নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে পড়ি এবং নিজের ক্ষুদ্রতা ও জ্ঞানের স্বল্পতা স্বীকার করি। নিজেকে বুদ্ধিজীবী ভাবি না। ঐ বয়সটা পার করে এসেছি।

ব্লগার_প্রান্ত

Ashraful Alam Khan Pranto

ব্লগার_প্রান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

টং মানব

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

বাবা মার স্বপ্ন ছিলো, বড় ছেলে সাইন্সে পড়বে। এই বিশ্ব বসতির বুকে ছেলের কীর্তি যখন দ্বীপ্তিমান সূর্যের মতো জ্বলবে, তখন বাবা মা- ও বেঁচে থাকবেন শত সহস্র বছর, সেই উজ্জ্বল ইতিহাসে!
সত্যি বলতে, বাবা মা কখনো এসব ভেবে ছেলেকে সাইন্সে পড়াননি। তাদের বিশ্বাস, ছেলে সাইন্সে পড়ে, মস্ত মানুষ হয়ে, রুক্ষ পৃথিবীতে একটু ভালো থাকবে।
কলেজে পড়তে এসে, ছেলেটার মনে হলো, স্যার ম্যাডামেরা পড়াতে পারেন না। যেসব ছেলে নিয়মিত ক্লাস করে, তারা মাথায় তেল দেয় না (আঁতেল)। এই প্রযুক্তির পৃথিবীতে যারা চুল বড় করে, ঘাড় বাঁকা করে মুখবইয়ে সুন্দর সুন্দর ছবি দিতে পারে- তারাই প্রকৃত জ্ঞানী।

মা বাবা সন্তানের বিদ্যাভ্যাস দেখে পুলক অনুভব করে। রোজ সকাল সন্ধ্যা গৃহত্যাগ করে, বিজ্ঞানের জটিলতম প্রমাণগুলোকে আয়ত্ব করা নিশ্চয়ই সহজ নয়।

পুত্রভক্ত কিংবা অসচেতন পিতা যদি কোনদিন দেখতেন, তার আদরের সন্তান, চায়ের কাপে বিজ্ঞানের গোপনতম রহস্যসমূহ উন্মোচন করে চলেছে নিত্যদিন- তবে তার পুলক নিশ্চয়ই বাড়তো।
সহজ, সরল ভাবুক মাতাটি যদি কোনদিন জানতেন, অন্য ঘরের একটি মেয়ের প্রতি, তার পুত্রের দৃষ্টির সাথে অক্ষরজ্ঞানহীন একজন মানুষের দৃষ্টির কোন প্রভেদ নেই- তবে তিনি এক অনন্ত বিষ্ময়ে ডুবে যেতেন।

প্রিয় টংটিতে সন্তান দিব্যি দিন কাটাচ্ছে। ক্লাস করা লাগে না, পড়া বোঝা লাগে না। নাগরিক জীবনে এর চেয়ে সুখ নাই। সবচেয়ে বড় কথা- ধুয়াপানের শিল্পটা সন্তানের কাছে এত আকর্ষনীয় যে, যেকারো সামনে তার শিল্পী হওয়ার সাধ প্রচন্ড! ইউনিফর্ম পড়ে ধুয়াপানের সময় তার আত্ন অহংকার বলে- "নিজের বাপের টাকায় খাচ্ছি, কার কি?"
ধুয়াপান করতে গিয়ে সেই অর্থদাতা বাপের অনুমতি চাওয়ার প্রয়োজন, তার জ্ঞান সমুদ্রে কোন ঢেউ তোলে না।

রোদ বৃষ্টির দিন, সেই টংএ কাটে। সঙ্গী জোটে, আড্ডা হয়। আধুনিক দূরালাপনী যন্ত্রে, অদেখা কিশোরীর সাথে প্রেম হয়, দেখা হয় না। কলেজের সীমানায় ধুয়া ছাড়া হয়, ক্লাস করার সময় হয় না।

এই মহাজগতে, সময়- এক বৃদ্ধ বেদুইন

বাবা মা গত হন, দায়মুক্ত হন। সন্তান সংসারের রণভূমিতে নেমে পা হড়কায়। ছাপোষা মধ্যবিত্ত কিংবা দৈবগুণে একজন বড় নেতার বাম হাত, ভবিষ্যৎ এখানেই থমকে দাড়ায়।
টং এর প্রতি দুর্বার আকর্ষন আর নেই। কিন্তু ক্লাসে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে, টং এই যাওয়া হয়। চিৎকার করে কাঁদা যায় না, নিঃশব্দে ধূমপান করতে হয়।
.
.
.
.
.

((সামুর দুর্দিনে গুহা থেকে বের হলাম...। প্রার্থনা করি, এই দুর্দিন থাকবে না।
কলেজের ম্যাগাজিনের জন্য লেখাটি লিখেছি, এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো, ব্লগেও দিয়ে দিলাম। পড়ে মন্তব্য জানালে কৃতার্থ হই__লেখক))



মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সামু'র দুর্দিনে গুহাবাসী থাকা ভালো দেখায় না।

টংমানবের হাতে এখনও সময় আছে প্রকৃত মানব হওয়ার। সময় নষ্ট করা ঠিক না।
শুরু করার সময়.......এখনই।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার পরিচিত কেউ থাকলে, আমার লেখাটা পড়াইতে পারেন :P
মানুষ হইয়া গেলে, দেশে একটা মানুষ বাড়বো :-/

