাবে নেয়া আমার অন্তত মনে হয়েছে যে এখান থেকেই নেয়া।
অত বড় বইয়ের পৃষ্ঠা নাম্বার কী করে বের করব? তবে, প্রথম পার্ট, এটা মনে আছে।
তবে, জলমানব, ইকারাস যদি আপনার কপি না লাগে, ঐটা ত লাগার প্রশ্নই উঠেনা।
বৃথা খুঁজেন না থাক।
২৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
িনদাল বলেছেন: আর আউট অফ দ্য বক্স নিয়ে আমার এক ব্লগার ফ্রেন্ড এর কথাটা কোট করি, "আপনার ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী বাংলা সাহিত্যে আউট অফ দ্যা বক্স বই একটাই আছে, ঠাকুরমার ঝুলি
আমার মাথায় আরেকটা আসল, রামায়ণ, মহাভারত। পুরাই আউট অফ দ্যা বক্স।
মাসুদ রানার বই আপনার কাছে আউট অফ দ্য বক্স মনে হচ্ছে কিন্ত যেই দেশের লেখক এটা লিখেছেন সেই দেশের মানুষে কাছে মোটেও মনে হচ্ছে না। রানার আফ্রিকা সিরিজ নেয়া হয় উইলবার স্মিথ র বই থেকে, উনি এগুলো চোখের সামনে দেখেছেন, তাই লিখেছেন। অন্যান্য গুলোও এরকম।
আর আমার আগের কমেন্ট গুলোতে সুপার হিরো নিয়ে যা লিখেছিলেন, আমেরিকা বা জাপানে যে এইসব বই যের হচ্ছে তার কারণ হচ্ছে ঐ সব দেশের কালচার। একজন লেখক তার চারপাশে যা দেখেন টা নিয়েই গল্প বানান। ঐ সব দেশের লেখকরা সুপার হিরো সামনা সামনি দেখেন না, কিন্তু বাকি বিশ্বের তুলনায় তাদের টেকনোলজি এত এডভান্স থাকে যে তারা এটা সহজেই কল্পনা করতে পারেন। আর একজন এই টাইপের একটা ফরম্যাট এস্টাবলিশ করার পর ঐ ফরম্যাট এ লেখা সোজা, যেমন হুমায়ূন আহমেদ এর ফরম্যাটে এখন এই দেশে অনেকেই লেখেন, কিন্তু অন্য ভাষার, ইভেন ইন্ডিয়ার সাহিত্যে এই টাইপের বই পাবেন না।
২৬ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:১৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: হ্যা সেটাই।
এটা ঠিক বলেছেন।
আমি ঠাকুরমার ঝুলিকে তাই ভাবি।
কিন্তু বলতে ভয় পাচ্ছিলাম।
রিসার্চ করলেই লেখা সম্ভব। কালচার লাগে না। কালচার সাপোর্ট করলে সংখ্যা বাড়বে, না করলেও শুধু লেখার নেশা থেকে লেখা যায়। ব্লগ তার শ্রেষ্ট উদাহরণ।
২৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
আমি সুফিয়ান বলেছেন: আগের মন্তব্যটা মুছে দিয়েন..
ভাই কিছু মনে করবেন না, আপনি বলছিলেন আুউট অব বক্স বইয়ের কথা। আমি প্রথমে বুঝতেই পারলাম না, জিনিসটা দিয়ে আপনি কি বুঝিয়েছেন।এখনআপনি কমেন্টে কিছু বুঝাবার চেস্টা করলেন আর আমি নিজে থেকে কিছু বুঝতে চেস্টা করলাম।
এর পটভূমি আমাদের মাঝে হলেও কাহিনী আমাদের কল্পনা করতে শেখায়।
তাহলে কি মুজতবা আলীর বই গুলা আপনাকে কল্পনা করতে শেখায় না? অন্য দেশ, অন্য একটা সময় নিয়ে আপনার মনে কি একটু ও আগ্রহ জন্মায় না?
আপনি ওয়েস্টার্ন বইগুলো পড়ে দেখেন, আমাদের জানাশোনা আর সব কিছু থেকে আলাদা।হতে পারে সেগুলা কোথাও থেকে কপি পেস্ট করা, তবু অন্যরকম।
সেই হিরো যখন এমন হবে, আমি ত নয়ই আমার পরিচিত কারও পক্ষেই এই হিরো হওয়া সম্ভব না, তখন বোধহয় আউট অভ দ্যা বক্স বলা যায়।
আপনার মতে আউট অব বক্স হবে তাহলে ফ্যান্টাসি বই গুলা, কারন আমি যতই হ্যারি পটার এর প্রতিটি গল্প মুখস্ত করি না কেন বা আমার নিজের জন্য একটা চরিত্র তৈরি করি না কেন; আমি জানি বাস্তবে তা সম্ভব নয়।
আমি নিজে ফ্যান্টাসি বইয়ের মহা ভক্ত। লর্ড অব দ্য রিংস পরে আমি নিজে জে আর আর টকিয়েনের বাকি বই গুলা আনিয়েছি ইংল্যান্ড থেকে পড়ার জন্য।এখন আপনি যদি ফ্যান্টাসীকেই আউট অব বক্স বলেন তাহলে আমি বলব আশা ছাড়েন, ঠাকুর মার ঝুলি, রামায়ন, মহাভারত ছাড়া আর কোনো বাংলা বই কেই আপনি আউট অব বক্স বলতে পারবেন না
২৬ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৪৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: হমমম, আপনি ৮০% কাছাকাছি চলে গেছেন।
থ্যাঙ্কস।
তবে শুধু ফ্যান্টাসী না (আপত দৃষ্টিতে যদিও তাই মনে হয়), ধরেন নৌকাবাইচ নিয়ে যদি চরম একটা লেখা থাকত, এডভেঞ্চারে ভরা, বা ধরেন এভারেস্টে উঠা নিয়েই -- ফ্যান্টাসী না হলেও কিন্তু আমার শর্তগুলো মিলে যায়। তাইনা?
আমি জানি আমি কখনই নৌকাবাইচের হিরো হব না।
আমি ভাবছিলাম ব্লগে এত আউট অভ বক্স লেখা দেখি, বইয়ে থাকবে না এটা কেমন কথা !!
২৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৫০
আমি সুফিয়ান বলেছেন: ব্লগে আপনি আউট অব বক্স লেখা দেখেন কারন তার পাঠক আছে.....
একজন প্রকাশক যখন বই প্রকাশ করবে,তখন কিন্তু ব্যবসা স্বার্থটাই বড় করে দেখবে। তাই এ ধরনের বই আসে না,।
আর ব্লগে যেই লেখা দেখেন সেগুলো বেশি হলে কিন্তু ২/৩ পেজ হবে.... আসল বই কিন্তু অনেক বড় প্রেক্ষাপট নিয়ে লিখতে হবে...
আর আমাদের ভৌগোলিক অবস্থার ও মনে হয় কোন প্রভাব রয়েছে, জটায়ুর ভাষায় "বাংলার কোন মাসল নেই", তাই আমাদের লেখায় সম্ভত দৈনন্দিন সমস্যা আর চাহিদাই বেশি ফুটে উঠে, খেয়াল করে দেখবেন বাংলা ভাষায় কিন্তু রম্য লেখা ও কিন্তু দেখা যাচ্ছে না ইদানিং।
ভাবতেছি নিজেই ফ্যান্টাসী লিখা শুরু করে দিবো
প্রথমা প্রকাশনী ইদানিং কিছু বই বের করছে কিন্তু সেগুলোর যে প্রাইস, আর কিনতে ইচ্ছা করে না....
বাইরে কি সুন্দর ৫/১০ ডলারে নতুন নতুন বই পাওয়া যায় , আমাদের এরকম পরিস্থিতি কবে হবে??
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
আমাদের রম্য লেখাও ইদানীং দেখছিনা আর।
আমাদেরও পাঠক আছে। ব্লগেই দেখেন, সাই ফাই এর ভক্ত কত !! একটু প্রচার করতে পারলে ভাল হত।
ধরেন, ব্লগের একেক বিষয়ের উপর কয়েকজন করে নিলাম। বোর্ড করলাম। প্রতিটা বোর্ড বিভিন্ন সিজনের বিভিন্ন বই এর উপর রিভিউ দিলো, তাহলে মানুষ সেই বই কিনবে।
নির্দিষ্ট কিছু লেখকের বই ছাড়া বাকিগুলো ত চলেই না।
গানের এলবামের সাথে বই পারে না। কারণ, বইয়ের অশিক্ষিত ফ্যান নাই, শিক্ষিত কিন্তু বইয়ের অভ্যাস নাই এমন লোকই বেশি। এরপরও যা আছে, তাও ইউটিলাইজ করতে পারিনা আমরা।
২৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:২২
আমি সুফিয়ান বলেছেন: নির্দিষ্ট কিছু লেখকের বই ছাড়া বাকিগুলো ত চলেই না।