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার পরিচিত কেউ থাকলে, আমার লেখাটা পড়াইতে পারেন :P
মানুষ হইয়া গেলে, দেশে একটা মানুষ বাড়বো :-/
আইডিয়া খারাপ না......চিন্তা-ভাবনার ব্যাপার আছে! ;)

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: থ্যাংকু থ্যাংকু :)

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কয়েল হতে ম্যাগাজিন B:-)

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আর কইয়েন না B-))

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখা ভালো হয়েছে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: থ্যাংকু থ্যাংকু

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট্ট প্রান্ত,

বেশ ভালই লিখেছ তোমার টং মানব । ভাবনাটা সুন্দর। তবে ভাবনাটাকে আরেকটু বড় করে লিখলে আমার দৃষ্টিতে বেশি সুন্দর হতো । যাক মোটের উপরে ঠিক আছে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবে।।


১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিকদা,
আশা করি ভালো আছেন। অনেকদিন পরে আপনাদের পেয়ে ভালো লাগলো।
আসলে ম্যাগাজিনের লেখার জন্য শব্দসীমা দেয়া থাকে বলেই, লেখাটা বড় করতে পারিনি। আপনার জন্যও শুভকামনা, যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন। :)

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: কি বলবো অসম্ভব ভালো লেগেছে। দারুণ একটি বার্তা দিতে চেষ্টা করেছেন।

মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পুরোটা পড়লাম। সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে সেটা হল বাংলা শব্দের ব্যবহারে আপনি বেশ সচেতন। উঁচুমানের লেখকও এটা লিখতে গেলে দুই বা তিনটি ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতোই। একটি উদাহরণ হল 'দূরালাপনি যন্ত্রে'।

আপনার জন্য শুভকামনা রইল। দোয়া করি আপনার হাত ধরে বাংলা সাহিত্য যেন আরো সমৃদ্ধ হয়। ভালবাসা অশেষ...

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক- আকতার আর হোসাইন ভাই,
আপনাদের এই অনুপ্রেরণা, এই ভালোবাসা, আমাকে সবসময় নতুন করে ভাবতে উদ্দীপ্ত করে।
আমি যেহেতু বাংলায় লিখছি, তাই বাংলার প্রতি একটা অবশ্য কর্তব্যবোধ অনুভব করি।
আপনার দোয়া আমার অনেক কাম্য, আপনার প্রশংসা এবং ভালোবাসার জোরেই সামনে আরো ভালো কিছু লেখার চেষ্টা করবো
ভালো থাকুন, এই প্রার্থনা---

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:১৫

বলেছেন: বেশ ভালই লিখেছ

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ল ভাই

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মাহমুদুর ভাই, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




প্রাইমারী স্কুলের বাচ্চাদের লেখার মতো, মনে হচ্ছে! আপনাদের এলাকায় প্রাইমারী স্কুলকে কলেজ বলে নাকি?

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় চাঁদগাজী, আপনার গঠনমূলক সমালোচনার জন্য।

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ম্যাসেজটা সুন্দর, যথেষ্ট ভাল হয়েছে লেখাটা। ছাত্রজীবনে অহেতুক সময় নষ্ট করার পরিনতি আসলেই ভয়াবহ । অনেক অনেক শুভকামনা।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: চোখে দেখা বাস্তবতা থেকেই লেখেছি তারেক ভাই
আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে খুব খুশি হলাম
আমাদের প্রজন্মের কিছু সমস্যা নিয়ে সামনে আরো লিখার নিয়ত করি।
ভালো থাকবেন, শুভকামনা আপনার পরিবারের প্রতি

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: এই না হলে আমার প্রান্ত ভাইয়া #:-S অল্প কথায় অনেক ভালো মেসেজ আছে লেখাটায় । সার্থক প্রচেষ্টা ।


(প্রান্ত ভাইয়া গুহা থেকে বের হয়েছে তাহলে এখনই নিশ্চয় আমার গণিতের লেখাটি ড্রাফট থেকে বের করতে হবে B-) )

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: B-) ইয়েস!! ধন্যবাদ আপু
লেখাটা নিয়ে কিছুদিন ভেবেছি। চোখের সামনে দেখা বাস্তবতা, পরিণতিও অনিবার্য, তাও কেউ সচেতন না...দুর্ভাগ্য

আপনার গনিতের লেখাটি তাড়াতাড়ি পোষ্ট করুনতো!! কতদিন ঝুলিয়ে রাখবেন বেচারাকে?

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: পড়াশোনা কেমন চলছে প্রান্ত? ব্লগও কিন্ত্ একটা টং। দুর্নিবার আকর্ষন। আপাতত এই টংটিতে কম ঢোকাই ভাল। :`>

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৩০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আরে ঢাবিয়ান ভাই! ব্লগ টং এ যাতে না আসা লাগে তাই সব পোষ্ট গুম করে দিয়েছিলাম। সরকার পর্ণোলেখক বানিয়ে দেয়ায় ভিপিএন লাগিয়ে এখন দুবেলা আসি :D

১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৭

মুক্তা নীল বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর লেখা। একটা ছাত্র /মানুষের, পড়াশোনা এবং দৈনন্দিন জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা --- আমাকে ভালোলাগা জানিয়ে দিলো।
লেখায় বাস্তব জীবনের পাড়ার কোন ছেলের ঘটনাই পড়ছি মনে হলো।

শুভ কামনা রইলো ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: :`> ধন্যবাদ আপু
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। আমার লেখা আরো গল্প ছিলো, সব ড্রাফটে নিয়ে ফেলেছি। নতুন কিছু লিখলে, আপনাকে নিমন্ত্রণ করবো এখন থেকে!
ভালো থাকুন সবসময় :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.