সত্যি কথা। আমি নিজে কি করি, বইমেলার সময় আগে জাফর ইকবালের গুলা কিনে নিই( হুমায়ুন এর বই অন্যরা কিনে আমি পড়ে নিই, ) আনিসুল হকের সত্য ঘটনা অবলম্বনে কোন বই থকলে সেটা কিনি,( কারন এই লোক সত্য ঘটনা ছাড়া ভালো লিখতে পারে না) তারপর দেখি হুমায়ুন আর জাফর ইকবালের পুরনো গুলো কোথাও পাওয়া যাচ্ছে কিনা, তারপর আমার প্রিয় কিছু টপিক্সের উপর খুজে দেখি যদি সেরকম কিছু পাই তাহলে হয়তা বা কিনি অথবা যদি সন্দেহ থাকে যে বইটা অত ভালো হবে না তাহলে দুরে থাকি।
সমস্যা টা এইখানে, যদি মেলার আগেই বইগুলোর কোন রিভিও পাওয়া যেত তাহলে কিন্তু আমরা অপরিচিত লেখকের বই ও অসংকোচে কিনতাম। কিন্তু এখন সেটা আমরা খুব কম করতে পারি, কারন রিস্ক নিয়ে একটা বই কিনলাম, তারপর যদি সেটা দেখি পড়ার অযোগ্য তাহলে মাথা গরম হয়ে যায়।
এই বইমেলায় যেমন আমি গ্রীক মিথলোজীর উপর বই কিনলাম, বাসায় এসে পড়ার সময় মাথা গরম হয়ে গেলো, যেভাবে বর্ণনা দিয়েছে; তারচেয়ে " এজ অব মিথলোজী" গেমটা আরো ভালো ভাবে বর্ণনা দিতে পেরেছে
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: হা হা হা হা
আসলেই। এমনিতেও ভাল একটা বই খুব বেশিবার পড়া যায় না। এর চেয়ে কম দামের গানের এলবাম বেশিবার শোনা যায়। হা হা হা। এ কারণে বই প্রতিযোগীতায় পারছে না।
আবার ব্যাপার আছে, ঈদে অনেক গানের এলবাম রিলিজ হয়, কিন্তু বই হয় না। মোড়ে মোড়ে ভাল বইয়ের পোস্টারো দেখবেন না আপনি।
বর্তমানে অনুবাদ ছাড়া কিছু কিনি না।
২৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনের সাথে সহমত। বৈচিত্রের বিচারে বাঙলা সাহিত্য আসলেই অনেক পেছায়া আছে। এডভেঞ্চার সাহিত্যের ক্ষেত্রে নকল ছাড়া ভালো কাজের পরিমান খুবি কম। হেমেন্দ্রকুমার রায় বহু আগে শুরু করছিলেন একেবারে মৌলিক কিছু কাজ দিয়া। তারপরে আর কাজ আগাইছে বলে মনে হয়না। সত্যজিত রায় থেকে হুমায়ুন বা জাফর ইকবাল সবাই এই জাতীয় সাহিত্য কম বেশি কপি করেছেন। রকিব হাসানরা বিদেশী সাহিত্যের ছায়া অবলম্বনে এতটুকু স্বিকার করেন, জাফর ইকবালরা তাও করেন না। আর ফ্যান্টাসি সাহিত্য নিয়া কোন কাজই হয় নাই যতদুর জানি।
হেমেন্দ্র কুমারের যকের ধন বোধহয় বাঙলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক এডভেঞ্জার বিষয়ক উপন্যাস। বিমল আর কুমার নামক দুই বন্ধু্র অনেকটা ইন্ডিয়ানা জোন্স ক্যাটাগরির গুপ্তধনের মিশন নিয়া একেবারে বাঙালি আঙ্গিকের কাহিনী।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৫৯
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ইন্সপাইরেশন মানা যায়, কিন্তু ডাইরেক্ট কনসেপ্টটা কপি করাকে ইন্সপাইরেশন বলে না।
একটা লেখকের জন্য কনসেপ্ট করাটাই নকলের মত।
আপনি ঠিকই বলেছেন, রকিব হাসানরা ত স্বীকার করে, বাকিগুলা তাও করে না।
২৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৪
মোঃমোজাম হক বলেছেন: অনেক লিঙ্কইতো পেলেন।আমিও এককালে খুব বই পরতাম তবে ফালুদা নয়।ছোটকালে কুয়াশা,দস্যুবনহুর,দস্যুমোহন তারপর মাসুদ রানা।আর উপন্যাস ? অনেক বড় লিস্ট
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৫৮
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ফেলুদা না পড়েই ভাল করেছেন।
২-৩ টার বেশি পড়লে মজাই থাকে না।
কুয়াশা আর মাসুদ রানা আমার এখনও ভাল্লাগে। কুয়াশাটা যে কেন বন্ধ করে দিল !!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৪২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: এই লিঙ্কে রেজিষ্ট্রেশন করে নিন । প্রচুর পিডিএফ বই পাবেন।
http://www.boirboi.net/